নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভারসাম্য মাত্রই কৃতিত্ব নয় ।

আল - বিরুনী প্রমিথ

আল - বিরুনী প্রমিথ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিপন্ন

২৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ২:২৯

দুপুরের ভাত ঘুম থেকে উঠতে উঠতে বেশ দেরী হয়ে গেলো। তিনবার বিছানায় এপাশ ওপাশ করে প্রায় জোর করেই বিছানায় শুয়ে থাকতে চেয়েছিলেন মোতালেব সাহেব। দেয়ালে চোখ চলে যেতে তার দিকে তাকালেন। চোখ ফিরিয়ে নিলেন না। দেয়ালের পরতে পরতে অযত্নের প্রস্ফুটিত ছাপ, সাদা রঙ বিবর্ণ হতে শুরু করেছে বহুদিন হলো। অসহায়ের মতো নিজের নিষ্প্রাণতাকে দেখতে অভ্যস্ত হয়ে যাওয়া ইট পাথরের গাঁথুনী নিজেকে বাড়ির সদস্যগুলোর থেকে আলাদা করে নিয়েছে। বাথরুমের পাশে দেয়ালের অংশে ভয়ঙ্কর দেখতে এক ভূত সগর্বে এই মুহূর্তে মোতালেব সাহেবের দিকে চেয়ে আছে। মোতালেব সাহেবের নাতনী আরিবার অপটু শিল্পকর্ম। দেয়ালের নিচের দিকের চুন ক্ষয়ে যেতে শুরু করেছে। এভাবে আর এক মাস কেটে গেলে মিস্ত্রীকে ডাকিয়ে কিছু একটা ব্যবস্থা করতেই হবে। মাঝারী দৈর্ঘ্যের বুকশেলফে ধুলোর আস্তর নিজেদের সপ্রতিভ কায়দায় জানান দিচ্ছে। দশ বছরের পুরনো মেরুন রঙের দেয়ালঘড়িতে বিকাল তখন বেজে চারটা।

শাপলা চত্ত্বরে মানুষের অন্তর্গত প্রবল কোলাহল। একদল উদ্দীপ্ত মানুষের গগনবিদারী মিছিল। মিছিলের দৈর্ঘ্য ক্রমশ বর্ধিত হচ্ছে। এক থেকে তিন, তিন থেকে পাঁচ, পাঁচ থেকে সাত এভাবে পঞ্চাশ পেরিয়ে একশো। একশো ছাপিয়ে দেড়শো। অবিন্যস্ত কেশরাজি কপালের সামনে চলে এসেছে। মুষ্টিতে শরীরের সমগ্র তেজ এসে জড় হয়েছে। মিছিল শাপলা চত্ত্বর থেকে মতিঝিলের স্টেটব্যাঙকের কাছে চলে আসে তপ্ত সূর্যকে সাক্ষী রেখে। ‘স্বৈরাচারের আস্তানা ভেঙ্গে দাও গুঁড়িয়ে দাও’ শ্লোগানে সড়কটি মুখরিত হয়ে উঠে। মিছিলকারীদের গলা শুকিয়ে আসে। পানির জন্য কোথাও থামার কথা কারো মাথায় আসেনা। এই মিছিলকে শিথিল করা চলবেনা। ধীর পায়ে মিছিল সামনের দিকে এগিয়ে যেতে থাকে। সামনে যতো এগিয়ে যাওয়া হচ্ছে কৌতূহল আশঙ্কার মিশ্রণে আগুনের নতুন গন্ধ এসে নিঃশ্বাসে ভাসে। এদিকে পুলিশ জীপগুলো বেশ আগে থেকেই নিজেদের পজিশনে দাঁড়িয়ে প্রস্তুত। মিছিল সেদিকে একবার সন্তর্পণে তাকালো। নিজেদের এগিয়ে চলার গতিকে এখন আর রুদ্ধ করে দেওয়ার প্রশ্নই আসেনা। সতর্ক কুটিল চোখে পুলিশরা ট্রিগারের উপরে নিজেদের অভিজ্ঞ আঙ্গুল রাখে। ‘কি হলো আর কতোক্ষণ এভাবে পড়ে পড়ে ঘুমাবে?’ সাতাশ বছর আগের তেজোদ্দীপ্ত যুবক মোতালেব সাহেব স্ত্রী শিরিনের বিরক্তি মাখা প্রশ্নে পঞ্চান্ন বছর বয়সে প্রত্যাবর্তন করেন। তার প্রৌঢ় বয়সী আঙ্গুলগুলো তখনো যুবক বয়সী যুবকের আঙ্গুলগুলোর মতো কাঁপে। চোখের মণি তীক্ষ্ণ ছোট হয়ে আসে। দেয়ালঘড়িতে আবারো তার চোখ চলে গেলো। চারটা বেজে বিশ মিনিট।

