নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভারসাম্য মাত্রই কৃতিত্ব নয় ।

আল - বিরুনী প্রমিথ

আল - বিরুনী প্রমিথ › বিস্তারিত পোস্টঃ

মতি নন্দীর ‘ স্টপার ‘ উপন্যাসটি সম্পর্কে মূল্যায়ন

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৫০

কখনো কোন বই সম্পর্কে মূল্যায়ন নিয়ে লিখবোনা ভেবেছিলাম । সেই সিদ্ধান্ত থেকে স্বেচ্ছায় সরে আসলাম । মতি নন্দী বলতে গেলে বাধ্য করলেন সরে আসতে । তার লেখা ‘ স্টপার ‘ উপন্যাসটি আমাকে পুর্বের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতে বললো । আমি তাতে আগ্রহের সাথেই সাড়া দিলাম । সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসবার ‘ ইগোকে ‘ প্রবল পরাক্রমে পরাজিত করলো মতি নন্দীর অনবদ্য লেখনী । এই পরাজয়ে কেবল আনন্দের উপস্থিতিই দেখছি । যাই হোক ব্যক্তিগত গল্পগাঁথার অর্থহীন বর্ণনার এখানেই ইতি টেনে দিলাম । সামনে চলে আসুক মতি নন্দীর ‘ স্টপার ‘ তার উজ্জ্বল উপস্থিতি সহকারে ।



রঙ্গীনময় একবিংশ শতাব্দী । জীবনযাপনের ধরণ থেকে শুরু করে পারিপার্শ্বিকতা সবকিছুতেই সরল , অনাড়ম্বর , আটপৌরে উপাদানসমূহ তার স্বীয় অস্তিত্ব হারিয়ে প্রায় সর্বস্বান্ত । চারপাশ থেকে বিচ্ছিন্ন মানুষজন তাদের ঘুমন্ত , জাগ্রত প্রত্যেক অবস্থাতেই খুঁজে ফিরছে সরলতা , অনাড়ম্বরতা সকল উপাদানসমূহকে । ব্যক্তিজীবনের প্রেম – ভালোবাসা থেকে শুরু করে সেই অন্বেষণ মাদক পর্যন্ত বিস্তৃত । তবুও অনেক কিছুই হারিয়ে গেছে । অনেক কিছুকেই বর্তমানে পাওয়া যায়না , পাওয়া যাবেনা । পাওয়া যাবেনা সত্তরের দশকের নিউজপ্রিন্টে ছাপা হওয়া বইয়ের গাঢ় , মোটা কালো অক্ষরগুলোকে । মতি নন্দী সেই সময়েরই একজন সন্তান । তার লিখিত উপন্যাস ‘ স্টপার ‘ সেই সময়েরই প্রতিনিধিত্বকারী এক সাহিত্য রচনা ।



উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্র কমল গুহ । কেবলমাত্র পেশাতেই নয় মগজে , মননে , আত্মা সর্বত্রই সে আদ্যপান্ত একজন ফুটবলার । বয়স চল্লিশের কাছাকাছি । বছর কুড়ি যাবত সে কেবল ফুটবলকেই চিনতে চেয়েছে , জানতে চেয়েছে , ঘর বেঁধেছে সুবিশাল মাঠ এবং ফুটবলের সাথে । এই প্রণয় উপাখ্যানকে স্থূল মস্তিষ্ক দিয়ে বিচার করলে কমল গুহকে একজন আপাদমস্তক বাস্তবজ্ঞান বর্জিত , জগত – সংসারের জন্য অচল মানুষ হিসাবেই বিবেচনা করতে হয় । তবুও কথা থেকে যায় । মানুষের স্বপ্ন এবং সেই স্বপ্নকে তার নিরন্তর যেই লড়াই , সৃষ্টিশীল ক্ষমতার প্রয়োগের পেছনে যেই শ্রম , আত্মত্যাগ , নিষ্ঠা তার থেকে মানুষকে বিযুক্ত করা যায়না , যেতে পারেনা । বিশেষত সেই মানুষ যদি সমাজের অবহেলিত , প্রতিনিয়ত অজস্র প্রতিকূলতার সাথে যুদ্ধ করা কেউ হয়ে থাকে । সেই ক্ষেত্রে সেই মানুষ , সেই মানুষের স্বপ্ন , স্বপ্নের পেছনে তার আত্মত্যাগকে উপেক্ষা করার কাজটি সংবেদনশীল হিসাবে নিজেকে দেখতে চান এবং দাবী করেন কেউই করবেন না । কমল গুহ ঠিক তেমনই একজন । ফুটবলের প্রতি তার অকৃত্রিম ভালোবাসার কারণে তাকে হারাতে হয়েছে অনেক কিছু । তার পারিবারিক জীবন হয়েছে বিপর্যস্ত । আজীবন স্ত্রীর সাথে দূরত্ব রয়ে গেছে । ফুটবলের কারণেই তার মা বাবা কর্তৃক অবহেলিত হয়েছে এবং অবশেষে মারা গেছে এমনটা ভেবে বাবার প্রতি ঘৃণা নিয়ে বেঁচেছে কমলের ছেলে অমিতাভ । ভৌগলিক নৈকট্যের চাইতেও অনতিক্রম্য যেই মানসিক দূরত্ব প্রবলভাবে ক্রিয়াশীল তা কমলকে পীড়িত করেছে সবসময় । এখানেই শেষ হতে পারতো কমলের কাহিনী । কিন্তু কমলরা বারেবারে লড়াই করে উঠে আসে । এখানেই কমলদের বিশেষত্ব ।



