নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভারসাম্য মাত্রই কৃতিত্ব নয় ।

আল - বিরুনী প্রমিথ

আল - বিরুনী প্রমিথ › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রতিষ্ঠানবৃত্তান্ত

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১:৫২

‘মেজো মামা, মেজো মামা।’

বাজতে থাকা মোবাইল ফোনে কলার লিস্টে নামটি দেখে দুইবার নিজের মনে উচ্চারণ করলো সাঈদ। আজকে সে সকাল সকাল বেরিয়েছে টিউশনীর উদ্দেশ্যে। ছাত্রের বাসা গুলিস্তানে। তার সামনে ফাইনাল পরীক্ষা বলে সকাল সকাল টিউশনীর জন্য বেরোয় সাঈদ। অনেক সময় পাওয়া যায়। তাছাড়া সাঈদ ফাইনালের আগে দীর্ঘসময় নিয়ে যত্ন সহকারে চেঁচিয়ে চেঁচিয়ে ছাত্রকে সূত্র দেখিয়ে দিয়ে অংক করাচ্ছে বলে ছাত্রের মা তার উপরে অত্যন্ত প্রসন্ন। এই সুবাদে গতো এক মাস যাবত সকালের নাস্তাটা সে ছাত্রের বাসাতেই সেরে আসতে পারে। টিউশনী সেরে নিজের আবাসস্থল জহুরুল হক হলের উদ্দেশ্যেই আসছিলো। কিন্তু আচমকা মেজো মামা মোহাম্মদ রফিকউদ্দীনের ফোন পেয়ে সাঈদ বিস্মিত হলো। অনেকদিন হয়ে গেছে মামার সাথে তার যোগাযোগ নেই। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সে সুযোগ পেয়েছে এই খবর শুনে সেই যে তাদের বাসায় এক কেজি মিষ্টি নিয়ে এসেছিলো তারপরে এই প্রথম মেজো মামার সাথে তার যোগাযোগ হচ্ছে। চার বছর হয়ে গেছে। উহু, ভুল করে ফেললো। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বছরটা সন্ধ্যাবেলায় সোহরাওয়ার্দী পার্কে প্রেমিক-প্রেমিকাদের হ্যারাস করে আর হল রাজনীতির হাতেখড়িতে এতো বেপরোয়াভাবে কেটে গিয়েছিলো যে সেই আনন্দে প্রথম বছরেই ড্রপ আউট করে পরের বছর থেকে সাঈদ সবকিছুকে ব্যালেন্স করে চলতে শিখেছে। সেই এক বছরসহ মোট হবে পাঁচ বছর।

আজকে রাস্তায় ট্রাফিক জ্যাম বলতে গেলে একেবারেই নেই। সেই কারণে গুলিস্তান থেকে ঘড়িধরা পনেরো মিনিটের মাথায় সাঈদ চলে এলো টিএসসি মোড়ে। জনতা ব্যাঙ্কের সামনে মোহাম্মদ রফিকউদ্দীন নিজের ভাগ্নের জন্য অপেক্ষারত।

সাঈদকে দেখামাত্রই রফিকউদ্দীনের চোখজোড়া প্রয়োজনের তুলনায় একটু বেশীই আর্দ্র হয়ে উঠে।

‘তুই অনেক শুকিয়ে গেছিস রে সাঈদ।’

পরিবার, আত্মীয়স্বজন- এরা দেখা হওয়া মাত্রই শুকিয়ে যাওয়ার আহ্লাদী দুঃখ করা ছাড়া আর কিছু বলতে অক্ষম এই বাস্তবতার সাথে সাঈদ পরিচিত। কাজেই প্রাণ বেরিয়ে যায় মার্কা হাসি মুখে ঝুলিয়ে রাখা ছাড়া সে আর কিছু করেনা।

‘পড়াশোনা কেমন হচ্ছে তোর?’

