নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভারসাম্য মাত্রই কৃতিত্ব নয় ।

আল - বিরুনী প্রমিথ

আল - বিরুনী প্রমিথ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভবিষ্যৎ আমলা

১০ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:১২

সকাল সাড়ে নয়টায় পরীক্ষা শুরু হবে। পৌনে আটটার সময়ে শাহবাগে এসেও যদি বাসের জন্য দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে হয় তাহলে কিভাবে কি? জানুয়ারীর প্রথম সপ্তাহ। এবারে শীত তেমন পড়েনি বলা চলে। তবু সকালে ঠান্ডা হিমেল হাওয়া যতোটুকু থাকলে শরীরের প্রতিটি অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সিঁটিয়ে থাকে সেই শীতলতার অনুভূতি স্পষ্ট।

অবশেষে বাস চলে আসে। তীক্ষ্ণ চোখমুখের, হালকা গড়নের, মাথার চুল দুইভাগে সিঁথি করে আচড়ানো অল্পবয়সী হেল্পারের উচ্চকিত কন্ঠ সাঈদের কানে এসে ধাক্কা খায়। “এই কাওরানবাজার, ফার্মগেট, কল্যাণপুর, টেকনিকাল, গাবতলী।” মিনিট দুয়েক যাবত বাসস্টপে অপেক্ষারত যাত্রীদের উদ্দেশ্যে হেঁড়ে গলার আহ্বান অবিরাম চলতেই থাকে। এই সময়টা অপরের প্রতি ঔদার্য প্রদর্শনের না। বাসে উঠবার আকাঙ্খা পোষণ করা অন্য যাত্রীদের সাথে তাই এক প্রকারের কুস্তি করেই সাঈদ নিজের তড়িৎ রিফ্লেক্সের যথাযথ ব্যবহারে দ্রুতগতিতে উঠে পড়ে। পরীক্ষার আইডেন্টিটি কার্ডটা হাত থেকে প্রায় পড়েই যাচ্ছিলো। কোনভাবে তাকে সামলে নিয়ে সে একেবারে পিছনের দিকে চলে যায়। সামনে নূন্যতম দাঁড়িয়ে থাকবার জায়গাটুকুও নেই। এই দুঃসহ ভীড়ের মাঝে পিছনে যে গায়ে বাতাস লাগিয়ে গন্তব্যের উদ্দেশ্যে যেতে পারবে এমন কিছু নয়। তবুও সুযোগ পেলেই একটা সিট জুটে যাবার সম্ভাবনা পিছনেই অপেক্ষাকৃতভাবে বেশী।

হ্যান্ডেলে হাত ঝুলিয়ে দাঁড়াতে দাঁড়াতে বাসের জানালার বাইরে সাঈদের চোখ চলে যায়। চলমান রাস্তার ভেতর দিয়ে যেতে যেতেই চাকরীর জন্য আবেদনের একটি পোস্টারের দিকে তার চোখজোড়া নিবিষ্ট হয়। এক পলকে যতোদূর দেখতে পেলো তাতে আবেদনপ্রার্থীর যোগ্যতা হিসাবে অত্যন্ত সাধারণ কিছু শর্ত দেওয়া আছে। স্নাতক, কম্পিউটার সম্পর্কে বেসিক জানাশোনা, ইংরেজী ভাষায় দক্ষতা ইত্যাদি। জেমস জয়েস যেন কোন শতকের সাহিত্যিক ছিলেন? আঠারোশো নাকি উনিশশো? ওরাকল গাইডের দুইশো তিন নাম্বার পৃষ্ঠায় প্রশ্নটি ছিলো। পৃষ্ঠা নাম্বার সাঈদের স্পষ্ট মনে আছে কিন্তু এই মুহূর্তে তার মগজ উত্তরটার নাগাল পায়না। এদিকে পেছনে এক বয়স্ক লোক নিজের একগাদা পুটলী নিয়ে বাসে উঠেছিলো, এক যাত্রী বাস থেকে নামতে গিয়ে তার কোন একটা পুটলীতে পাড়া দিয়ে জায়গাটি অতিক্রম করেছে তাই নিয়ে বুড়ো হইচই জুড়ে দিয়েছে। জেমস জয়েসের কারনে অতিষ্ঠ সাঈদ নিজেকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে বুড়োর দিকে ভালো করে তাকালো। চিমসা মেরে যাওয়া মুখ, থ্যাবড়ানো থোতা, তার নিচে কিছু পাকা দাঁড়ি এই কোলাহলের মাঝেও নিজেদের অস্তিত্ব সাবলীলভাবে প্রকাশ করছে। সাঈদ বুড়োর দিকে তাকাতে তাকাতে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললো। জয়েস সাহেবের উত্তর পাওয়া গেছে। তার জীবন অমর হোক। আজকে রাস্তা বেশ ফাঁকাই দেখা যায়। দেখতে না দেখতেই বাস ফার্মগেটের সামনে চলে এসেছে। সাঈদ হৃষ্টচিত্তে হ্যান্ডেলে বাদুড়ঝোলা হয়ে ঝুলতে থাকে।

