নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার পৃথিবী

এভাবেই ভালোবাসা পুড়ে পুড়ে যায়..

রোদেলা

আমার আকাশ মেঘে ঢাকা \nজমতে থাকা আগুন ;\nহঠাত আলোর পরশ পেলেই \nঝরবে রোদের ফাগুণ।

রোদেলা › বিস্তারিত পোস্টঃ

ও আমার প্রাণের মেলা বই মেলারে ...

০৩ রা মার্চ, ২০১৬ রাত ১:৫৭

.
সোহরাওয়ার্দি উদ্যানে যতো দূর চোখ যায় কেবল নিরাপত্তা ছাড়া আর কিছু চোখে পড়ে না।বাথরুমের নাক বরাবর অবশ্য একটা মোড়ক উন্মোচন মঞ্চ করা হয়েছে ,কিন্তু আসলেও ওখানে গ্রন্থের কোন মোড়ক উন্মোচন হয় কিনা আমার জানা নেই, এই ২৯ দিন আমাকে অন্তত তা বলেনি।কেবল নজরুল মঞ্চই জানান দিয়ে গেছে তার অস্তিত্বের কথা।শারি শারি লাইন বেঁধে , একে অন্যকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে আমরা নিজের বইয়ের মলাট উন্মুক্ত করা নিয়ে ব্যস্ত থেকেছি।আর বাকী ক’টা দিন হাতে বোতল নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছি, কেউ আবার বোকার মতোন প্রশ্ন করে বইসেন না-বোতল কেন হাতে ?দুটো কারণে হাতে বোতল,তার একটা -তেষ্টা মেটাবার আর একটা প্রাত্যহিক কর্ম সারবার জন্যে।লেখক বলে যে কোন এক ঐশরিক ক্ষমতা বলে আমার বাথরুম চাপবে না সেটা ভাবা সাংঘাতিক ভুল।সকাল বেলা বইমেলায় এসেছি, বের হতে হতে রাত আটটা।কতোবার আর টি সি-তে ঢু মাড়া যায়,পায়েরোতো ক্লান্তি আছে।
বলছিলাম এবারের বই মেলার বন্যাঢ্য আয়োজন নিয়ে।পুরো সোহরাওয়ার্দি জুরে কেবল পুলিশ ছাড়া আমার চোখে একটা চা বিক্রেতাও পড়লো না।যেদিকে তাকাই কেবল পুলিশ আর পুলিশ,নিরাপত্তা নিয়ে কেউ প্রশ্ন করলেই যেন আর রক্ষা নেই।অবশ্য মেলার ভেতরে যে সব পুলিশ ভাই বোনদের দেখা যাচ্ছে তাদের আমার খুব একটা মাড়দাঙ্গা টাইপ মনে হয়নি,তাদের অনেকের হাতেই ছিল বই।অনেকে কাত হয়ে পড়ে থাকা ওয়াসার পানির ট্যাঙ্কিতে ওযু সেড়েও নিয়েছেন,আবার কেউ কেউ মেয়েদের টয়লেটের গমন পথে হা করে চেয়ে থেকেছেন।চেয়ে থাকার অবশ্য একটি যুক্তিসঙ্গত কারনো আছে,বাথরুম বানানো হয়েছে তিনটি টিনের চালা দিয়ে যা ভেতর থেকে লক করা যায় না এবং যেখানে পানির তিল মাত্র ব্যবস্থা নেই।এই ২০১৬ সালে পাবলিক পানি ছাড়া কিভাবে তার প্রয়োজনীয় কম্মটি করবে তাই জানার আগ্রহ তাদের চোখে মুখে স্পষ্ট খেলছিল।
