![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি নায়ে বসে আছি, চারপাশে খরস্রোতা ঢেউ আর ঢেউ জীবনের তীক্ষ্ণ অভিজ্ঞতা গুলি যেন মিশে যাচ্ছে নদীর বাঁকে, পুনরায় ধরেছি বৈঠা , আসুক না হাজারো ঝড়, যাব এক অচিন গাঁয়ে, বিলিয়ে দেব ভালবাসা অকাতরে , যাবে আমার সাথে? তিমির এখন কাটেনি , তবুও ধরেছি বৈঠা, আজ খেলবো নদীর ঢেউয়ের সাথে, থাকবে আমার পাশে? ঝড় এলে করনা ভয় , আমার কাছে বেঁচে থাকার মন্ত্র আছে। এই দেখ, কত সব কচুরিপানা এসেছে, আমাদের সঙ্গ দেবে বলে। তুমি ভয় করনা , আমার কাছে মন্ত্র আছে...
আমাদের দেশে নানা ধরনের জাতি ও সম্প্রদায় রয়েছে। সব জাতি ও সম্প্রদায় মিশে নতুন এক সম্প্রদায় জন্ম নিয়েছে আর সেই সম্প্রদায় বা গোষ্ঠীর নাম হচ্ছে বেকার সম্প্রদায়। বাংলাদেশে নামক রাষ্ট্রে সবচেয়ে অবহেলিত সম্প্রদায় হচ্ছে বেকাররা। অনেক ত্যাগ তিক্ষা মাধ্যমে পড়াশুনা শেষ করে প্রাইবেট পড়িয়ে যে কয়টা টাকা পাওয়া যায় তা দিয়ে চাকরির আবেদন করা তারপর দু একটা শাট প্যান্ট দিয়ে নিজেকে গুছিয়ে চলার চেষ্টা, এক কাপ চা আর নোনতা বিস্কিট, কোন কিছু খেতে ইচ্ছে করলে টাকা পেলে খাব, নিজকে নিজে বুঝানোর চেষ্টা বেকারদের মেয়ে বন্ধু থাকতে নেই, ধনী বুন্ধদের চলাফেরা দেখে গরীব হওয়ার সান্তনা, নিজের ভালো লাগার মানুষকে কিছু না বলতে পারা, সমাজের সব ধনী মানুষের অবহেলা, শপিংমল বা কোন দোকানের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় অসহায় চাহনী আরও অনেক অনুভুতি যা লিখে শেষ করা যাবে না।
এই সব লেখার পিছনে তেমন কোন বিশেষ কারন নেই, আমার লেখা কখনও আমাদের এই বেকার সম্প্রদায়ের অবস্থার উন্নতির করতে পারবে না। কিছুদিন আগে আমার এক বন্ধু কোন রাজনীতিবিদের একটি লেখা লাইক দিয়েছিল, সেই সুবাদে তা আমার সামনে চলে আসে, সাধারনত কারো টাইম লাইন চেক করা হয় না, কিন্তু কেন যেন সেই রাজনীতিবিদের টাইম লাইনটা দেখতে ইচ্ছে করল, দেখলাম সেই রাজনীতিবিদ মহিলা দেশের কল্যানের কথা বেশ চিন্তা করেন। অনেক কিছু করেছেন দেশের জন্য বা করছেন আবার সরকারের সমালোচনা করছেন। একটা জায়গায় দেখলাম তিনি অনেক সোচ্চার, সেটা হচ্ছে মেডিকেল কলেজের প্রশ্নপত্র জালিয়াতি ব্যাপারটা নিয়ে, পরে জানতে পারলাম ওনার মেয়েও চ্যান্স পায়নি। কোন দল ক্ষমতায় থাকবে আর অন্য দলগুলি সেই দলের নানাবিধ গঠন মুলক সমালোচনা করবে, এটাই গণতন্ত্রে হওয়া উচিত। কিন্তু তেমন কিছু দেখছি না, জনসংখ্যা সমস্যার পরে আমাদের দেশের যেটা মূল সমস্যা সেটা হচ্ছে শিক্ষিত বেকার সমস্যা আর এই সমস্যা সমাধান যে কয়টা পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে তা দিয়ে কিছু করা সম্ভবপর হবে কি না তা রাজনীতিবিদরা ভাল বলতে পারেন। বহুবিধ কোঠা পদ্ধতি, ত্রিশ বছর সরকারি চাকরির বয়স সীমা ইত্যাদি দিয়েকে আমাদের দেশের বেকার সমস্যা নিরসন সম্ভব কি না আপনাদের কাছে আমার প্রশ্ন থাকল?
আমাদের দেশের প্রায় সরকারি ৩৫টি ও ৭২টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। ১৯৯২ সালে বাংলাদেশে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় গঠিত হয় আর নানাবিদ কারনে এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পাশ করতে সময় লাগে প্রায় আটাশ বছর আর আটাশ বছর পর চাকরির আবেদন করতে আর আট নয়টা চাকরির পরিক্ষা দিয়ে সরকারি চাকরি মেয়াদ শেষ। কিন্তু এটা নিয়ে বা শিক্ষিত বেকারদের নিয়ে কোন দল বা ব্যক্তির মাথা ব্যাথা নেই। তাই আমি বলতে চাই আমরা বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের সবচেয়ে নিকৃষ্টতম সম্প্রদায়।
২| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ২:৩৬
ইয়াসিন খান বলেছেন: হতে পারে। কিছুদিন আগে পরেছিলাম বিসিএস mp3 বইয়ে UGC অনুমোদন প্রাপ্ত টি।
২৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ২:৩৬
ইয়াসিন খান বলেছেন: ৭২
৩| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ২:৪৫
চাঁদগাজী বলেছেন:
এটির সমাধান সরকারের হাতে আছে।
©somewhere in net ltd.
১|
২৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ২:২৯
রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আশির উপরে। ৮৫ টা মনে হয়। বেকার সম্প্রদায় অনেক বড় সম্প্রদায়। কিন্তু এত বড় কমিউনিটি হওয়ার পরও কেউই এই দলে থাকতে চায় না।