নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার পৃথিবী

এভাবেই ভালোবাসা পুড়ে পুড়ে যায়..

রোদেলা

আমার আকাশ মেঘে ঢাকা \nজমতে থাকা আগুন ;\nহঠাত আলোর পরশ পেলেই \nঝরবে রোদের ফাগুণ।

রোদেলা › বিস্তারিত পোস্টঃ

ঠিকানা বিহীন খোলা পত্র।

০৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১:২৮


প্রিয় মেঘ,

জানো,আজ অনেক বছর পর খুব রান্না বান্না করলাম।ছোট বোন বর নিয়ে বেড়াতে এসেছিল,গা ভর্তি নানান রঙের গহনা।দেখে মনে হচ্ছিল মেয়ের চাইতে গহনার ওজন অনেক বেশী।মেয়েরা বড় হতে হতে অনেক পাকনা হয় ,আর বিয়ে হলেতো কথাই নেই ;আদিখ্যেতার চূড়ান্ত।তবে আমার হাতেই বাড়তে থাকা খালাতো বোনের এই আধিখ্যেতা কিন্তু অনেক ভালো লাগছিল।না চাইতেও চোখ চলে যাচ্চিল নতুন যুগলের দিকে-আহা,আমার অদ্রিও বুঝি বিয়ে হয়ে গেলে স্বামীর সঙ্গে এমন ঢং করবে।দেখেই মনটা কেমন খুশীতে ভরে উঠছিল।আমি জামাইয়ের প্লেটে যাই দেই সে না না করে ,আর আমার বোন চোখ রাঙ্গিয়ে তাকে মুখে তুলে খাওয়ায়।আমি দেখেও না দেখার ভান করে মোবাইলে চোখ রাখি-ইশ,স্যারযে কেন এখনো আসছে না।জানতো ,কিছু ভালো মন্দ রান্না করলেই স্যারকে খেতে বলি।একা মানুষ,কাজের মেয়ের হাতে কি ছাই পাস যে খায়।দেখেই মায়া লাগে।তাই আজই বললাম রাতে ক্যাম্পাসে ফেরার সময় খেয়ে যেতে।স্যার বললেন-সেন জোসেফে তিনি আজকের প্রধান অতিথি।অনুষ্ঠান শেষ করেই চলে আসবেন।সেই থেকে অপেক্ষা করছি,রাত হয়ে গেলে এ পথে আর সিটিং সার্ভিস চালু থাকে না।
টোনা টোনি খাওয়া শেষ করেই চলে গেল,নব দম্পতির খুব তাড়া ।আমি তাদের বাঁধা দিলাম না,কিছুক্ষনের মধ্যেই স্যার ঘরে ঢুকলেন।এক হাতে অদ্রির জন্য অনেক খাবার ,অন্য হাতে চমৎকার সন্মানী।বোঝাই যাচ্ছে বেশ বড় সড় প্রোগ্রাম সেড়েই এসেছেন,আমি হাতের খাবারগুলো দ্রুত সড়িয়ে রাখার চেষ্টা করলাম।কিন্তু অদ্রি ঠিকি ফক্স নিয়ে বসলো।এর আগেও স্যার ফক্স এসেছেন,সে রাতেও অদ্রি কিছুই খায়নি।এই চকলেট পুনর্বার আনতে স্যারকে আমি বহুবার বারন করেছি,কিন্তু তিনি আগের মতোই –ওহ সরি ,আর হবে না বললেন।আমি আইস্ক্রীমের বক্স উঠিয়ে রাখতে রাখতে দেখলাম ভেতরে ম্যাঙ্গো ফ্লেভার।গত এক বছরে স্যার বুঝতেই পারেননি আমার প্রিয় ফ্লেভার –ভ্যানিলা।কি আর করা,লোকটা এত কষ্ট করে নিয়ে এসেছেন ফ্রীজেই থাক।খাবার শেষ হলে তাকেই দেব।এতো ভুলো মনা মানুষ বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাশ কেমন করে নেন আমি বুঝি না,আরো অবাক লাগে কখোন জানো ? তিনি যখন গুনে গুনে বলে দিতে পারেন গত এক বছরে আমার সাথে তার কতো বার কোথায় কতো মিনিট দেখা হয়েছে।একদম ভুল হয় না সে সব ক্ষেত্রে ,কিন্তু আমি কি পছন্দ করি তা তিনি ঠিক করে বলতে পারেন না।আমি খুব আশ্বর্য হয়ে খাবার দিলাম টেবিলে।স্যার তখন ফুল ভলিউমে রাতের খবর দেখছেন,সেই একি খবর ।খুনীদের মধ্যে কাকে কাকে ধরা হয়েছে ,এই সব আর কি –যে খবরে জাতির কোন কিছুই আসে যায় না।আমি প্রশ্ন করলাম –রান্না কেমন হয়েছে?তিনি টিভির দিকেই তাকিয়ে উত্তর করলেন-খুব ভালো ,খুব ভালো।আমি অদ্রিকে খাওয়ানোর ব্যর্থ কৌশল করতে লাগলাম,মেয়ে মুখ থেকে চকলেটই ফেললো না।