হঠাত আবার ,আমার প্রকাশকের চা খাবার খুব স্বাদ হলো,আমিওতো ক্ষন্রে ক্ষনে চা খাই।তো চেষ্টা যখন পেয়েছে ,একটু গলা ভিজিয়ে আসি।সেই গলা ভেজাতে গিয়েও আর এক বিপত্তি ।যেতে হবে সোজা ডাচে ,তারপর ঘুর্নি পথে পুনরায় চেকইন।বশ্য এমনতর ছোট এক খানা গেইট দিয়া এপেন্টি বাইস্কোপ খেলতে খেলতে আমার অভ্যেস হয়ে গেছে।একদিন সন্ধ্যা ছয়টায় আমার ব্যাংকের বান্ধবী ফোন দিল-কিরে ,তোদের বই মেলা কয়টা পর্যন্ত ?আমি বললাম-দোস্ত ,রাত আটটা।
সে অতিশয় চিৎকার পেড়ে কইলো-কি কস?আমি ভোল্ট বন্ধ কইরা আস্তে আস্তেতো তোদের বইমেলা বন্ধ হইয়া যাইবো।তাইলে বই কিনুম কখোন ?
আমি কেমনে বোঝাই -বইমেলা লেখক বা প্রকাশকের না,ঐটা বাংলা একাডে্মির।তারা যা করবে তাই ফাইনাল।
এবার বইমেলা নিয়ে পত্রিকায় প্রকাশিত কিছু তথ্য ইটালিক করে শেয়ার করলাম-
বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান শান্তিপূর্ণভাবে গ্রন্থমেলা শেষ হওয়ার কথা উল্লেখ করে বাসসকে জানান, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় থাকায় এবার নির্বিঘ্নে গ্রন্থমেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ধর্মীয় মৌলবাদীদের হুমকির কথা মাথায় রেখে ব্যাপক নিরাপত্তার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছিল। তাই কোন অনাকাঙ্খিত ঘটনা ছাড়াই সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০১৬।
তিনি বলেন, ২৯ দিনের মেলায় নতুন বই এসেছে ৩ হাজার ৪৪৪টি। এছাড়া একাডেমির নজরুল মঞ্চ ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে মোট ৫৩৫টি নতুন বইয়ের মোড়ক উন্মোচিত হয়েছে।
মহাপরিচালক বলেন, ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত স্টল মালিকদের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্য ও আজকের সম্ভাব্য বিক্রি যুক্ত করে এবারের গ্রন্থমেলায় মোট বিক্রি ৪০ কোটি ৫০ লাখ টাকা।
তিনি বলেন, ২০১৫ ও ২০১৪ সালের গ্রন্থমেলায় যথাক্রমে মোট বিক্রি হয়েছে ২১ কোটি ৯৫ লাখ ও ১৬ কোটি টাকা। মেলার পরিসর ও প্রকাশনা সংস্থার সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় গতবারের তুলনায় এবার প্রায় দ্বিগুণ পরিমান বিক্রি হয়েছে বলে তিনি জানান।

