নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার পৃথিবী

এভাবেই ভালোবাসা পুড়ে পুড়ে যায়..

রোদেলা

আমার আকাশ মেঘে ঢাকা \nজমতে থাকা আগুন ;\nহঠাত আলোর পরশ পেলেই \nঝরবে রোদের ফাগুণ।

রোদেলা › বিস্তারিত পোস্টঃ

সুইসাইড করার এটাই  বুঝি শ্রেষ্ঠ সময় //

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১:৩৩


আজ সারাদিন ধরে কেন জানিনা সবার সাথে মৃত্যূ নিয়ে কথা বলতে ইচ্ছে করছে। দেশে আত্মহত্যার সংখ্যা বেড়ে গেছে, এটা পুরনো গল্প আর আমরা এটাও জানি যে নারীর সংখ্যাই এই লিস্টে সব চাইতে বেশি।আমি কখনো আত্মহত্যার চেষ্টা করিনি, কলেজ পড়াকালীন সময় একবার ঘুমের অষুধ খেলাম। না,সুইসাইড করার জন্য না সেটা।অভিনয় করার জন্য,ইচ্ছে করেই বেশী খাইনি।কেবল একটু খানি ঘুম ঘুম এসেছিল।ওতেই দেখি বাড়ি শুদ্ধ মানুষ অস্থির।সন্তানকে বাবা মা কতোটা ভালোবাসেন তা পরখ করবার জন্য ওই জিনিস না করলেও চলতো।কিন্তু আমি ছোট বেলা থেকেই অনেক সেনসিটিভ।কারো একটু অবহেলা পাহাড় সমান অভিমানে রূপ নেয়।
কিন্তু সেই অভিমানী মেয়েটার পূর্ণ বয়সে নিজের স্মামী যখন গলা টিপে ধরলো তখন কেবল ছট ফট করেছিলাম বাঁচার জন্য। শেষ নিঃস্বাস কাকে বলে তা আমি হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছিলাম।কেবল বার বার চোখের সামনে সন্তানের মুখ দুলে উঠছিলো ।সত্যি ,আমার আর কিছুই মাথায় আসেনি।ও তখন খুব ছোট, আমি মায়ের কথা একবারো ভাবিনি,কেবল ভেবেছি-আমি চলে গেলে ছেলেটার কী হবে।নাইবা থাকলাম ওর পাশাপাশি সব সময়।তবু একটা ফোন করলেই জানতে পারছি-ছেলেটা কী করছে।এই জানতে পারার ইচ্ছেটা আমাকে হায়েনার মতোন শক্তি এনে দিল।কেউ একজন কলবেল চাপ দিতেই টং করে একটা শব্দ হলো। কর্তা সাহেব আমার সুউচ্চ গলা খানা ছেড়ে দিলেন,সে যাত্রা বেঁচে গেলাম।
মধ্যবিত্ত নারীদের বিয়ের পর প্রথম যেই তাবিজটি পড়ানো হয় তা হলো -মেনে নাও মার্কা তাবিজ।তুমি তোমার শ্বশুর বাড়ির লোকদের মনে না নিলেও মেনে নিতে বাধ্য তাদের আচরণ আর এই আচরণ এক সময় পাহাড় সমান ভাড়ি হয়ে যায় মেয়েদের জীবনে।মেয়েটা বাবার বাড়িতে আশ্রয় খোঁজে,কিন্তু সেই আশ্রয় কয়টা মেয়ে পায়।যে পরিবারে বড় ভাই আর ভাবী থাকে সেখানে কোন নারীর সন্তানসহ অনুপ্রবেশ পৃথিবীর সমস্ত গর্হিত কাজের মধ্যে অন্যতম একটি।
খুব সহজ ভাবেই ভাবতে পারিনা ,আজ আমি মেয়েকে নিয়ে যদি নিজের ফ্ল্যাটে উঠতে না পারতাম তাহলে আমি কী করতাম।হয়তো সুইসাইড নোট লিখে কন্যাকে বাপের ঘাড়ে দিয়ে চিরতরে টা টা বাই বাই জানাতাম ।কিন্তু ,আমি কাজ করতে সমর্থ এবং আমার পায়ের নীচে মাটি আছে। তার চাইতে বেশী আছে-আত্মবিশ্বাস ।সমাজ কোন দিনো আমার এই জীবন ব্যবস্থাকে মেনে নেয়নি,মেনে নেয়নি পরিবারের কেউ।তবু ,এই যুদ্ধটা আমাকে বাধ্য হয়েই করতে হচ্ছে একদম অনিচ্ছাকৃত। যে সব মেয়েরা বড় চাকরী করছেন,তাদের নিজেদের থাকার ব্যবস্থা আছে তাও তারা কেন সুইসাইড করে? অবশ্যই মানসিক যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাবার জন্য।কিন্তু,সেতো মুক্ত হয়ে কোন এক তথাকথিত পরজন্মে পাড়ি দিয়ে চলে গেল আর যে সন্তানকে রেখে গেল তার ভবিষ্যৎ কী হতে পারে একবার কী ভাবার মতোন মনের অবস্থা তার থাকে ? হয়তো না।আমার কাছে মনে হয়,কোন নারী যখন তার চেনা বলয় থেকে বাইরে বেরিয়ে আসে তখন তার বন্ধুর প্রয়োজন হয় সব চাইতে বেশী।আর সেই বন্ধুটি যদি মুখোসধারী শয়তান হয় তাহলে মেয়েটির জীবনে নেমে আসে চরম বিভীষীকা।
