নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার পৃথিবী

এভাবেই ভালোবাসা পুড়ে পুড়ে যায়..

রোদেলা

আমার আকাশ মেঘে ঢাকা \nজমতে থাকা আগুন ;\nহঠাত আলোর পরশ পেলেই \nঝরবে রোদের ফাগুণ।

রোদেলা › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রশ্ন করি কারে ??

১১ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১:০২


অভিজাত বিপনণের একদম নীচের সিঁড়ির কোন ঘেষে পড়ে আছে আস্ত একটা মানব সন্তান।আর একটু হলেই ক্রেতাদের ধাক্কাধাক্কিতে আমার বাম পা শিশুটির শরীর মাড়িয়ে দিত।আমি আঁতকে উঠলাম- এটা জীবিত নাকি মৃত? শিশুর চারপাশে একটা মানুষ নেই।আমি তিন তলার আড়ং থেকে নামছিলাম,দিবস আসার আগেইতো আবার আমাদের কেনাকাটার ধূম পড়ে যায়।কিন্তু এই অচেতন বাচ্চাটা সমস্ত চেতনাকে এক মুহূর্তে কেড়ে নিল আমার। কোথায় এর মা, দুধের বাচ্চাকে কেনইবা ফেলে রেখেছে? দেখতে পেলাম বাচ্চাটার চারপাশে অনেক টাকা পড়ে আছে।আমি মার্কেটের বাইরে থেকে আরো কিছু পথ শিশু আর ভিখেরীর কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করলাম।বাচ্চাটির বোন প্রতিদিন তাকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে এখানে ফেলে রেখে নিজে যায় শর্মা হাউজের নীচে টিভি দেখতে।টাকা যা পায় তার অর্ধেক দিয়ে গেমস খেলে আর বাকিটা মাকে দেয়।মেয়েটির নাম মালা।আমি মালাকে খুঁজতে ঢুকে গেলাম ঘুপচির ভেতর যেখানে কিছু বখাটে ছেলে আড্ডা মারছিল।কিন্তু,আমার মনে ভয় ছিল; তারপরো অবুঝ শিশুর মুখ আমাকে দমাতে পারেনি।অনেক খোঁজাখুঁজির পর মালাকে পাওয়া গেল।সে কেবল ভিডিও গেমসই খেলানা,এই ১১ / ১২ বছরের মেয়েটা অনেকের খেলনার পাত্রীও।
মালা প্রথমে মোটেও মুখ খুললো না,কিন্তু থানায় নিয়ে যাব বলতেই সে শিশুটিকে কোলে করে বাইরে নিয়ে এলো।তার কথা অনুযায়ী তার বাবা রিক্সা চালায় গাবতলীতে, নাম বাবু আর মা গার্মেন্টসে কাজ করে।মাকে প্রতিদিন টাকা না দিলে তাকে অত্যাচার করা হয়।এই শিশুটিকে সে টাকা উদপাদনের মেশিন বানিয়েছে।আমি ততক্ষনাত গার্ডকে প্রশ্ন করলাম - এই ধরনের কাজে আপনারা কেউ বাধা দেন না? মার্কেটের মালিক সমিতি কি করে?
তার খুবই চিন্তিত উত্তর- প্রতিদিন মালা এবং অনেকেই এমন করে শিশুদের ব্যবহার করে এবং দয়াবান লোকেরা টাকা দিয়ে যায়, আর সেই টাকায় মালারা ফূর্তি করে।অনেক বলার পরো তারা সড়ে না।
কেযে আসলে কাকে নিয়ে এখানে ফূর্তি করছে তা বোঝা মুশকিল।মিরপুর ১ নং জিমার্টের এই সিড়ি দিয়ে শত শত পুলিশ,আর্মি, বিডি আর, র‍্যাব,সার্জেন্ট,মানব অধিকার কর্মী,সাংবাদিক, শিশু সচেতনকারী এন জি ও কর্মী তাদের বাচ্চাদের কাপড় কিনতে আসে।আর এই অযত্নে পড়ে থাকা বাচ্চাটিকে কেউ দেখলো না- এই প্রশ্ন আমার সবার কাছে।
আমি খুব সামান্য একটা মানুষ,বাচ্চাদের হাতে কিছু চকলেট দিয়ে বুঝিয়ে দিলাম - এমন করিস না,করলে কিন্তু এতিম খানায় দিয়ে আসবো।তাদের সবার বাড়িই কাছাকাছি বস্তিতে,তারা দূরে দাঁড়িয়ে খানিক হাসলো আর অপেক্ষা করতে লাগলো কখোন আমি বিদেয় হবো...