এদিকে বইমেলা আয়োজনে বিভিন্ন অভিযোগ প্রসঙ্গে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান বলেছেন, “ বাংলাদেশের এই বইমেলাটি একটি ঐতিহাসিক বইমেলায় পরিণত হয়েছে। অসাধারণ বড় মাপের মেলা। এমন উল্লেখযোগ্য, নান্দনিক মেলা আর হয়নি। এটা তো বাংলা একাডেমিই করেছে। প্রকাশদের কোনো অবদান এখানে নেই। তারা কিছুই করেনি। শুধু সমালোচনা করেছেন। তারা বই বিক্রি করে পয়সা আদায় করতে চান। এটা তো হতে পারে না। এখানে তাদের জাতীয় দায়িত্ব কোথায়”।
তবে প্রকাশক ওসমান গনি মনে করেন, বাংলা একাডেমি ও সরকারের সহায়তায় প্রকাশকরাই একটি সুষ্ঠু মেলা আয়োজন করতে পারে।
তিনি বলেন, “কলকাতা বইমেলা প্রকাশকরাই আয়োজন করে থাকেন। সেখানে বাংলাদেশের প্রকাশকরাও অংশ নিচ্ছে। দেশের ভেতরেও অনেক মেলা আমরাই আয়োজন করছি। একুশে বইমেলা শুরু করেছিলেন একজন প্রকাশকই”।
প্রকাশকদের সমিতি, এর আগে বিভিন্ন স্টলে পাইরেটেড বই বিক্রি, ভারতীয় লেখকদের বই বেআইনিভাবে বিক্রির অভিযোগ, বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে অপ্রকাশক বিভিন্ন এনজিওকে বরাদ্দ দেওয়াসহ বেশকিছু অভিযোগ তুলে ধরে।