রাত সাড়ে দশটা,আমি খুব তাড়া দিতে লাগলাম-স্যার এগারোটার পর মিরপুর রোডে আপনি আর ইতিহাস পাবেন না।এখন না বের হলে আটকে যাবেন।বলাই বাহুল্য,স্যারের হাতে রিমোট।তিনি ফুল ভলিউমে খবরের এন্ডিং দেখছেন,এই মুহূর্তে সেন জোসেফ স্কুলের খবর প্রচারিত হলো।আমিও খুব আগ্রহ নিয়ে দেখলাম এবং বললাম-স্যার,এই জগত আপনার ভীষন প্রিয়।এই যে ছাত্র ছাত্রী এতো সন্মান।তাই না?
স্যার হেসে উত্তর দিলেন-না ,তেমন কিছু না।অনেক বড় বড় অনুষ্ঠানে আমাকে দাওয়াত করে ।আমিতো সব প্রোগ্রামে যাই না।
মানুষের মনের মাঝখানে অসাধারনত্ব খুঁজতে গিয়ে আমি অমূলক কিছু খুঁজে পাই যা সম্পূর্ন অপ্রাসঙ্গিক।পুরো ক্যাম্পাস চোষে এমন ফেমাস টিচার দ্বিতীয়টি নেই।জানো,আমি বার বার তার মধ্যে ডুব দিয়ে ঘুরে আস্তে চেয়েছি।কিন্তু ওখানে আত্ব-মর্যাদার বিষবাষ্প ছাড়া তেমন কিছু আমাকে কেন স্পর্শ করে না-তা সত্যি বিস্বয় কর।
রাস্তার নেমে দেখলাম-শীত চলে এসেছে।আমার পাতলা ফিন ফিনে কাপড়ের ভাঁজ গলে বোটানিক্যাল গার্ডেনের বাতাস এসে ঢুকে পড়ছে।ঠিক সেই মুহূর্তে মনে হলো,তোমার বাহু জড়িয়ে ধরে হাঁটতে পারতাম।কিন্তু কি আশ্চর্য আমার পাশ দিয়েই হেঁটে যাচ্ছে এমন মানুষ যার হাত পরম নিশ্চিন্তে আমাকে নিরাপত্তার ছায়া দেবে।হুড খোলা রিক্সার হৈমন্তী রাতে নির্ভরতার আকাংখা কেন যে তোমার বাহুতে সমর্পিত হতে চায় এ এক অদ্ভূত ব্যাপার।যদিও আমি জানি তোমার ও হাত এখানে থাকবার নয়।রাত বাড়ছে ,আর বেশি দূর যাওয়া আমার জন্য ঠিক না জেনেও এক রিক্সায় যাচ্ছি।ফিরতে হবে একা,আমি প্রশ্ন করলাম-স্যার ,আমি যে আপনার সাথে যাচ্ছি,আপনার কেমন লাগেছে।তিনি সেই বিখ্যাত হাসি দিয়ে বললেন-খুব ভালো।কিন্তু তুমি যাচ্ছো কেন?তোমার কি ওদিকে কোন কাজ আছে?আমি না সূচক মাথা নড়লাম।
আচ্ছা ,এই বেলা হলে তুমি কি করতে?আমাকে তোমার সাথে নিতে ?তারপর গাড়িতে উঠে আমাকে টা টা দিতে ।আমি অন্ধকার রাস্তায় একা একা বাড়ি ফিরতাম?নিঃসন্দেহে তুমি আমাকে বাড়ির গেইট থেকেই বিদায় দিতে ,আমি কান্না কাটি করলেই সাথে নিতে না।কিন্তু স্যার আমাকে সাথে নিয়েই যাচ্ছেন,তার অর্থ এই না যে তিনি আমাকে কেয়ার করেন না।করেন,কিন্তু আমার সংগ তার ভালো লাগছে।অনিরাপদ শহরের চিন্তাটা মাথায় এলেও ,আমরা আমূলে নিচ্ছি না।আমি আবার বললাম-অদ্রি যখন কথা বলছিল আপনি তখন ওর মুখের দিকে তাকিয়ে জবার দেন নি কেন?এই ধরনের প্রশ্নে মানুষটা সত্যি হক চকিয়ে গেল,একটু ভেবে উত্তর করলেন-দিয়েছিতো,আমার সাথে ওর কতো খাতির।আমি ঠান্ডা গলায় বললাম-না ,ওর মুখের দিকে না ,আপনি খবর দেখতে দেখতে উত্তর দিয়েছেন।অদ্রির দিকে খেয়াল না করলে আমার খুব রাগ হয়।