কৈশোরে মেয়েরা খুব আবগপ্রবণ থাকে তাই হয়তো তাদের মধ্যে সুইসাইড করার প্রবণতা বেশী ।কিন্তু,একজন পূর্ণ বয়স্ক মহিলা কেন এই পথ বেছে নেন ? অনেক সময় দেখা যায় মায়েরা ছেলে মেয়েসহ পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করেন ।কিন্তু কেন?কেবল কী মানসিক অস্থিরতা?সামাজিক কোন চাপ নেই তাদের উপর?অনেকেই বলেন-তুই মরবিতো মর , বাচ্চাদের মারলি কেন?তার মানে কী মেয়েটার মরে যাওয়াটাই উত্তম পন্থা ছিল?ওই সময়ে কোণটা ঠিক ছিল আর কোণ টা বেঠিক সেটা থার্মোমিটার দিয়ে মাপ্তে বসবে কে ?
যে সব মেয়েরা দেহ ব্যবসা করে পেট চালায় তাদের প্রতিমুহূর্তে শুনতে হয়-গলায় দড়ি দে।কিন্তু সেই বেশ্যালয়ে যে সব সুপুরুষ যাতায়াত করে তাদের কে বলবে -মরে যাবার কথা। সমাজে যতো অনাচার তার দায় একলা নারী কেন বহণ করবে?একজন নারী প্রকাশ্যে পরিচয় দিতে পারে না-আমি ডিভোর্সড।এখনো আমাকে অনেকেই প্রশ্ন করে-আপনার স্বামী কি করেন?তার মানে কী আমার স্বামী থাকাটা আমার চাইতেও তাদের কাছে অনেক বেশি জরুরী? আমি কী খাচ্ছি, কী পড়ছি, কী ভাবে একটু একটু করে মেয়েকে বড় করছি তা নিয়ে কারো কোনই মাথা ব্যথা নেই।একটাই প্রশ্ন-রাতে কার গাড়িতে বাড়ি ফিরলাম?এই মধ্য বয়সে এসে আমাকে দাবার গুটির মতোন হিসেব করে পাঁ ফেলতে হয়,কোন পর পুরুষের সাথে আবার বেশি কথা বলা হয়ে গেল কীনা।কিন্তু,তাদের সাথে কাজ করেই আমাকে পেট চালাতে হয়,বই ছাপাতে হয়,লেখা প্রকাশ করাতে হয়। দুনিয়ার তাবত প্রেসে যদি কেবল মেয়েরা থাকতো তাহলে আমার চরিত্র হতো দুধে চোবানো তুলশী।বশ্য লেজবিয়ানের তক্মাটা যে গায়ে পড়তো না তার কোন গ্যারান্টি নাই।কারণ,সমাজের কাজ খালি সীল মাড়া,সিল তোলার কোন পায়তাড়া নাই।
নারীর চরিত্র হলো-কচু পাতার উপর এক টুকরো পানি, একটু ধাক্কা লাগলেই তা পড়ে যায়।ছেলে কলিগদের সাথে রিক্সায় ঘুরলে হয়ে যায় চরিত্রহীন আর একা একটি ফ্ল্যাটে বাসা ভাড়া করে থাকলে হয় বেশ্যা।নারীর যে কতো রকম বিষেষণ তা বাংলা একাডেমীর বই ঘাটলেই বের হয়ে আসবে।
আমার মেয়েটাও একটা মেয়ে।তাকে আমি খাওয়াই ,আমিই পড়াই।কিন্তু সারাক্ষণ তাকে প্রশ্ন করা হয়-তোমার বাবা কোথায়?তার বাবা কোথায় সেটা জানাটা আমাদের সমাজের কাছে খুব দরকার।আমার ওইওটুকুন মেয়ে ফ্যালফ্যাল করে প্রশ্ন করে-মা,আমার বাবা কোথায়? গত প্রায় পাঁচ বছরে সে তার বাবার মুখ দেখেনি। জন্ম দাতা তাকে দেখার প্রয়োজন মনে করেনি।তাহলে আমার এখন কী করা উচিত হে মহান সমাজ ?একটা বাবা কিনে নিয়ে আসবো বাণিজ্য বিতান থেকে নাকি গলায় রশি লাগিয়ে ঝুলে পড়বো সিলিং ফ্যানের সাথে।
একটা জন্মদাতার অবহেলায়ই নিতে পারিনি এ জন্মে ,আর একটা নতুন উপদ্রপ(হয়তোবা) এসে যদি আমার মেয়ের শরীরে হাত দেয় তখন সত্যি সত্যি বিষ খেয়ে সুইসাইড নোট বা ফেইস বুক লাইভ ছেড়ে যাওয়া ছাড়া আর কোন গতিই থাকবেনা। বুদ্ধিমান সমাজ ,আমাকে বলে দিন আসলে সুইসাইড করার জন্য এই সময়টাই উপযুক্ত কীনা।

