নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভারসাম্য মাত্রই কৃতিত্ব নয় ।

আল - বিরুনী প্রমিথ

আল - বিরুনী প্রমিথ › বিস্তারিত পোস্টঃ

রাজাকার

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৩:১৬

একটা গতানুগতিক সদাব্যস্ত সন্ধ্যায় প্রাত্যহিক ক্লান্তি নিয়ে কর্মস্থল থেকে বাড়ি ফিরতে ফিরতে আপাত নিরীহ একটি বাক্য ইফতেখারকে আমূল নাড়িয়ে দিতে পারে এই বাস্তবতা তার কাছে অচিন্তনীয় ছিলো। এর সম্ভাব্যহীনতা নিয়ে সে নিজে এতোটাই প্রশ্নহীন ছিলো যে কেউ যদি এই বিষয়ে তাকে চ্যালেঞ্জ জানাতো তবে সহজে শর্তে জিতবার সুযোগ পাওয়া গেছে ধরে নিয়ে সেই মানুষের চ্যালেঞ্জকে এক্সেপ্ট করে নিতে ইফতেখার দ্বিতীয়বার চিন্তা করতোনা।

টিকাটুলীতে ইফতেখার আছে বছর দশেক হয়ে গেলো। অনেকবার বাড়ি বদলাবে বদলাবে করেও শেষ পর্যন্ত ইফতেখার এখানেই রয়ে গেছে। দশ বছরের পুরনো বাড়িটির প্রতি ভালোবাসা থেকে নয়, গন্তব্য বদলাবার প্রতি অনীহার প্রধান কারণ ইফতেখারের আলস্য। নিজের চৌত্রিশ বছরের জীবনে কমপক্ষে আটবারের মতো বাড়ি বদলানোর হ্যাপা তাকে পোহাতে হয়েছে। ইফতেখার যখন নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছে তখন থাকতো পরিবাগে। সেখান থেকে শান্তিনগরে বাড়ি বদলাবার সমস্ত হ্যাপা তাকেই পোহাতে হয়েছিলো। সেই সময়ে ইফতেখারের পিতা তৎকালীন রিটায়ার্ড স্কুলশিক্ষক মোঃ হাশেম হাঁপানীর টানে এতোটাই জর্জরিত ছিলেন যে বাসা বদলাবার যেইসব কাজে ধুলোর উপস্থিতি অনিবার্য তার একটি কাজেও তিনি সক্রিয় থাকতে পারেননি। এমনকি বাসার সকল আসবাবপত্র স্থানান্তরিত করবার জন্য কুলিদের সাথে যেই যোগাযোগ তার সবই করতে হয়েছিলো ইফতেখারকে। তখন সবেমাত্র বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছে ইফতেখার। মনটা তার সঙ্গত কারণেই উড়ুউড়ু। আমি বড় হয়ে গেছি এই আনন্দের সাথে একটু চেনা পরিচয় হবে, মন ভরে তাকে চেখে নিবে এসবের কিছুই তার করা হয়নি বাড়ি বদলাবার বাস্তবতায়। চার বছর পরে যখন শান্তিনগর থেকে টিকাটুলীতে এসে বসত গেড়েছিলো তার পর থেকেই ইফতেখার বাড়ী বদলাবার ঝামেলায় আর কখনো যায়নি। টিকাটুলী আর বাস করার মতো অবস্থায় নেই- তার প্রতি পরিবারের মানুষজনের প্রবল অনুযোগকে সচেতনভাবে অগ্রাহ্য করেই।