তবে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক বলেন, “আমরা আনন্দের সাথে এই দায়িত্ব ছেড়ে দিতে রাজী আছি। কিন্তু পাইরেটেড বই বিক্রির সাথে প্রকাশকরাই জড়িত। প্রকাশক সমিতি ওই সমস্ত প্রকাশকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে উদ্যোগ না নিয়ে একাডেমির সমালোচনা করছেন।”

এবারের বইমেলা অন্যান্য বছরের তুলনায় সুশৃঙ্খল ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। নেই রাজনৈতিক হাঙ্গামা, সামাজিক কোনো হট্টগোল। ফলে সবারই প্রত্যাশা এবারের মেলা সার্বিকভাবে সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হবে। অন্তত আয়োজকদের তরফ থেকে আয়োজনগত কোনো ত্রুটি থাকবে না। কিন্তু বাস্তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে প্রকাশকদের প্রত্যাশার উল্টোটাই ঘটেছে। প্রধান যে ত্রুটি আমাদের ভাবিয়ে তুলেছে সেটা হলো_ উৎসুক বই ক্রেতা বা বইপ্রেমীরা লাইন ধরে বাংলা একাডেমিতে ঢুকছেন অথচ মূল বইমেলা সেখানে নয়, সেটি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। বাংলা একাডেমি চত্বরে যেসব বইয়ের স্টল সেগুলো সরকারি, আধা সরকারি বা এনজিওগুলোর প্রকাশনা সম্পর্কিত। সেখানে আছে গণমাধ্যম স্টল, লিটল ম্যাগাজিন কর্নার, বাংলা একাডেমির নিজের বই বিক্রির স্থায়ী স্থাপনা। এত বড় মেলা, এত লোকসমাগম অথচ গেট একেবারেই সাদামাটা। মলিন। অথচ লাইটিংসহ এটি জাঁকজমকপূর্ণ করা যেত। স্পন্সরদের গাফিলতিতে এটি নিষ্প্রাণ হয়ে গেছে।
এ ছাড়া কোন স্টল কোথায় তার নির্দেশনাগত কোনো ব্যবস্থা নেই। প্রবেশপথের বাইরেই একটি তথ্যকেন্দ্র স্থাপন করা উচিত, যেখান থেকে আগ্রহী পাঠক বা ক্রেতারা তাদের পছন্দের স্টলগুলোর অবস্থানগত খোঁজ পেতে পারেন। এ সংক্রান্ত ব্যবস্থা খুবই দুর্বল। আরেকটি বড় ত্রুটি এবারের বইমেলায় দেখা গেছে। তা হলো, ছোটদের বই প্রকাশকদের জন্য নির্দিষ্ট তেমন কোনো জায়গা বরাদ্দ করা হয়নি_ যেখানে তাদের ছোটদের বইয়ের স্টলগুলো থাকবে। অথচ সহজেই এ কাজটি করা যেত, যেমনভাবে বাংলা একাডেমির ভেতরে লিটল ম্যাগাজিন কর্নার গড়ে তোলা হয়েছে।
স্টল বরাদ্দ ও স্টলের অবস্থান কোথায় হবে_ এ নিয়ে বিস্তর অভিযোগ রয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ প্রকাশনা সংস্থা, যারা সারা বছর মানসম্পন্ন বই প্রকাশ করে থাকে, তেমন কয়েকটি প্রকাশনা সংস্থাকে সহজেই প্যাভিলিয়ন বরাদ্দ করা যেত। তাতে করে মেলার গাম্ভীর্য যেমন বাড়ত, তেমনি সৌন্দর্যেরও বহিঃপ্রকাশ ঘটত। এ ক্ষেত্রে লটারি মারফত প্যাভিলিয়ন বা স্টল বরাদ্দ করার ব্যাপারটি যুক্তিযুক্ত হলেও সার্বিক বিচারে তা ভালো ফল দেবে না। এ বছর অনিয়ম করে লটারি আগে করা হয়েছে। স্টল নম্বর দেওয়া হয়েছে পরে। কিছু প্রকাশকের কারসাজির কারণে এমনটি হয়েছে। অথচ আগের নিয়মটিই ছিল সঠিক। কিছু প্রকাশকের চাতুরীর কারণে ত্রুটিপূর্ণ স্টলবিন্যাসে অনেক ভালো প্রকাশনা সংস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
মেলায় প্রতিদিনই বেশিরভাগ প্রকাশনা সংস্থা নতুন নতুন বই প্রকাশ করছে। সেসব বইয়ের ডিজিটাল প্রজেকশন করার একটা বড় সুযোগ ছিল। সেই সঙ্গে বইটির বিষয়বস্তু সংক্ষেপে তুলে ধরা যেত। মেলায় আসা পাঠকদের আগ্রহ এভাবে বাড়িয়ে তুলে প্রচারিত বইয়ের বিক্রির সুযোগ সৃষ্টি করা যেত।