মন্তব্য ২৫ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (২৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১:০৬

গেম চেঞ্জার বলেছেন: দূর্গতি আর কাকে বলে! নিম্নবিত্তদের দৃষ্টিভংগির উন্নয়নের চিন্তা করে শিক্ষার আয়োজন করা ছাড়া ভাল বিকল্প দেখছি না। :|

১২ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১:২০

রোদেলা বলেছেন: আমি ভাবছি অন্য কথা,এতো যে এন জি ও ডলার নিয়া আসে এদের দেখিয়ে বিদেশ থিকা তাহলে ওই টাকা যায় কই?

২| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১:০৯

রায়হানুল এফ রাজ বলেছেন: আমাদের সমাজে এই সব ঘটনা এখন নতুন কিছু নয়। আমিও একদিন এই রকম এক ঘটনার শিকার হয়েছিলাম। তবে আমাকে ঐ দিন খুব অপমানিত হতে হয়েছিলো। অপমান করেছিলো স্বয়ং এক পুলিশ। আপনার সাহসিকতার জন্য ধন্যবাদ।

১২ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১:৩৩

রোদেলা বলেছেন: এই এক জীবনে পুলিশ ভাইরা আমাকে নানান ভাবেই নাজেহাল করতে চেয়েছে।এমন কি এক সার্জেন্ট ব্যঙ্গাত্বক কোন উক্তি করেছিল -মেয়ে মানুষ এতো রাত অব্দি বাড়ি ফিরছি বলে।আমি সোজা রিক্সা থেকে নেমে তার চোখে চোখ রেখে বলেছিলাম-তোর মা কি পুরুষ মানুষ? আমি ভয় পাই না,ভয়কে অনেক আগেই জীবন থেকে বিদেয় দিয়েছি,তাই রুখতে চাই।জানি সেটা কখনোই একা সম্ভব নয়।তবু নিজেদের জায়গা থেকে নিজেরা এগিয়ে আসা উচিত।অতো গুলো মানুষ বাচ্চাটিকে মাড়িয়েই শপিং করে ফিরলো।কই আমিতো পারলাম না।আমার মেয়ের মুখ বার বার ভেসে উঠলো।মনে হলো আজ আমার বাচ্চাটাকে কেউ যদি চুরি করে এভাবে ফেলে রাখেন।একবার ভাবুন কেমন লাগে ?বুকটা হু হু করে উঠছে।।

৩| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ২:০১

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: এই সমাজই নষ্ট হয়ে গেছে। তবে আপনার সাহসিকতার প্রশংসা করছি। সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে সমাজ পরিবর্তনে।

১২ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১:৩৮

রোদেলা বলেছেন: সাহস একা দেখিয়ে লাভ নেই সুজন।আজো মার্কেটের চারপাশে ঘুরে এলাম।আজ মালা আসেনি,কাল যে ওই বাচ্চাটাকে নিয়ে ব্যবসা করতে আসবেনা কে জানে।

৪| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ২:০৭

কালনী নদী বলেছেন: শিশুশ্রম আর তাদের প্রতি অবমূল্যায়ন দিনকে দিন বাড়ছেই!

১২ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১:৪০

রোদেলা বলেছেন: এখানে শিশুদের দিয়ে ভিক্ষা বৃত্তি করানো হচ্ছে,সেই টাকায় তারা জুয়া খেলে ।শিশু শ্রম না,তাদের অপ ব্যবহার করা হচ্ছে।সরকার নাকি বিনা খরচে পড়তে দিচ্ছে,কিন্তু আমার বাসায় যে মহিলা কাজ করে তার তথ্য অনুযায়ী তারা বিনা টাকায় বই পায় না।

৫| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৯:০৪

সুমন কর বলেছেন: আপনি ভালো কাজ করেছেন.....