মন্তব্য ২৪ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (২৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৮:০২

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: কী যে বলি... লেখাটা পড়ে সত্যিই খুব কষ্ট লাগলো ।

২| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৮:২২

সম্রাট৯০ বলেছেন: আমি আপনাকে কমেন্ট করবো, আমি জানিনা আপনাকে আমি কি বলবো, যাই বলিনা কেন আমার কথার মধ্যে নেতিবাচক টেনে না নিলে আমি খুশি হবো,

আসছি, একটু পরেই,

৩| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:১২

জনৈক অচম ভুত বলেছেন: কিছুই বলার নাই।

৪| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:৫৩

সম্রাট৯০ বলেছেন: আমার সামনে যদি কেউ এসে বলে আমি আত্মহত্যা করবো আমি তাকে একটা কথাই বলি, সত্যিকারে সুসাইড করবেন কি করবেননা জানিনা, তবে মনে যেহেতু আসছে আপনাকে আর পৃথিবীতে দরকার নেই, কারণ যে মানুষ লড়তে না জেনে মরতে চিন্তা করে তার বেঁচে থাকার কোন অধিকার নেই এই দুনিয়াতে। সে এই দুনিয়ার জন্য বোঝা ছাড়া আর কিছুইনা, এমন দুর্বল মানুষের কোন প্রয়োজনীয়তা নেই বলেই আমি মনে করি।সুতরাং যে না লড়ে মরবে বলে একবার ভেবে বসে তার চলে যাওয়াই উত্তম। এই কথা গুলো আপনার জন্য না এই মুহুর্তে যদিও। আপনার জন্য নিচের কথা গুলোই বলবো এখন।

