নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভারসাম্য মাত্রই কৃতিত্ব নয় ।

আল - বিরুনী প্রমিথ

আল - বিরুনী প্রমিথ › বিস্তারিত পোস্টঃ

খেলা

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:৩৬

রোমান লক্ষ্য করেছে কোন কারণে বিকালটা যদি ফ্রাসট্রেটিং হয় তবে সন্ধ্যার সময়ে খেলাটা আরো বেশী জমে। যতো দুর্বল কিংবা আলস্যই থাক, শরীর চাঙ্গা হয়ে উঠে। থ্রিলিং মন নিয়ে সেই সময়ে যে কোন কঠিন কাজও সে অনায়াসে করে ফেলতে পারে। মাইলের পর মাইল হাঁটতে পারে, ভারি জিনিসপত্রে ঠাসা ব্যাগও কাঁধে করে বয়ে নিয়ে যেতে পারে। ফাঁড়া শুধুমাত্র একটাই- কাজটা যখন সে করবে তখন একচুল এদিক-ওদিক হওয়া যাবেনা। হিসাবে সামান্য ভুলচুক হলেই সর্বনাশ- পাবলিক নুইসেন্স ক্রিয়েট হতে বাধ্য। বেশী রিস্কি কাজগুলার ক্ষেত্রে গণপিটুনীতে মৃত্যুর সম্ভাবনা মোটেও উড়িয়ে দেওয়া যায়না।

শুরুটা হয়েছিলো তিন বছর আগে। তখন মাঘ মাসের শেষ চলে এসেছে- মাতাল করা ফেব্রুয়ারীর বাতাস সারা শহরে। সন্ধ্যা হতেই মানুষজনের ছিপছিপে চলাফেরা, কন্ঠে হাকডাক স্তিমিত হওয়া, উদাস উদাস আবহ চারপাশে। আগারগাঁওতে গিয়েছিলো রোমান। বিশেষ কোন কারণে নয়। বাণিজ্যমেলা উপলক্ষ্যে লোকজন ধুমসে সেখানে আসছে, মন দিয়ে দোকানের পর দোকান দেখছে, প্রতি প্লেট চল্লিশ টাকার বাসি পঁচা ফুচকা নব্বই টাকায় আরাম করে খেয়ে ব্যাগভর্তি, কেনা হবে কিন্তু ব্যবহৃত হবেনা এমন জিনিসপত্র নিয়ে মুখে আনন্দ নিয়ে বাণিজ্যমেলা থেকে বেরিয়ে আসবে। ছকে বাঁধা চিত্র। রোমান শ্যামলীর দিকে হাঁটবে নাকি বাণিজ্যমেলায় ঢুঁ মেরে দেখবে এই নিয়ে দেনোমনা করতে করতে এক পর্যায়ে দেখলো দ্বিতীয় জায়গায় ঢুকে পড়েছে। প্রায় এক ঘন্টার মতো যখন হয়েছে তখন হাঁটতে হাঁটতে যেই দোকানের সামনে এসে দাঁড়ালো- দেখতে পেলো এক দম্পতি মন দিয়ে ইরানী জিরা দেখছে এবং দরদাম করছে। স্ত্রীর কাঁধে একটি ফুটফুটে শিশু, বয়স এক বছরও হয়তো হবেনা। মায়ের কাঁধে মাথা রেখে আরাম করে ঘুমোচ্ছে। সম্ভবত বয়স্কদের কর্মকান্ডের কোন আগামাথা উদ্ধার করতে ব্যর্থ হয়ে। চারপাশে কে আর কার দিকে মনোযোগ দিয়ে লক্ষ্য করে? রোমানের মনে আচমকা ভাবনাটি খেলা করে গিয়েছিলো। সন্তর্পণে চারপাশে তাকিয়ে দেখেছিলো। নাহ, সন্ধ্যাই নেমে এসেছে- আলোঅন্ধকার যুগলবন্দী; ডান হাতের তর্জনী আর বুড়ো আঙ্গুলকে মিলিয়ে সজোরে শিশুটির কপাল বরাবর গুতো দিয়ে দ্রুত সটকে পড়েছিলো। নিরাপদ দূরত্বে পৌঁছাতে পৌঁছাতে ততোমধ্যে শিশুটি কান্নায় বাবা-মাকে অস্থির করতে শুরু করেছে। সেই প্রথম অভিজ্ঞতা- আহ, শিরায় শিরায় রক্তের সে কি নাচন! রোমান স্পষ্ট মনে করতে পারে বাণিজ্যমেলা থেকে বেরিয়ে সে দীর্ঘসময় হেঁটেছিলো। বাসায় ফিরে সারারাত নির্ঘুম কেটে গিয়েছিলো।

