নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভারসাম্য মাত্রই কৃতিত্ব নয় ।

আল - বিরুনী প্রমিথ

আল - বিরুনী প্রমিথ › বিস্তারিত পোস্টঃ

নাগরিক

০৩ রা জুলাই, ২০১৫ রাত ১:৫৯

কোন কোন সকালে এমনটা ঘটে। ঘুম ভেঙ্গে গেলে জানালার পিছনে প্রবলভাবে উঁকি দিতে থাকা সূর্যকে ভর্ৎসনা না করে তার আলো শরীরে মেখে নিয়ে আদুরে বিড়াল হয়ে গুটিসুটি মেরে শুয়ে থাকতে ইচ্ছা করে। কিন্তু যাপিত নাগরিক জীবনেরও একটি নির্দিষ্ট কক্ষপথ আছে বটে, তাই সূর্যের আলোর সাথে যেই নিবিড় অন্তরঙ্গতা তা দুই মিনিটের বেশী স্থায়ী হতে পারেনা। সকালবেলার প্রাত্যহিক কাজকর্ম সেরে বাথরুম থেকে বেরুতে বেরুতে ততোমধ্যে মগজ সকালের প্রারম্ভিক দার্শনিকতাকে ঝেড়ে একবিংশ শতাব্দীর নাগরিকতাকে অসাড়ভাবে বরণ করে নেয়। এখন রমজানের সময়, অফিস সাড়ে তিনটায় ছুটি হলে বন্ধুর বাড়িতে ইফতার পার্টিতে পৌঁছাবার আগেও হাতে সময় পাওয়া যাবে ঘন্টা তিনেকের মতো। সেই সময়টায় বসন্ধুরা সিটিতে গিয়ে কিছু একটা উপহার কেনাই যাবে। বন্ধুর ম্যারিজ এনিভার্সারী, দামী উপহারই কিনবে বলে মনঃস্থির করে। অফিসে পৌঁছাতে পৌঁছাতেও কি কম হ্যাপা? এসি গাড়িতে করে রোজ কর্মস্থলে গেলে কি হবে সকালের কড়া রোদ, শহরের রাস্তায় গিজগিজ করতে থাকা ব্যস্ততম নাগরিকদের উদ্ভ্রান্ত চলাফেরা, গাড়ির কাঁচে মৃদু আঘাত করে আট কি দশ বছরের শিশুর “পত্রিকা লাগবো স্যার?” গোছের অর্থহীন প্রশ্ন, অল্পের জন্য অফিসের ড্রাইভার আলিমের অন্য গাড়ির সাথে তীব্র সংঘর্ষ থেকে বেঁচে যাওয়া, তারপরে জোর গলায় তাকে কিছু বলতে চেয়েও শেষ মুহূর্তে গলায় নীরবতার গুনগুন স্বর ভেসে আসলে কিছুই দেখেনি এমন নির্লিপ্ততায় নিজের মোবাইল থেকে ফেসবুক একাউন্টে গুতাগুতি করা। অফিসে এসেও নিজের ক্যাবিনে দুদন্ড বসে যে সকালের মতো করে সূর্যের আলোকে স্বাগত জানাবে সেই অভিলাষ তখন আর সক্রিয় নয়। যেন সকালের সেই আলস্য সুদূর অতীতে পরিণত হয়ে বিস্মৃতির প্রান্তে চলে গেছে। ক্যাবিনে ঢুকতে না ঢুকতেই “স্যার, ওসমান কোম্পানীর ফাইলটায় আপনার তিনটা সিগনেচার লাগবে, সাথে আরেকবার একটু ডিটেইল রিডিং। খুবই ক্রুশিয়াল প্রোজেক্ট কিনা, বড় স্যার বেশ কয়েকবার বলে দিয়েছে।” পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ বাক্যমালা মাত্র শুনলো এই ভঙ্গিমায় অধঃস্তনকে “ওহ ইয়েস অফকোর্স। চল্লিশ মিনিট পরে এসেই ফাইলটা বুঝে নিয়ে যাও।” বলতে বলতে ক্যাবিনের পিছন থেকে সূর্যের কড়া আলো আরো বেশী গাঢ়ভাবে অনুভূত হলে বছর পনেরোর দিকে মস্তিষ্ক ফ্লাশব্যাক করতে যায়। সেই সময়ে ক্যাবিন ছিলোনা, বড় সাহেবের মুখের জটিল হাসি প্রত্যক্ষ করবার অভিজ্ঞতা ছিলোনা, মাসের শেষে পঞ্চাশ হাজার টাকার প্রাপ্তি ছিলোনা, বদ্ধঘরের মধ্যে যন্ত্রের মতো কাজ করার বাধ্যবোধকতা ছিলোনা, অফিস