ইফতেখারের কর্মস্থল ধানমন্ডি থেকে টিকাটুলীর দূরত্ব মোটেও ফেলনা নয়। বিকাল ছয়টায় অফিস ছুটি হলে বাসায় পৌঁছাতে পৌঁছাতে তার আটটা বেজে যায়। পাবলিক বাসগুলোর যাত্রী তোলার খেলো প্রতিযোগিতা, রিকশাগুলোর অগোছালো যাওয়া আসা, রাস্তায় রাস্তায় প্রাইভেট কারগুলোর একচ্ছত্র আধিপত্য সবমিলিয়ে প্রতিদিনই ইফতেখার বীতশ্রদ্ধ হয়ে বাড়ি ফেরে। বিশেষত টিকাটুলীর সামনে ইত্তেফাক মোড়ের জ্যাম তার কাছে সবচেয়ে বেশী দুঃসহ। রিকশা, প্রাইভেট কারের কুৎসিত দ্বন্দ্বযুদ্ধে অন্যান্য যাত্রীদের মতো তারও পরিত্রাহি দশা হয়। এরকমই এক সন্ধ্যায়, যখন রিকশায় সে বিরসবদনে কতোক্ষণে বাড়ি ফিরবে এই অপেক্ষায় মনে মনে জাবর কাটছে এমন সময়ে ইত্তেফাকের মোড়ে ঘটনাটা ঘটলো। ইফতেখারের পাশের রিকশাটির রিকশাওয়ালা কিছুক্ষণ আগেই স্থানীয় ট্রাফিক পুলিশের কাছে লঘু অপরাধে প্রকান্ড এক চড় খেয়েছে। ট্রাফিক সার্জেন্টের হিসাব অত্যন্ত সহজ। হারামজাদা ব্লাডি রিকশাওয়ালাকে চড় দিবো, বিনিময়ে পঞ্চাশ টাকা ঘুষ নিবো। একেবারে স্ট্রেইট হিসাব। প্রতিদিনকার। এই লেনদেনে কোন ভুলচুক হয়না। সদ্য চড় খাওয়া রিকশাওয়ালা অন্যান্য রিকশাওয়ালাদের মতো সাবমিসিভ চরিত্রের নয়। কিঞ্চিত বিদ্রোহী স্বভাবের। সে ট্রাফিক সার্জেন্ট থেকে নিরাপদ দূরত্বে নিজের রিকশা এনেছে এই সম্পর্কে নিশ্চিত হলে ট্রাফিক জ্যামের নিশ্চলতায় নিজের মুখের সাথে সে অন্যান্যদের পরিচয় ঘটায়। বলে উঠে “একাত্তর সালে রাজাকার আছিলো পাক হানাদার বাহিনী। এই সময়ের রাজাকার হইলো পুলিশ।”

বাড়ি ফেরার পরেও ইফতেখার অন্যমনস্ক রইলো। দুই বছরের কন্যা টুম্পাকে অভ্যাসমতো আদর করে, রাতের খাওয়া সেরে স্ত্রী নাজিয়ার সাথে টুকটাক সাংসারিক আলাপ সেরে দ্রুতই শারীরিক দেওয়ানেওয়া সেরে নেওয়ার পরে যখন তার স্ত্রী তৃপ্ত হয়ে ঘুমাতে গেলো তখনো ইফতেখার জেগে রইলো। শোবার ঘরের সাথেই লাগোয়া বারান্দা। সেখানে বসে ইফতেখার একটার পর একটা বেনসন টেনে যেতেই থাকলো। রিকশাওয়ালার কথাটা তার মনে দাগ কেটে গেছে। কিন্তু যেভাবে দাগ কাটবার কথা ঠিক সেভাবে নয়।

