নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভারসাম্য মাত্রই কৃতিত্ব নয় ।

আল - বিরুনী প্রমিথ

আল - বিরুনী প্রমিথ › বিস্তারিত পোস্টঃ

উইঙস অব ফায়ার অথবা গতানুগতিকতার গল্প

২১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:২৬

ঘটনার সূত্রপাত বলে একটি কথা আছে। আমরা বিভিন্ন ঘটনাকে বিস্তারিতভাবে বলতে আরম্ভ করলে কি লিখতে শুরু করলে সচরাচর যেই বিন্দু থেকে বলতে শুরু করি সেই বিন্দুকেই মনে করি ঘটনার সূত্রপাত। পত্রপত্রিকাতেও যে কোন ঘটনার বিবরণে কথাটি ব্যবহৃত হয়। ধারাবাহিকভাবে। একঘেঁয়েমীর সিঁড়িতে পা রেখে।

পারস্পরিক সম্পর্কহীনতার মাঝে অবগাহন করে আমরা এভাবেই যে কোন ঘটনাকে পরস্পর সম্পর্কযুক্তভাবে ব্যাখ্যা করছি এই ভ্রমে আক্রান্ত হই। শব্দটির একটি চমৎকার ইংরেজী প্রতিশব্দ আছে। ইলিউশন। বাংলায় লিখতে এক ধরণের অদ্ভুত আনন্দ হয়। উচ্চারণ করতেও। এর অন্তর্নিহিত উৎস দুইশো বছরের ঔপনিবেশিক শাসন কিনা তা বিচার করার দায় বলি কি ক্ষমতা বলি আছে কেবলমাত্র বিজ্ঞজনের। দুই হাজার ষোলো সালের জানুয়ারী মাসের উনিশ তারিখে সৌরভের সাথে যা ঘটেছিলো সেই ঘটনাটির আপাত সূত্রপাত, যেই বিন্দুকে আমরা প্রকৃত প্রস্তাবের সূত্রপাত হিসাবে দেখলে নিজেদের বাগ্নিতা, প্রজ্ঞা, বর্ণনাক্ষমতা সবকিছুর ব্যাপারে সহজেই গর্বিত হতে পারবো তা হলো সেদিন দুপুরে সৌরভের কর্মস্থল। গতানুগতিক, প্রাত্যহিকতার বাইরে যেই দিবসটি যেতে চায়নি কি যায়নি সেই দিনের দুপুরবেলাতে সৌরভ তার সহকর্মীদের সাথে তীব্র আলাপচারীতায় মেতে উঠেছিলো। যেহেতু সৌরভ প্রাইভেট অফিসে চাকরী করে অতএব কাজের সময়ে গপ্পো করার ঝুঁকি সঙ্গত কারনেই তার কিংবা তার সহকর্মীদের কারো পক্ষেই নেওয়া সম্ভব হয়না। সেই বাধার কারনে দুপুরে এক ঘন্টার যেই লাঞ্চ আওয়ার থাকে সেই সময়টায় অফিসের কর্মরতরা নিজের মতো করে সহকর্মীদের সাথে আড্ডায় মেতে উঠে। অফিসে সেই একটি ঘন্টাতেই কর্মরতরা প্রকৃতার্থে নিজেদের সত্তাকে কোন মুখোশের আড়ালে ঢেকে রাখেনা। তারা প্রাণখুলে নিজেদের প্রকাশ করে। দুই হাজার ষোলো সালের জানুয়ারী মাসের উনিশ তারিখের মনমরা দুপুরে সৌরভের এক সহকর্মী রাজু বিশ্বরাজনীতি নিয়ে মেতে উঠতে অনুপ্রেরণা পেলে সে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে নিজের অর্জিত, উপলব্ধি করা জ্ঞানের সমগ্র তার সহকর্মীদের কাছে ঢেলে দিতে উদগ্রীব হয়। চৌত্রিশ বছরের রাজু, যে কিনা সদ্যই এক সন্তানের পিতা হয়েছে সে বিশ্বরাজনীতি নিয়ে কথা বলতে বলতে তার সাপেক্ষে বাংলাদেশের ভবিষ্যত নিয়ে ভবিষ্যৎবাণী করে। শ্রোতাদের কেউ কিছু না বললেও আমরা সহজেই ধরে নিতে পারি যে তারা সহকর্মীর প্রতিটি কথায় বিরক্তি পোষণ করে। কেউ কেউ হয়তো পরবর্তী সময়ে বাঙ্গালীর স্বভাবজাত বৈশিষ্ট্যানুযায়ী রাজুকে আঁতেলও বলে থাকবে। কিন্তু সৌরভের সহকর্মীদের মধ্যকার আলাপ তাই বলে সেখানেই শেষ হয়ে যায়না। অত্যন্ত স্বাভাবিকতার মধ্যেই তাদের মধ্যকার আলাপ এক বিষয় থেকে অন্য বিষয়ে চলে যায়। কিন্তু ঠিকই প্রত্যেকে নিজেদের স্বতঃস্ফূর্তভাবে প্রকাশ করতে সমর্থ হয়। সৌরভ মাঝেমাঝে অন্যরা কথা বলতে বলতে ক্লান্ত হয়ে গেলে নির্বাকতার যেই ভ্যাকুয়াম তৈরী হয় সেই সময়ে দুই একটা কথা বলে নিজের অংশগ্রহনের বিষয়টিকে পোক্ত করার সাথে সাথে নিস্তব্ধতার ভ্যাকুয়ামকে পূরণ করতেও সহায়তা করে।