শেষে কোথায় যাবো , যাবার জায়গা কই ভেবে শেষ পর্যন্ত দশ ফুট বাই আটের সেই অতি পরিচিত ঘরে গিয়েই ঠাঁই নেওয়ার একঘেঁয়েমী ছিলোনা, উইকএন্ডে মদ্যপান ছিলোনা, স্থায়ী প্রেমিকার সাথে আগন্তুকের মতো যোগাযোগ বজায় রাখবার অভ্যাস ছিলোনা। এসবের কিছুই ছিলোনা। ততক্ষণে তার মাথা দপদপ করতে শুরু করেছে। কিন্তু পনেরো বছর আগেরকার যাপন করা সব কাঁচা অনুভূতির সাথে দীর্ঘক্ষণ বসবাস করলে তার চলবে কেন? তাই জাম গাছ, কাঠগোলাপের শুদ্ধতম ঘ্রাণ, মফস্বলের নিস্তরঙ্গ দুপুর, স্কুলপালানো দুরন্ত স্কুলবন্ধু, সাহসী ভঙ্গিতে চিঠিতে নিজের ভালোলাগার কথা জানানো ষোড়শী প্রেমিকা, আটপৌরে পরিবার, বিস্তৃত খেলার মাঠের সকল ছবি এক ঝটকায় মন থেকে মুছে ওসমান কোম্পানীর ফাইলে তাকে প্রয়োজনের থেকেও বেশী মনোযোগ দিতেই হয়। স্মৃতি কি কেবল আজই ঝাঁপি খুলে আসে নাকি? প্রায়ই আসে, বুকের মধ্যে কিছু অমীমাংসিত খচখচ অনুভূতিকে জাগিয়ে তুলে ফেরার হয়ে যায়। তার সাথে এরকম কতোবার হয়েছে। এসব ছাঁইপাশকে আসলে চাগাড় দিয়ে উঠতে দিলেই জটিলতার গহ্বরে হাবুডুবু খেতে হয়। তাই সে পঞ্চাশ হাজার স্যালারী প্রাপ্ত এফিশিয়েন্ট এমপ্লয়ি হিসাবে নিজেকে আবিষ্কারে সচেষ্ট হয়ে উঠে। চল্লিশ মিনিটের পরিবর্তে তিরিশ মিনিটের মধ্যে ফাইলের বিস্তারিত মস্তিষ্কে গেঁথে নিয়ে অধঃস্তনকে ডেকে ফাইল বুঝিয়ে দিয়ে আগেরদিনের জমে থাকা অন্যান্য কাযে হাত দিতে থাকে। রমজান মাস চলছে, রোজা না রাখলেও এই একটা মাস অফিসে খাওয়াদাওয়া করতে কেমন কেমন জানি করে। কৈশোরে প্রথম প্রথম যখন মাস্টারবেট করতে শিখেছিলো তখন যেরকম চাপা অপরাধবোধে তটস্থ থাকতো তেমনই একটা অস্বস্বিকর অনুভূতি। সুপ্ত থাকা পাকস্থলীর কারণেই কিনা কে জানে এরপরে সময়টা বেশ দ্রুতই পার হয়ে গেলো। ঠিক সাড়ে তিনটায় অফিস থেকে বেরুলে তখন মাথার উপরে রোদের ঝাঁঝ সবচেয়ে বেশী কড়া। গাড়ির সিটে বসেই ড্রাইভারকে বসন্ধুরা সিটিই গন্তব্য জানাবার চল্লিশ মিনিট পরে ট্রাফিক জ্যামের জঞ্জাল পেরিয়ে সুবিশাল শপিং মলে প্রবেশ করতেই চোখে অগণিত মনুষ্যপ্রাণীর অস্তিত্ব স্পষ্ট হয়ে উঠে। এই দুপুরেও এতো এতো মানুষ কি কারণে ঘুরঘুর করছে কে জানে, সে নিজে কখনো এমন সময়ে শপিং মলে ঘুরঘুর করেনি তাই চোখের সামনে সকল দৃশ্যাবলীই তার কাছে অপিরিচিত ঠেকে। শপিং মলের ভেতরে প্রবেশ করলেও পরস্পরের নিকট আজন্মই অপরিচিত এমন সব মানুষ অত্যন্ত পরিচিত ভঙ্গিতে একে অপরকে পাশ কাটিয়ে চলাফেরা করে। বন্ধুর জন্য কি উপহার কিনবে মনঃস্থির করতে খুব বেশী সময় লাগেনা। তারপর সকালবেলার আলস্য পুনরায় শরীরে ফিরে এলে তাকে সঙ্গী করেই ফুডকোর্টে গিয়ে বসে। চারপাশে কতো মানুষ, নিজেদের মনে যা বলছে তার ভাষাও বাংলাই কিন্তু সেসব পরিচিত শব্দমালা অসম্ভব রকমের দুর্বোধ্য ঠেকে। তাই নিঃসঙ্গতায় অবগাহন করে