রিকশাওয়ালা যে কথাটা বললো তার মধ্যে একটা বড় রকমের ভুল আছে। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে রাজাকার পাক বাহিনী হতে যাবে কেনো? তারা তো জেনেশুনেই বাঙ্গালীদের উপরে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলো। রাজাকার তো তারাই যারা এদেশের খেয়ে পরে হেগে মুতে সঙ্গম করে সন্তানের জন্ম দিয়ে পক্ষ নিয়েছিলো পাকিস্তানী হানাদারদের। রিকশাওয়ালা এতো খেয়াল করেনি। মনে এসেছে বলে ফেলেছে। যাদের রাজাকার বলেছে তারা রাজাকার নয়। রিকশাওয়ালা রাজাকার চিহ্নিত করতে ভুল করেছে। কিন্তু যেই অর্থে কথাটি বলেছে সেই অর্থে তো কোন ভুল নেই। পুলিশকে যে রাজাকার বলে সে শনাক্ত করেছে তার অর্থ দাঁড়ায় পুলিশের যেই দায়িত্ব বলে ইফতেখারের মতো নখদন্তহীন আম পাবলিক মনে করে রিকশাওয়ালাটিও তার সাথে একমত। সেও মনে করে পুলিশের দায়িত্ব অবশ্যই রিকশাওয়ালাদের চড়চাপড় মেরে অতঃপর তাদের কাছ থেকে ঘুষ নেওয়া নয়। পুলিশের যেই দায়িত্ব তা সে পালন করছেনা। নিজের দায়িত্বের সাথে সে বিশ্বাসঘাতকতা করছে। চড় খেয়ে পুলিশকে রাজাকার বলা রিকশাওয়ালাটি বিশ্বাসঘাতকতার অর্থেই পুলিশকে রাজাকার বলছে। এর মধ্যে কোন ভুল নেই। রাজাকার শব্দটির অর্থ রিকশাচালকটি ঠিকই বুঝেছে। বিশ্বাসঘাতকতা। এই বোঝার মধ্যে কোন ভুল ইফতেখার খুঁজে পায়না।

বিশ্বাসঘাতকতা- শব্দটির ব্যবহার সর্বত্র। চটুল বাংলা সিনেমা থেকে শুরু করে প্রেমিক-প্রেমিকার ঝগড়ায়, স্বামী-স্ত্রীর মন কষাকষিতে, আত্মীয়স্বজনের সাথে কলহে লিপ্ত হলে ম্যানিপুলেট করার অভিপ্রায়ে, ঘনিষ্ঠ বন্ধুবান্ধবের সাথে দ্বন্দ্বে লিপ্ত হলে মানুষ অহরহ শব্দটি বলে থাকে। বলার সময়ে সে এতো শত ভাবেনা। লাগামহীন প্রয়োগে শব্দটি আর যার উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হচ্ছে তার কাছে নিজস্বতা নিয়ে পৌঁছায়না এই বাস্তবতা সম্পর্কেও অধিকাংশ মানুষ অবহিত নয়। রিকশাওয়ালার মুখে উচ্চারিত রাজাকার শব্দটি ইফতেখারকে এতোটাই আচ্ছন্ন করে রাখলো যে তার সহকর্মীদের মধ্যে যারা ইফতেখারের ঘনিষ্ঠ তারা ইফতেখারকে বিষয়টি জানাতে দ্বিধা করলোনা।

“ইফতেখার ভাই, আপনাকে কয়েকদিন এবসেন্ট মাইন্ডেড লাগতেছে। এনিথিং সিরিয়াস ইফতেখার ভাই? আপনাকে তো আগে কখনো এরকম দেখিনাই। কিছু হয়ে থাকলে ফ্র্যাঙ্কলী আমাকে বলতে পারেন।” অফিসে ইফতেখারের প্রিয় জুনিয়র কলিগ নাজিব চিন্তিতমুখে ইফতেখারের দিকে তাকিয়ে অগ্রজ কলিগের প্রতি সহমর্মীতা প্রদর্শন করে।