এই কথোপকথনের বিষয়টি নেহায়েতই তুচ্ছ, আর আট দশদিনের কথা চালাচালির মতোই অনুল্লেখযোগ্য থেকে যেতে পারতো। কিন্তু সেটা হয়নি কারন কথোপকথনের সেই সময়টুকুতে সৌরভের চোখে বারবার তার পিতার ছবি ভেসে আসছিলো। বলে রাখা দরকার সেই জনকের কথাই সৌরভের মানসপটে বারবার ভেসে আসছিলো যিনি সৌরভের দুই বছর বয়স থাকতে সৌরভকে এবং নিজেদের স্ত্রীকে ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন। সঙ্গত কারনেই প্রশ্ন আসতে পারে একটি সাধারণ, গতানুগতিক মধ্যাহ্নে হঠাৎ করে অনেক বছর আগে তাকে এবং তার মাকে ছেড়ে যাওয়া সেই পলায়নপর লোকটিকে সৌরভের হঠাৎ করে কেন মনে পড়বে। আমরা যদি এই নেহায়েতই তাৎপর্য্যহীন, ইতিহাসের সাপেক্ষে নিতান্তই হালকা একটি ঘটনা সম্পর্কে কৌতূহলী হয়ে উঠি তবে জানতে পারবো দুই হাজার ষোলো সালের জানুয়ারী মাসের আঠারো তারিখ রাতে মীরপুর দশ নাম্বারে, ছয় নাম্বার বাজারের দক্ষিণ পার্শ্বে স্যাঁতস্যাঁতে হলুদ রঙের বিল্ডিঙের তিন তলায় যেই ছোট একটি ফ্ল্যাট আছে তার একটি ঘর থেকে সৌরভ তার জননীর চাপা কান্নার শব্দ শোনে। সেই অভিজ্ঞতার সাথে অনেকদিন পরে পুনরায় পরিচয়ের পর সে প্রাণপনে চেষ্টা করে দুই চোখের মাঝে ঘুমকে আমন্ত্রণ জানাতে। নিদ্রা সেই আহ্বান গ্রহণ করে ঠিকই তবে সংশ্লিষ্ট অভিজ্ঞতার থেকে সৌরভকে চিরতরে নিষ্কৃতি দেয়না। এই সত্য সৌরভসহ আমরা আবিষ্কার করি তার পরেরদিন মধ্যাহ্নে যখন সহকর্মীদের মধ্যকার দৈনন্দিন লাঞ্চ আওয়ারের আড্ডার মাঝেও তাকে সুদূর অতীতে ছেড়ে যাওয়া পিতার কথা সৌরভের মনে পড়তে থাকে।