‘ভালো চলছে মামা।’ তার পড়াশোনা সংক্রান্ত মামার দুশ্চিন্তাকে তড়িৎ নস্যাৎ করলেও সাঈদ মনে মনে বেশ বিরক্ত হয়। সে কি কচি খোকা নাকি যার সাথে দেখা হলেই আয়োজন করে পড়াশোনার খবর নিতে হবে? এইসব পুরনো জমানার লোকের স্বভাব কখনো বদলায়না। বিশ্ববিদ্যালয়ে উঠে প্রথমেই সাঈদ যা ছেড়েছিলো তার নাম পড়াশোনা। সরকারী রাজনৈতিক দলের ছাত্রসংগঠণের রাজনীতির সাথে সরাসরি সে যুক্ত নয় ঠিকই কিন্তু তাদের নেতাদের সাথে সাঈদের দহরম-মহরম ব্যাপক। মাঝেমাঝে টিএসসির সামনে কি অন্যত্র তাদের ডাকা প্রোগ্রামগুলায় সে নিয়মিত যায়। নিজে থেকেই। টিউশনী থেকে শুরু করে পলাশীর সামনের দোকানগুলোতে ফ্রি চা নাস্তা খাওয়ার সুযোগ কি তার এমনি এমনি হয়েছে? রাষ্ট্রবিজ্ঞান, মানে তার অধ্যয়নকৃত বিভাগের ক্লাস, পরীক্ষা এইসবের ঝামেলা সাঈদের কাছে অতি নগন্য। এখন আর বিশ্ববিদ্যালয়ে আগের মতো পড়াশোনা নিয়ে খাচরামী আছে নাকি? শিক্ষকেরা আসে, ক্লাস নেয়। প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস নেওয়া আর এদিকে-ওদিকে কনসালটেন্সী করে এসে অন্তর্গত সমস্ত তেল নিঃশেষ হয়ে যায় বলে তাদের পড়ানোর নামে গরুর রচনা শিখিয়ে স্যারেরা নিশ্চিন্ত মনে বাড়ি ফিরে যেতে পারে। এতে সাঈদের বড্ড লাভ হয়েছে। ক্লাস এটেন্ডেন্সের ব্যাপারে খুব কড়াকড়ি এই কথা সত্য। সেই সমস্যাও সাঈদের কাছে তুচ্ছ। একটু পিছন দেখে সিট বাছাই করে সেখানে বসে বসে ক্লাসের যেসব মেয়েকে আড়চোখে দেখবার যোগ্য বলে সাঈদ মনে করে তাদের দিকে চেয়ে থেকেই দেড় ঘন্টার ক্লাস পেরিয়ে যায়। আর লেকচার শিটগুলা নিয়মিত সংগ্রহ করে পরীক্ষা দিয়ে দিলেই কেল্লাফতে। আল্লাহর রহমতে রেজাল্ট বেশ ভালোই চলে আসে। তবে অনার্স জীবনের শেষ বর্ষে উঠে, মানে এই বছর থেকে নিজের ভবিষ্যৎ কর্মজীবন সম্পর্কে সাঈদ বেশ সিরিয়াস হয়েছে। সেই কারণে দুপুরে লাঞ্চ সেরে ঘড়ি ধরে একটা ঘন্টা ঘুমিয়ে সাঈদ সোজা চলে আসে লাইব্রেরীতে। রাত আটটা পর্যন্ত টানা বিসিএসের গাইডগুলো ঘেঁটে কঠোর পড়াশোনা সেরে তৃপ্ত মনে একটি সিগারেট টানতে টানতে তবেই সাঈদ হলে প্রবেশ করে।