‘উঠি, ধুর এতো দেরী হয়ে গেলো।’ মোতালেব সাহেব কন্ঠে পর্যাপ্ত বিব্রতভাব আনতে চেষ্টা করলেন। বুকের কাছে বাম হাতটি রাখলেন। বাদামী রঙের পাঞ্জাবীর নিচে সাদা রঙের লোমরাজির প্রতিটি কোষে লাল রঙের গর্বিত গোপন আভা। তাকে খুব কম সময়েই কাছে পাওয়া যায়। ডান হাত দিয়ে মুখমন্ডল বুলিয়ে নিলেন। হাতের খসখসে রেখাসমূহে স্পর্শ ভিন্নভাবে অনুভব করলেন। বিছানা থেকে উঠে বসতে বসতে শিরিন চা হাতে নিয়ে হাজির। স্ত্রীর দিকে চোখের সমগ্রতা নিয়ে তাকালেন মোতালেব সাহেব। শিরিনের শরীর ভেঙ্গে গেছে তার ছাপ স্পষ্ট।

শিরিন বরাবরই স্পষ্ট চোখে নিজের ভবিষ্যতের রুপরেখা দেখতে পায়। দূরদৃষ্টির প্রখরতা তার তীব্র বলেই মুরগীর রান কিংবা মাছের মাথা বহুদিন হলো অক্ষম অসহায় স্বামীর পাতের পরিবর্তে দ্রুতগতিতে প্রতিষ্ঠার সিঁড়ির ভাষা পড়তে শেখা বোধশক্তিহীন ছেলের পাতে চলে যায়। খেতে বসার সময়ে কর্মটি সম্পাদনকালে শিরিনের চোখের পাতা এতোটুকুও কেঁপে উঠেনা। স্ত্রীকে গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করতে করতে মোতালেব সাহেব চায়ের কাপে চুমুক দিলেন। হায়রে, মাছের মাথা তো মাছের মাথা তার জন্য বানিয়ে আনা চায়ের ভেতরেও তাদের ছেলে মোরশেদ ডুব দিয়ে আছে। বেশ আগে থেকেই মোতালেব সাহেবের জন্য চায়ে চিনি নিষিদ্ধ। অথচ এখন দিব্যি এই শরবতে চুমুক দিতে হবে। দ্বিতীয়বার চা পাওয়ার সুবিধা বর্তমানে মোরশেদ ছাড়া এই বাড়ির আর কেউই পায়না।

‘চা কেমন হয়েছে?’ শিরিনের কন্ঠস্বর উদাসীন।
‘সবসময় যেমন হয়।’ মোতালেব সাহেব এর অতিরিক্ত সম্প্রসারণে যেতে অনিচ্ছুক।
‘তোমার কথাবার্তা এরকম ত্যাড়াই রয়ে গেলো। সহজভাবে কোন কথা যদি বলেছো কখনো।’ শিরিন ঘুরে দাঁড়িয়ে মুখের রেখাসমূহ বিকৃত করলেন। মোতালেব সাহেবের হাসি আসলো। তার দিকে মুখ করে দাঁড়িয়েই যদি শিরিন বিরক্তি প্রকাশ করতো কিইবা ঘটতো? এই অনাবশ্যক বদান্যতার ভার রুঢ়তার চাইতেও দুঃসহ।