নীরবে দুপুরের খাওয়া সেরে নিয়ে কিছুক্ষণ শপিং মিলে উদ্দেশ্যহীন পা ফেলতে ফেলতেই বন্ধুর বাড়িতে যাওয়ার সময় হয়ে আসে। সেই সময়ে রোদ অনেকটাই কমে এসেছে, ধবধবে সাদা কিন্তু অনুজ্জ্বল মেঘমালার উপরে কিছু কাক নিজেদের গন্তব্যস্থল বদলায়। বন্ধুর বাসা যেহেতু পান্থপথে কাজেই সে ড্রাইভারকে আগেই চলে যেতে বলার বদান্যতা দেখিয়েছে। অল্প কিছুদিন হলো রাস্তাটা পিচঢালা হয়েছে। তার ঘ্রাণ রাস্তায় লেগে থাকবার কথা। কিন্তু তার উপরে পা রাখতে রাখতেও সেই ঘ্রাণের সন্ধান সে পায়না। না পেয়ে সে বিমর্ষ অনুভব করে কিনা সেটা অন্যরা তো বটেই সে নিজেও নিশ্চিত হয়না। বন্ধুর বাড়ি যাওয়া মাত্রই হৃদয়ের সকল নীরবতা ভেঙ্গে খানখান হয়ে উঠে। “ যাক শালা সময়মতোই আসছোস তাইলে, আমি তো ভাবছিলাম ইফতারের টাইম শেষ হইলে তখনই ঢুকবি।“ সমবেত হাসির তোড়ে আঠারোশো স্কোয়ার ফিটের প্রতিটি কোন যেন সশব্দ হয়ে উঠে। “ভাইয়া, লোপাকে নিয়ে আসলেন না”, “ শালা এমনই এক জেলাস চিজ, বন্ধুবান্ধবদের আড্ডায় নিজের গার্লফ্রেন্ডরে কখনো নিয়া আসেনা, যদি দোস্তদের কেউই ছিনতাই করে নিয়ে যায়।” এসকল টিকাটিপ্পনীতে পুনরায় সারাঘর ভরে যায়। যেহেতু এসব কথার বন্যায় তার রিফ্লেক্স কখনোই শক্তিশালী ছিলোনা তাই চোখেমুখে এক ধরণের নির্লিপ্ততাকে সঙ্গী করে ঠোঁটে আবছা একটুকু কৃত্রিম হাসি ঝুলিয়ে তাকে বসে থাকতে হয়। আজকের পার্টির খাওয়াদাওয়ার আয়োজন বিপুল, চৌদ্দজন অতিথিদের জন্য কমসে কম বারো রকমের আইটেম রান্না করে রেখেছে বন্ধুপত্নী। ভোজন শেষে বিশেষ জলের ব্যবস্থাও যে করা আছে সেটা গৃহস্থের মুখ ফুটে বলার প্রয়োজনও পড়েনা। টেলিভিশনে আযানের শব্দ ইফতার করবার আহ্বান জানালে সে বাদবাকি বন্ধুবান্ধবদের সাথে ড্রইংরুমেই ইফতার করতে বসে যায়। আগেও দেখেছে এরকম, খাওয়াদাওয়া যা হবার সব ড্রইংরুমে বসেই হয়। চার কি পাঁচটা আইটেম খেয়েই সে জলযাত্রায় যোগ দেয়। তখন আবার পরিবেশ পরচর্চার চূড়ান্ত সীমায়। “তোরা জানোস আবরারের যে সামনে ডিভোর্স হইবো?”, “ আল্লাহ, তাই নাকি , বউটা তো ভালো ছিলো বলেই জানতাম”, “ ধুর , তোরা জানোস কচু। আবরারের জীবন নাকি ঝালাপালা করে রাখছে।” , “ইশ, আবরার ভাই এতো সোবার আর পোলাইট, এরকম মানুষেরও বিয়ে টিকেনা?”, দুঃখ প্রকাশকারীর কন্ঠস্বরে কৃত্রিমতা এতোটাই স্পষ্ট যে অন্যরা ধরে ফেললো কিনা এরকম কোন সংকোচও তার মাঝে কাজ করেনা। এভাবেই গসিপিং ক্রমশ এগিয়েই চলে। আড্ডায় অনুপস্থিত বন্ধুবান্ধবদের ব্যক্তিগত জীবনের নানাবিধ বিষয়াদি থেকে শুরু করে দেশের ক্রিকেট দল গত ছয় মাসে এতো জঘন্য কেন খেলছে, কি কি করলে ক্রিকেট দল আবারো ভালো খেলতে শুরু করবে সেই বিষয়ে জ্ঞানগর্ভ আলাপ আলোচনার সম্পূর্ণ সময়ে যতোটুকু কথা বললে তার নীরবতা কেউ পর্যবেক্ষণ করবেনা সে ঠিক ততোটুকুই কথা বলে। একেবারে