সেই থেকে শুরু। এরপর থেকে রোমান সবসময় তক্কে তক্কে থেকেছে। কখন পারফেক্ট সিচুয়েশনটা আসে। টেম্পটেশন একটা মারাত্মক ব্যাপার। তাকে রেসিস্ট করতে শেখাটাও একটা আর্ট। রোমান এই তিন বছরে অসংখ্যবার তা অনুভব করেছে। এরকম অনেকসময় হয়েছে যখন সে টেম্পটেড হয়েছে। মস্তিষ্ক নীরবে তাকে প্রভোক করে বলতে চাইছে ‘জাস্ট ডু ইট।’ কিন্তু শুধু ব্রেইনের কাছ থেকে সিগনাল পেলেই তো হবেনা। ক্যালকুলেশন অনেক বেশী জটিল। অনেক বেশী সামগ্রিক। এমনটা রোমান মনে করে। ধরা যাক সে মনে করছে সময়টা পারফেক্ট- কিন্তু আগে পিছে কাউকে মন দিয়ে দেখতে ব্যর্থ হলে? সেই ব্যক্তি যদি দেখে ফেলে? এরকম অসংখ্য সূক্ষ্ণাতিসূক্ষ্ণ বিষয়াদি রোমানকে রিস্কি সময়ে কিছু করা থেকে নিবৃত্ত রেখেছে। ব্যাপারটা হতে হবে সামগ্রিক। সিম্পল এজ দ্যাট। পারিপার্শ্বিকতা থাকতে হবে নিশ্ছিদ্র, শরীর-মনের সাড়া থাকতে হবে স্বতঃস্ফূর্ত, ব্রেইন এসে কানের কাছে গুনগুন করতে থাকবে ‘জাস্ট ডু ইট’- এতোগুলো শর্ত ফুলফিল্ড হলে তবেই যা করবার সে করবে। তারপর শরীরজুড়ে ব্যাখ্যাতীত এক শিহরণ, মনজুড়ে ফুরফুরে হিমেল হাওয়া। দ্বিতীয়বার যখন কান্ডটি ঘটিয়েছিলো তখন রোমান বাসে বসে ছিলো। মতিঝিল থেকে জিগাতলা যাচ্ছে। রমনার কাছাকাছি আসতেই সে দেখলো কোন এক কারণে সমগ্র রাস্তা অন্ধকারাচ্ছন্ন। তার বাসের সাথে গা ঘেঁষে সেই গুলিস্তান থেকে একটি বাস সমান্তরাল চলছে। রোমানের পাশের সিট ফাঁকা, জানালার কাঁচ পুরোপুরি খোলা। দুইটি বাস এতোটা পরস্পর সংলগ্ন যে যে কোন মুহুর্তে একটা সংঘর্ষ অনিবার্য এমন সময়ে রোমান দেখলো পাশের বাসে এক বয়স্ক মহিলা, ঘুমের ঘোরে যার খেয়াল পর্যন্ত নেই তার এক বাম হাত জানালার বাইরে চলে এসেছে। রোমান ভালোভাবে জরিপ করবার পরে দ্বিতীয়বার ভাবেনি। ভদ্রমহিলার হাত জোরে মুচড়ে দিয়ে অতঃপর উইন্ডশিল্ডে ধাক্কা দেওয়ার সাথে সাথে ক্ষিপ্র গতিতে এবং নিঃশব্দে নিজের জানালার কাঁচ বন্ধ করে দিয়েছিলো। নিঁখুত হ্যান্ড-আই কোঅর্ডিনেশন। তার প্রতি সন্দেহ করবার কোন প্রশ্নই আসেনা। জানালার কাঁচ বন্ধ, পুরো রাস্তা অন্ধকার- তার উপরে ভদ্রমহিলা নিজে বেঘোরে ঘুমোচ্ছিলেন। সন্দেহের অবকাশ কোথায়?