উপরের মন্তব্যগুলো পড়ার পর স্বভাবতই একটি প্রশ্নই মাথায় আসে-বই মেলার প্রবর্তন আসলে কিভাবে ঘটেছে?
ইতিহাস যা বলে-
১৯৭২ খ্রিস্টাব্দের ৮ ফেব্রুয়ারি চিত্তরঞ্জন সাহা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন বর্ধমান হাউজ প্রাঙ্গণে বটতলায় এক টুকরো চটের ওপর কলকাতা থেকে আনা ৩২টি বই সাজিয়ে বইমেলার গোড়াপত্তন করেন। এই ৩২টি বই ছিলো চিত্তরঞ্জন সাহা প্রতিষ্ঠিত স্বাধীন বাংলা সাহিত্য পরিষদ (পুঁথিঘর বর্তমান মুক্তধারা প্রকাশনী) থেকে প্রকাশিত বাংলাদেশী শরণার্থী লেখকদের লেখা বই। এই বইগুলো স্বাধীন বাংলাদেশের প্রকাশনা শিল্পের প্রথম অবদান। ১৯৭২ থেকে ১৯৭৬ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত তিনি একাই বইমেলা চালিয়ে যান। ১৯৭৬ খ্রিস্টাব্দে অন্যান্য প্রকাশকরা অনুপ্রাণীত হোন।
১৯৭৮ খ্রিস্টাব্দে বাংলা একাডেমির তৎকালীন মহাপরিচালক আশরাফ সিদ্দিকী বাংলা একাডেমিকে মেলার সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত করেন। ১৯৭৯ খ্রিস্টাব্দে মেলার সাথে যুক্ত হয় বাংলাদেশ পুস্তক বিক্রেতা ও প্রকাশক সমিতি; এই সংস্থাটিও প্রতিষ্ঠা করেছিলেন চিত্তরঞ্জন সাহা। ১৯৮৩ সালে কাজী মনজুরে মওলা বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হিসেবে বাংলা একাডেমিতে প্রথম ‘অমর একুশে গ্রন্থমেলা’র আয়োজন সম্পন্ন করেন।
এভাবে ধীরে ধীরে প্রকাশকদের অমর একুশে বইমেলা হয়ে যায় বাংলা একাডেমির “গ্রন্থ মেলা”।
এ সম্পর্কে বিদ্যা প্রকাশের কর্নধার মজিবর রহমান খোকার কাছে জানতে চাইলে তিনি অকপটে বলে যান অনেক না জানা কথা-বইমেলা মূলত প্রকাশকদের হাতেই শুরু,কিন্তু কিছু অসাধু নব্য প্রকাশকরা গুটি কয়েক বই নিয়ে শুধুমাত্র অর্থের বিনিময়ে বাংলা একাডেমির কাছ থেকে স্টল বরাদ্দ পেয়ে আসছে।এর সংখ্যা বর্তমানে ৫০ ছাড়িয়ে গেছে।শুধুমাত্র পয়সা কামানো যদি আমাদের উদ্দেশ্য হতো তাহলে আমারাতো বিদেশি বই অনায়াসে বক্রী করতেই পারতাম।কিন্তু আমরা চেয়েছি সবাই মাতৃভাষাকে জানুক , বাংলা ভাষার অগ্রগতির জন্য এই বইমেলা শুরু হয়,বাংলা ভাষার চর্চা দিন দিন বাড়ুক ।নতুন লেখকরা উৎসাহিত হোক বাংলা ভাষার প্রতি।
কিন্তু এখন সমস্ত দায় পড়ছে প্রকাশকদের উপর।কিন্তু,বই মেলা সংক্রান্ত কোন মিটিং -এ আমাদের কখনো ডাকা হয় না।আর বাংলা একাডেমিতে কিছু নীতিমালা দেওয়াই আছে ,তারা ইচ্ছে করলেই যে কোন সময় যে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে।কিন্তু তারা তা করেনা,প্রতি বছরই একটা মোটা অংকের বিনিময়ে স্টল বরাদ্দ করা হয় যাকে আমরা লটারি বলি ।বাংলাদেশ সরকারের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে যে অনুদান আসে তাতে বাংলা একাডেমি একাই এখন এ মেলা করতে পারে।সুতরাং প্রকাশকদের হম্বি তম্বি শোনার ইচ্ছে বা সময় কোনটাই তাদের নেই।বইমেলা এখন তাদের হাতের মুঠোতে।
পরিশেষে ,বাংলাদেশের পাঠক -লেখক -প্রকাশক উন্মুখ হয়ে থাকে এই ফেব্রুয়ারি মাসটির জন্য।এ যেন এক মহা উৎসব।এতো বিপুল পাঠক ক্রেতার সমন্বয় বছরের আর কোন দিন হয় না।তাই ,এই প্রানের উৎসব যেন কোন ভাবেই প্রতিষ্ঠানকেদ্রিক না হয়ে থাকে সেদিকে সবার সমান দৃষ্টিপাত কামনা করছি ।অমর একুশে গ্রন্থ মেলা হোক আমাদের সবার প্রাণের মেলা।