দেখুন বাবা হতে যেই উপকরণ দরকারী বলে মানুষ মনে করে আমি তা মনে করিনা, বাবা হতে লাগে একটা বুক আর দুটো হাত যা দিয়ে সন্তানকে জড়িয়ে ধরা যায়, এই দুটো জিনিস যার নেই সে জন্মদিলো কি দিলোনা তাতে কিছু যায় আসেনা। যে পুরুষ সন্তান জন্ম না দিলে বাবা হতে পারেনা সেই পুরুষ জন্ম দিলেও বাবা হবেনা কোনদিন। ঐসব পুরুষদের আমি ঘৃণা করি যারা সন্তানের বিষয় উদাসীন। যাদের বুক কেঁপে উঠেনা সন্তানের চাহিদার মুখে সে আর যাই হোক বাবা না। আর এমন সব পুরুষের অনুপুস্থিতিতে যারা নিজেকে অসহায় ভাবে তারা মেরুদন্ডহীন, অবলা। নারীর পরনির্ভর্তাই নারীকে নাজেহাল করছে যুগে যুগে, এই দুনিয়াতে এমন মানুষ না থাকাই উত্তম যে এক মুহুর্তের জন্য পরনির্ভরতা থেকে বের হয়ে আসতে পারেনা, সে নারী হোক আর পুরুষ। এমন সমাজের কথা বলাই ভুল যে সমাজে নিয়মের বুলি ছুড়ে, অসময়ে মানুষের হাত ধরেনা।

ঐসব পুরুষের অন্ডকোষ লাথি মেরে ফাটিয়ে দেয়া উচিৎ যারা পতিতালয়ে যায়। সেসব পুরুষে বুকে লাথি মেরে পাজর ভেঙ্গে ফেলা উচিৎ যাদের বুক সস্তা ধরে বিক্রি হয়। ওদের কথা আমার আলোচনায় এর চেয়ে বেশি আমি আনতে চাইনা।

এমন সব মানুষকে হাতের কাছে ফেলে গলা টিপে ধরুন যারা ভালোবাসায় নাটক সাজায়,হোক মেয়ে কিংবা ছেলে। যাদের কাছে সম্পর্ক মানে তামাশা তাদের জন্য করুনা। যারা আবেগ বিক্রি করে পেট চালায় তারা খুনি। যারা ভালোবাসায় হিসেব কষে চাহিদা প্রাপ্তির তারা ব্যবসায়ী, ওদের কাছে ভালোবাসা মানে লাভ লোকসান।

এমন মানুষদের নিয়ে ভাববেননা কোনদিন যারা আপন মানুষকে বুকে নিয়ে পৃথিবী ভুলতে পারেনা, ঐসব শিক্ষিতদের জন্য করুনা যারা মেধার চাতুরতা দেখায়। তারা জ্ঞানপাপি।

আপনার জন্য না বাঁচুন, আপনার মেয়ের জন্য বেঁচে থাকুন, আপনি বাঁচুন আপনার মেয়ে মাঝে,আপনার মেয়েকে মানুষ করে তুলুন ঐসব অমানুষদের চোখ রাঙাতে সেটাই হবে প্রতিশোধ।

আল্লাহ আপনার সহায় হোক



৫| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:২১

ইমন তোফাজ্জল বলেছেন: এটা কি ব্যক্তিগত বৃত্তান্ত ? তবে আপনার সাথে একটু যোগাযোগ করতে ইচ্ছে করছে ।
https://web.facebook.com/

৬| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:২৭

ইমন তোফাজ্জল বলেছেন: যদি মাইন্ড না করেন

https://web.facebook.com/imon.tofazzal

৭| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:৫৮

জে আর সিকদার বলেছেন: সুইসাইড কোন সমাধান নয় ।

৮| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:১০

জেন রসি বলেছেন: সব অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই চলুক। আত্মহত্যা কোন সমাধান না। লড়াই করে বেঁচে থাকাটাই সমাধান। শুভকামনা আপু।

