নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

রুহ রুহদার

রুহ রুহদার › বিস্তারিত পোস্টঃ

জরুরীর ইজ্জত

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৩:১২

রাস্তায় নামলেই চারিদিকে দেখতে পাই শুধু জরুরী আর ভিআইপির ছড়াছড়ি। প্রায় গাড়ীতেই লেখা জরুরী খাদ্য(বিস্কুট কোম্পানীর গাড়ী) , জরুরী পানি(ফিল্টার কোম্পানীর গাড়ী) জরুরী শিশুখাদ্য(সিরিয়াল কোম্পানীর গাড়ী) , প্রেস(ইউটিউবারের গাড়ী) সহ নানা পদের জরুরত। সাথে রয়েছে ভিআইপি হর্নের মধুর সুরেলা আওয়াজ। চিন্তা করে দেখলাম রাস্তার বেশীরভাগ লোকেরাই ভিআইপি না হয় জরুরী কাজে নিয়োজিত। আমার মত কয়েকজন অকর্মন্যই কেবল সাধারন পাবলিক বা অজরুরী কাজে নিয়োজিত।

আবার কিছু স্যারেরা তাদের পেশার পরিচয় সম্বলিত স্টিকার গাড়ীর সামনে লাগিয়ে দেন ।পেশার এ পরিচয় রাস্তায় পেশ করে তারা কি বোঝাতে চায় তা বোধগম্য না হলেও তারা যে রাস্তায় আলাদা কিছু সম্মান চায় তা বোঝা যায়, বোঝাতে চায় যে আমি কিন্ত অমুক , আমাকে সম্মান করবা, আমার সাথে ঝামেলায় যেও না। এজন্যেই এ ধরনের স্টিকারের গাড়ী দেখলে ভিতরের লোকেদের একটি সালাম প্রদান করি , নাহয় আবার ওদের সামনে দিয়ে রাস্তা পার হওয়ার অপরাধে কি না কি ঝামেলায় পড়ে যাই।

জরুরী পরিসেবা কি কি তা জরুরী পরিসেবা আইন ২০২০ দ্বারা নির্ধারন করা রয়েছে।যেমন এম্বুলেন্স , ফায়ার সার্ভিস নিরাপত্তা বাহিনী এগুলা জীবনরক্ষাকারী বিধায় জরুরী সময়ে এরা ইমার্জেন্সি লাইট হর্ন ব্যাবহার করতে পারবে। তেমনি বিদ্যুৎ, গ্যাস,পানি,ডাক,ওষুধ, রপ্তানীসহ আরো কিছু সেবা এর অন্তভুক্ত রয়েছে।কিন্তু জরুরী লেখা এখন গাড়ীতে গাড়ীতে থাকায় আসল জরুরীকে মানুষ কিছুদিন পরথেকে আর জরুরী মনে করবে না। কারন সবাই তো নিজেকে জরুরী দাবী করে বসে আছে। প্রশাসন ২০১৫ ও ২০২০ সালে ব্যাক্তিগত গাড়ীতে স্টিকার ও লাইট হর্ন বন্ধের উদ্যোগ নিলেও পরবর্তীতে তা আর আলোর মুখ দেখেনি। সরকারী বা প্রতিষ্ঠানের গাড়ীতে স্টিকার থাকাটা স্বাভাবিক হলেও ব্যাক্তিগত গাড়ীতে কেন । জনপ্রসাশন মন্ত্রনালয়ের ৩০/১১/২০১৫ তারিখের ১৫৫৩ স্বারকমূলে ব্যাক্তিগত গাড়ীতে সরকার বা প্রতিষ্ঠানের লোগো স্টিকার না লাগানোর ব্যাপারে নির্দেশনা দেয়া রয়েছে

ইমার্জেন্সি হর্ন কারা কোন সময় ব্যাবহার করতে পারবে তাও নির্দিস্ট করা আছে। আগে এমপি মন্ত্রী সচিবালয়ের বড় কর্তাদের মাঝে দেখা যেত , কিন্ত এখন যুগ পাল্টেছে। সরকারী কাজের ঠিকাদারও এখন জরুরী কাজে নিয়োজিত স্টিকার লাগিয়ে ঘুরে বেড়ায়।আর দামী গাড়ী হলে তো কথাই নেই, সে তো জন্মগত ভিআইপি। এধরনের স্টিকার থাকলে রাস্তায় বাড়তি সুবিধার পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর চোখও ফাকি দেয়া সহজ হয়েছে , যার দরুন স্টিকারলাগানো প্রাইভেট কার থেকে মাদক জব্দ এ নিউজ প্রায়ই দেখা যায় পত্রিকায়।এভাবে চলতে থাকলে জরুরীর ইজ্জত আর বেশীদিন থাকবে বলে মনে হয় না।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১২:১৩

সোনাগাজী বলেছেন:



এ্যামবুল্যান্স ও ফায়ার সার্ভিস ব্যতিত কোন জরুরী সার্ভিস থাকা উচিত নয়

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৯

রুহ রুহদার বলেছেন: একদম ঠিক বলেছেন মহোদয় । জীবন রক্ষাকারীই কেবল জরুরী হতে পারে।

২| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১২:৫১

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: আমি ভাবছি একটা রিক্সা ভাড়া করে সারাদিন ঘুরবো আর সামনে লিখে রাখবো জরুরী কাজে নিয়োজিত। :)

আপনাকে ব্লগে স্বাগতম।

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৪:১০

রুহ রুহদার বলেছেন: ভালই হবে, ধন্যবাদ আপনাকে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.