মন্তব্য ৩২ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (৩২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা মার্চ, ২০১৬ রাত ২:৫৩

ভ্রমরের ডানা বলেছেন: বইমেলার ইতিহাস ও বর্তমান নিয়ে লেখা খুব ভাল লেগেছে আপু!

শুভকামনা রইল!

০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:০৪

রোদেলা বলেছেন: আপনি সময় দিয়ে পড়েছেন,ভীষন খুশী হলাম।

২| ০৩ রা মার্চ, ২০১৬ রাত ৩:১৩

রুদ্র জাহেদ বলেছেন: বইমেলা শেষ এ বছরের, কিন্তু বই থাকবে হৃদয়ে চিরকাল।প্রাণের বইমেলা কত সমস্যার মধ্য দিয়ে পথ চলছে, অথচ এসবের দিকে কোনো নজরই নেই!অসাধারন পোস্ট

০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:০৬

রোদেলা বলেছেন: নজড় কাড়ার জন্য যার পর নাই চেষ্টা করছি।পত্রিকায় আমার এই লেখা স্থান পাবে না ,তাতে কি ? যারা সচেতন নাগরিক তারা অন্তত লেখাটা পড়ে মন্তব্য করুক ব্লগে।এটাইতো অনেক কিছু রুদ্র জাভেদ।্ধন্যবাদ সাথে থাকার জন্য।

৩| ০৩ রা মার্চ, ২০১৬ রাত ৩:১৪

চাঁদগাজী বলেছেন:



ভালো।

০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:০৬

রোদেলা বলেছেন: ধন্যবাদ।

৪| ০৩ রা মার্চ, ২০১৬ সকাল ৮:২৪

বিজন রয় বলেছেন: শেষ। একমাস কম সময় মনে হয়ে।

০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:০৭

রোদেলা বলেছেন: এক মাস কোন কালেও হয় না বিজয় রয়।২৮ বা ২৯ দিন।

৫| ০৩ রা মার্চ, ২০১৬ সকাল ৮:৩২

সুমন কর বলেছেন: যাক, শেষ পর্যন্ত মেলা শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয়েছে। !:#P শেষের ছবিটি বদলে ভালো একটি ছবি দেয়া যায় না !! /:) এতে তো বইমেলার অপমান হয়ে যায়...!! বদলে দিন...

ইটালিক করে কিন্তু শেয়ার হয়নি...... ;)

০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:১১

রোদেলা বলেছেন: ইটালিক দেখায়নি ব্লগের কারণে ।আর এই ছবি একটা ইতিহাস ,এটা বদলানো যাবে না।সবাইতো মুগ্ধ হয়ে একুশে ফেব্রুয়ারির ফুলেল ছবি দেখে পত্রিকায় ।কিন্তু সাংবাদিকরা যে শহীদ মিনারে পা ুঠিয়ে দাঁড়িয়ে ছবি তোলে তা কয় জন দেখে ?
আমি জাতিকে দেখাতে চাই একটু বৃষ্টি হলে বইদের দশা এই দেশে এমন হয়।বইমেলার অপমান না,এটা বাংলা একাডেমিকে অপমান এবং ইচ্ছাকৃত।

৬| ০৩ রা মার্চ, ২০১৬ সকাল ৯:২৭

শামছুল ইসলাম বলেছেন: পড়তে একটুও বিরক্তি লাগেনি।

আপনি সুন্দর ভাবে 'গ্রন্থ মেলা'-র প্রতিদিনের চিত্র তুলে ধরেছেন, তুলে ধরেছেন তার ইতিহাস, সাথে আপনার মুল্যবান মন্তব্য।

পরিশেষে একটা আশাবাদ দিয়েই শেষ করেছেনঃ

//পরিশেষে ,বাংলাদেশের পাঠক -লেখক -প্রকাশক উন্মুখ হয়ে থাকে এই ফেব্রুয়ারি মাসটির জন্য।এ যেন এক মহা উৎসব।এতো বিপুল পাঠক ক্রেতার সমন্বয় বছরের আর কোন দিন হয় না।তাই ,এই প্রানের উৎসব যেন কোন ভাবেই প্রতিষ্ঠানকেদ্রিক না হয়ে থাকে সেদিকে সবার সমান দৃষ্টিপাত কামনা করছি ।অমর একুশে গ্রন্থ মেলা হোক আমাদের সবার প্রাণের মেলা।//

ভাল থাকুন। সবসময়।

০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:১২

রোদেলা বলেছেন: পাঠকের যেন বিরক্ত না লাগে সে দিকে আমি খেয়াল রেখেছি লেখার সময়।কিন্তু পত্রিকার তথ্য গুলো কেন যে হাইলাইট করতে পারলাম না।কিসের যে ব্লগিং করি-মাথাই নষ্ট।