“ভাই, আমি মালয়েশিয়াতে পাঁচ বছর চাকরী করছি। দুই বছর আগে চাকরী চইলা গেলে তারপরে আবারো দেশে ফিরে আসছি। খুব ভয়ে ছিলাম ভাই বুঝছেন, বাংলাদেশের যেই অবস্থা। মালয়েশিয়াতে তো আর যাই হোক যখন তখন জান চইলা যাবার ভয় নাই। কিন্তু বাংলাদেশে ফিরা আসার পরে আল্লাহর রহমতে ভালোই আছি।” আল্লাহর রহমতের সন্তুষ্টি নাকি অতীতে মালয়েশিয়ার অভিবাসী ছিলো সেটা কৌশলে সবাইকে জানিয়ে দেওয়ার চালবাজি কিনা কে জানে। বক্তার দিকে সাঈদ লক্ষ্য করতে করতে মালয়েশিয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রীর নাম স্মরণ করবার চেষ্টা করলো। তার হলের সবচেয়ে বড়ভাই, ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের ছাত্রসংগঠনের নেতা জয়নাল ভাইয়ের সাথে আলাপে আলাপে কিছুদিন আগেই নামটা সাঈদ জানতে পেরেছিলো। জয়নাল ভাইয়ের ঈর্ষনীয় স্বাস্থ্য, কন্ঠটাও ভরাট। হল পলিটিক্স থেকে শুরু করে স্মার্ট ভঙ্গির কথাবার্তায় নারীদের কাত করে দেওয়া কিসে তার ব্যুৎপত্তি নেই? খালি গায়ে কাঁধের উপরে হালকা লাল রঙের গামছাটা ঝুলিয়ে জয়নাল ভাই যখন গোসল করতে যায় সমবয়সী, কণিষ্ঠদের অনেকেই তার দিকে মুগ্ধ চোখে চেয়ে চেয়ে দেখে। জয়নাল ভাই গতোবারের বিসিএস পরীক্ষায় ভাইভা দেওয়ার পরে এখন রেজাল্টের অপেক্ষায়। প্রশাসনে তার না হয়ে যায়ই না। উঠতে বসতে শেখ মুজিবর রহমানের মুখ নিঃসৃত বাণী আওড়াতে থাকে, রাজশাহীর আম খেতে খেতেও আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করার আগে মুজিবের নাম নেয় এই দৃশ্য তো সাঈদসহ অনেকেই দেখেছে। ছয় দফার দাবীগুলো কি কি ছিলো তা জিজ্ঞেস করলে জয়নাল ভাইয়ের সাবলীলতা বেশ হুমকির মুখে পড়ে বৈকি তবে ভাইভায় নাকি সে যাকে বলে একেবারে ফাটিয়ে দিয়েছে। তাছাড়া জয়নাল ভাইয়ের পলিটিকাল কানেকশন অনেক শক্ত। কার ঘাড়ে কয়টা মাথা তার সাফল্য ঠেকায়? সাঈদের শরীর প্রবলভাবে আলোড়িত হয়। একবার, খালি একবার তার ভালো কিছু একটা হয়ে যাক। আল্লাহ তার দিকে মুখ তুলে চেয়ে দেখুক। তারপরে সেও পরিচিত সবাইকে দেখিয়ে দেবে সাঈদ কি জিনিস। বড়সড় একটি ঘরে নিঁখুতভাবে পরা শার্টপ্যান্টে অফিস ডেস্কে বসে থাকা জাঁদরেল অফিসার সাঈদ আহমেদের ডান হাত সুনিপুণভাবে টেবিলের তলায় কিংবা হাসতে হাসতে টেবিল থেকে তার জন্য জনৈক সাহায্যপ্রার্থীর ভালোবেসে দেওয়া রাজশাহীর আম অথবা বগুড়ার দইয়ের প্যাকেট সে হাতে নিচ্ছে……সাঈদ শিহরিত হয়ে উঠে। “ভাই ভাড়াটা দিলেন না।” তার কপালে ডাবল ভাঁজ দেখা যায়। একেবারে শরীরের নিকটে এসে হেল্পারের কন্ঠস্বরের প্রাবল্যে সাঈদ নিস্তব্ধ ঘরে টেনেহিঁচড়ে চেয়ার টেনে নেওয়ার শব্দ শুনেছে এমনটা অনুভব করে। তার হাতের রুগ্ন পেশীগুলো যতোটা সম্ভব প্রসারিত হয়। মাদারচোতটাকে একটা কষে থাবড়া দিয়ে বসবে নাকি? শালা কানের বারোটা বাজিয়ে দিলো। থাক, এইসব হুজ্জোতের কোন মানে হয়না। চুদির ভাইটা বিস্মৃত হওয়া মালয়েশিয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রী হলেই না চড় দেওয়ার একটা অর্থ ছিলো। সাঈদ পকেট থেকে দশ টাকার একটা নোট বের করতে করতে অনুভব করে তার হাতের আঙ্গুলগুলো এই সময়ের মধ্যেই বেশ খানিকটা ফ্লেক্সিবল হয়ে উঠেছে।