মামাকে নিয়ে সাঈদ টিএসসির ভেতরের ক্যাফেটায় গিয়ে বসে। চারটা ছোট সিঙ্গারা, দুইটা সফট ড্রিঙ্কসের অর্ডার দিয়ে তার কাছে মামার আগমনের কারণ জানতে পেরে সাঈদের চোয়াল ঝুলে পড়ে এমন অবস্থা। রফিকউদ্দীনের ছোট মেয়ে সালমা, মানে সাঈদের মামাতো বোন তার বিয়ের সম্মন্ধ এসেছে। পাত্র, সদ্যই তাদের বিভাগে জয়েন করা আশরাফ স্যার। এমনটা ঘটতে পারে সাঈদের কল্পনাতেও ছিলোনা। সালমার কথা অনেকদিন পরে মনে পড়লে সাঈদ এবারে উদাস হয়ে যায়। এতো কম বয়সে মেয়েটার বিয়ে হয়ে যাবে ভাবতেই সে দুঃখে ভারাক্রান্ত হয়। তখন সালমা পড়ে ক্লাস এইটে, সাঈদের এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষ চলছে। সাঈদ মামার বাড়িতে গিয়ে দেখলো মামা-মামী কেউই নেই। তাদের বড় মেয়ের ততোদিনে বিয়ে হয়ে সে শ্বশুরবাড়িতে। ছাদে সালমা কাপড় শুকাতে দিচ্ছে। সাঈদ আগে কখনো তার এই মামাতো বোনটির দিকে ভালোভাবে লক্ষ্য করেনি। সেই প্রথম। যখন দেখলো কাপড় শুকাতে দেওয়ার সময়ে সালমার ওড়না মাটিতে পড়ে গেছে তখন আর দ্বিধা এবং দেরী কোনটাই করেনি। পেছন থেকে সালমাকে সজ়োরে জাপটে ধরেছিলো। ফুফাতো ভাইয়ের সেই গৌরবোজ্জ্বল কীর্তির কথা নিজের বাপ-মাকে সালমা বলেনি বলেই সাঈদের অনুমান। তবে এরপর থেকে সাঈদের মুখোমুখি হলে নিজের ওড়নার ব্যাপারে সে আর কোন ভুল করতোনা। সাঈদের মনে হতে থাকে এইতো সেদিনই ঘটনাটা ঘটেছিলো। বাসায় মামা-মামীর কেউ নেই। তাদের বড় মেয়ে শ্বশুরবাড়িতে। সালমাকেও না দেখে সাঈদ ছাদে উঠলো। দেখলো সে ছাদে কাপড় শুকাতে দিচ্ছে। সাঈদ পেছন থেকে………… এই বাচ্চা মেয়েটার বিয়ে হয়ে যাবে? এটা কোন কথা হলো? আর তিনটা বছর তার মামা অপেক্ষা করতে পারলোনা? তিন বছরের মধ্যে সাঈদ নিজেই দাঁড়িয়ে যেতে পারবে। এই আত্মবিশ্বাস তার আছে। তখন সে মামার কাছে গিয়ে সালমার জন্য নিজের প্রস্তাব পাঠালে তাকে প্রত্যাখ্যান করবার সাধ্য সালমার বাপ-মা কারোরই হতোনা।

মামার সাথে স্মৃতি বিজড়িত মামাতো বোনের বিয়ের সম্মন্ধ নিয়ে আলাপ আলোচনা সেরে সাঈদ যখন তার থেকে বিদায় নিলো তখন দুপুর বেজে দুইটার কাছাকাছি হয়েছে। সাঈদ হলে লাঞ্চ সেরে নিয়মানুযায়ী এক ঘন্টা ঘুমিয়ে নিয়ে লাইব্রেরীর উদ্দেশ্যে রওনা দিতে হলের নিচে নেমেছে তখনই আরমানের সাথে তার দেখা হয়ে গেলো। রাষ্ট্রবিজ্ঞান, অর্থাৎ সাঈদের বিভাগেই পড়ে। তার এক ব্যাচ জুনিয়র। মহসিন হলে থাকে। বেশ করিৎকর্মা ছেলে। পলিটিক্সে ঢুকেছে দুই বছর। ক্যারিশমাটিক ব্যক্তিত্বের কারণে এর মধ্যেই বেশ ইনফ্লুয়েনশিয়াল। আরমানের মুখ ক্ষুব্ধ।