পরিচিতমহলে রোমান অত্যন্ত সোবার এবং অমায়িক বলে বিবেচিত। এতোটাই যে তার এই মুখচোরা নিরীহ স্বভাবের কারণেই মাস্টার্স পাশ করবার দুই বছর পরেও সে বেকার আছে- তার জনক-জননী থেকে শুরু করে আত্মীয়স্বজন এমনকি বন্ধুবান্ধবরা পর্যন্ত এমনটা মনে করে। স্কুলে থাকতে সে প্রচুর বুলিঙের শিকার হতো। একবার বিষয়টা এতোটাই বাড়াবাড়ির পর্যায়ে চলে গিয়েছিলো যে রোমানের পিতা তৎকালীন ব্যাঙ্কার জনাব নাসেরউদ্দীন সাহেব বছরের মাঝখানে স্কুল ছেড়ে দিলে বছরটাই নষ্ট হবে- এই ক্ষতি স্বীকার করেও ছেলেকে স্কুল থেকে ছাড়িয়ে আনতে দ্বিধাবোধ করেননি।

দুই বছর আগে যখন তন্বীর সাথে সম্পর্কচ্ছেদ হলো তারপর থেকে রোমান নিজের এই ডেনজারাস প্রবণতা নিয়ে চিন্তা করবার প্রচুর সময় পায়। রাতে বাসায় ফিরে টেবিলে তার জন্য ঢেকে রাখা ঠান্ডা ভাত; তার চাইতেও ঠান্ডা তরকারী দিয়ে খাওয়ার পাট চুকিয়ে যখন সে নিজের ঘরে ঢোকে এই একটি বিষয় নিয়ে ভাবতে ভাবতেই তার অনেক সময় কেটে যায়। এই অন্যমনস্কতার কারণে গভীর রাতে দুইদফায় চোর এসে তার দুইটি শার্ট এবং তন্বীর উপহার দেওয়া হাতঘড়িটি পর্যন্ত নিয়ে যেতে পেরেছে। তবুও রোমান ভাবনা ছাড়তে পারেনা। একবার ভাবতে আরম্ভ করলে অনিবার্যভাবে সেই ভাবনার নানা শাখাপ্রশাখা গজিয়ে উঠে। এরকমটা কেনো হয়? সুযোগ পেলেই এরকম কিছু করবার ইচ্ছাটা দিনে দিনে তীব্রতর হচ্ছে কেনো? এরপরে যেদিন এমনটা সে করবে সেই পরিস্থিতিটা কি রকম হতে পারে? খোলা রাস্তায়? পার্কে? পাবলিক বাসে? সিএনজিতে? কোন ফ্লাইওভারের উপরে দাঁড়িয়ে? কোন ফাস্টফুড শপে? পরবর্তীতে কে হবে তার ভিকটিম? ঘটনার স্পট? এতো এতো প্রশ্ন- কোনটারই নিশ্চিত উত্তর দেওয়া যায়না; ঘটনা যখন ঘটে যায় তার আগ পর্যন্ত। দীর্ঘসময় যাবত এই নিরুত্তর থাকতে বাধ্য হওয়াটা রোমানকে ভেতরে ভেতরে অসহায় করে রাখে।