ইফতেখারের সাথে একই সময়ে ইস্টার্ন ব্যাঙ্কে ঢুকেছিলো পার্থ। সাত বছর হলো তারা একসাথে কাজ করছে। ইফতেখারের মধ্যে কখনো সে দার্শনিকসুলভ তন্ময়তা লক্ষ্য করেনি। কর্মস্থলে দূরের কথা বাইরে যখনই তারা একসাথে কোথাও গেছে, নিজেদের একান্তই কনফিডেনশিয়াল কথা অপরের সাথে শেয়ার করেছে সবসময়েই ইফতেখারকে পার্থ সদাপ্রস্তুত হিসাবে আবিষ্কার করেছে। এতোদিনকার চেনা কলিগের এই অচেনা রুপ পার্থর কাছেও অদ্ভুত ঠেকে। কিছুদিন ইফতেখারের এই পরিবর্তন লক্ষ্য করে একদিন অফিস শেষে ইফতেখারকে পার্থ জোর করে চেপে ধরে,

“তোর কি হয়েছে ইফতেখার? ডু ইউ রিয়েলাইজ ইওর রিসেন্ট চেঞ্জ ইজ এলারমিং?”

ইফতেখার পার্থর প্রশ্নকে তড়িৎ এভয়েড করে প্রসঙ্গান্তরে চলে যায়। সে ভালো করেই জানে পার্থ যা বলছে তার একবিন্দুও মিথ্যা না। এমনকি নাজিয়া, তার স্ত্রী পর্যন্ত বিষয়টি লক্ষ্য করেছে। পরশু রাতে, যখন তারা মিলিত হচ্ছিলো তখন ইফতেখারের চুলে হাত বোলাতে বোলাতে স্বামীর সাম্প্রতিক পরিবর্তনের কথা নাজিয়া নরম সুরে জিজ্ঞেস করছিলো। ইফতেখার স্ত্রীকে সত্য কথাটি জানাবে কিভাবে? আশেপাশের কাউকেই ইফতেখার গুছিয়ে তার মনের কথাটি বলতে পারবেনা। ইফতেখার সবাইকে ক্রমশ অবিশ্বাস করতে শুরু করেছে। রাজাকার- বহুদিন পরে জনৈক রিকশাওয়ালার বদৌলতে শোনা শব্দটি ইফতেখারের মর্মমূল নাড়িয়ে দিয়ে গেছে এই কথাটা কারো কাছে অকপটে স্বীকার করলে তাকে পাগল ঠাওরাবে না সেই মানুষটা? সেই লোকের মারফতে অন্যরাও বিষয়টা জানবে। জানবেই। সবাই মিলে তখন ইফতেখারকে পাগল সাব্যস্ত করবেনা? বিয়ের আগে নাজিয়ার একটা ব্যর্থ প্রেমের গল্পের কথা ইফতেখার জানে। নাজিয়াই ইফতেখারকে আগেভাগে সব জানিয়ে রেখেছিলো। কিন্তু নাজিয়াকে সে কি করে এই কথা বলবে সেই রাতে রিকশাওয়ালার মুখে রাজাকার শব্দটা শোনার পরে প্রভাবিত হবার ধারাবাহিকতায় তাদের কন্যা টুম্পার পিতা হিসাবে ইফতেখার নিজেকে দেখতে সংশয়ে ভোগে? তার মনে এই ধারণা ক্রমশ বদ্ধমূল হচ্ছে যে টুম্পা আসলে সেই প্রাক্তন প্রেমিকের সাথে নাজিয়ার পরকীয়ার সম্ভাব্য এক ফলাফল। এই কথা নাজিয়ার সাথে শেয়ার করলে কি ঘটবে তা সে ভালো করেই জানে। নাজিয়া স্বামীর দ্বিতীয় কোন কথা শুনতে চাইবেনা। পারিবারিক সূত্রে নাজিয়ার ভাগে সম্পত্তির পরিমাণ নেহায়েতই মন্দ নয়। টুম্পাকে নিয়ে আলাদা থাকাটা তার জন্য কষ্টকর কিছু না। প্রাক্তন প্রেমিকের সাথে যদি নাজিয়ার আসলেই কোন সম্পর্ক থেকে থাকে তবে বিচ্ছেদপরবর্তী সময়ে নাজিয়া তাকে বিয়ে করতেই পারে।