‘সাঈদ ভাই, আমরা হলে একটু বসবো। আপনি আসেন। আপনাকে ফোন দিয়ে দেখি মোবাইল বন্ধ। তাই আপনাকে নিতে আসলাম।’

ততোমধ্যে আরমানের অসন্তুষ্টি সাঈদ আবিষ্কার করেছে। কিন্তু সে কোন তল খুঁজে পাচ্ছেনা। তাই সে ভ্রু কুঁচকে জিজ্ঞেস করে,

‘কি হইছে আরমান? ক্ষেইপা আছো মনে হইতেছে।’

‘আপনি খবর জানেন না কিছু?’ আরমানের পাল্টা প্রশ্নে সাঈদ থতমত খায়। সাঈদের বিস্মিত নিরুত্তর মুখেই উত্তর লেখা আছে নিশ্চিত হয়ে আরমানের মুখ উল্কার বেগে ছোটে।

‘প্রশান্ত রায়কে চিনেন না? ওই যে বিসিএসে ফার্স্ট হইছিলো গতো বছরে? ফেসবুকে খুব পপুলার ফিগার। সে নাকি ফেসবুক প্রোফাইলে লম্বা একটা লেখা লিখছে। লিখছে আমাদের হলগুলা নাকি দোজখ। গেস্টরুমে নাকি ফার্স্ট ইয়ারের পোলাপানদের টর্চার করা হয়। তাগোরে র‌্যাগ দেওয়া হয়। আরো সব আজেবাজে কথা লিখছে। ইনবক্সে নাকি অনেক মাইয়াদেরও ডিস্টার্ব করতো শুয়োরের বাচ্চাটা। আমাগো ব্যাচের রাখিরে চিনেন না? তারেও নাকি হ্যারাস করতো রেগুলার। সব মিলাইয়া মাথামুথা গরম হইয়া আছে, বুঝলেন সাঈদ ভাই? হারামজাদার সাহস দেখছেন? আপনি এখন চলেন আমার সাথে। হলে বইসা সবাই আলাপ আলোচনা করবো। ডাইরেক্ট মামলা করা হবে এমন কথাবার্তা শুনতেছি।’