১২ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১:৪৫

রোদেলা বলেছেন: কাজটা সম্পন্ন করতে পারিনি।এলাকার এসিকে জানিয়েছি।তারা কি উদ্যোগ নিল কে জানে।বেশিকিছু বলতে গেলেই উলটা জ্ঞান দেয়।

৬| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৯:০৫

শামছুল ইসলাম বলেছেন: রায়হানুল এফ রাজ ও মাহমুদুর রহমান সুজন, আপনাকে সাহসী আখ্যায়িত করেছেন। ওনাদের সাথে আমিও একমত, আমরা অনেকেই হয়ত মানবিক কিন্তু সাহসী হতে পারছি না।

অবশ্য নিম্নবিত্তের মানসিক অসুস্থতাটা কিন্তু চিন্তার বিষয়। গেম চেঞ্জার ভাই এবিষয়টাতে আলোকপাত করেছেন।

ভাল থাকুন। সবসময়।

১২ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১:৪৭

রোদেলা বলেছেন: আমার মনে হয় আমাদেরই মূল্যবোধ ক্ষয়ে গেছে,তাই নিম্ন আয়ের লোকেরা অনেক ধরনের বিকল্প পথ খুঁজে পায় ।ধন্যবাদ।

৭| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১০:৩৩

শরনার্থী বলেছেন: আপডেটঃ
জার্মান প্রবাসে- 1305
অগ্নি সারথির ব্লগ- 217
ইস্টিশন ব্লগ- 147
প্রবীর বিধানের ব্লগ- 57
ইতুর ব্লগ- 23

অসম ব্যবধান শুরু হয়েছে মোটামুটি। প্রাতিষ্ঠানিক ব্লগের সাথে লড়াই করে যাওয়াটা বেশ দুঃসাধ্য হয়ে উঠছে দিনের পর দিন। আবারো আপনাদের ভোট দেবার অনুরোধ করছি। প্লিজ আপনারা ভোট দিন।

ভোট দিতে যা করতে হবেঃ
প্রথমে https://thebobs.com/bengali/ এই ঠিকানায় যেতে হবে। এরপর আপনার ফেসবুক আইডি দিয়ে লগইন করুন। লগইন হয়ে গেলে বাছাই করুন অংশে ক্লিক করুন। ক্লিক করে ইউজার অ্যাওয়ার্ড বাংলা সিলেক্ট করুন। এরপর মনোনীতদের একজনকে বেছে নিন অংশে ক্লিক করে, অগ্নি সারথির ব্লগ সিলেক্ট করুন। এরপর ভোট দিন বাটনে ক্লিক করে কনফার্মেশন পেয়ে গেলেই আপনি সফল ভাবে আমাকে ভোট প্রদান করে ফেলেছেন। এভাবে ২৪ ঘন্টা পরপর মে ২, ২০১৬ পর্যন্ত ভোট দেয়া যাবে।

১২ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১:৫০

রোদেলা বলেছেন: কিসের ভোট?

১৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১:০৫

রোদেলা বলেছেন: ্কেন্দ্রে না গিয়া ভোট দেওয়া এতো কঠিন জান্তাম্নাতো।

৮| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১:২৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: এরকম তো কতই দেখি, বিন্দুমাত্র রেখাপাত করে না। আপনার ভাবনা এক বিব্রতকর প্রশ্নের সম্মুখীন করে দিলো। কী দরকার ছিলো এসবের!

১২ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১:৫১

রোদেলা বলেছেন: মনে হলো আ্মার অদ্রি পড়ে আছে-তাই হয়তো ছুটে গেসিলাম।এর কি দরকার ছিল তাতো আমি জানিনা।