ষাটের দশকের বিখ্যাত ফুটবলার কমল গুহের বয়স স্বাভাবিক নিয়মেই বেড়েছে । ক্রমেই শরীরটা ছেড়ে দিয়েছে । নষ্ট , ঘুণে ধরা সমাজের আপাদমস্তক যেই চুরি – জুয়াচুরি , ধাপ্পাবাজি দ্বারা পুর্ণ ঘরোয়া ফুটবল জগতও তা থেকে নিজেকে বাঁচবে কি করে ? সেই অপমৃত্যুই কমলকে বরাবর তার প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত করে এসেছে । এককালের সাড়া জাগানো ‘ স্টপার ‘ কমল গুহ কালের গর্ভে শেষ হয়ে গেছে বলেই সবাই ভেবেছে । তার থেকেও অগাবগা অনেকে ভারতের হয়ে খেলেছে , বিদেশে ট্যুর করে এসেছে , অনেক ভালো ভালো চাকরী বাগিয়ে ধরাকে সরা জ্ঞান করেছে । কিন্তু তারা কেউই কমল গুহের ফুটবল চেতনার কনামাত্রও পায়নি । পায়নি কমল গুহের ফুটবলের পেছনে ধ্যানমগ্ন ঋষিসুলভ দৃড়চেতা স্পৃহা । তবুও কমল বিপর্যস্ত । তবুও কমল নির্মম সমাজের কষাঘাতে জর্জরিত হয় বারবার । তার মস্তিষ্ক , হৃদয় ক্ষত-বিক্ষত হয় । তবুও সে মনে রাখে তারই চোখের সামনে মরে যাওয়া তার আজীবনের গুরু প্রাণপ্রিয় পল্টুদার উক্তি “ ব্যালান্স , কমল , ব্যালান্স কখনো হারাসনি । “ কমল সব প্রতিকূল ঘটনার মুখোমুখি হয়ে কেবল আওড়াতে থাকে “ ব্যালেন্স , ব্যালেন্স রাখতে হবে । “ কমলের লড়াইয়ের ধরণে আসে নতুন মাত্রা । কমল দৈনন্দিন জীবনে পরাজিত হয় তবু দাঁতে দাঁত চেঁপে লড়াই করে । প্রতিটি স্তরে ‘ ব্যালেন্স ‘ বজায় রাখতে সচেষ্ট হয় ।



কমল গুহের ফুটবল ক্যারিয়ারে সে প্রথম যেই ক্লাবের হয়ে খেলেছিলো সেই শোভাবাজার স্পোর্টিং ক্লাবেই কালের পরিক্রমায় আবারো এসেছে । তার আগে যেই যুগের যাত্রী নামক দলে ছিলো সেই দলে কমল গুহকে পাঁড়ার নেড়ি কুকুরের চাইতে বেশী কিছু হিসাবে বিবেচনা করা হয়নি । সেই রাগে কমল শোভাবাজারে চলে আসে যুগের যাত্রীকে এই সত্য মনে করিয়ে দেওয়ার জন্য যে কমল গুহ ফুরিয়ে যায়নি । কমল গুহের আজন্ম লড়াইপূর্ণ জীবনে সর্বশেষ এক লড়াই শুরু হয় । কমল দাঁতে দাঁত চেঁপে পেশাগত , ব্যক্তিগত জীবনে লড়তে থাকে আর মনে রাখতে সচেষ্ট থাকে যে তাকে ‘ ব্যালেন্স ‘ হারালে চলবেনা ।



