নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একটা সময় ছিল যখন সকল ক্ষেত্রে নারীদেরকে অনেক নেগেটিভে ভাবে সমাজ দেখত। বর্তমানে সেটা অনেকাংশে না হলেও বিভিন্ন ক্ষেত্রে দেখা যায় ব্যতিক্রম কিছু নারী চরিত্র।
গৃহের ভেতরকার নারীর প্রসঙ্গে যদি আসি তাহলে দেখতে পাই,
নারী এমন অনেকই আছে, যাদের পাখি ড্রেস চাই না। ওই দামী গহনা, স্যান্ডেল, কসমেটিক্সের অহেতুক যন্ত্রণা তাঁদের নেই, কিংবা নিজেই নিজেকে দেয়ার ক্ষমতা বেশ আছে। পুরুষের ম্যানি ব্যাগের ঝনঝনানির চাইতে বুক পকেটে রাখা কবিতাই তাঁদের টানে বেশি, মার্সিডিজে চড়ার চাইতে পছন্দ শেষ বিকেলে পাশাপাশি হাঁটতে… ব্যস্ত দিনের ফাঁকে এক গুচ্ছ অর্কিড পেলেই খুশি তারা, কিংবা বাদল দিনের কদম ফুল। দামী রেস্তরাঁয় ডিনারের চাইতে নিজের হাতে এটা-ওটা রাঁধাতে তাঁদের ছোট্ট গোপন সুখ।সমস্যা হচ্ছে, এই সাধারণ মেয়েগুলোকে আজকাল সহজে খুঁজে পাওয়া যায় না।
দামী পোশাকে শত মানুষের সামনে যেতে তারা আগ্রহী নয়, প্রিয় মানুষটার মুগ্ধ দৃষ্টিটুকুতেই স্বাচ্ছন্দ্য তাঁদের। বান্ধবীদের আড্ডায়- “এটা কিনেছি, ওটা দিয়েছে” বলার চাইতে “কাজল না দিলে ভীষণ বকে ও” বলতেই আগ্রহী তারা বেশি। নিজের উপার্জন কিংবা সঞ্চয়ে প্রিয় মানুষটাকে কিছু কিনে দিতে পেরেই তারা তৃপ্তি পায় ভীষণ। এরা সাধারণ মেয়ে। এরা দেখতে সাধারণ, চলা ফেরায় সাধারণ, নিজের রুচিতে বিশ্বাসে আদর্শে সাধারণ। তারা হিন্দি সিরিয়ালের নায়িকা হওয়ার স্বপ্ন দেখে না, কারিনা-কাটরিনার মত শরীর পেতে দিনরাত এক করে ফেলে না, নিত্য নতুন পোশাকের ফ্যাশনে নিজেকে আপডেটেড রাখতে তাঁদের মাথাব্যথা নেই।
এবার আসি গৃহের বাইরে নারীর প্রসঙ্গে.........
আজকাল কর্মজীবী নারীর সংখ্যা দেখে একজন নারী হিসেবে নিজের কাছে অনেক ভালো লাগে। যখন দেখি মা সুন্দরভাবে সংসার করছে অথবা বড়বোন অসম্ভব যত্নের সাথে অফিস আর সংসার সামলাচ্ছে মনে হয় আমিও এরকম হবো ।
ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় যে, পৃথিবীতে যদি কোনো সমপদ কম ব্যবহার করা হয়ে থাকে, তা হচ্ছে নারী সম্পদ । জাতিসংঘে মহাসচিব বান কি মুনের ভাষায়, খুব বেশিদিনের কথা নয় যখন সবদেশের প্রায় সব প্রেসিডেন্ট প্রধানমন্ত্রী ছিলেন পুরুষ। আজকের বিশ্বে আমাদের যেসব জটিল সমস্যার মুখোমুখি হতে হচ্ছে তার সমাধানে নারী নেতৃত্বের রয়েছে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি। সে সমগ্র আবহাওয়া থেকে শুরু করে মধ্যপ্রাচ্য সংকট কিংবা সামুদ্রিক সমস্যা যাই হোক।