৯| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৩:৫০

প্রীতম বলেছেন: অনিয়ম, দুর্নীতি, স্বেচ্ছচারিতা, আত্ম অহংকার.......... আমাদের অনুভুতিকে এমন ভাবে ভোতা করেছে যে এ দৃশ্যগুলো আমাদের মনে কোন কষ্টের উদ্রেগ স্মৃষ্টি করেনা।
আমি নিজেই এমন কেউ, যে সত্য ও মায়াকে অহরহ ব্যবচ্ছেদ করি। পানি পরা কিংবা লোম খাড়া হওয়া দুরে থাক, এসব হৃদয় বিদারক দৃশ্য মনকে একটুও নাড়ে না। আমরা নিত্য এসব অমানুষিকতার সাথে পরিচিত হচ্ছি।
অনেকে অবশ্য "দান" ও "উপকার" করেন। ধরন দেখলে মনে হয় যাকে দান করছে তাকে বুঝিয়ে দিচ্ছে- "বাবা, তোরা আরো বেশি দরিদ্র আর অবহেলিত হলেইনা আমার দান করাটা স্বার্থক আর দর্শনীয় হবে। দয়া করে তোরা আরো বেশি দারিদ্রে জর্জরিত হ।"
ঘুপচি ঘর থেকে মালাকে খুজে বের করা থেকে শুরু করে গার্ডকে প্রশ্ন নিক্ষেপ করা পর্যন্ত আমরা যেতে পারিনা, অল্প কেউ কেউ পারে।
আমরা বড়জোড় মায়া করে তাকাতে পারি কিংবা পকেট থেকে দশ টাকার একটি নোট বের করে দিতে পারি। এ দেয়াতে কোন উপকার নেই। ভালো পরিবর্তনের কোন সুযোগও নেই।
আপনার এ তুলে ধরাটা খুব প্রয়োজন।
খুব করে ধন্যবাদ আপনাকে ছবির পেছনের ছবিটাকে তুলে ধরায়।
ভালো থাকবেন।

১২ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১:৫৪

রোদেলা বলেছেন: খুব বৃদ্ধ বা পংগু না হলে আমি কাউকেই ভিক্ষা দেই না।এরা টাকা দিয়ে নেশা করে নিজেই দেখেছি।আর সাধ্য থাকলে কাজ জুটিয়ে দেবার চেষ্টা করি,অবশ্য বেশীর ভাগই কাজ ছেড়ে পালায়।শুভেচ্ছা জানবেন।

১০| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৪:২৪

তৌফিক মাসুদ বলেছেন: আসলে মালারা বড় হয় এই শিক্ষা নিয়েই। যার নাম কু-শিক্ষা। সে যে শিশুটিকে ব্যবহার করছে সেও এই শিক্ষা নিয়েই বড় হচ্ছে। সে যখন বড় হবে তখন সেও অন্য কাউকে ব্যবহার করবে। এটা চক্রাকারে ঘুরতে থাকবে।

আপনি শিক্ষিত মানসিকতার পরিচয় দিয়েছেন। হয়তো আমরা অনেকেই পারিনি। ধন্যবাদ আপনাকে, চলুক অসামাজিকতার বিরুদ্ধে জোড় আওয়াজ।

১২ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১:৫৬

রোদেলা বলেছেন: বাচ্চাটা যে মালাকে চুরি করে গছিয়ে দেওয়া হয় নি সে ব্যপারে আমি নিশ্চিত নই।হয়তো ভয়ঙ্কর আরো কোন গল্প আছে ।
কেবল টাকার জন্য মেডিকেল থেকে অনেক বাচ্চা চুরি হয়,কিন্তু এন জি ও কর্মীরা কি করে তাই ভেবেই দিশেহারা হয়ে যাচ্ছি।

১১| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১:৪৫

কালনী নদী বলেছেন: সেটাই বোন, মাঠপর্যায়ে এই দূর্নীতিটা হচ্ছে। এটা কিন্তু একদিনের ফল না, কে্ না চাইবে তার ছেলে শিক্ষিত হোক? চা- বাগানের বাগানিদের সেই যে বৃটিস মদ পানের অভ্যাস করে দিয়েছিল তা এখনও অবিরত।
যতদিন সেই সেব অশিক্ষিত পথশিশু হাতে কলম তুলে নিয়েছে তত দিন সংস্কৃতির এই সংকিরনতা অপসারণ হবার নয়।

১২ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১:৫৮

রোদেলা বলেছেন: শিক্ষাটাকে আমি অন্য ভাবে দেখি।কেউ সেটাকে কেবল চাকরি পাবার হাতিয়ার হিসেবে দেখে।আসল শিক্ষাতো তাই-যখন মানুষ মানুষের পাশে এসে দাঁড়ায়।

১২| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ২:০৫

কালনী নদী বলেছেন: বাহঃ অনেক ভাল লাগলো আপনার সুন্দর মনের কথাটা জানতে পেরে!
অনেক ভাল থাক বোন।

১৩| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১:০৭

রানার ব্লগ বলেছেন: ক্ষুধা যেখানে প্রশ্ন বোধক চিন্নো সেখানে মানবিকতা ও অন্যান্য ব্যাপার স্যাপার গুল কতটুকু আর কার্যকর

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.