সেই দিন অফিস ছুটির পরে সৌরভ বাড়ি ফেরার পথে মনঃস্থির করে তার দৈনন্দিন গন্তব্যস্থলে ফিরে যাবার আগে সে বইয়ের দোকান ঘুরে যাবে। দুপুরবেলায় আড্ডার শেষেরদিকে সৌরভের সহকর্মী রাজু এপিযে আব্দুল কালামের ‘উইঙস অব ফায়ার’ বইটির কথা অত্যন্ত জোরগলায় বলছিলো। সৌরভ লক্ষ্য করেছিলো বইটির কথা বলতে বলতে রাজুর মুখে এক ধরণের আভা দেখা যায়, যার সাথে সচরাচর নিত্যদিনের সংস্পর্শ সামান্যই। সৌরভ ততোমধ্যে হাঁটতে হাঁটতে মীরপুর দশ নাম্বারের ওভারব্রিজের কাছাকাছি চলে আসে।

ফুটপাথের দুইপাশে শার্ট, জুতা ও মুজার দোকান। হালকা নীল শার্ট পরিহিত এক ভদ্রলোক বিক্রেতার সাথে এক জোড়া মুজার দাম ষাট টাকায় কেনার মরনপণ লড়াইয়ে ব্যস্ত। সামনে এগোলে ওভারব্রিজ। সিঁড়িগুলো বেশ ছোট বলে প্রতিটি পা সাবধানে ফেলতে হয়। ওভারব্রিজের উপর থেকে ফায়ার সার্ভিসের ভেতরকার নিরিবিলি পরিবেশ চাক্ষুষ করা যায়। ওভারব্রিজ থেকে নেমে আসলে ফুটপাথের এক পাশে বাস কাউন্টার, সারি সারি বই, শু এর খোলা দোকান । একটি শু এর দোকানের বিক্রেতা তার পাশের দোকানের বিক্রেতাকে উদ্দেশ্য করে অজানা কারনে বলে উঠে, “শুইনা মেজাজটাই হট হইয়া গেলো।” অন্য পাশে বাদামবিক্রেতা, আমড়াবিক্রেতা, চানাচুরবিক্রেতা নির্লিপ্ত মুখে কাস্টমারের আশায় বকের মতো দাঁড়িয়ে আছে। চানাচুরের পাশে বেশ কিছু ঠোঙ্গা এবং নিঁখুতভাবে কাটা সালাদ দেখা যায়। বাস কাউন্টার অপেক্ষারত লোকজনে ভর্তি। নানা কসরত করে সেই জায়গা পার হতে হয়। কাউন্টারের ডান পাশে পাকা আমড়া খেতে খেতে একজোড়া অল্পবয়সী যুগল গতোকালকে কেন রাতে তাদের মধ্যে ফোনে কথা হয়নি সেই অতি গুরুত্ববাহী বিষয় নিয়ে পরস্পরের সাথে ঝগড়ায় মত্ত। তাদের ঠিক সামনেই এক মধ্যবয়সী ভদ্রলোক মোবাইলে একজনকে তার অসুস্থ শ্বশুরের অসুস্থতার বিবরণ দিতে এবং চারপাশের পথচারীদের প্রত্যেককে জানিয়ে দিতে আগ্রহী। ফুটপাথ থেকে নেমে ডানে পা রাখলেই পরপর দুইটি আকিক পরিবহনের বাস এসে থামে। বাসের হেলপার মিরপুর ১, মিরপুর ২, কালশী, বাড্ডাতে যেতে আগ্রহী যাত্রীদের তারস্বরে ডাকে।