তাকে এই ধরণের কথা বলার আসলে কোন কারন নেই।আমি বোঝার চেষ্টা করছিলাম-তুমি অদ্রির সাথে এই মুহূর্তে থাকলে কি করতে।অবশ্যই মা মা করে আদর করতে এবং ওর সাথে সব কিছুতেই হৈই হুল্লোর করতে।সব মানুষ বাচ্চাদের সাথে মেতে উঠতে পারে না,স্যার অদ্রিকে খুব ভালোবাসে কিন্তু যে টুকুন সময় থাকে তাকে কেবল চকলেট দিয়েই তার মন জয় করতে হয়।তুমি কি বুঝতে পারছো –আমি কি বলতে চাইছি।অদ্রিয়ানা তোমার কাছে যে নির্ভরতা পায় তা অন্য কারো কাছে পায় না। মানুষ ভুল করে ঠেকে শিখে।কিন্তু আমি ভুল পথে হাঁটছি,কেন জানো ?আমি বুঝতে চাইছি তোমার বিকল্প এই পৃথিবীতে কোন ভাবে গড়ে তোলা যায় কিনা।যে তুমি কো্টি কোটি মাইলে দূরে বসে এক অদৃশ্য সূতো দিয়ে এই আমাকে বেঁধে রাখো তা ছিন্ন করে আমি বের হবার পথ খুঁজছি যাতে তুমিও বেঁচে যাও,আমিও বেঁচে যাই।কিন্তু প্রতি মুহূর্তে তুমি আমার পথ আগলে দাঁড়াচ্ছ।না,আমি কারো সাথে কারো তুলনা করতে চাইছি না,নিজেকেই পরীক্ষা করছি-কি আমি চাই।
রাত সাড়ে এগাড়োটা,রাস্তা এখন অনেকাংশেই নীরব।দশ নম্বর গোল চক্করে রিক্সার আওয়াজ কমছে,আমি দাঁড়িয়ে আছি।কেউ রূপনগর আসতে চাইছে না।আমার যে ভয় করছে না তা না ।ভয় করছে,কিন্তু নিজেকে আমি জয় করতে পারছি।অনেক বলে কয়ে একটা রিক্সায় হুড তুলে বোসলাম,আমি কোন টাকা নিয়ে বের হইনি ।স্যারের কাছে ভাড়া চেয়ে নিয়েছি,এই মানুষটাকে যদি আমি বলতাম-আমার খুব বিপদ ,এক্ষনি লাখ খানেক টাকা লাগবে।তিনি আমাকে কার্ড ঘষে হলেও নিজের একাউন্টের সব টাকা উজার করে দিতেন,স্যার এমনি।কিন্তু,তিনি যাবার সময় একবারো বলেন নি-তুমি রিক্সা নাও,আমি পরে বাসে উঠবো।কি অদ্ভূত তাই না?সব মানুষ এক হয় না-এটাই সত্য।।আমরা ঠিক যাকে যে ভাবে চাই সে সেই ভাবে আমাদের কাছে ধরা দেয় না।আর যে কিনা অবহেলার তীব্র আলোক বর্ষ দূরত্বে রেখে ঘুরে বেড়ায় তার জন্যেই মন কেমন করে।
ঠিক তাই মেঘ।আমার মন কেমন করছে তার কোন সঠিক ব্যাখ্যা আমি দিতে পারবো না।কেবলি মনে হচ্ছে-আর একটি পৌষ আমাকে একা কাটাতে হবে।জোর করে মিলে থাকার চেষ্টা একেবারেই ব্যর্থ হয়েছে।তুমি আমাকে ঠেলে ঠুলে আর ও পথে তাড়িত করো না।এইতো ভালো আছি,তোমার ভাবনা আর স্মৃতির অবিনশ্বর মেল বন্ধনে।অপেক্ষা করছি কোন এক ম্যাজিকের জন্য।হয়তো তুমি একদিন ফিরবে সত্যিকার ভালোবাসার কাছে পরাধীন হয়ে।একবার হলেও আমার হাত ধরে বলবে-তোমার হাত এতো ঠান্ডা কেন?আমি কেবল ওই টুকুর জন্যই অপেক্ষায় থাকবো ...

