নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভারসাম্য মাত্রই কৃতিত্ব নয় ।

আল - বিরুনী প্রমিথ

আল - বিরুনী প্রমিথ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ক্রিকেটঃ Where have all the flowers gone ?

০৬ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:৪৫

রাহুল দ্রাবিড় সম্পর্কে ব্রেট লী বলেছিলেন,

“If you can’t get along well with this man, you are really struggling in life.”

জ্বী, আপনারা ঠিকই পড়েছেন। অস্ট্রেলিয়ান এক কিংবদন্তী ক্রিকেটার ভারতের এক কিংবদন্তী ক্রিকেটারের প্রতি এতোটাই শ্রদ্ধাশীল ছিলেন এবং জনসমক্ষে সেই শ্রদ্ধা প্রকাশে তার কোন দ্বিধা ছিলোনা। থাকবার কথাও নয়। তারা শুধুমাত্র মাঠেই স্পোর্টসম্যান নন। যাপনেও একই রকম। বিশেষ কোন ফাঁরাক নেই।

অপরিসীম ভৌগলিক দূরত্বের পরেও ক্রিকেটারে ক্রিকেটারে মৈত্রীর উদাহরণ এই একটাই নয়। জীবিকার জন্য ইংল্যান্ডের স্যাঁতস্যাঁতে একটি ঘরে থাকতে বাধ্য হওয়া গর্ডন গ্রিনিজ খোদ ব্রিটেনেই শৈশবে তীব্র বর্ণবাদী আচরণের শিকার হয়েছিলেন। তারপরেও বর্ণবাদীতার কারনে ক্রিকেট থেকে নির্বাসিত দক্ষিণ আফ্রিকার শ্বেতাঙ্গ কিংবদন্তী ব্যাটসম্যান ব্যারি রিচার্ডসের সাথে কাউন্টি দল হ্যাম্পশায়ারে কিংবদন্তী ওপেনিং জুটি তৈরী করা থেকে তাদের দুইজনের পথে কিছুই বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি। ১৯৮৪ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইংল্যান্ড ট্যুরে একটি টেস্ট ম্যাচে ম্যালকম মার্শালের বাউন্সারে ইংল্যান্ডের তৎকালীন অধিনায়ক মাইক গ্যাটিঙের নাক ভেঙ্গে যায়। কিন্তু বিখ্যাত ডকুমেন্টারী ‘Fire in Babylon’ এ একটি স্থির ছবিতে আমরা কি দেখি? হাস্যজ্জ্বল ম্যালকম মার্শাল মাইক গ্যাটিঙের থুতনী ধরে তার দিকে তাকিয়ে আছেন। গ্যাটিঙের মুখেও বন্ধুত্বপূর্ণ হাসি। ব্যাকগ্রাউন্ডে আমরা শুনতে পাই “The English had difficulty in recognizing what West Indians had done to the cricket. But guess what? I think they came to like it. This was going to change the game for ever. That is we called cultural exchange in its finest sense.”

এখানেই ক্রিকেটারদের কি মহত্ত্ব শেষ হয়ে যায়না। আমরা দেখি সমারসেটে ইয়ান বোথাম এবং ভিভ রিচার্ডস যুগপৎভাবে দাঁপিয়ে বেড়িয়েছেন। তাদের বন্ধুত্ব এখনো পর্যন্ত ক্রিকেটজগতে মিথিকাল সৌন্দর্যের অন্যতম সেরা উদাহরণ হিসাবে বিবেচিত। আমরা দেখি রাফ এন্ড টাফ স্টিভ ওয়াহ কলকাতায় সম্পূর্ণ নিজের খরচে কুষ্ঠরোগীদের নিরাময়ের একটি হাসপাতাল চালান। আমরা কার্ডিফকে নিশ্চয়ই মনে রেখেছি? মনে রেখে থাকলে এটাও নিশ্চয়ই স্মরণে আছে যে আফতাব আহমেদের গিলেস্পিকে মিড উইকেটের উপরে দিয়ে ছয় মেরে বাংলাদেশের জয় প্রায় নিশ্চিত করার সময়ে ধারাভাষ্যকার ডেভিড লয়েডের কন্ঠের অপরিসীম উচ্ছ্বাস? এটাকে শুধুমাত্র অস্ট্রেলিয়ানদের প্রতি ব্রিটিশদের জন্মগত বিদ্বেষের বহিঃপ্রকাশ বলে দেখতে হবে? আমার মন কেন জানি তাতে সায় দেয়না। ক্রিকেট ইতিহাসের শ্রেষ্ঠতম আপসেটকে ঘটতে দেখবার সময়ে বিদ্বেষের চাইতেও যা বেশী তীব্রভাবে কাজ করবার কথা তা হলো তাকে সরাসরি প্রত্যক্ষ করতে পারার আনন্দ। আমার দৃঢ়বিশ্বাস সেই মূহূর্তে ডেভিড লয়েডেরও এমনই অনুভূতি হয়েছিলো।