অপেক্ষারত বাঙ্গালী যাত্রীদের একাংশ কালশীর নাম শুনে বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে সেই ডাকে সাড়া দেয়। খোলা শার্টের দোকানদার একগাধা শার্ট খোলা অবস্থায় রেখে “৪০০ টাকার শার্ট ২০০ টাকা, ৪০০ টাকার শার্ট ২০০ টাকা” কথাটির ধারাবাহিক পুনরাবৃত্তি করে যায়। সাদা-কালো স্ট্রাইপের শার্ট পরিহিত একজন পথচারী একটি গাঢ় নীল রঙের শার্টের ক্রেতা হতে আগ্রহী হলে সেই নাছোড়বান্দা দোকানদার শার্টটির মাঝখানের বামদিকের যেই জায়গাটিতে একটি ফুটা রয়েছে তাকে ঢেকে দিতে কৌশলে সেই অংশের উপরে নিজের আঙ্গুল রেখে দিয়ে ক্রেতাকে সানন্দে শার্টটির গুনাগুণ সম্পর্কে অবহিত করতে আরম্ভ করে। তার বিপরীত পার্শ্বে সারি সারি বইয়ের খোলা দোকানগুলো গুছিয়ে সাজানো। মেডিকেল সেক্স গাইডের সাথে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের রচনাবলী যেখানে পাশাপাশি অবস্থান করেনা। একটু থমকে মনোযোগ দিয়ে দাঁড়িয়ে দেখলে দেখতে পাওয়া যায় সমরেশ মজুমদারের রচনাবলী থেকে শুরু করে বিভূতিভূষণের রচনাবলী পর্যন্ত সব ধরণের বইই সেই দোকানে নিজেদের অস্তিত্ব রেখেছে। কাস্টমারবিহীন একটি দোকানের খোঁচা খোঁচা দাঁড়ি সম্বলিত চিকন ফ্রেমের চশমা পরিহিত বিক্রেতাকে দেখতে পাওয়া যায় বইয়ের সারি থেকে তারাশঙ্করের রচনাসমগ্র নামিয়ে কোন একটি উপন্যাসের পাতা উল্টাতে। সেই সময়ে দোকানটির সামনে একজন উৎসুক ক্রেতা এসে দাঁড়ালে মৃদু স্বরে বিক্রেতাকে কিছু বলে। বিক্রেতা উত্তরে সরব হয়, “কেউ কিনুক কি না কিনুক আমি আমার দোকানে মানিক আর তারাশঙ্করের বই সবসময় রাখি।”