তোমার নীলা

মন্তব্য ৪৮ টি রেটিং +১০/-০

মন্তব্য (৪৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১:৪২

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


এই যুগে এত বড় চিঠি ! এখন হইল এস এম এসের যুগ। আগের কালের টরেটক্কার মতো দুই তিন শব্দে পুরো ইনফরমেশন।

ভালোবাসি, তুমি ? নিঃসঙ্গতায় আছি, অনুশোচনা দগ্ধ, অপেক্ষা করছি।

ব্যাস কাজ শেষ। প্রাপক বুঝে নিবে সব কিছু।

মজা করলাম আপু। চিঠিতে লাইক।

০৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:১৪

রোদেলা বলেছেন: আজকাল এস এম এস এতো ছোট হয় নাকি?আমিতো কাউকে কিছু লিখলে গোটা গোটা অক্ষরে পুরোটাই লিখি।কে কখন রাগ করে বসে কে জানে।লাইক লুফে নিলাম।

২| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১:৪৭

গেম চেঞ্জার বলেছেন: হু ইজ মেঘ? আর স্যারের ব্যাপারটা ঠিক ধরতে পারলাম না। এনিওয়ে রোদেলা আপু, এটা কি গল্প নাকি বাস্তবতা থেকে উতরে ওঠা অনুভূতির প্রকাশ?

০৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:২৮

রোদেলা বলেছেন: এটা কল্পনা আর বাস্তবতার এক অপূর্ব মিশেল যেখানে মেঘ থাকে কল্পনায় ,বাস্তবের প্রফেসরের সাথে সারাক্ষন কি এক অদ্ভূত প্রতিযোগিতায় মগ্ন।

৩| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ২:৩০

ধমনী বলেছেন: আমি কেবল ওই টুকুর জন্যই অপেক্ষায় থাকবো ...
- এটা যেন তিনি বুঝতে পারেন।

০৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৩০

রোদেলা বলেছেন: বুঝলেতো খুব ভালোই হতো,কিন্তু তা হবার নয়।

৪| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ২:৪৯

মাধব বলেছেন: একবার হলেও আমার হাত ধরে বলবে-তোমার হাত এতো ঠান্ডা কেন?আমি কেবল ওই টুকুর জন্যই অপেক্ষায় থাকবো ... " ।

আমি আবেগায়িত।

০৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৩৩

রোদেলা বলেছেন: মুগ্ধতা মাধব।

৫| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ২:৪৯

রুদ্র জাহেদ বলেছেন: হয়তো তুমি একদিন
ফিরবে সত্যিকার ভালোবাসার কাছে
পরাধীন হয়ে।একবার হলেও আমার হাত ধরে
বলবে-তোমার হাত এতো ঠান্ডা কেন?আমি
কেবল ওই টুকুর জন্যই অপেক্ষায় থাকবো ...

আসলেই সবাই মনে-প্রাণে চাই, যেন সে প্রকৃত ভালোবাসার মানুষটাকে পাই!
চিঠির মূল ভাবটা এখানে এসে চূড়ান্তভাবে প্রকাশ পেয়েছে বলে মনে হয়।বেশ ভালো লাগল

০৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৩৫

রোদেলা বলেছেন: সব চাইতে প্রয়োজনীয় অংশটি কোট করেছেন রুদ্র জাহেদ।ইনিয়ে বিনিয়ে এইটা বলার পায়তারা করছিলাম,ধন্যবাদ।

৬| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৩:২৩

কিরমানী লিটন বলেছেন: নান্দনিক ভালোলাগায় অতলের গভীর ছুঁয়ে গেলো-অনবদ্য সুখপাঠ্যের পত্রকাব্য,অভিনন্দন প্রিয় রোদেলা আপু,নান্দনিক মুগ্ধতার লিখনির জন্য।অশেষ অভিনন্দন আপ্নাকে,ভালো থাকবেন- শান্তির স্নিগ্ধতায়,
সতত শুভকামনা ... +++

০৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৩৭

রোদেলা বলেছেন: এতো গুলো বিশেষণ এক সাথে এক জায়গায় পেয়েতো আমার যা তা অবস্থা।অনন্ত শুভেচ্ছা আপনাকে লিটন।

৭| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:০৪

অগ্নি সারথি বলেছেন: পত্রকাব্যে ভাললাগা। যদিও অনেক বিষয় কিলিয়ার না।

০৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৩৬

রোদেলা বলেছেন: ভাবনারা পুরোটা ধরা দেয় না মুঠোতে।ধন্যবাদ অগ্নি সারথি।

৮| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:০৩

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: কিছু কব না

০৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৫০

রোদেলা বলেছেন: কইওনা।।

৯| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪৬

সুমন কর বলেছেন: সব মানুষ এক হয় না-এটাই সত্য। আমরা ঠিক যাকে যে ভাবে চাই সে সেই ভাবে আমাদের কাছে ধরা দেয় না। আর যে কিনা অবহেলার তীব্র আলোক বর্ষ দূরত্বে রেখে ঘুরে বেড়ায় তার জন্যেই মন কেমন করে। --- ভালো বলেছেন।

তা, বাক্য শেষে স্পেস দেন নাই ক্যান? পড়তে কষ্ট হয় না বুঝি !! /:)

** ভিআইপি-দের নিয়ে একটি পোস্ট (অল্প গল্প) দিয়েছি, দেখে আসবেন।

০৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৫১

রোদেলা বলেছেন: ভি আই পি যেদিন হাঁটে ,আমাদের চলা থেমে যায়।জীবনের গল্প পড়লাম,কিন্তু চান্দা তুলুম কবে?

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:০৭

রোদেলা বলেছেন: দাড়ি -কমা-স্পেস দিন দিন ভুইলা যাইতেসি.।

১০| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪৯

ভ্রমরের ডানা বলেছেন: পত্রকাব্যে ভাল লাগা। জয়তু ভালবাসা।

০৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৫৪

রোদেলা বলেছেন: জয়তু ভালবাসা। ধন্যবাদ।।

১১| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৫৪

হামিদ আহসান বলেছেন: সুপাঠ্য লেখা ......