মোতালেব সাহেব এবং শিরিন উভয়কেই সচকিত করে শিরিনের মোবাইল ফোন বেজে উঠলো। ড্রেসিংটেবিলে থেকে ভাইব্রেট করছিলো। ফোন হাতে নিয়ে কলারের নাম দেখের শিরিনের মুখের রেখাগুলো এক মিনিটের মধ্যে ভিন্ন দ্যোতনায় স্থান পরিবর্তন করলো সেই দৃশ্য মোতালেব সাহেবের চোখ এড়ালোনা। প্রথম প্রথম তার ধৈর্য্যচ্যুতি ঘটতো। তীব্রভাবে ফুঁসে উঠতেন। যখন উপলব্ধি করলেন আবেগের এই তীব্রতম বহিঃপ্রকাশ সকল অর্থহীনতাকে অতিক্রম করে যাচ্ছে তারপর থেকে সেই সময়গুলোতে যেন কিছুই দেখেননি এই ভানের খেলায় মেতে উঠেছেন। তার মনে পড়ে কিছুদিন আগেই এক বাল্যবন্ধুর সাথে দেখা হয়ে যাবার পরে কথায় কথায় এক পর্যায়ে তাকে বন্ধুটি বলে উঠেছিলো ‘বৃদ্ধ বয়সে অথর্ব অক্ষমদের একটা মাত্র সঙ্গী থাকে। সেটা হলো ভান। খালি ভান করে যাও যে তুমি কিছু দেখছোনা, আর এই ভনিতা করে যাও যে তোমার সব পাওয়া হয়ে গেছে।’

শিরিন মোবাইল হাতে নিয়ে পাশের ঘরে চলে গেছে। মোতালেব সাহেবের কানে সেই কথোপকথন কোনভাবেই পৌঁছানোর কথা নয়। তবু প্রতিবার তাদের মেয়ে রাজিয়ার ফোন এলেই শিরিন ফোন নিয়ে পাশের ঘরে চলে গিয়ে স্বাভাবিকের চাইতেও মৃদুস্বরে কথা বলতে শুরু করে। মোতালেব সাহেবের প্রায়ই ইচ্ছা করে বিষয়টা নিয়ে স্ত্রীর সাথে ঠাট্টা করতে। ‘নিজের মেয়ের সাথে এমন সুরে কথা বলো যেন সিআইয়ের দুই অফিসার গোপন কোন বিষয় নিয়ে শলাপরামর্শ করছে।’ কিন্তু এই রসিকতা করলে বিপদ আছে। সিআইয়ের অফিসারদের সাথে তাদের মা মেয়ের পার্থক্যের সুদীর্ঘ বিবরণ এবং তার সহজভাবে কিছু নিতে না পারার ব্যর্থতার গতানুগতিক বয়ান শুনতে তার তীব্র অনাগ্রহ বলে কৌতুকের সম্পূর্ণটুকুই নিজের কাছে রেখে দিয়েছেন।