মেপে। অফিসে ঠিক যেমনটা থাকবার কারণে উপরের মহলে সে ব্যাপক প্রশংসিত। গন্তব্যহীন এই আড্ডার সময় শেষ দিকে চলে আসলে প্রত্যেকেই পুনরায় পরস্পরের সাথে আনুষ্ঠানিক হবার তাগিদ অনুভব করে। অন্যান্যরা সবাই নিজ নিজ গাড়িতেই বাড়ি চলে যাবে। তার বাড়ি যেহেতু খুব বেশী দূরত্বের নয় তাই তাকে কেউ এই নিয়ে প্রশ্ন করেনা। রাস্তায় নামতেই সে দেখতে পায় চাঁদের আলো আকাশে নিজেকে বিনা সংকোচে মেলে ধরেছে। তার উজ্জ্বলতায় ধ্যাবড়া প্রধান সড়কটাকেও সৌন্দর্যমন্ডিত বলে ভ্রম হয়। উচ্চ সব ভবনের ভীড়ে অদ্ভুত বৈপরীত্যে চারপাশে বেশ দ্রুত বাতাস বইতে থাকে। এতোক্ষণ আড্ডায় কি কথাবার্তা হয়েছে সে মনে করতে চেষ্টা করে। কিন্তু বেশীরভাগ স্মৃতিই ততোমধ্যে তার থেকে বিস্মৃত। ঘরে ফিরেই সোজা গোসলঘরে প্রবেশ করে। ফ্রেশ হবার পরে বেরিয়ে এসে টেলিভিশনটা খুললে একঘেঁয়ে খবর কিংবা অন্তঃসারশূন্য টক শো কোনটাই তার বেশীক্ষণ দেখবার রুচি হয়না। একবার গার্লফ্রেন্ডকে ফোন দেওয়া দরকার। সারাদিনে তেমন কথাই হয়নি। তাই সেলফোনটা আবার বের করে দশ মিনিট ধরে স্বাভাবিকের চাইতেও বেশীই মৃদু স্বরে প্রেমিকার সাথে নৈমিত্তিক কথোপকথন সেরে ফেলার পরে তার মনে হতে থাকে আজকের আড্ডায় প্রেমিকাকে নেওয়াই যেতো। তারপর আজকের রাতটা একসাথেই কাটালে বেশ ভালোই হতো। সেটা যেহেতু আর সম্ভব নয় কাজেই তাকে হস্তমৈথুনেই সন্তুষ্ট থাকতে হয়। তারপরে বারান্দায় সিগারেট খেতে আসলে সে দেখে তখন বাইরে ইতোমধ্যেই চাঁদের আলো রীতিমত ঝলসাচ্ছে। চাঁদের আলোর তীব্রতায় মগজের বাঁকে বাঁকে পুনরায় জাম গাছ, কাঠগোলাপের শুদ্ধতম ঘ্রাণ, মফস্বলের নিস্তরঙ্গ দুপুর, স্কুলপালানো দুরন্ত স্কুলবন্ধু, সাহসী ভঙ্গিতে চিঠিতে নিজের ভালোলাগার কথা জানানো ষোড়শী প্রেমিকা, আটপৌরে পরিবার, বিস্তৃত খেলার মাঠের ছবি আসবার সাথে সাথে বুকের বাঁদিকটা বিদীর্ণ করে তীক্ষ্ণ ফলার মতো ব্যথার আগমন ঘটলে ঠিক বারো মিনিট পরে বারান্দার ওপারে নিস্তব্ধ দাঁড়িয়ে থাকা নারিকেল গাছ, সেখানকার কিছু বাড়ির আলো, একটা টিনের চাল আর ছাদে কাপড় শুকাতে দেওয়া এক গৃহবধু তাকে স্বপ্ন, বেদনা, আশা, ক্লান্তি, লোভ , ভবিষ্যত ইত্যাদি শব্দ থেকে চিরতরে স্বাধীন হিসাবে আবিষ্কার করে।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা জুলাই, ২০১৫ রাত ৩:২৬

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: বড্ড কঠিন বাস্তবতার আলোকে লেখা।।
আরো কঠিন, এবং সহজ "পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ বাক্যমালা মাত্র শুনলো এই ভঙ্গিমায় অধঃস্তনকে" ।।

২| ০৩ রা জুলাই, ২০১৫ রাত ৯:১৩

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: নাগরিক মানেই নস্টালজিয়ায় ভোগা রোগী।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.