নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভারসাম্য মাত্রই কৃতিত্ব নয় ।

আল - বিরুনী প্রমিথ

আল - বিরুনী প্রমিথ › বিস্তারিত পোস্টঃ

সমীকরণ

১২ ই জুন, ২০১৬ ভোর ৪:৪৭

বারান্দায় বসে বসে অনেকক্ষণ ধরে ঝড় দেখলাম। বেশ লাগলো। সাথে ভালো শব্দটি যুক্ত করলাম না। বাংলা ভাষায় এমন কিছু শব্দ আছে, আছে তার বহুমাত্রিক ব্যবহার যা উক্ত ভাষা ব্যবহারকারীদের পালাবার বেশ সুযোগ করে দিতে পারে। তাদের জীবনের মতো। বেশ লিখেই নিজেকেসহ পাঠকদের আশ্বস্ত করা গেলো যে অভিজ্ঞতাটা আমার পছন্দের। তবে বিদ্যুৎ চমকানোর আলো মুখোমুখি আমার মুখ বরাবর আসবার ব্যাপারটাকে উপভোগ করতে পারছিলাম না। কখনোই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করিনা এই ব্যাপারটা। এক ধরণের এসকেপিজম? অন্য কেউ আমাকে বিশ্লেষণ করার বিষয়ে মনোযোগী কিনা জানিনা। তাই নিজের ব্যাপারে নিজেকে নিজেই প্রশ্ন করে এক ধরণের মধ্যবিত্ত উত্তর দেওয়া যায় , হ্যা হতে পারে। এই ‘হতে পারে’ কথাযুগল যুগে যুগে অনেকের জন্য আরামের অবারিত দরজাটা খুলে দিয়েছে। আরো বহু যুগ ধরে খুলে দেবে। দেবেই। কথাযুগল নিজেদের সমগ্র অস্তিত্বে সম্প্রদান কারকে আরাম শব্দটিকে ধারণ করে।

ঝড় হতে দেখলাম। কেন দেখলাম? কোন সুনির্দিষ্ট উত্তর নেই। বিসিএস পরীক্ষায় বসলে এই প্রশ্নের উত্তর দিতে হবেনা ভেবে আশ্বস্তবোধ করা যেতেই পারে। কিন্তু নিজের কাছে প্রশ্নটা করা হলে রাস্তায় হাঁটতে গিয়ে ধাক্কা খাওয়া পাথরের মতোই অনাকাঙ্খিত ঠেকে। বহুবিধ অসংখ্য বিনা চিন্তায় করে ফেলা কাজের বেলাতেও এক ধরণের সওয়াল জবাবের খেলা চলতে থাকে। ঝড় দেখলাম কেন? সকালবেলায় দাঁত মাজবার পরে স্বস্তিবোধ করলাম কেন? বিকালে বাইরে বেরোলে কৃষ্ণচূড়া দেখে কেন এন্টি-হিরোসুলভ কিছু করতে ইচ্ছা করে? তুচ্ছ বিষয়ে ভেউ ভেউ করে কাঁদতে পারিনা কেন? এবং এই তালিকা চলতেই থাকবে। শেষ হবেনা।

শহীদুল জহিরের ইন্দুর বিলাইয়ের গল্পের কথা মনে পড়ে। যা কিছুই ঘটুক খেইল জারি থাকবে। খেইল শেষ হবেনা। ভদ্রলোক কি মনে করে গল্পটা লিখেছিলেন? জানবার কোন উপায় নেই। তাকে জিজ্ঞেস করলেও জবাব দিতেন কিনা সেই সন্দেহের কথা বুদ্ধির শোকেসেই তুলে রাখতে হবে। যিনি জীবিতই নেই তার বেলায় এই সংশয়কে কোন সম্ভাবনায় পৌঁছাবার লোভে ধরে রাখবার কোন অর্থই থাকতে পারেনা।

ফেসবুকে এসে একজনের একটা লেখা চোখে পড়ে যায়। লেখক ( কাগজে কলমেই হোক কি সোশাল নেটওয়ার্কিং সাইটে যারা লেখে তাদের লেখকই বলতে হয়, শব্দের শুদ্ধতা যেখানে অথর্ব ) ফেসবুক ব্যবহারকারীদের উদ্দেশ্যে বলতে চেয়েছেন ফেসবুকিং কম করে থাকে তাদের এমন অনেক বন্ধুই দেখা যাবে বাস্তব জীবনে অনেক বেশী সফল। হ্যা, সম্ভাবনা অনেক। বাস্তব, শক্ত মাটিতে সফল হবার কিছু ট্র্যাজেডী তো আছেই। নিজেদের ব্যবহৃত বহুবিধ মুখোশ ভার্চুয়াল জগতে দেখাবার সুযোগ থেকে বঞ্চনা যার একটি। নিজের জন্য দুঃখিত হতে ইচ্ছা করে। আমি তো বাস্তব সফল হতে পারলাম না। এমনকি ব্যর্থও না। কোন গোত্রেই এখনো পর্যন্ত অন্তর্ভুক্ত হতে পারিনি। নিজেরই কারনে। স্বপ্নে, ঈর্ষায়, নিদ্রায়, হস্তমৈথুনে, ছ্যার ছ্যার করে বাথরুমে কি বৃষ্টিমুখর সন্ধ্যায় রাস্তায় পেশাব করার মতো আরামদায়ক কোন কল্পনা কিছুতেই ভাবনাটা আজ অবধি শক্তভাবে দাঁড়াতে পারলোনা। কখনো সখনো যা দাঁড়াবার ইচ্ছা পোষণ করেছে শুধু টলমলই করে গেলো। গাছের পাতায় যেভাবে বৃষ্টির ফোঁটা টলমল করে।

কিছুই পারলাম না। ব্যর্থ হয়ে চারপাশের প্রত্যেকের প্রতি অক্ষম অথর্ব অসত্য আক্রোশে ছটফট করতে করতে একদিন তোদের সবাইকে দেখে নেবো চ্যালেঞ্জটা নিয়ে বুকের ভেতরে একরাশ স্টুপিডিটি পুষে রেখে কখনো ঘুমানোর সুযোগ কি আমার ঘটবে? নাকি ঝড়ের সময়ে বেসামাল হয়ে দড়িতে কোনভাবে ঝুলতে থাকা কমলা রঙের শার্টটার মতোই কৌণিক অবস্থানে দাঁত মুখ খিঁচে পড়ে থাকাটাই অনিবার্য? যেটাই হয়ে থাকুক কিছু কথা হয়তো কোন একদিন নিজস্ব বোধের সাইনবোর্ডে ঠিকই ঝুলিয়ে রাখা যাবে।

জীবন > সাফল্য > ব্যর্থতা > বেদনা > স্বপ্ন > হতাশা > আলো > মুখোশ > চামড়া > ঈর্ষা > বাৎসল্য > .....................> কিছু শব্দ > কিছু চাহনী = অনন্তহীন অতৃপ্ত এপিটাফ

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই জুন, ২০১৬ সকাল ১০:৩৪

আরিফ রুবেল বলেছেন: আমরা সবাই কম বেশি স্টুপিড ! কম বেশি অক্ষম :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.