তার সাথে রাজিয়ার বাক্যালাপের বাস্তবতা সম্ভবপরতার এমন এক বিপরীত প্রান্তে চলে গেছে যেখান থেকে প্রত্যাবর্তনের কোন সম্ভাবনাই আর অবশিষ্ট আছে বলে মোতালেব সাহেবের মনে হয়না। সেরকম কোন ইচ্ছাও তিনি অনুভব করেননা। ছেলের সাথে তার সম্পর্ক আজন্মই দূরত্বের। নৈকট্যের সুর যতোটা অনুভব করতেন তার প্রায় সবটুকুই রাজিয়ার সাথে। মোতালেব সাহেবের ধারণা ছিলো উভয়েরই লালিত পালিত মেনে চলা ভ্যালুজগুলোর সামঞ্জস্য সবসময়েই বজায় থাকবে। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ে পা দেওয়ার সাথে সাথে রাজিয়াকে ক্রমশ বদলাতে দেখে প্রথমে হকচকিয়ে গেলেও ঋদ্ধ অভিজ্ঞতালব্ধ নৈর্ব্যক্তিক চোখ দিয়ে বুঝেছিলেন সময় খুব বিশেষ একটা বদলায়নি। এই একবিংশ শতাব্দীতে এসেও জিন্স, টি-শার্ট, উজ্জ্বল রঙ বেরঙের সালওয়ার কামিজের খুব ভেতর থেকে উনিশ শতকের সাংস্কৃতিক জঞ্জাল বেরিয়ে এসে চারপাশের প্রতি বিদ্রুপের হাসি হাসে। মোতালেব সাহেব সেই সময়টায় নিজের মনেই হ্যামলেট আওড়েছিলেন ‘I have to be cruel for only to be kind.’ এক চিহ্নিত অর্থলোভীর সাথে গাটছড়া বেঁধে নিশ্চিত আরামদায়ক জীবনের নেশায় গা ভাসিয়ে দেওয়া রাজিয়ার শেক্সপিয়র উপলব্ধি করার বোধ কিংবা সদিচ্ছা কোনটাই আর অবশিষ্ট ছিলোনা।

শিরিন পুনরায় ঘরে ফিরে এসেছে। চোখে মুখে আনন্দের স্পষ্ট নীলচে আভা। নিশ্চয়ই ফোনে মেয়ে নতুন কোন ইলেক্ট্রিক গ্যাজেট অথবা বিদেশের আসন্ন কোন ট্যুরের কথা আপন জননীকে জানিয়ে তাকে বেহুঁশ করে ফেলেছে।

‘শোনো, অনেক বেলা তো ঘুমালে।এবারে একটু বাজারে যাও। আজকে রাতে মোরশেদের এক কলিগ এসে রাতে খাবে। আমাকে বলেছে গরুর মাংসের ব্যবস্থা করতে।’

মোতালেব সাহেব পুনরায় দেয়ালঘড়ির দিকে চোখ রাখলেন। সাড়ে পাঁচটা বেজে গেছে। ছেলের বাড়ি ফিরবার সময়। অফিস থেকে শুরু করে দশ মিনিট দূরত্বের পথেও নিজের গাড়ি করে যায় আর আসে। তবে সেই গাড়ির গন্তব্যস্থল কখনো বাজার হলে বাংলাদেশ সমুদ্রগর্ভের নিচে তলিয়ে যেতে পারে সেই সম্ভাব্যতার কথা মাথায় রেখে মোতালেব সাহেব বিনাপ্রশ্নে বিছানা ছেড়ে উঠেন। আজকের আবহাওয়া হাঁটবার জন্য চমৎকার। বেশ মৃদুমন্দ বাতাস দিচ্ছে। পরিষ্কার আকাশ তার উপরে ছাই রঙা মেঘ মহিমান্বিত হয়ে ক্রমশ ভেসে চলেছে। মোতালেব সাহেব স্যান্ডেলজোড়া পায়ে গলিয়ে নিলেন।