এক হাত হ্যান্ডেলে শক্ত করে ধরে রেখে আরেক হাতে চোখটা নামিয়ে সাইদ ঘড়ির দিকে তাকায়। এখনো মাত্র সাড়ে আটটা বাজে। “এই টেকনিক্যাল, টেকনিক্যাল”, এই প্রথম হেল্পারের কন্ঠস্বর সাঈদের কাছে অত্যন্ত মধুর শোনায়। বাস ড্রাইভারটাকে যদি একটা চুমু খেতে পারতো। হৃষ্টচিত্তে নামতে নামতে পিছনের মানুষজনের ধাক্কায় সাঈদ হুড়মুড় করে পড়তে পড়তে নিজেকে সামলে নেয়। আরেকটু হলেই পা পিছলে আলুর দম হতে পারতো। টেকনিক্যালে তাকে একাকী নামিয়ে গাবতলীগামী বাসটি হুশ করে ব্যস্ত সড়কটিকে হুঁশিয়ার সাবধান করে দ্রুতগতিতে বেরিয়ে যায়। ঘড়ির দিকে সাঈদ আরেকবার তাকিয়ে দেখে। শালার, নামতে নামতেই মনে হয় তিন মিনিট চলে গেলো। আটটা বেজে তেত্রিশ মিনিট হয়েছে। মীরপুর ১ এর মাজারে যেতে খুব বেশী হলেও পনেরো মিনিটের বেশী লাগবেনা। চল্লিশ টাকার রিকশাভাড়া, কিন্তু সাঈদ রিকশাওয়ালার পঞ্চাশ টাকার ভাড়ার আবদারেই রাজি হয়ে যায়। বুড়ো রিকশাওয়ালা প্যাডেলে ধীরস্থির পা জোড়া চালাতে আরম্ভ করে।

কর্দমাক্ত রাস্তা পেরিয়ে যেই মাজার দেখা যায় তার সামনে বিশাল কাঁচাবাজার। সেই কাঁচাবাজারে কীই না বিক্রি করা হয়? শাকসবজি থেকে শুরু করে ফলমূল অব্দি সবই সেখানে বিক্রয়যোগ্য। পথচারীরা প্রচন্ড ভীড়ের মধ্যে সেই কাঁচাবাজার পেরোয়। হাঁটবার মতো জায়গাই ঠিকভাবে পায়না, অপরকে আরাম করে হাঁটবার সুযোগ করে দেবে সেই আশায় গুড়েবালি। পায়ের নিচে যেই পিচ্ছিল পথ সেখানে হাঁটতে হাঁটতে পথচারীরা নিজেদের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পিছলে পড়বার উপক্রম করে। কিন্তু পড়ে যাবার মতো জায়গাটুকুও অবশিষ্ট নেই বলে অন্যদের সাথে ধাক্কায় নিজেকে সটান দাঁড়িয়ে রাখতে পারে। মাজারের অনুসারীরা দাঁত খিলাল করতে করতে চারপাশে তীক্ষ্ণ চোখে চেয়ে দেখে। পরনে গোল টুপি, হালকা রঙের লুঙ্গি, ঊর্ধ্বাংশে আধময়লা জামা। সামনে দিয়ে কোন নারী পথচারী হেঁটে গেলে মাজারের খাদেম তো কোন ছার স্বয়ং আল্লাহতায়ালার পক্ষেও সম্ভব হয়না আগত সেই নারীর বুকের থেকে মাজারের অনুসারীদের দৃষ্টি সরাতে। দুইজন অনুসারীর মাথায় উকুনের আধিপত্য প্রবলভাবে বিস্তার করে বলে নারীদের স্তন দেখবার আনন্দ থেকে মনোযোগ সরিয়ে তাদের বাজারের সবজির পাশেই মাথা ঝাঁকিয়ে, অতঃপর সেখানেই উকুন বাছতে দেখা যায়। উকুন সবজির উপরে পড়ে নাকি দুর্গন্ধযুক্ত ভেজা রাস্তার উপরে তা বোঝা যায়না।

