নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার পৃথিবী

এভাবেই ভালোবাসা পুড়ে পুড়ে যায়..

রোদেলা

আমার আকাশ মেঘে ঢাকা \nজমতে থাকা আগুন ;\nহঠাত আলোর পরশ পেলেই \nঝরবে রোদের ফাগুণ।

রোদেলা › বিস্তারিত পোস্টঃ

কি করছে আপনার টিন এজ ছেলে বা মেয়েটি ?

১৭ ই জুলাই, ২০১৬ দুপুর ২:৩৩



“উফ মা ,এই রুম থেকে যাও তো “–এই ধরণের কথার সাথে আমাদের দেশের মায়েরা কম- বেশি সবাই পরিচিত এখন। কেবল কি মা,কোন কারণে বাবাও যদি অফিস থেকে ফিরে স্কুল-কলেজ পড়ুয়া সন্তানের রুমে উঁকি মাড়েন তাহলেই তাকে শুনতে হয় সেই প্রচলিত কথা-“একটু ব্যস্ত আছি বাবা,তুমি খেয়ে নাও ।“
কিন্তু কি সেই ব্যস্ততা ?রাতের পর রাত মোবাইলে কথা চলছেইতো চলছেই, এখন কেবল মোবাইলেই কথা আটকে থাকেনা।তার মধ্যে দিয়েই হাত –পা বিস্তার করে আছে ফেইসবুক,স্কাইপে ,ইমো এমন অনেক পপুলার সামাজিক মাধ্যম। সেই মাধ্যমের মধ্য দিয়ে আবার নিজেদেরকে দেখাও যায়, আনন্দ-রাগ –অভিমান সমস্ত কিছু শেয়ার দেওয়াও যায় ।সন্তানদের মনের ভেতর যতো কথা আছে তা নিমিষেই স্ট্যাটাস হয়ে ছড়িয়ে পড়ছে ইথারে।
-“উফ ,ফিলিং বোর !“
-“ফিলিং লোনলি !“
এই সমস্ত আবেগীয় অনুভুতি যখন চারদেওয়ালের বাইরে অন্য কারো ঘরে গিয়ে পৌঁছে যায় তখন আর তা নিজস্ব থাকে না।আবেগে আপ্লুত টিন এজে-র ইনবক্সে জায়গা করে হাজার রকম মুখোশধারী মানুষ।একটা ছোট্ট বাক্সের মধ্যেই ভাব বিনিময় চলতে থাকে এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্তে।কেউ কাউকে না জেনে ,না বুঝেই ক্রমশ কাছাকাছি আসতে থাকে । কিন্তু ,বেশীর ভাগ ক্ষেত্রে এই কাছে আসাটা মেয়েদের জন্য অনেক বেশী বিপদ ডেকে আনে ।কিছু দিন আগেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র তার বন্ধুকে নিয়ে রাতভর ধর্ষন করে নিজেরই প্রেমিকাকে।খবরে প্রকাশ,মেয়েটির সাথে মাত্র চার মাস আগে তার ফেইস বুকে পরিচয় হয় ।
তাদের ঘনিষ্ঠতা কোন পর্যায়ে গেলে একটা মেয়ে কেবল ফেইস বুকে পরিচয়ের মাধ্যমে অল্প পরিচিত ছেলের সাথে দেখা করতে আসতে পারে সেটা গভীর ভাবে ভেবে দেখা উচিৎ ।যেখানে মেয়েটির ভালো লাগা মন্দ লাগার সমস্ত অনুভূতি শেয়ার করা উচিৎ ছিল তার বাবা-মায়ের সাথে কিংবা বাড়ির অন্য কোন সদস্যের সাথে সেটা নানি-দাদি যেই হন না কেন।কিন্তু আমাদের অতি মাত্রায় প্রাইভেসি লাইফ ঘরের ভেতরের শেয়ারিংটার মাঝেও দেওয়াল দিয়ে রেখেছে ।

ফেইস বুকে ঘোষনা দিয়ে মডেল সাবিরার আত্মহত্যা জাতিকে একদম থমকে দিয়েছে। মেয়েটি প্রেমিকের কাছ থেকে প্রতারিত হয়ে কেবল আত্মহত্যাই করেনি ,রীতি মতোন শেয়ার করে দিয়ে গেছে ভি ডি ও-টি ।দেখা গেল ,এই ঘটনা তার বাবা – মা জানার আগেই বাইরের সবাই জেনে বসে আছে যেখানে ঘরের ভেতর ঘোটে গেল এতো বড় ঘটনা তার কিছুই পাশে থাকা পরিবারের কেউ জানতেই পারলো না সাথে সাথে ।প্রাইভেসি কোন পর্যায়ে গেলে তা বিধ্বংসী হয় ,এটাই তার বড় প্রমাণ ।