কখনো কখনো দাম্ভিকতার মাঝেও আমরা উঁচু মানসিকতার পরিচয় পেতে পারি। তেমনই একটা ঘটনা ঘটেছিলো ১৯৮৭ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপে। পাকিস্তানের সাথে ম্যাচের শেষ ওভারে নন-স্ট্রাইকিং প্রান্তে থাকা শেষ ব্যাটসম্যান সেলিম জাফরকে বল করার আগে রান আউট করার সুযোগ থাকা সত্ত্বেও কোর্টনী ওয়ালশ সেই সুযোগ গ্রহণ করেননি। সেই ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজ এক উইকেটে হেরে গিয়ে সেমিফাইনালে উঠতে ব্যর্থ হয়। ম্যাচ শেষে তৎকালীন অধিনায়ক ভিভ রিচার্ডসকে সেই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে ভিভের উত্তর ছিলো তার ব্যাটিঙের মতোই দাম্ভিকতায় ভরা “আমরা ওভাবে ক্রিকেট খেলিনা।” ভিভের এই দাম্ভিকতাকে সমালোচনা করবেন কোন যুক্তিতে? তৎকালীন ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল শুধুমাত্র ক্রিকেটীয় সামর্থ্যেই নয় দর্শনের জায়গা থেকেও কতোটা আলাদা ছিলো তা এই একটি ঘটনা থেকেই আমরা জানতে পারি।

এই সমস্ত অনেক ঘটনাই আমাদের স্পর্শ করেছে। করেও। সেই কারনেই ১৯৯৯ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপে নিশ্চিত জিতে যাওয়া ম্যাচ টাই করে ফাইনালে উঠতে ব্যর্থ হওয়া দক্ষিণ আফ্রিকার প্রতি গোটা ক্রিকেটবিশ্ব সমব্যথী হয়। রান আউট হয়ে নিঃসঙ্গ প্যাভিলিয়নের দিকে ফিরতে থাকা ক্লুজনারের দিকে চেয়ে শুধুমাত্র নাটালের কয়লাখনিতে কাজ করা শ্রমিকদের চোখই ভিজে উঠেনা। সারা বিশ্বের অগণিত ক্রিকেটভক্তের চোখও ঝাপসা হয়ে উঠে। আমরা ২০০৫ সালের এশেজে হেডিংলিতে দেখেছিলাম মাত্র ২ রানে অস্ট্রেলিয়ার হেরে যাওয়ার পরে নিজের দলের সেলিব্রেশনে যোগ দেওয়ার আগে ব্রেট লীকে সান্ত্বনা দিতে ফ্লিনটফের ছুটে যাওয়া। সেই দৃশ্য আজন্ম আমাদের করোটিতে এবং হৃদয়ে খোদাই হয়ে গেছে। ২০০৬ সালে জোহানেসবার্গে অস্ট্রেলিয়ার ৪৩৪ রানের জবাবে দক্ষিণ আফ্রিকার ৪৩৮ রান কিংবা ২০০১ সালে কলকাতায় নিশ্চিত হারের মুখ থেকে ভিভিএস লক্ষণ এবং দ্রাবিড়ের প্রতিরোধে অবশেষে ভারতের আশ্চর্যজনকভাবে ম্যাচটি জিতে যাওয়া এতো সহজে ভোলা যায়? এগুলো কি শুধুই ক্রিকেটীয় আনন্দ? মোটেও নয়, তার চাইতেও বেশী কিছু। আমরা দেখি ১৯৯২ সালে সকলকে চমকে দিয়ে গ্রুপ স্টেজে হাবুডুবু খেতে থাকা পাকিস্তান বৃষ্টির কারনে পরিত্যক্ত হওয়া একটি ম্যাচে প্রাপ্ত এক পয়েন্টের সুবাদে সেমিতে উঠে অতঃপর রুপকথার মতো চ্যাম্পিয়ন হয়ে যায়। আমাদেরকে আন্দোলিত করেনা সেই ঘটনা? ১৯৯৬ সালে আরো বিস্ময়করভাবে আন্ডারডগ শ্রীলংকার বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হবার ঘটনাটি আমরা কিভাবে এতো দ্রুত ভুলে যাই? ১৯৯৭ সালে বাংলাদেশের আইসিসি ট্রফিতে চ্যাম্পিয়ন হবার সময়ের কথা মনে আছে? সমগ্র ঢাকা শহর সেইদিন রঙের খেলা মেতে উঠেছিলো।