কাঁচাবাজার পেরোতে পেরোতে বেশ ঝামেলা পোহাতে হয়। কারণ হাঁটবার স্থান এখানেও অত্যন্ত সংকুচিত। তার উপরে বৃষ্টিবিহীন এই শীতের মাঝেও প্যাচপ্যাচে কাঁদায় নিজেকে সামলে নিয়ে সাবলীলভাবে হেঁটে চলাটা পাহাড় ঠেলার সমতুল্য। বাজারের আঙ্গিনা পেরিয়ে এলে চারপাশের ঘিঞ্জি সব দোকান এবং সেই স্থানে চলাচলকারীদের দিকে চেয়ে দেখলে নূন্যতম আরাম কি বিলাসের কল্পনাও নানাবিধ গন্ধে বিষিয়ে উঠা রুক্ষ হাওয়ায় মিলিয়ে যায়। দুই কি তিনটি চালের আড়তের দোকানে অগুণতি চালের বস্তা এলোপাথাড়িভাবে পরস্পর সাজানো। একটি চালের বস্তা সামান্য খোলা বলে সেখানে বীরদর্পে চলাচল করতে থাকা পোকাদের অস্তিত্ব স্পষ্টতই দৃশ্যমান। আড়তের সেই দোকানগুলোর সামনে ছয় থেকে সাতটি খাঁচা পাশাপাশি সাজানো। তার মধ্যে অস্থিরচিত্তে বিচরণ করতে থাকা কবুতর এবং টিয়াদের দিকে দৃষ্টি চলে গেলে হাঁটতে গিয়ে অপরিসীম কৌতূহল নিয়ে একটুখানি থমকে দাঁড়ানো পথচারীরা সেই বন্দী পাখিদের দিকে চেয়ে চেয়ে হাসে। কেউ একজন আশি গজ পশ্চীমে নিজের ঝাঁকাভর্তি মুরগি নিয়ে ভ্যানে করে যাচ্ছিলো। হঠাৎ একটি মুরগী বিদ্রোহ করে বসায় তাকে ধরতে সেই ব্যস্ত রাস্তার মাঝেই দুই থেকে তিনজন পূর্ণবয়স্ক মানুষ বাচ্চা ছেলের আগ্রহ নিয়ে ভ্যান, ভ্যানের থেকে একটু দূরত্বে থাকা টঙের দোকানের আশেপাশে ছোটাছুটি করে। অবশেষে মুরগীটিকে তাদের একজন ধরতে সক্ষম হলে ঝাঁকাভর্তি মুরগীসহ ভ্যানটি অদৃশ্য হয়ে যায়।

খাঁচাভর্তি কবুতর এবং টিয়া পাখির সামনে যেই জটলা সেটা ধীরে ধীরে পাতলা হতে থাকে। তার সামনে স্কুলের গেটে বিসিএস পরীক্ষার জন্য আগতরা ধীরে ধীরে এসে জড় হয়। দারোয়ান প্রত্যেকের দিকে বিরক্তমুখে চেয়ে থাকে নিষ্পলক। পরীক্ষার্থীদের সাথে আগত তাদের অভিভাবকেরা এই সুযোগে নিজেদের মধ্যে দেশের হালহকিকত নিয়ে আলাপ জুড়ে দিয়েছে। বিশাল শব্দে ঘন্টা বাজলে মাজার, মাজারের পাশের কাঁচাবাজার, কাঁচাবাজারের চারপাশে থাকা দুর্গন্ধযুক্ত রাস্তা, মাথার উকুন বাছতে ব্যস্ত মাজারের অনুসারীগণ, খাঁচাবন্দী কবুতর ও টিয়া, স্থির হয়ে বসে থাকা কিছু ভ্যান, রাস্তায় চলাচল করতে থাকা পথচারী, চালের আড়তের দোকানদার, চালের বস্তায় বিচরণ করতে থাকা পোকাসমূহ প্রত্যেককে সচকিত এবং সচেতন করে সাঈদসহ ভবিষ্যৎকালের সম্ভাব্য আমলাগণ নিজেদের মেধা যাচাইয়ের অগ্নিপরীক্ষা দিতে গেটের ভেতরে প্রবেশ করে।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:০৪

রানা আমান বলেছেন: একমাত্র মানিক বন্দোপধ্যায় এই স্টাইলে লিখতেন (আমার জানামতে )।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.