কমলের এই বীরত্বপুর্ণ লড়াইয়ের অনুষঙ্গ হিসাবে আরো কিছু চরিত্র চলে আসে । যুগের যাত্রীর প্রধান গুলোদা যে কমল গুহকে ফিনিশড আর্টিকেল ধরে নিয়ে তাকে ম্যাচের পর ম্যাচ বসিয়ে রেখেছিলো সেই গুলোদা , এককালে কাঠিবাজি করে কমলকে টপকে বিদেশে খেলতে যাওয়া কমলের প্রতিষ্ঠানের ডিপার্টমেন্টাল ইন চার্জ রথীন এরা প্রত্যেকেই কমলকে প্রতিনিয়ত ফেলে রাখে তুমুল প্রতিকূলতার মাঝে । কিন্তু দ্বান্দ্বিকভাবে দেখলে এরাই কমলকে লড়াই করবার রসদ যুগিয়েছে । কমল নিজেকে নতুন করে আবিষ্কার করবার যেই তাড়না পুনরায় অনুভব করেছে তার পেছনে এই চরিত্রগুলোই প্রধান ভূমিকা পালন করেছে । কমল গুহ তাদেরকে কিছু দেখিয়ে দেওয়ার যেই প্রতিজ্ঞা নিয়ে বেঁচে থেকেছে একটা দীর্ঘসময় তার মূল্য অপরিসীম ।



কেবল রথীন কিংবা গুলোদাই নয় কমলের জীবনে আরো কিছু চরিত্র তাদের স্বীয় রঙ – রুপ নিয়ে হাজির হয় । দুই বছর রিজার্ভে থাকবার কারণে শুরুতে ম্যাচ ছেড়ে দেওয়া গোলকিপার ভরত , দারিদ্র্যের আক্রমনে পর্যুদস্ত হয়ে প্রাণের ফুটবল ছেড়ে দেওয়া হতদরিদ্র সলিল , শেয়ালদার প্ল্যাটফর্মে জন্মানো শম্ভু , স্বপন এরা প্রত্যেকেই কমলের জীবনের সাথে কোন না কোনভাবে জড়িয়ে গেছে । অবশেষে কমল গুহের ফুটবল জীবনের শেষ চ্যালেঞ্জ সামনে চলে আসে । শোভাবাজার ভার্সাস যুগের যাত্রী । যুগের যাত্রী জিতে গেলে চ্যাম্পিয়ন , ড্র করলে ইস্টবেঙ্গলের ম্যাচটির দিকে তাকিয়ে থাকা । বরাবরের মতো যুগের যাত্রীকে ‘ জ্বালানো ‘ কমল গুহ আরো একবার তাদের জয়যাত্রার পথের কাঁটা হয়ে দাঁড়াবার জন্য ছক কাটে । সাথে সঙ্গী হয় ভরত , শম্ভু , সলীল , স্বপন , গোপাল । রথীন , গুলোদার অহমিকা কমল গুহের ফুটবল জ্ঞানের প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে মাঠে নামে । প্রথমোক্তরা নিজেদের আভিজাত্যের অহংকার সর্বত্র ছড়িয়ে দেওয়ার প্রচেষ্টায় মগ্ন । দ্বিতীয় পক্ষ নিজেদের লড়াই করবার স্পৃহায় শাণ দিতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ । কাম ওয়াট মে ।