বিশ্বে নারী-পুরুষ বৈষম্য ঘুচে গেছে এ দাবি এখনো কেউ করতে না পারলেও নারীরা এখন আর আগের মতো অবহেলিত, অন্তপুরবাসিনী একান্তই পুরুষ নির্ভর সেকথা বলা যাবে না। বলা যাবে না, তাদের একমাত্র দাবিও পতিসেবা, সন্তান জন্মদান। কিংবা সংসার হেঁসেল সামলানো জীব।
বর্তমান সময়ে অনেক নারী এখন কেবল নিজের দেশকেই পাল্টে দিচ্ছে না, বিশ্বকেও পাল্টে দেয়ার ক্ষেত্রে অবদান রাখছে। নারীর ক্ষমতায় বিশ্বকে পাল্টে দিতে নারী ভূমিকা সর্বত্র দৃশ্যমান। নারীদের ক্ষেত্রেই আজ একথা প্রযোজ্য যে, যারা রাঁধে তারা চুলও বাঁধে। পুরুষদের ক্ষেত্রে যা ষোলআনা প্রযোজ্য নয়। মহিলারা আজ দেশ পরিচালনা করছেন, বিশ্বকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন, পাহাড় চূড়া জয় করছেন, অসীম আকাশে ও নভোচারী হয়ে উড়ছেন না, যুদ্ধ পরিচালনা করছেন, সাংবাদিকতা করছেন, মাতৃত্ব এবং সংসারধর্ম রক্ষা করেও।
নানা মাধ্যমে এর স্বীকৃতি মিলছে। বিভিন্ন প্রভাবশালী প্রচার মাধ্যমে উঠে আসছেন অনেক মহিলা তাদের কৃতিত্ব দিয়ে। হচ্ছেন বছরের সেরা ব্যক্তিত্ব, সেরা মানুষ। হচ্ছেন আলোচিত-আলোকিত। বিশ্ববাসী তাদের রোল মডেল হিসেবে আদর্শ, অনুসরণীয় হিসেবে গ্রহণ করছে। যদিও এখনো পৃথিবীব্যাপী নারী নির্যাতন চলছে, পুরুষশাসিত সমাজ-বৈশিষ্ট্যও অটুট, এসিড নিক্ষিপ্ত হচ্ছে মেয়েদের দিকে, অসহনীয় ইভ টিজিং-এর শিকার অনেক মেয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছে। তবু এর মধ্যেই নারী সমাজেরই ব্যতিক্রমী কিছু চরিত্র দুনিয়াজুড়ে মানুষকে আশার আলো দেখাচ্ছেন, এগিয়ে নিতে সাহায্য করছে সমাজ-সভ্যতা, শিক্ষা ও শান্তির আলোকবর্তিকা।
(কিছু লাইন সংগৃহীত)
২| ০৬ ই মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৫:০৭
রহস্যময় পৃথিবী বলেছেন: ধন্যবাদ দাদা আপনাকেও
৩| ০৬ ই মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৫:৩৪
ছায়াসঙ্গী তারিক বলেছেন: .
তর্ক করবো নাকি বিতর্ক করবো
যাই করি না কেনও
বুঝতে হবে উভয়কেই
দুজন দুজনার সহসঙ্গী
বদলাতে হবে উভয়কেই
দুজনের বোঝার ভঙ্গী
একগুয়ে মনোভাব নয় দেখানো
পরমতসহিষ্ণুতায় একে-অপরকে শেখানো ৷
.
ভালোই লিখিয়াছো 'ধন্যবাদং' ৷৷
.
জানাই ©তারিক '... অশুভ অকামনা ৷ ...'
.
এ কবি বলে যায় উভয়কেই
'...
গড়ো আপনালয়
নয় অহংকারে
গড়ো আপনালয়
ভালোবাসার বন্ধনে ৷৷
...'
৪| ০৮ ই মার্চ, ২০১৫ সকাল ১০:০৯
রহস্যময় পৃথিবী বলেছেন: ধন্যবাদ দাদা
©somewhere in net ltd.
১| ০৩ রা মার্চ, ২০১৫ দুপুর ২:১৯
কাবিল বলেছেন: হুমম ঠিকই বলছেন।
লিখে চলুন, অনেক ধন্যবাদ।
বি দ্র পতিউত্তর দেয়ার সময় মন্তব্যের উপরে সবুজ তীর চিহ্ন ক্লিক করে মন্তব্য করবেন।