৭| ০৩ রা মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:৪৫

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: বইমেলা নিয়ে লিখা অনেক ভাল লাগল আপুনি। ভাল থাকবেন।

০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:১৭

রোদেলা বলেছেন: শুভেচ্ছা নিরন্তর মাহমুদুর রহমান সুজন।

৮| ০৩ রা মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:৩৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: ভালো পোস্ট। রাত আটটা পর্যন্ত মেলার সময়সীমা কীভাবে বেঁধে দেয় বুঝি না। অফিসে শেষে দূর-দূরান্ত থেকে জ্যাম ঠেঙিয়ে মেলায় আসতে আসতেই তো প্রায় শেষ হয়ে যায়। এমন কী শেষদিনেও তারা একটুও কনসিডার করলো না। বাতি নিভিয়ে পুলিশ দিয়ে খেদিয়ে সমাপ্ত করলো। হতাশাজনক।

০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:১৯

রোদেলা বলেছেন: বই মেলার ভেতর থেকে বোঝার উপায় নাই -এইটা ঢাকা শহর।আট বাজলেই তারা বাশি নিয়া ফুঁ পাড়ে আর লাইট বন্ধ হয়ে যায়।যে দেশে হর হামেশাই লোড সেডিং হচ্ছে ,সেখানে সময়ের এমন সু ব্যবহার আমি কেবল বই মেলাতেই দেখলাম।

৯| ০৩ রা মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:৪০

উল্টা দূরবীন বলেছেন: ভালো লাগলো।

০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:১৯

রোদেলা বলেছেন: ধন্যবাদ উলটা দূরবীন।

১০| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:০৫

এম.এ.জি তালুকদার বলেছেন: সুন্দর সুন্দর সুন্দর

০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:১৯

রোদেলা বলেছেন: :) :) :)

১১| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ রাত ২:১৮

চাঁদগাজী বলেছেন:



বইমেলা ২ সপ্তাহের জন্য করা উচিত, তবে সব শহরে।

০৫ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১:৪২

রোদেলা বলেছেন: সারা দেশে ঘুরে ঘুরে বই মেলা করলে বই বিক্রীও বাড়তো আমার তাই মনে হয়।আবার সবাই নতুন লেখক চিন্তেও পারতো।

১২| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:১৫

তামান্না তাবাসসুম বলেছেন: গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট। লেখককে ধন্যবাদ :)

০৫ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১:৪২

রোদেলা বলেছেন: আমার কোন গুরুত্বপুর্ন পোস্ট স্টিকি হয় না,আমি খুব অগুরুত্বপূর্ন ব্লগার।

১৩| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:৫২

আমিই মিসির আলী বলেছেন: বিশাল বড় লেখা।
অতীত বর্তমান।
পড়ে অনেক ভালো লাগলো।

০৫ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১:৫৪

রোদেলা বলেছেন: এইটা লিখতে আমার তিন দিন খালি পড়তে হইসে,তথ্য ভেরিফিকেশন করতে হইসে।কিন্তু কষ্ট পাইলাম পোস্ট স্টিকি হয় নাই,তাই দেইখা। :((