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:০২

রোদেলা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ হামিদ আহসান।

১২| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৫১

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: এটা গল্প রূপে পত্র ? নাকি পত্র রূপে গল্প ? :D
তবে ভাল লেগেছে তাই নম্বরে ৭ লাইক ক্লিক করে গেলাম ।

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:০৩

রোদেলা বলেছেন: গল্প পত্র,পত্র গল্প সব মিলিয়ে একাকার।

১৩| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৪৬

কথাকথিকেথিকথন বলেছেন: দারুণ ভাল লেগেছে ঝরঝরে লেখায় । চিঠি আকারে গল্পের স্বাদ । ভালোই ।

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:১১

রোদেলা বলেছেন: হুম,চেষ্টা করেছি চিঠি আকারে কিছু কথা বলতে।কিন্তু আপনার নিক উচ্চারণ করতে গিয়া দাঁত হাতের মুঠোতে পাইলাম,এখন আমার কি হবে?/ ;)

১৪| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৩৩

৬৮৭ বলেছেন: আফনি এইটা আমার আদরের ডাক।বোন নেইত তাই।আপনার চিঠিটা মনযোগ দিয়া পড়েছি।খুুব ভালো লেগেেছে।ধন্যবাদ

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৪২

রোদেলা বলেছেন: আফনি ডাকেন ,কোন সমস্যা নাই।ছোট ভাই এখনো নাম ধরেই ডাকে,মন বড়ই খারাপ হয়।চিঠি ভালো লেগেছে জেনে খুশী হলাম।

১৫| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৭:৪৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: চমৎকার পত্রকাব্য। সহজেই স্পর্শ করে।
তবে স্পেসের ব্যাপারে একটু সম্পাদনার প্রয়োজন আছে। আর....
"আধিখ্যেতা, আশ্বর্য, আত্ব-মর্যাদা, বিস্বয় কর" - ইত্যাকার টাইপোগুলো এডিট করে নিলে ভালো হয়।

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৫০

রোদেলা বলেছেন: মাফ চাই খায়রুল ভাই,খুব কষ্ট লাগে এই বানান ঠিক করার কাজ।ব্লগে একজন প্রুফ রাইটার রাখবো ভাবতেসি।

১৬| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৩২

রানার ব্লগ বলেছেন: প্রফেসররা শুনেছি একটু ভুল মনের হয়। মেয়েরাও বেপারটা বেশ আগ্রহ নিয়ে উপভোগ করে। আর এর জন্যই বিশ্ববিদ্যালয়ে ছত্রি রাই বেশি প্রেমে পরে প্রফেসরদের। হায় অভাগা কপাল কেন প্রফেসর হলাম না তবে হয়ত গল্পের কাল্পনিক প্রফেসর আমিই হতাম।

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৫২

রোদেলা বলেছেন: হা হা হা,সত্যি তাই প্রফেসররা আলো -ভোলা চেহারা দিয়ে কচি কচি ছাত্রিদের মন জয় করে।কিন্তু একটু খেয়াল করলেই বোঝা যায় তাদের আপাত সরলতার আড়ালে অনেক সময় জটিল কিছু উঁকি মাড়তে পারে।
আপনি প্রফেসর না হয়ে বেঁচেই গেছেন।

১৭| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩৯

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: দারুন লিখেছো আপুনি !!!!!!! অসাধারণ এবং অনবদ্য

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৫৩

রোদেলা বলেছেন: তোমার এতো ভালো লেগেছে,জেনেই মুগ্ধ হলাম।

১৮| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৫৪

৬৮৭ বলেছেন: thanks from my deep heart.

