![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি জানি তুমি আজ আমার কাছ থেকে অনেক দূরে, দূরে থেকেও তুমি আছো আমার লেখার মুলে, তুমি হীনা আমার ভাষা রুদ্র , বেঁচে থাকা দুর্বিষহ, তাই তোমার হারানো শক্তি আজ আমার প্রেরনা,
সেই ক্লাস সেভেন পার করে ক্লাস এইটে উঠলাম, তখন থেকেই লেখাপড়ার প্রতি একটু মনোযোগ দেবার চেষ্টা শুরু করলাম, কারন এখন থেকে নিজেকে প্রস্তুত না করলে সামনে যে এস এস সি, তখন ডিব্বা না মারি, যাই হোক ক্লাসের ছাত্র গুলো ছাড়া নতুন ক্লাস নতুন বই, হে আর একটা কথা বলতে ভুলে গেছি, আমার বয়েস ইস্কুলে পড়ার সুবাদে, কোন মেয়ে বন্ধু ছিলো না, তাই মেয়েদের প্রতি বরাবরই একটু ফিলিংস কম, তখন অতশত বুঝতাম না, মেয়ে বন্ধু থাকলে কি লাভ কি ক্ষতি, কিন্তু আমার অন্য বন্ধুদের দেখেছি তারা পাশের গার্ল ইস্কুলের মেয়েদের কে বন্ধু করেছে, ওরা প্রায় ক্লাস শেষে এক সাথে গল্প করতে করতে ফিরতো ,
ক্লাস এইটে ২-৩ দিন ক্লাস করার পর বুঝলাম , আমার কোন গুরু ধরতে হবে, না হলে আমার দ্বারা হবে না, তাই ঠিক করলাম গুরু ধরবো, যে ভাবনা, সেই ঠিক করলাম একটা গুরু একের ভিতর সব, স্যার এর সাথে দেখা করে শুরু করতে চাইলাম। ঠিক পরের সপ্তাহ থেকে সকাল ৭ টা থেকে ক্লাস এইট ও সেভেন এর ব্যাচ শুরু হবে,আমি যথারীতি প্রথম দিন হাজিরা দিলাম, নতুন বিষয়, নতুন শিক্ষক, নতুন পরিবেশ নিজের কাছেই খুব বিরক্তিকর লাগছিলো, কি আর করার শিক্ষা অর্জন করতে হলে এইটুকু ত্যাগ স্বীকার করতেই হবে, এক দিন দুই দিন এভাবে ১ সপ্তাহ চলে গেল, আস্তে আস্তে সবাই কম বেশি পরিচিত হয়ে গেলো, সবার সাথে বন্ধুত্ব সম্পর্ক হলো, সপ্তাহ খানেক চলে গেছে কিন্তু ক্লাস সেভেন এর ব্যাচ যে আমাদের পাশাপাশি আছে সেটা আমার মাথায় ছিল না কারন নিজেকে মানিয়ে নিতে এক একটু বেগ পেতে হয়েছে, হটাত একদিন ৭ টার আগেই স্যার ওখানে হাজির হয়, কিন্তু আমার খেয়াল নেই যে আমার ঘড়ি টা নষ্ট হওয়াতে টাইম ঠিক ছিলো না, আমার ঘড়ি আর স্যার এর রুমের ঘড়ি ৪৫ মিনিট পার্থক্য ছিলো, তখন দেখি পাশের রুমে একটি মেয়ে, মেয়েটির দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছি, তখন আমার কেন যে ক্লাস সেভেন এর ঐ মেয়েকে এতো ভালো লেগেছিলো, আমি এর কোন ব্যাখা দিতে পারবোনা, কিছুক্ষন পর মেয়ে টা আমাকে বলে উঠলো, ভাইয়া কিছু বলবেন, আমি একটু ইতস্তবোধ করে বললাম, ওহ কিছু না, আমি কিছু একটা মনে করার চেষ্টা করছিলাম, তখন মেয়ে টা একটা হাঁসি দিয়ে বললো ভাইয়া আপনি কি এখানে পড়েন, আমি বললাম হুম, ক্লাস এইটের ব্যাচে, বলেই আমি আমার টেবিলে বসে পড়ি, এখন আমার মন টা কেন যেন ওর কাছেই ফিরে যেতে চাইলো, ইচ্ছা থাকলেও উপায় নাই, ফিরে নিয়ে আসলাম নিজেকে, তখনই বুঝেছি ভালোলাগা কি আর সেই থেকে ভালবাসা, প্রতিটা দিন তাকে দেখার অপেক্ষাতে থাকতাম, দেখাতাম তাহার ঠোঁটের কোনার হাঁসি, মেয়েটাও বুঝতে লাগলো, আমি ওকে পছন্দ করি, ও কোন দিন আমাকে বুঝতে দেই নাই, এই ভাবে অনেকদিন পার করে সিদ্ধান্ত নিলাম, ওকে বলেই দিই আমার মনের কথা, অবশেষে বললাম ও আমার এই কথার কোন উত্তর দিলো না, আমি নিজেকে আড়াল করে রাখলাম, ৪ দিন পর ও এসে বললো, দেখেন ভাইয়া, আপনি আমাকে যে ভাবে ভাবছেন, আসলে আমি আপনাকে ঐ ভাবে ভাবতে পারছি না, আমাকে ক্ষমা করে দিবেন, আর আপনার ভালোলাগা আপনার কাছেই রাখেন, তারপর থেকে আমি ওর সামনে যায় নাই, আমি ওকে দূর থেকে ভালোবেসে যাচ্ছি, আজ দেখতে দেখতে ১ যুগের বেশি পার করেছি তার অপেক্ষাতে, এখনও ভাবি, ও এসে বলবে তুমি একটা সত্যি পাগল, এখনো ভাবো আমাকে নিয়ে, এখনো আছি তোমারই অপেক্ষায়, থাকবো যতদিন আমার প্রান আছে, ভালো থেকো বন্ধু, আছি তোমারই পথ চেয়ে, এই ভুবনে না হোক পরকালে তুমি আমারই হবে।
২| ১৩ ই মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৭
রক্তিম ভালবাসা বলেছেন:
৩| ১৩ ই মে, ২০১৭ রাত ৮:৪৪
মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: কান্দাকাটি করে লাভ হবে না। বুড়া হলে সুন্দরীরা বিয়ে করবে না।
৪| ১৪ ই মে, ২০১৭ দুপুর ১২:৫৫
রক্তিম ভালবাসা বলেছেন: আমি বুড়া হলেও , ভাইয়া আমার মন কিন্তু যুবকই থাকবে
©somewhere in net ltd.
১|
১৩ ই মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪৫
মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: ১২ বছর পার করে দিয়েছেন? সর্বনাশ!