শুধু কি নাজিয়া? পার্থ, তার সাত বছরের পুরনো কলিগ যে কিনা শুধুমাত্র তার কলিগই নয় ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের একজন তাকেও বা ইফতেখার বিশ্বাস করে কি করে? দুই বছর আগে নিজের একটা এক্সট্রা ম্যারিটাল এফেয়ারের ডিটেইল হুইস্কি খেতে খেতে পার্থকে জানিয়েছিলো ইফতেখার। সামনে প্রমোশনের সময়। জোর কানাঘুষা পার্থ কিংবা ইফতেখার দুইজনের মধ্যে একজনের ভাগ্যে সেই প্রমোশন জুটবে। এরকম ক্রিটিকাল সময়ে পার্থ ইফতেখারের একান্তই দুর্বল একটা জায়গাকে ম্যানিপুলেট করতে চেষ্টা করবেনা সেই সম্ভাবনাকে সে কি করে উড়িয়ে দেয়?

আজকে অফিস থেকে বেশ আগে আগে ছুটি নিয়েছে ইফতেখার। তার ইচ্ছা ছিলো সাতটার মধ্যে বাড়ি ফিরে স্ত্রীকে নিয়ে কোথাও খেতে যাবে। পুরনো ঢাকায় আর যাই হোক খাওয়ার দোকানের অভাব নেই। গতো পাঁচ বছরে চাইনিজ রেস্টুরেন্টের সংখ্যা ঢের বেড়েছে। সেগুলোর কোন একটা থেকে খেয়ে নেবে দুইজনে। অনেকদিন হলো একসঙ্গে তাদের কোথাও যাওয়া হয়না। কিন্তু ইত্তেফাক মোড়ের সামনে এসে ফের সেই কুৎসিত ট্রাফিক জ্যামের মুখোমুখি হলো ইফতেখার। রিকশা, প্রাইভেট কার কিছুই এক ইঞ্চিও নড়ছেনা। তখনই আবারো ঘটনাটা ঘটলো। ইফতেখারের পেছনের রিকশাটি ট্রাফিক সার্জেন্টের নির্দেশ অমান্য করে তড়িঘড়ি করে সামনে চলে এসেছিলো। সার্জেন্ট নিজের জায়গা থেকে প্রায় দৌড়ে এসে রিকশাওয়ালার শার্টের কলার ধরে দ্রুতগতিতে গোটা তিনেক চড় বসিয়ে দেয়। রিকশাওয়ালার বয়স অল্প। মুখে হালকা বসন্তের দাগ। বেশ শৌখিন দেখতে। চুল নিঁখুতভাবে আঁচড়ানো, জামাকাপড় পরিষ্কার এটাও সান্ধ্যকালীন আলোতে ইফতেখারের নজর এড়ালোনা। সে দেখলো চড় খেয়ে রিকশাওয়ালা হতম্ভব দৃষ্টিতে সার্জেন্টের দিকে তাকিয়ে আছে। রাজাকার রাজাকার – ইফতেখার ততোমধ্যে বিড়বিড় করে বলতে শুরু করেছে। রিকশাওয়ালা ধাতস্থ হয়ে কিছু একটা মাত্রই বলতে যাবে। কিন্তু ইফতেখার ঠিকভাবে শুনতে পেলোনা। তার রিকশা সুযোগ পাওয়া মাত্রই জোরে ছুটতে শুরু করে দিয়েছে।

চড় খাওয়া অল্পবয়স্ক রিকশাওয়ালাটির চোখের আড়াল হবার আগে আগে ইফতেখার চারপাশের সবাইকে বিস্মিত করে সেই রিকশাওয়ালার উদ্দেশ্যে জোর গলায় চেঁচিয়ে উঠলো “রাজাকার, চারপাশে রাজাকার। মনে রাইখো কথাটা।”

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.