৯| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:৪১

তাজবীর আহােমদ খান বলেছেন: আপামনি,
বয়সে আপনি আমার বড় না ছোট তা ন জেনেই আজ একটা উপদেশ দি।আপনার কাছে আপনার কষ্ট টুকু বিশাল।কিন্তু খোজ নিয়ে দেখেন,অন্য কারো তুলনাতে ভালোই আছেন।
মরে গেলে যদি সব সমস্যার সমাধান হোত তাহলে ডাক্তাররা প্রেশক্রিপসন আকারে এই পরামর্শ বিলি কোরতেন।
ভাই,৬ বছর প্রেম করে,সেই মেয়ের সাথেই পরবর্তী ১২ বছর ঘর করেছি।ফুটফুটে দুইটা বাচ্চা সহ অনাবিল সুখের সংসার ছিল আমার।আর আজকে আমি একাকি সারারাত ছাদের উপর বসে বিড়ি খাই আর আকাশের তারাদের মাঝে আমার পিচ্চি দুইটার মুখ খুজে ফিরি।চোখে তো ঘুম আসেনা,পিচ্চিদুইটারে কোলের মধ্যে নিয়ে ঘুমানোর অভ্যাস ছিলো যে।আজ পুরা লাইফ টা আমার এলোমেলো। ছিলাম বাংলাদেশের টপ করপরেট কম্পানির টপ বস।আর আজ সব ছেরেছুরে একলা ঘরে একলা নিবাস।
মরতে আপু আমিও চেয়েছি কিন্তু আজো কিন্তু বেচে আছি কেনো জানেন?যদি আমার বাবু দুইটার কখনো বাবার দরকার হয়ে পরে?ওদের তো কোন দোষ ছিল না।তাই বার বার মোরতে জেয়েও মরাটা আর হয় না।হাত কেটে আবার নিজেই ব্যান্ডেজ বাধি।হা হা
আজ প্রথম নিজের এই কথাগুলো আপনার সাথে শেয়ার করলাম কারোন আপনার মানসিক অবস্থাটা আমি বুঝতে পারছি।কিন্তু সত্যি বলছি,মরে গেলেও শান্তি পাবেন না।তাই লড়াই টা চালায়ে জান।

১০| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:০৩

ভ্রমরের ডানা বলেছেন: লড়াই না করে এক তিল পর্যন্ত ছাড় দেওয়া উচিত না।


লড়াই করুন, নিজের মর্যাদা প্রতিষ্ঠান করুন। সমাজপতিদের মুখে থুচ্ছি দিয়ে অনেক লড়াকু নারীকে সফল হতে দেখেছি! নিজের সহ্যের সিমা ছাড়িয়ে অন্য পাষানের ঢাল হবেন না প্লিজ!

১১| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:২৭

করুণাধারা বলেছেন: বিশ্বাস করুন, আমি ঠিক আপনার লেভেলে দাঁড়িয়েই আপনাকে বলছি- আপনার হেরে যাওয়া মানে আপনার প্রাক্তন স্বামীর জিতে যাওয়া, আপনাকে যে এত কষ্ট দিয়েছে তাকে ভাল রাখার দায় কি আপনার। বুঝতে পারছি, চারপাশ থেকে আঘাতে জর্জরিত হয়ে আপনি অন্ধকার ঘর থেকে বের হবার রাস্তা খুঁজছেন, পাচ্ছেন না। ভরসা রাখুন, সব আধার একদিন কেটে যাবেই।

১২| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:৫১

রোদেলা বলেছেন: প্রিয় বন্ধুগণ,এই লেখাটা আমার ব্যক্তিজীবন থেকেই নেওয়া সেটা সত্যি।কিন্তু,কোন দিন সুইসাইড করতে হবে এমন ভাবনা আমার কোন কালেও ছিল না। খুব মানসিক যন্ত্রণার মধ্য দিয়ে যখন আমি অতিক্রম করি তখন ফোন ধরাও নিষেধ ছিল আর এখনতো আমি মুক্ত বিহংগ ।দেশ বিদেশ ঘুরি নিজের পয়সায়।গল্পগুলো শেয়ার দিলাম ,কারণ যে কোন পরিস্থিতিতেই সুইসাইড কোণ সমাধান নয়।আর সমাজ যে এই ব্যপারে একটা পরোক্ষ ভূমিকা রাখছে তাই বোঝালাম।আর কিছু না।ভালো থাকুন সব সময়।

১৩| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১:৪৫

তাজবীর আহােমদ খান বলেছেন: সমাজ কি আপনাকে খেতে দেয় নাকি আপনি যখন আপনার বাচ্চাদের নিয়ে না খেয়ে থাকেন তখন পাশে এসে দারায়?সো আপামনি,গুল্লি মারেন সমাজ কে অ্যান্ড ফাইট ফর ইউর ওন রিসন।এইটা আমার নিজস্ব মতামত আরকি??