সেই দিশাহারা অবস্থা যখন রোমানকে পুরোপুরি বিপর্যস্ত করে ফেলে তখন সে চতুর্থ ঘটনাটির কথা চিন্তা করে। রোমানের নিজের ধারণা সেটা আজ পর্যন্ত তার করা সবচেয়ে স্কিলফুল কাজ। পারফেকশন এট ইটস ভেরী বেস্ট। সেদিন দুপুরবেলাতে সিটি কলেজ আর ঢাকা কলেজের ছেলেপেলেদের তুমুল মারামারিতে সারাসন্ধ্যা জায়গাটিতে তুমুল অস্থিরতা। স্টারের দুই তালার কাঁচ ভেঙ্গে খানখান। সামনের দুইটি ছোট ফাস্টফুড দোকানের অবস্থাও তথৈবচ। থমথমে পরিবেশ। রোমান সারাদিন গ্রীণ রোডে কাটিয়ে বাড়ি ফিরছিলো। যখন জানতে পারলো যে পরিস্থিতি এমন; মেইন রোড ছেড়ে দ্রুত শর্টকাট ধরলো। শেখ হাসিনার সুধাসদন থেকে একেবারে নাক বরাবর গেলে একটা খেলার মাঠ আছে। রাস্তাটা সচরাচর সন্ধ্যা থেকে নির্জন থাকে। সেই রুট বরাবর রিকশা করে এগুলে বাড়ি পৌঁছে যেতে কোন সমস্যাই হবেনা। রিকশায় যখন পা রেখে মাত্র আরাম করে বসেছে দেখলো একজোড়া যুগল আরেকটি রিকশায় তার রিকশা থেকে একটু সামনে। মেয়েটি বসেছে ডানদিকে। প্রেমিকের সাথে প্রেমে এতো মশগুল যে তার ওড়না রিকশার সাথে পেঁচিয়ে কিছুক্ষণ পরেই একটা ভয়াবহ কান্ড ঘটে যেতে পারে সেই খেয়াল নেই। রোমান দেখলো ওড়না রিকশার পেছনে যেই অবস্থায় আছে সে একটু কায়দা করে আলতোভাবে সরিয়ে দিলে প্রত্যাশিত যা হবার হবে। মেয়েটি কিচ্ছু টের পাবেনা। যা করতে চায় তা যেনো নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করতে পারে- এই কারণে রোমান পুরোপুরি বাম দিকে সরে বসলো। তার হ্যান্ড-আই কোঅর্ডিনেশন লা জওয়াব। এবারেও ভিকটিম কিছুই টের পেলোনা।

ছ মাস কেটে গেলো। কিছুতেই কিছু হচ্ছেনা। কখনো মস্তিষ্ক পর্যাপ্ত ভাইব দিচ্ছে তো কনফিডেন্ট ফিল করছেনা, কখনো কনফিডেন্ট ফিল করছে তো অনুভব করছে টেম্পটেশনটা তার এই মুহূর্তে রেসিস্ট করা উচিত। না হলে সে ধরা পড়ে যাবে। মব সাইকোলজী সম্পর্কে রোমান গন্ডমূর্খ নয়। বরং স্বাভাবিক গড়পড়তা মানুষের চাইতেও এই বিষয়ে সে ঢের ভালো ধারণা রাখে। সবমিলিয়ে সে ভেতরে ভেতরে বিষিয়ে উঠলো। চাকরীর খোঁজে তারেক ভাইয়ের পল্টনের অফিসে গিয়ে একগাদা তোষামুদি করে এলেও রোমানের মনে হতে থাকে সে বুঝি ভজঘট পাকিয়ে ফেললো। রিকশার ভাড়া দুইবার দিতে গেলে রিকশাওয়ালা বিস্মিত হয়ে তার দিকে তাকায়। কখনো উদাস মনে হাঁটতা হাঁটতে ধানমন্ডি গার্লস স্কুলের সামনের রাস্তায় চলে এলে স্কুল থেকে বাড়ি ফেরা ছাত্রীরা তাকে সন্দেহের দৃষ্টি নিয়ে লক্ষ্য করে- এতোসবের পর বাড়িতে আছে পুত্রের প্রতি রিটায়ার্ড ব্যাঙ্কার নাসেরউদ্দীনের ধারাবাহিক ক্লান্তিহীন ভর্ৎসনা। রোমান ভেতরে ভেতরে উচাটন হয়ে উঠলো; ক্রমশ।