এরকম অগণিত ঘটনা শুধুমাত্র ক্রিকেটেই নয় ফুটবলেও আছে। ২০১৪ সালের বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে পরাজিত কলাম্বিয়ার হামেস রড্রিগেজকে ম্যাচ শেষে সান্ত্বনা দিতে ছুটে আসেন জয়ী ব্রাজিলের ডেভিড লুইজ। ১৯৯০ সালে ম্যারাডোনা অগণিত দেশের মানুষের মতো বাংলাদেশের মানুষদেরও হৃদয় জয় করে নিয়েছিলেন। ১৯৯৪ সালের বিশ্বকাপের ট্র্যাজিক হিরো রবার্তো ব্যাজিওকে আজও কি আমরা ভালোবাসিনা? স্মরণ করিনা? কিংবা ১৯৯৮ সালের জিদানকে? ২০০৬ সালের ফ্রান্স-ব্রাজিল কোয়ার্টার ফাইনালের সময়ে জিদান-রোনালদিনহোর প্রাক-ম্যাচ শুভেচ্ছার দৃশ্যটি কি আমরা মনে রাখিনি?

আমরা সবই মনে রেখেছি। আমাদের সব মনে থাকে। এবং এসবের কিছুই আমাদের জোর করে মনে রাখতে হয়না। এইসব দৃশ্য প্রবলভাবেই জীবন্ত হয়ে আমাদের আজীবন মুগ্ধ করে রাখে তার কারণ দৃশ্যের পেছনে জীবনের যেই জয়গান গাওয়া হয় সেই দর্শন প্রবলভাবে উপস্থিত থাকে। উপরিউক্ত প্রতিটি দৃশ্যই দিনের শেষে জীবনকে তীব্রভাবে স্পর্শ করতে সফল বলেই আমরা অনেক বছর পেরিয়েও সেগুলোকে স্মরণ করতে পারি কোন কষ্টচিন্তা ব্যতীতই। এবং এখানেই আমাদের একটু থেমে নিজেদের দিকে তাকিয়ে দেখা দরকার। আমরা কি করছি? কি দেখছি? কি শুনছি? কিসে অংশগ্রহণ করছি?

আমরা দেখছি ক্রিকেটে বাংলাদেশের ধারাবাহিক সাফল্য এবং ক্রমবর্ধমান সম্ভাবনা আমাদের ক্রমশই আরো বেশী বর্বর করে তুলছে। জীবনকে স্পর্শ করা থেকে অনেক দূরে সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। খেলাধুলা বিশেষত যে কোন ধরণের আউটডোর স্পোর্টস মানুষে মানুষে ভেদাভেদের বিরুদ্ধে স্বভাবজাতভাবেই একটা অবস্থান নিতে সক্ষম। খেলাধুলার মতো কয়টি উপাদান আছে যেখানে মানুষ ধর্ম, বর্ণ, শ্রেণী নির্বিশেষে একত্রিত হতে পারে? জাতি, ধর্ম , গোত্র এসবকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিতে খেলাধুলার জুড়ি নেই। আমরা তাকে সেভাবেই উপলব্ধি করতে পারছি কি? আমাদের দৃষ্টিভঙ্গী কি সেই দিকেই ধাবিত হচ্ছে?