১৪| ০৫ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:৩৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: পোস্টটা পড়েই বুঝা যায়, এটা লিখতে এবং লিখিত তথ্যসমূহের নির্ভুলতা নিশ্চিত করতে আপনাকে বেশ কষ্ট করতে হয়েছে, শ্রমের সাথে সাথে সময়ও ব্যয় করতে হয়েছে। একটা ভালো পোস্ট লিখেছেন, এজন্য অভিবাদন!
ঘড়ি ধরে ঠিক ঠিক আটটায় মেলা বন্ধ করে দেয়া, লাইট নিভিয়ে দেয়া, ইত্যাদি বড়ই বিরক্তিকর মনে হয়েছে। অসহ্য যানজটের এই শহরে যে মানুষ ঠিক ৫টায় অফিস থেকে বের হয়, তার পক্ষেও মেলায় পৌঁছতে পৌঁছতে ৭টা বেজে যায়। যাওয়া আসার পরিবহন খরচও নেহায়েৎ কম নয়। কিন্তু আমাদের দেশে এক নিরাপত্তার দোহাই দিলে সব কিছু জায়েজ হয়ে যায়, তাই জনগণও বোধকরি নিরাপত্তার কথা শুনে এটা বিরক্তির সাথেই মেনে নিয়েছে।
এবারের একুশে বই মেলায় আমারও দুটো বই প্রকাশিত হয়েছে। সেজন্য মনের থেকে একটা তাগিদ ছিলো, যত বেশী সময় সম্ভব, মেলায় হাজির থাকা। কিন্তু সেটা পারিনি। কয়েকদিন এমনও হয়েছে স্বাভাবিক জটের এক ঘন্টার পথ (জটবিহীন বিশ মিনিটের) দুই ঘন্টায় পার হয়ে এসে মেলায় মাত্র ত্রিশ মিনিট থাকতে পেরেছি।
সংক্ষেপে মেলার ইতিহাস, বাণিজ্যিক দুষ্টাচার, জলহীন টয়লেট, ইত্যাদির কথা বেশ ভালোভাবেই তুলে ধরেছেন। যেদিন বৃষ্টি হলো, সেদিন সরোওয়ার্দী উদ্যানের অবস্থা আরও খারাপ ছিলো, আপনার ছবিটি যা দেখিয়েছে তার চেয়ে।
পরিশেষে, আপনার শিরোনামের সাথে কন্ঠ মেলাচ্ছি....ও আমার প্রাণের মেলা বই মেলারে....বই মেলা যেন তাই হয়!

০৬ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:৫০

রোদেলা বলেছেন: খায়রুল আহসান ভাই ,আপনিও কিন্তু খুব যত্ন নিয়েই পড়েছেন লেখাটি।আমি যে সব বিষয় গুলোতে আলোকপাত করতে চেয়েছি তাই আপনি উল্লেখ করেছেন।একজন ব্লগারের এটাই বড় প্রাপ্তি।
যাই হোক,বাংলা একাডেমী একটা নাম মাত্র মেলা করতে চায় -সেটা তারা করতে পেরেছে বলে মহা খুশি।কিন্তু আমাদের অনেক প্রিয় মানুষ মেলায় যেতে পারেনি বলে আমরা খুশি না।আর যারা যায় তাদের দুর্বিসহ জীবন।আপনাকে আজ একটা কথা বলি,আমার ১৪ বছরের ছেলেকে যখন বললাম-মার বইয়ের মোড়ক উন্মোচন হবে দখতে যাবা না?
সে বিরক্ত হয়ে উত্তর করলো-তুমি জানো না আমার এলার্জি,ওইখানে খালি ধূলা।
আর কি বলার আছে আমার?????

১৫| ০৬ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১:০৩

মোটা ফ্রেমের চশমা বলেছেন: এমন পরিশ্রমী লেখা দেখলে আপনি থেকেই শ্রদ্ধা চলে আসে লেখকের প্রতি। বই মেলা শুধু বই কেনা বেচার মেলা না বাঙালির জন্য, ভাষা ছাপার অক্ষরে দেখার মেলাও।

০৬ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:৫১

রোদেলা বলেছেন: আমার কষ্টের লেখ ব্লগ সঞ্চালক চোখেই দেখলো না,কি আর করা।সবাই ক্রিকেট নিয়া ব্যস্ত।
ধন্যবাদ মোটা ফ্রেমের চশমা।

১৬| ০৭ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:১০

কল্লোল পথিক বলেছেন:





চমৎকার পোস্ট।

০৯ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১:২৯

রোদেলা বলেছেন: :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.