১৪| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১:৫৫

ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: আপনার সাহসিক মানসিকতাকে স্যালুট।

সুইসাইড কোন সমাধান না।

১৫| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ২:৫২

দিয়া আলম বলেছেন: উফফফফফফফফ !!!! কি ভয়াবহ জীবন হতে পারে মানুষের ,ভাবতেই স্তব্ধ হয়ে যাই। আপু তুমি পারবে ,ভয় করোনা একটুও,জীবন টেনে নাও নিজের মত করে সবাইকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে, ঐ দেখো সম্রাটের কথা গুলো, এমন কথা গুলো অনেক সাহস যোগায়,সেও একজন পুরুষ।হাল ছেড়ে দিওনা কোন ভাবেই।

মা মেয়ে দুজন অনেক অনেক ভালো থেকো।দোয়া করি তোমার জন্য আপু।

১৬| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৭

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: নো সুইসাইড ।কবি ভাল থাকবেন ।

১৭| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:৫৮

সজুসজীব বলেছেন: কিছুই বলার নাই

১৮| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:৫০

রোহান খান বলেছেন: একটা জন্মদাতার অবহেলায়ই নিতে পারিনি এ জন্মে ,আর একটা নতুন উপদ্রপ(হয়তোবা) এসে যদি আমার মেয়ের শরীরে হাত দেয় তখন সত্যি সত্যি বিষ খেয়ে সুইসাইড নোট বা ফেইস বুক লাইভ ছেড়ে যাওয়া ছাড়া আর কোন গতিই থাকবেনা।

নো সুইসাইড, নো প্রতিশোধ, আছে শুধু মানিয়ে নেয়া।
হোক না তা সেই তার সাথে, অথবা শুধুমাত্র নিজের সাথেই।

১৯| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩১

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: পৃথিবীতে বেঁচে থাকাটাই আনন্দের । কারো জন্যই সুইসাইড কোন সমাধান নয় ।
দুঃসময় কেটে গেলে জীবন বড়ই সুন্দর ।

২০| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ভোর ৪:০৮

আকরাম বলেছেন:
অবহেলা, অপমানের বোধ আত্মহত্যার কারণ।
জীবনযুদ্ধে পরাজয় মানুষকে আত্মহত্যার দিকে ঠেলে দেয়!
আত্মহত্যার উদ্দেশ্য কখনোই মৃত্যু নয়! যদিও আত্মঘাতী ব্যক্তিরা জানেন, আত্মহত্যা করলে তার মৃত্যুই হবে!!
www.psychobd.com

২১| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ভোর ৫:১২

মোস্তারিক বলেছেন: আত্মহত্যার বিকল্প কি হতে পার?

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:৩১

রোদেলা বলেছেন: আত্মহত্যার বিকল্প কেবল জীবন কে ভালোবেসে যাওয়া।
নিজের জন্য বেঁচে থাকা।

২২| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:৪৫

নিলয় নীল বলেছেন: অনেক সময় আসে নিজেকে সামলানো টা বেশ কঠিন হয়ে পড়ে। আমি নিজে ৩ বার করার চেষ্টা করছি।কিন্তু মরন কপালে তিনবার শেষ থেকে ফিরে আসছি। কিন্তু পড়ে নিজেকে গালি দেই অদ্ভুত সব

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৪:১৮

রোদেলা বলেছেন: আমি এটেম নিয়েছিলাম ,কিন্তু ওটা আম্মাকে ভয় দেখাবার অভিনয় ছিল।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.