প্রশ্নগুলোর উত্তর হলো ‘না’। ক্রিকেটে বাংলাদেশের সাফল্য আমাদের ক্রমশই বর্বর এবং সঙ্কীর্ণ করে তুলছে। আমরা ক্রমশই নিজেদের অক্ষম , অথর্ব জাতিয়তাবাদী ইগোকে স্ফিত করে তোলার মাধ্যমের বাইরে অন্য কোনভাবেই ক্রিকেট খেলাকে দেখতে সক্ষম হচ্ছিনা। এই কারনেই পাকিস্তানের সাথে বাংলাদেশ জিতে গেলে বাংলাদেশের জয়ে যতো না বেশী আনন্দ হয় তার চাইতে বেশী ভালো লাগে পাকিস্তান হেরে গেছে বলে। নিজেদের আনন্দকেও নিজেদের অক্ষম ইগোর কাছে বন্ধক রাখা কেউ যদি আমাদের কাছ থেকে শেখে!!!
একই জিঘাংসা ভারতের প্রতিও প্রযোজ্য। ভারত-বাংলাদেশের কোয়ার্টার ফাইনালের কথা মনে আছে? ৩০৪ রান চেজ করতে গিয়ে বাংলাদেশ করেছিলো ১৯৪ রান। তারপরেও আমাদের অনেকেই মনে করে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যাওয়া আম্পায়ারের একটি সিদ্ধান্তের কারনেই বাংলাদেশ ম্যাচটি হেরে গিয়েছিলো। আমরা ক্ষোভ উগরে দেই। একবার ভারতের ক্রিকেট দলের বিরুদ্ধে, একবার বিসিসিআইয়ের বিরুদ্ধে, একবার আইসিসির বিরুদ্ধে। সকলেই আমাদের শত্রু। প্রকৃতার্থে আমাদের ইগোর শত্রু। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষিকা থেকে শুরু করে বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে শাঁসালো চাকরী করা কেউই নিজেদের নির্বুদ্ধিতার বিষয়ে সচেতন হয়না। তাৎক্ষণিক ক্ষোভ উগরে দেয়। তাদের সেই ক্রোধকে পুঁজি করে চারপাশে কিলবিল করতে থাকা অজস্র শুয়োর সমগ্র দেশে এক অস্বাস্থ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে। প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে শুরু করে মফস্বলে পর্যন্ত সেই নৃশংসতা ছড়িয়ে পড়ে। চট্টগ্রামের রাউজান থেকে শুরু করে নোয়াখালীর মাঈজদী পর্যন্ত সংখ্যালঘুরা ক্রিকেট খেলার সূত্র ধরে ছড়িয়ে পড়া সাম্প্রদায়িক হামলার শিকার হয়। পত্রপত্রিকাতে সেই খবরগুলো একেবারেই আসেনা। আমাদের প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত নির্বোধের মতো বলে বসেন যে আম্পায়ারের একটি ভুল সিদ্ধান্তের কারনেই বাংলাদেশ কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বিদায় নিয়েছে।

এভাবেই আমরা ক্রিকেট খেলাকে খেলার জায়গাতে রাখতে না পেরে নিজেদের বহুবিধ নির্বুদ্ধিতা দ্বারা অগণিত মানুষের জীবনে বিপর্যয় ডেকে আনি। আমরা মাতোয়ারা হই একটি খেলা নিয়ে, কিন্তু খেলার স্পিরিটকে সম্পূর্ণ পরিত্যাগ করে। বাংলাদেশের ক্রিকেট খেলায় জয়লাভের ইচ্ছাতেই আমরা সীমাবদ্ধ নই। আমরা বিপক্ষ দলের অধিনায়কের কাটা মাথা আমাদের এক খেলোয়াড়ের হাতে এই রকম নোংরা ছবি বানিয়ে চারপাশে ছড়িয়ে দিয়ে নিজেদের আনন্দকে সম্পূর্ণ করি। বাংলাদেশের জয় দেখেই আমাদের সন্তুষ্টি সম্পূর্ণ হয়না। পরাজিত দলের খেলোয়াড়দের নিয়ে কুৎসিত রঙ্গ-তামাশা করেই তবে আমাদের সাধ মিটে। বিশেষত ভারত, পাকিস্তানের সাথে খেলা হলে তো কথাই নেই। আমরা তা থেকে সাম্প্রদায়িকতার বহুবিধ রুপকে নানা আঙ্গিকে আবিষ্কার করতে পারি। মাশরাফির ‘ধরে দিবানী’ আমাদের মুখে মুখে ফেরে। কিন্তু ম্যাচ শেষে পরাজিত অধিনায়ক ধোনী কিংবা আজহার আলীর সাথে মাশরাফির সৌজন্যতার কিছুই আমাদের স্পর্শ করেনা। বিশ্বকাপ ক্রিকেট হোক কি অলিম্পিক প্রতিটি খেলাই কিংবা তাদের ইভেন্টই ধর্ম , বর্ণ , জাতি , নির্বিশেষে মানুষকে একত্রিত করে। মানুষের দৃষ্টি প্রসারিত করে। অথচ আমরা ক্রিকেট খেলাটি দিয়ে ক্রমশই নিজেদের বিভক্ত করছি। আমাদের উপরে সর্বত্র ছড়ি ঘোরানো স্ট্যাবলিশমেন্ট নিশ্চয়ই এই বাস্তবতায় প্রতিনিয়ত মুচকি মুচকি হাসে।