আশ্বিন শেষে কার্তিক চলে আসলো। প্রায় প্রতি সন্ধ্যাতেই আকাশে, ঘোর লাগিয়ে দেওয়া চাঁদ উঠে, মাতাল হাওয়ার চারিদিকে দাঁপিয়ে বেড়ানো- এমন এক রাতে রোমান মোহাম্মদপুর হাউজিং সোসাইটি থেকে রিকশা করে বাড়ি ফেরে। রিকশাওয়ালাকে সে এতো করে বললো নুরজাহান রোড দিয়ে যেতে, শুনলোই না। ভেতরে ভেতরে রোমান রাগে গজগজ করে। বাঁশবাড়ি রাস্তাটা বরাবরই তার অত্যন্ত অপছন্দের। রিকশা, সিএনজি, লেগুনা- এইসবের ঠেলায় রাস্তাটা দিয়ে হেঁটে যাওয়াটাই দায়। এদিকে নুরজাহান রোড দেখো- আলো আর আলো। রাস্তাটায় মাঝখানে খোঁড়াখুঁড়ি চলছিলো তা ঠিক আছে, কিন্তু একবার ঠিক হয়ে গেলে রাতেরবেলায় রিকশা দিয়ে যাওয়ার জন্য এর চাইতে ভালো আর কোন রাস্তা হতে পারে? তাছাড়া রাত নয়টা কি দশটার দিকেও সুন্দর সুন্দর সুন্দর মেয়েরা তাদের স্বামী কি প্রেমিকের সাথে রিকশা করে ঘোরে। ক্ষণিকের সেই দেখাটাও চোখের জন্য কি যে আরামের!

বাঁশবাড়ি থেকে লেফটে টার্ন নিলে মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ড পেরিয়ে লালমাটিয়া সিটি হসপিটালের রাস্তা ধরে সোজা জিগাতলা। রিকশাওয়ালা সেই বরাবর রিকশা টেনে নিয়ে এগোতেই বুঝতে পারলো মস্ত বড় ভুল করে ফেলেছে। পেছনে রডভর্তি দুইটা স্থির ট্রাক এবারে রিকশার দুই পাশে চলতে শুরু করেছে। রিকশাটিকে সাইড দেবে সেই উপায়ও নেই। রাস্তায় সামান্যতম স্পেসও নেই। রিকশাওয়ালা আতঙ্কিত হয়ে রিকশা নিয়ে স্থির হয়ে পড়লো। রোমান ঘাড় ঘুরিয়ে তাকিয়ে দেখতে পেলো অগুনতি রডের সূঁচালো অগ্রভাগগুলো কি উজ্জ্বল! ঘোরে পড়ে যেতে হয়। নিজের ডান পা যখন রডগুলোর একটির কাছে নিয়ে যেতে নিলো; সেই দৃশ্য দেখেই কিনা কে জানে রিকশাওয়ালা রিকশাসহ নিজেকে আর সামলাতে পারলোনা। হুড়মুড় করে গড়িয়ে পড়ে যেতে যেতে সে রোমানের দিকে বিস্ফোরিত চোখে তাকিয়ে দেখলো। এ কোন পাগলকে রিকশায় তুলেছিলো? কেনো তুলেছিলো? এদিকে রডের সূচালো অগ্রভাগের উজ্জ্বলতায় নিজের রক্তরঞ্জিত ডান পায়ের দিকে তাকিয়ে অচেতন হবার আগ মুহূর্তে রোমান ভাবে– অপ্রত্যাশিতভাবে, এবারের খেলাটাই সবচেয়ে বেশী জমে গেলো।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:১০

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: জীবনের খেই হারানো।। পিছুটান নেই মনের দিক থেকে।।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.