১৯| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৩:৫০

রানার ব্লগ বলেছেন: নাহ বাচলাম আর কই। দিন রাত প্রফেসর হওয়ার সপ্নে বিভোর ।

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:১৬

রোদেলা বলেছেন: B-)

২০| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৪১

হাসান মাহবুব বলেছেন: অদ্ভুত জটিলতাময় সম্পর্ক। একেক বয়সে প্রেম একেক রূপে আসে। তা সে যেমন ভাবেই আসুক না কেন, সুন্দর।

১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:১৩

রোদেলা বলেছেন: প্রেম শ্বাসত সুন্দর।মরা জলে ডুবে না টাইপ।ধন্যবাদ।

২১| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৪২

আহমেদ জী এস বলেছেন: রোদেলা ,



যে যায়, সে যায়
তার শেকড় নেমে যায়
মাটির গহীন অবধি ....

তেমনি গহীনে নেমে গেছে যে মেঘ, তার জন্যে রোদেলা দুপুরের ঠান্ডা হয়ে আসা হাতের ঠিকানা বিহীন কান্না কষ্ট দিয়ে গেলো অনেক ।

২২| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৩৩

রোদেলা বলেছেন: গহীনে নেমে গেছে যে মেঘ, তার জন্যে রোদেলা দুপুরের ঠান্ডা হয়ে আসা হাতের ঠিকানা বিহীন কান্না কষ্ট দিয়ে গেলো অনেক ।
কিছু বলার নাই...

২৩| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৪১

তোমাকে চাই বলেছেন:
আমার ভালো লাগার অধ্যায় গুলো স্পর্শ করে গেলাম, বাকিটা অন্যেরা যথার্থই বলেছেন।

- টোনা টোনি খাওয়া শেষ করেই চলে গেল,নব দম্পতির খুব তাড়া।
- বললাম-অদ্রি যখন কথা বলছিল আপনি তখন ওর মুখের দিকে তাকিয়ে জবার দেন নি কেন? অদ্রির দিকে খেয়াল না করলে আমার খুব রাগ হয়। (এই ছোট্ট একটি কথায় কত কিছু প্রকাশ পেয়েছে। অপূর্ব ! মন ছুঁয়েযায়। )

১৩ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১:২৫

রোদেলা বলেছেন: মায়েরা সন্তানের সাথে কথা বলার সময় সব বিষয় মাথায় রাখে,আর আমি খুব স্পর্শকাতর মা।আমার মা সারাদিন মেয়েকে রাখে তবু বকা দিলে মনে হয় কলিজাটা বাইর হইয়া যায়।বিষয়টা আপনার চোখ এড়ায়নি দেখছি। :)

২৪| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১:১২

কথাকথিকেথিকথন বলেছেন: দাঁত হাতের মুঠোতে !!! নাহ নিকটা নিয়ে আর পারা গেলো না !!!!

আজকাল না হয় একটা নিক থাক না উচ্চারনবিহীন !!!!

১৩ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১:২৬

রোদেলা বলেছেন: হবে না।সহজ কথা চাই।মানি না মানবো না।

২৫| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:০৭

ক্লান্ত তীর্থ বলেছেন: মেঘ!

২৬| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১৬

তানজির খান বলেছেন: খুব নিবিষ্ট মনে পড়লাম। মানুষ গুলো অপরিচিত, তাদের গল্প গুলোও আলাদা, অথচ কি অদ্ভুত একই বেদনা ছড়িয়ে থাকে চারপাশে। এই চিঠি যাকে লিখেছেন সে হয়তো পড়েনি, পড়লেও হয়তো অবহেলায়, অথচ ভালবাসা সত্য ছিল। সত্য কিছু এখন খুব কম মূল্যবান, মিথ্যে রঙের খুব দাম।

মনের ভেতরে বেদনা ঢুকে গেল, আমার সময়গুলো এই চিঠি এখন খাবলে খাবে। আমার ভেতরে বেদনা জাগলেই কবিতার জন্ম হয়।

ধন্যবাদ আপনাকে বেদনা জাগানোর জন্য। তবে আগামীতে যেন আপনাকে বেদনা না ছোঁয় সেই কামনা রইল।এই পৌষ যেন শেষ পৌষ হয়, পৌষের সাথে দুঃখরাও যেন অতীত হয়। শুভ কামনা রইল।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.