প্রশ্নটা আপনা থেকেই চলে আসছে,বাবা মাদের ব্যস্ত লাইফ স্টাইল কি এর জন্য দায়ী ? নাকি আজকের দিনের আধুনিক সন্তানেরা তাদের কোন বিষয় নিয়ে কথা বলাটাকে নাক গলানো মনে করে? এখানে আরো একটি বিষয় নিঁখুত ভাবে খেয়াল করা দরকার ।আগের দিনে যৌথ পরিবারের সংখ্যা ছিল বেশি ,তখন বাচ্চারা বড় হতো নিজের চাচা বা মামাদের পরিবারের সাথে।তখন কোন ঘটনা ঘটার আগেই বাচ্চারা কাজিনদের মধ্যে সহজেই আলাপ করতে পারতো।কিন্তু এখনকার এই ইউনিক পরিবার গুলোতে তার সুযোগ কোথায় ?
শুধু ভুল বন্ধু বেছে নেওয়ার মধ্যেই এই সব বাচ্চাদের সময় আটকে থাকছে না।তারা নিজেদের উপর বিভিন্ন রকম এক্সপেরিমেন্টও চালাচ্ছে ,তার মধ্যে আত্মহণন অন্যতম।ইউটিউবে অনেক ধরণের বিকৃত ভিডিও দেখা যায় ,এগুলো সাধারণত অসুস্থ মানুষদের কর্মকান্ড দিয়ে ভরা থাকে ।কিন্তু টিন এজ বাচ্চাদেরকে এই সব ভিডিও খুব আকর্ষণ করে ,কারণ তাদের আছে অবাধে ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ ।

দেশের মোবাইল কোম্পানী গুলোতো কেবল বিভিন্ন অফার দিয়েই খালাস,সামাজিক ভাবে তাদের কোন দায়বদ্ধতা নেই।তাদের ব্যবসা হলেই চলবে ,এই সব মনকাড়া অফার গুলো সাধারনত ছাত্র-ছাত্রীরাই লুফে নেয় ।আজকাল গ্রামীণের বিজ্ঞাপনে দেখলাম মোবাইল চালু রেখে ভাইবার দিয়ে প্রেমিক প্রেমিকাকে ঘুম পাড়াচ্ছে।কিন্তু বিজ্ঞান বলে -ঘুমানোর সময় মাথার পাশে ডিভাইস রাখা ক্ষতিকর।তাহলে বাণিজ্য করতে গেলে যুক্তি গুলোকে ধুলিস্যাত করে দিতে হবে-এটাই নিয়ম ?

সে কারণে বাবা মাকেই তার নিজ বাচ্চাদের উপর নজর রাখতে হবে ।কেবল ছড়ি ঘুরিয়ে না,তাদের সাথে বন্ধুত্বপূর্ন সম্পর্ক তৈরি করতে হবে এবং তারা যে সব বন্ধুদের সাথে মিশছে প্রয়োজনে তাদেরকেও নিজের বন্ধু বানাতে হবে ।অনলাইনে বন্ধুত্ব গ্রহণ বা বর্জনের বিষয় থাকে ,কিন্তু অফলাইনে অর্থাৎ বাস্তব জীবনে কাউকে বন্ধু বানানো কেবল সময়ের ব্যপার মাত্র ।আর সেই বাড়তি সময় যদি আপনার সন্তানকে অনিশ্চিত জীবন থেকে রক্ষা করতে পারে তাতে এমন কি ক্ষতি !

মন্তব্য ১৩ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (১৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৩:১২

ঢাকাবাসী বলেছেন: বাবা মা'রা অবশ্যই কিছুটা দায়ী। অতিরিক্ত উদার ভাব ক্ষতিই ডেকে আনে।

২| ১৭ ই জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৪:২৭

মাদিহা মৌ বলেছেন: তবুও টিন এজ মেয়েরা শোধরাবার নয়।

৩| ১৭ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ১১:০৮

দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: দায়িত্বটা এড়িয়ে যাবার নয়।

৪| ১৮ ই জুলাই, ২০১৬ সকাল ৯:৪৫

এডওয়ার্ড মায়া বলেছেন: সজাগ থাকুক বাব মা ।ভাল থাকুক তার সন্তান ।

৫| ১৮ ই জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৬

আহলান বলেছেন: সহিহ বচন .... কিছুদিন আগে একজন খ্রীষ্টান মেয়ে কিভাবে আইএস ফুসলিয়ে ভাগানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছিলো, সেটা পড়লাম। মেয়েটির দাদি বিষয়টা বুঝে ফেলায় এই যাত্রায় মেয়েটি বেচে যায়। গার্ডিয়ানকেই সতর্ক হতে হবে ...