নিচে নামতেই তার মনে হলো যেন পুরনো কোন বন্ধু এসে তাকে ডাক দিলেই এক পোশাকে সোজা মতিঝিলে ছুটে যাবেন। নিজেকে বহু আগে হারিয়ে ফেলা স্টেটব্যাঙ্কের সামনে চোখ বন্ধ করে দুই মিনিট দাঁড়াবেন। সেখান থেকে একটু হাঁটলেই দিলকুশা। তার পায়ের কদম আরো সাবলীল হলে পুরনো পল্টন। রেস্টুরেন্টগুলোর যে কোন একটায় বসে পড়লেই রুপচাঁদা মাছ, সাথে দুই প্লেট গরম ভাত। সাথে এক টুকরা কাগজীলেবু। মোতালেব সাহেবের জিভ অতীত স্মৃতি রোমন্থনে সাড়া দেয়। তার পায়ের থেকে দুই গজ সামনে এসে একটি উজ্জ্বল সাদা গাড়ি এসে থামলে অতীত পুনরায় নিজ খোলসে প্রবেশ করে। গাড়ি থেকে পাঁচ ফুট আট ইঞ্চি, শার্ট-প্যান্টের রঙের বেমানান কম্বিনেশনে হালকা শ্যামলা বর্ণের যেই আদমসন্তানের সাথে মোতালেব সাহেবের স্পষ্ট চোখাচোখি হলো সেটা না হলে কি ক্ষতি ছিলো? মোতালেব সাহেবের চোখ থেকে সেই প্রাণী নিজের চোখ সরিয়ে নিলো। মোতালেব সাহেবও তাই করলেন। উভয়ের দৃষ্টিতেই অবজ্ঞার বলিষ্ঠ ছাপ। প্রথমজনের দৃষ্টিতে অক্ষম গড়পড়তা পিতার প্রতি চর্বির মতো জমে যাওয়া শ্লেষ। দ্বিতীয়জনের চাহনীতে নিজের অন্তঃসারশূন্য, মেরুদন্ডহীন পুত্রের প্রতি অনতিক্রম্য বিবমিষা।

মোতালেব সাহেব হাঁটতে হাঁটতে প্রধান সড়কে আসলেন। ফুটপাথের কাছ ঘেঁষে হাঁটলে নিরাপদ। এখনো তার চলাফেরার গতি যথেষ্টই দ্রুত। বিয়ের পরে প্রথম প্রথম শিরিন তাকে ধমকে ধমক্রে ধীরে হাঁটতে এক প্রকারের বাধ্য করতো। সড়কের দুই পাশেই গাছগাছালী। তারই কোন একটা থেকে দুইটি কাঠগোলাপ এসে মোতালেব সাহেবের মাথায় এসে মাটিতে পড়লো। তিনি মাটির দিকে ঝুঁকলে কোমরে একটা পুরনো ব্যথা চিনচিন করে উঠলো। তিনি তাদের একটিকে তুলে নিলেন। আকাশ হালকা মেঘলা, নতুন কিছুর সাথে পরিচিত হচ্ছেন এমন শিশুসুলভ পুলক, সংকটাপূর্ণ সংঘাতময় সময়, মিছিল-মিটিং, রাজনৈতিক পরিচয়ের সূত্রে পরিচিত হওয়া বন্ধুদের সাথে সমগ্র ক্যাম্পাস দাঁপিয়ে বেড়ানো, পুলিশের লাঠি টিয়ার গ্যাস থেকে পালিয়ে দৌড়ে যেতে যেতে কাঠগোলাপের উপরে পা মাড়িয়ে ফেললে দুঃখিত হয়ে এক সেকেন্ড তার দিকে তাকানো……তিন ফুট দূরত্বে রিকশার টুংটাং বেলের শব্দে বিগত অতীতের ফুলকে মোতালেব সাহেবের হাতে থাকা কাঠগোলাপটি প্রতিস্থাপিত করে। মোতালেব সাহেব চমকে উঠতে উঠতেই তার চোখের সামনে দিয়ে এক জোড়া যুগলকে নিয়ে রিকশাটি বেরিয়ে যায়। মেয়েটির পরনে হালকা সাদা সালওয়ার কামিজ। রাজিয়ার আদলের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ। তখন মোতালেব সাহেবের হাতে থাকা কাঠগোলাপটি তার শক্ত হাতের তালুর মধ্যে পিষ্ট হতে আরম্ভ করে।


মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ২:৪১

বাংলার ফেসবুক বলেছেন: অনেক সুন্দর পোষ্ট। পড়ে ভাল লাগলে । ভাল লাগা রেখে গেলাম @ ধন্যবাদ।

২| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ ভোর ৪:০০

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: চমৎকার লেখনী। লেখা টানার ক্ষমতাও অসাধারণ। ভাল লাগলো। লেখার থেকে বেশি ভাল লাগলো আপনার লেখনীটা। :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.