অবশেষে সেই কাঙ্খিত দিনটি চলে আসে । জীবনে প্রথমবারের মতো অমিতাভ বাবা কমলের খেলা দেখতে মাঠে ছুটে আসে । সাথে আসে কমলের পিতৃতূল্য পল্টুদার বিধবা কন্যা অরুণা এবং অরুণার ছেলে পিন্টু । মাঠে খেলা শুরু হয় প্রাণপন । যুগের যাত্রীদের খেলোয়াড়দের আক্রমনে জেরবার হয়ে পড়ে শোভাবাজার স্পোর্টিং ক্লাব । তবুও অতন্দ্রপ্রহরীর ন্যায় তাদের প্রতিটি আক্রমনকে নস্যাৎ করে দেয় চল্লিশের কাছাকাছি বয়সের কমল গুহ । এককালের বিখ্যাত ‘ স্টপার ‘ কমল গুহ । তার সাথে যেই যুদ্ধক্ষেত্রে সর্বস্ব লড়ে যায় সলীল , ভরত , শম্ভু , স্বপন , গোপালেরা । যুগের যাত্রী তাদের আক্রমন বাড়াতেই থাকে । তবু মাথা নোয়ায়না শোভাবাজার । তারা লড়ে যায় । এমনই এক সময়ে অকল্পনীয় ঘটনাটাই ঘটে যায় । সবার কাছে ফুরিয়ে যাওয়া কমল গুহ মাঠে উপস্থিত দর্শকদের হতভম্ব করে গোল দিয়ে বসে । যুগের যাত্রীরা ঝাঁপিয়ে পড়ে গোল শোধ করবার জন্য । কিন্তু মাহেন্দ্রক্ষণের বেলায় প্রতিকূলতাকে শেষ পর্যন্ত মাথা নীচু করতেই হয় । শোভাবাজারের ‘ বৃহৎ প্রাচীন অশ্বথ গাছ ‘ কমল গুহ সব ঝড়ঝাপটা থেকে আড়াল করে রাখে তার প্রথম ফুটবল ক্লাব শোভাবাজার স্পোর্টিং ক্লাবকে । জীবনের শেষ ম্যাচে আরো একবার নিজের জাত চিনিয়ে তবেই চিরতরে মাঠ ছাড়ে কমল গুহ । রথীন , গুলোদার মুখে যথার্থভাবেই চুনকালি পড়ে । জীবনে প্রথমবারের মতো ফুটবলার বাবার জন্য গর্ববোধ করে কমলের ছেলে অমিতাভ । অজস্র হারানো , বিপর্যস্ত তবু মাথা না নোয়ানো কমল গুহ জীবনের শেষ ম্যাচের মাধ্যমে কিছু পায় , প্রাপ্তিতে ঋগ্ধ হয় । অনুপ্রাণিত করে অজস্র পাঠককে । এই অনুপ্রেরণা নিঃসন্দেহে অপরিমেয় ।



মতি নন্দীর ‘ স্টপার ‘ কোন জগতখ্যাত সাহিত্য নয় । বিশ্বের শ্রেষ্ঠ সাহিত্যসমূহের মধ্যে উল্লিখিত উপন্যাসটিকে ধরা হবেনা তা তর্কাতীত সত্য । কিন্তু এর চেয়েও বড় সত্য উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্র কমল গুহ আমাদের বড্ড আপনজন । তার দৈনন্দিন জীবনের ঘাত – প্রতিঘাত , বিপর্যস্ততা , প্রাণপণ লড়াই সবকিছুর মাঝেই নৈকট্যের , আত্মীয়তার যেই স্পর্শ তাকে অনুভব করে প্রতিকূল পৃথিবীর মুখোমুখি হবার অনুপ্রেরণা পাওয়া যায় । দৈনন্দিন জীবনের আত্মত্যাগ , নিষ্ঠা , শ্রম , রক্ত , বিষাদ , বিপর্যয় , লড়াই , লড়াইয়ে জয়লাভ করবার সন্তুষ্টি সবকিছুর মাঝেই পাওয়া যাবে কমল গুহকে । মোট কথা আমাদের জীবনে নতুন কোন রঙ দিতে মতি নন্দীর ‘ স্টপার ‘ উপস্থিত হবেনা । ‘ স্টপার ‘ হাজির হবে আমাদের জীবনের প্রতিটি স্পর্শ , অনুভবের সহোদর হয়ে । কমল গুহ খুব সাধারণ বলেই আমাদের অন্তঃস্থল স্পর্শ করে যাবে তার স্বভাবজাত নৈকট্যবোধের কারণে । আন্দোলিত করে যাবে অজস্র গুণমুগ্ধ পাঠককে ।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪২

ঘুড়িবাবা বলেছেন: দারুণ একটা লেখা। মতি নন্দীর আরেকটা উপন্যাস আছে ‘বুড়ো ঘোড়া’ নাম, এক মধ্যবয়স্ক ক্রিকেটারকে নিয়ে।
আপনার লেখা পড়ে ‘স্টপার’ পড়ারও আগ্রহ জাগল। এটার কোন লিঙ্ক আছে কি?

২| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪৭

আল - বিরুনী প্রমিথ বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে । ' বুড়ো ঘোড়া ' উপন্যাসটি সংগ্রহ করে পড়বো আশা করি । আর আমার কাছে ' স্টপারের ' কোন লিঙ্ক নেই । বই থেকেই পড়েছি । ঘুড়িবাবা

৩| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:২২

হাসান মাহবুব বলেছেন: বাংলা ভাষায় স্পোর্টস নিয়ে পূর্ণাঙ্গ উপন্যাস কম। এই বইটি পড়ার ইচ্ছে থাকলো।

৪| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:২২

আল - বিরুনী প্রমিথ বলেছেন: এটি একটি অনবদ্য উপন্যাস , অন্তত আমার কাছে । আশা করি পড়বার পরে আপনারও এমন মনে হবে । হাসান মাহবুব

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.