৬| ১৮ ই জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৪

খোলা মনের কথা বলেছেন: সন্তানরা ভুল করবে স্বাভাবিক তবে অবিভাবকদের সচতেন হওয়া জরুরি

৭| ১৮ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ১০:০৮

লিযেন বলেছেন: প্রয়োজন বন্ধুসুলভ আচরন!

৮| ১৯ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ৩:৫৯

ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: সচেতনতার কোন বিকল্প নেই।
সন্তানকে যথেষ্ঠ সময় দিলে,সন্তান মা বাবার সাথে সব কিছু শেয়ার করলে অনেক সমস্যার সমাধান হয়ে যায়।

৯| ১৯ শে জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৩:১৪

রোদেলা বলেছেন: সন্তানের বিষয়ে অধিক খেয়াল যেমন ক্ষতিকর তেমনি ভাবে সমস্যা হয় অতিরিক্ত এড়িয়ে গেলে।আর দুটো বিষয়কে ব্যালেন্স করে চলা সত্যি কঠিন।বিশেষ করে যে সব বাবা মায়েরা বাইরে কাজ করেন তাদের জন্য অনেক কঠিন।

১০| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ১:৫৪

সৈয়দ আবুল ফারাহ্‌ বলেছেন: মা লাইটটা অফ করো তো (সন্তান মা পাশাপাশি শুয়ে/বসে আছে) ! বাবা তুমি কথাটা ঠিক বলনি (কোন বিষয়ে আলোচনা হচ্ছে)! মা এক গ্লাস পানি দাও(সন্তান মা পাশাপাশি শুয়ে/বসে আছে) - ইত্যাদি আজ-কালের কিশোর-কিশোরীদের কাছে সবসময় শুনছি। আমরা এভাবে ভাবতে পারি না - তাই কানে লাগে। স্বামী-স্ত্রী দুইজনে সন্তান একটি। সন্তান বড় হলে বাবা-মায়ের সাথে যে দূরত্ব তৈরী হয় তা কমানোর দক্ষতা অনেক পিতা-মাতার নাই।

০৮ ই আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১:০২

রোদেলা বলেছেন: সন্তানের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপন কোন সহজ কথা না। ছেলে মেয়েদের এমন আচরণ এখন চোখ বুজেই সথ্য করতে হয়।

১১| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ১১:৪৩

সৈয়দ আবুল ফারাহ্‌ বলেছেন: পরিবার ও সমাজের যে শিক্ষা ও ধ্যান ধারনা নিয়ে বাবা-মা বড় হয়েছে, সন্তান তার চেয়ে উঁচু মান বা নতুন শিখন পদ্ধতিতে সমাজ ও বিদ্যালয়ে (মাদ্রাসা/ইংরেজী মাধ্যম/বাংলা মাধ্যম/বিদেশী কারিকুলাম/গ্রামের স্কুল -মাল্টি মিডিয়া) সহ-সাথীদের কাছ থেকে শিক্ষা পাচ্ছে। অনেক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের চেয়ে নতুন প্রযুক্তি ব্যবহারে পিছিয়ে। এটাই সত্য ও স্বাভাবিক। তাই সন্তানের বয়স ভিত্তিক সন্তান লালন-পালন দক্ষতা বাবা-মা-পরিবারকে অর্জন করতে হবে। প্রাক-শৈশব, শৈশব, কৈশোর, যৌবন প্রতিটি বয়সে সন্তানের পরিবর্তন বাবা-মা-পরিবার বুঝতে হবে।

সন্তান নার্সারী ক্লাশ বা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যাওয়ার সময় থেকেই সন্তান ও বাবা-মা বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়তে হবে। বিদ্যালয়ে ও আসা-যাওয়ার পথে কি ঘটেছে, তার ভাল লাগা, মন্দ লাগা, কে কি বলেছে তা যেন সন্তান মা-কে, বাবা-কে বলে বা বলার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। ফলে বড় হলে অর্থ্যাৎ কৈশোরে সন্তান মা-কে কোন কথা না বলে থাকতে পারবে না।

কৈশোরে সন্তানের পছন্দ-অপছন্দ, শারীরিক-মানসিক-আচরণিক পরিবর্তন স্বাভাবিক তা বাবা-মা সন্তানকে বুঝিয়ে দেয়া ও তাকে সহায়তা করা দরকার। মাসিক, স্বপ্নদোষ, লোম পরিস্কার পরিচ্ছন্নতাকে গোপন না করে শিখিয়ে দিতে হবে। কোন রকমের দূরত্ব সৃষ্টির সুযোগ দেওয়া যাবে না।

১০ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ২:১৪

রোদেলা বলেছেন: হুম যথার্থই বলেছেন।কিন্তু ইমোশনাল বাচ্চাদের কন্ট্রোল করা এখন খুব কঠিন হয়ে পড়েছে।ধন্যবাদ ,চমৎকার বিশ্লেষণের জন্যে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.