রাখির নামটা শুনে সাঈদের বুকের রক্ত যেনো ছলকে উঠলো। মাত্রই প্রকান্ড বোমাটা ফাটালো আরমান। তবুও তার সরল মনে করা প্রশ্নটাই সাঈদের কানে বারবার বাজছে। ‘আমাগো ব্যাচের রাখিরে চিনেন না?’ রাখির সাথে সাঈদের চেনাজানার খবর আরমান রাখবে কেমন করে? মেয়েটার সাথে প্রথম যখন পরিচয় ঘটেছিলো আট মাসের মধ্যে সেই পরিচয়পর্বটা আর সাধারণ থাকেনি। তারা দুইজন ক্যাম্পাসের বাইরে দুর্দান্ত প্রেম চালিয়ে গেছে। এক বছর ধরে তারা বলতে গেলে সারা শহর চষে বেড়িয়েছিলো। ক্যাম্পাস এলাকাটা অবশ্য তারা ইচ্ছা করেই এভয়েড করে চলতো। নিজের প্রেমজীবনকে ক্যাম্পাসে আলোচিত করবার ব্যাপারে তাদের দুইজনেরই প্রবল অনীহা কাজ করতো। মেয়েটাকে কম ভালোবাসতো সাঈদ? সংসদ ভবন, ধানমন্ডি লেক, বোটানিকাল গার্ডেন- প্রায় প্রতিটা বড় ডেটিং স্পটেই সাঈদ তাকে গান গেয়ে শোনাতো। তাহসানের, হৃদয় খানের, বালামের। রাখির সপ্রশংস মুগ্ধ কন্ঠে নিজের গায়কীর কম গুণগান শুনেছে সাঈদ? এই মুগ্ধতা-পাল্টা মুগ্ধতার আবেশে একটি বছর ধুমকেতুর মতো কেটে গিয়েছিলো। সাঈদের মনে বড়ই আশা ছিলো তাদের ভালোবাসা যেহেতু তুঙ্গে উঠেই গেছে তাই সেই ভালোবাসার শিখর স্পর্শ করতে, তাকে সম্পূর্ণ করতে মাঝেমাঝে রাখিকে নিয়ে কোন হোটেলে-টোটেলে গিয়ে একান্ত সময় কাটাবে। প্রস্তাবটা রাখিকে প্রথমবার দেওয়া মাত্রই রাখি দপ করে উঠেছিলো। সেই মেজাজ দেখে চোয়াল শক্ত হয়ে উঠেছিলো সাঈদের। ঢং একবার দেখো শালীর! সতীপনা মারাচ্ছে। তারপরেও সাঈদ সেদিন কোন মেজাজ দেখায়নি। অপেক্ষা করেছিলো। আরো দুইবার সেই প্রস্তাব দেওয়ার পরে যখন দেখেছিলো ফলাফল অপরিবর্তিত তারপরে একদিন সংসদ ভবনে দেখা করে সম্পর্ক রাখবেনা এই বিষয়টি নিশ্চিত করবার পরে সেখানে উপস্থিত সবার সামনে রাখির গাল বরাবর কষে একটা চড় দিয়ে তবেই সাঈদ সেদিন হলে ফিরেছিলো। মেয়ের কি জেদ! কোনভাবেই সাঈদের প্রস্তাবে রাজি হয়নি। আর এখন দেখো অবস্থা, ইনবক্সে তাকে কিনা মানুষজন ডিস্টার্ব করে। সাঈদ যখন প্রথম হলে উঠেছিলো তখন সেক্রেটারী ছিলো বদরুল ভাই। তাকে র‌্যাগ দেয়নি বটে। সেই চল হলে নাই। তবে টানা ছয়টা মাস সাঈদকে বলতে গেলে বদরুল ভাইয়ের চামচার মতোই পিছে পিছে ঘোরাঘুরি করতে হয়েছিলো। টানা এক বছর ধরে নিয়মমাফিক হলে চলাফেরা করবার এটিকেট, ম্যানার শিখে তারপরেই না কাঙ্খিত সিঙ্গেল সিটটা তার ভাগ্যে জোটে। এরকম আরো কতো ঘটনা। চার, না না প্রথম বছর ড্রপ দেওয়াসহ পাঁচটা বছর হলো। বর্তমানে সাঈদ নিজেই এখন নাক থেকে দুধের গন্ধ না যাওয়া চ্যাংড়া জুনিয়র ছেলেপেলেদের বদরুল ভাই। এইতো পরশুদিনও আবীর নামে একটা ছেলে আছে, আঁতেল গোছের তাকে হলের এটিকেট, ম্যানার এগুলা শিখিয়ে দিতে নিয়ে গিয়েছিলো জহুরুল হকের মাঠটায়। ছেলেটার সকল ত্যাঁদড়ামী সিধা করে তবেই সাঈদ তাকে নিজের রুমে যেতে দিয়েছে। হলে চলতে গেলে এরকম কতো হিসাবনিকাশের ব্যাপার আছে। কোথাকার কোন সুশান্ত রায় না প্রশান্ত রায় এতোসব জানবে কিভাবে? তাছাড়া এই পাঁচ বছরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি সাঈদের ভালোবাসার তো কোন কমতি নেই। পহেলা জুলাই বিশ্ববিদ্যালয় দিবস হোক কি ষোলোই ডিসেম্বর বিজয় দিবস হোক সাঈদ হলের প্রতিটা প্রোগ্রামে নিজে থেকে লিড দেয়। খাওয়াদাওয়া থেকে শুরু করে ক্যাম্পাসের লাইটিং সকল কাজেই তার সক্রিয় অংশগ্রহণ। তাই লাইব্রেরীর পরিবর্তে মহসিন হলকে গন্তব্য নির্ধারণ করে আরমানকে খুশী করে সাঈদ বলে উঠে ‘চলো যাই। প্রশান্ত রায়কে সাইজ করবো।’

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.