সৌরভ ধীরপায়ে সেই দোকানের সামনে এসে দাঁড়ায় কেননা মানিক বন্দোপাধ্যায়ের রচনাসমগের ঠিক উপরে কমলা-কালো রঙের কম্বিনেশনের কভারটি দেখা যায় যার উপরে ‘উইঙস অব ফায়ার’ কথাটি এই বিবর্ণ, প্রাণহীন বর্তমানেও জ্বলজ্বল করতে থাকে। ঠিক তার নিচেই এপিজ়ে আব্দুল কামালের সাদা চুলসমৃদ্ধ একটি ছবি। সৌরভ বইটি নিতে হাত বাড়ালে দোকানের খোঁচা খোঁচা দাঁড়ি সম্বলিত চিকন ফ্রেমের চশমা পরিহিত বিক্রেতা সৌরভকে উদ্দেশ্যে করে বলে উঠে “খুব ভালো একটা বই নিলেন, আপনার মতো জোয়ান বয়সের ছেলেদের এই বইটা পড়া খুবই দরকার।” সুদূর অতীতেই অতীত হয়ে যাওয়া পিতার কাছাকাছি বয়সী বিক্রেতার কন্ঠস্বরের সাবলীলতা সৌরভের অন্তঃস্থলকে স্পর্শ করে, কোন প্রকারের কুয়াশাচ্ছন্ন ভাবালুতার সংযোগ ব্যতীতই। সে দাম পরিশোধ করে বইটি তার ছোট্ট কালো ব্যাগটিতে রাখতে না রাখতেই প্রধান সড়ক থেকে মানুষের সম্মিলিত চিৎকারের ধ্বনি তার কানে ভেসে আসে। চলন্ত বাসে উঠতে গিয়ে এক মধ্যবয়স্ক ভদ্রলোক টাল সামলাতে না পেরে বাসের চাকার নিচে পিষ্ট হয়ে নারকীয় যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন এমন এক দৃশ্য সৌরভসহ সেই সময়ে সেই জায়গায় উপস্থিত প্রত্যেকেই দেখতে পায়। ভদ্রলোক সকলের সামনেই অবশেষে ফেইন্ট হয়ে পড়ে গেলে অনেকেই সচকিত হয়ে উঠে। মৃত্যুর সম্ভবপরতায় পৌঁছে যাওয়া মানুষটিকে হাসপাতালে নিলেই যে তাকে বাঁচানো যাবে এমন নয় কিন্তু শেষ চেষ্টা হিসাবে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া ছাড়া কোন উপায় নেই। উপস্থিতদের অনেকের মতো সৌরভের পা জোড়া ঘটনাস্থলের দিকে গতিশীল হয়ে উঠতে চায়। কিন্তু উইঙস অব ফায়ারের দুই একটি পৃষ্ঠা উল্টাতে উল্টাতে সৌরভের সেই আকাঙ্খা তার পা জোড়ার চাইতেও বেশী টলমল করে। কারন এই শহরে এখন কেউ কাউকে বিশ্বাস করতে চায়না। বিশ্বাস করেনা। কাউকে সাহায্য করে যদি পাল্টা বিপদে পড়তে হয় তবে? এই অতি বাস্তব ও নিষ্ঠুর প্রকৃতির আত্মকেন্দ্রিক ভাবনায় আচ্ছন্ন হয়ে উপস্থিত প্রায় প্রত্যেকেই চুপচাপ দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দৃশ্যটি প্রত্যক্ষ করে। তবে সৌরভ এই প্রবাহমান, ক্রমবর্ধমান চিরায়ত হতে যাওয়া পলায়নপরতা দ্বারা নিজের প্রভাবিত হওয়াকে অপরাধবোধের কাঁটা থেকে মুক্ত করে নিতে সক্ষম হয় কারন মৃত্যুর কাছাকাছি চলে যাওয়া আক্রান্ত ব্যক্তিটিকে দেখতে দেখতে সৌরভের চোখে দুই হাজার ষোলো সালের জানুয়ারী মাসের আঠারো তারিখের রাত্রির এক খন্ড চিত্র ভেসে আসে। সদ্যই বর্ণিত ঘটনাটির সূত্রপাত হিসাবে একেকজন একেক প্রেক্ষিত থেকে ব্যাখ্যা করবেন। কেউ বলবেন আগের রাত্রিতে সৌরভের জননীর চাপা কান্নার কথা। কেউ হয়তো বলবেন সেদিন দুপুরে সৌরভের অফিসের লাঞ্চ আওয়ারের কথোপকথনের কথা। কেউ বলবেন সৌরভের ‘উইঙস অব ফায়ার’ বইটি কিনতে যাবার কথা কেননা সেই ঘটনাটি না ঘটলে তার পরের ঘটনাবলীগুলোও ঘটতোনা। তবে হাতেগোনা দুই কি একজন বলার মতো ঠিকই থেকে যাবেন যারা স্পষ্ট দ্ব্যর্থহীন কন্ঠে বলবেন প্রকৃতপ্রস্তাবে সমগ্র ঘটনাটির সূত্রপাত সৌরভের বিস্মৃত হওয়া পিতা যেদিন নিজের পুত্রকে এবং স্ত্রীকে ত্যাগ করেন সেদিন। সেই দিন থেকে শুরু করে প্রায় প্রতিদিনই সৌরভের পা জোড়া শুধুমাত্র টলমলই করে গেছে মাত্র, কখনো তা দৃঢ় হতে পারেনি বলে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.