এভাবে আমাদের নির্বুদ্ধিতা, স্ফিত ইগো, জাতিগত-ধর্মীয় সাম্প্রদায়িক মানসিকতার কাছে ক্রিকেটের পরাজয় ঘটছে। মানুষের জীবনের পরাজয় ঘটছে।

কিংস্টোন ট্রায়োর গানের শরণাপন্ন হই, “Where have all the flowers gone?”

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:০১

মহা সমন্বয় বলেছেন: স্বপ্নপূরণের ফাইনাল আজ :D

২| ০৬ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:২৯

শফিক আলম বলেছেন: অনেক তথ্য দিয়েছেন। অনেক ক্রিকেটীয় ঘটনা মনে করিয়ে দিয়েছেন। বাংলাদেশের দর্শক বা সমর্থকদের নিয়ে আপনার পর্যবেক্ষণ এবং ক্ষোভ একটু বেশি স্পষ্ট ভাষায় লিখেছেন। জানি না কেন! আরেকটু নমনীয় হলেই ভাল হতো। তবে আপনার পর্যবেক্ষণ অনেকটাই সঠিক। তা না হলে কি আর বাঁশ জাতীয় বিজ্ঞাপন মিডিয়াতে দিনের পর দিন প্রচার করতে পারে। তবে কি জানেন আমরা সব কিছুকেই আবেগ দিয়ে বিচার করি। গতকাল টিভি-তে দেখলাম রাস্তায় সমর্থকদের (সমর্থক তো আমরা সবাই, সন্দেহ নেই) সাক্ষাতকার বা প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হচ্ছে। একজন বললেন 'আমরা যেমন আবেগ দিয়ে স্বাধীনতা এনেছি, তেমনি আবেগের জোর দিয়ে ক্রিকেটেও জয় পাবো'। স্বাধীনতা কি শুধুই আবেগ দিয়ে এসেছে? না আসতে পারে কখনো?

৩| ০৬ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:৫৩

মোহাম্মদ মজিবর রহমান বলেছেন: ভারতীয় ক্রিকেটার ছাড়া সব ক্রিকেটারই ভদ্র।

৪| ০৬ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৪:২৮

তিক্তভাষী বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন। অবশ্য ক'জন এর মর্ম বুঝবে সে বিষয়ে আমি সন্দিহান।

৫| ০৬ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৪:৪২

বিজন রয় বলেছেন: জয় চাই, একটি জয়। এই একটি জয় আমার বাংলাদেশকে ১০০ বছর এগিয়ে দেবে।
এগিয়ে চলো টাইগারসসসসসস!!!!

৬| ০৬ ই মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪১

মারুফ তারেক বলেছেন: বিশ্বকাপ ক্রিকেট হোক কি অলিম্পিক প্রতিটি খেলাই কিংবা তাদের ইভেন্টই ধর্ম , বর্ণ , জাতি , নির্বিশেষে মানুষকে একত্রিত করে। মানুষের দৃষ্টি প্রসারিত করে।


খুবই ভালো লাগল

তথ্য সমৃদ্ধ একটি লেখা।

ভালো থাকবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.