নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অনেক দিনে পর ব্লগে লেখতে বসলাম। কেনো যানি দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যাচ্ছে।
গতকাল প্রধানমন্ত্রীয় জননেত্রী শেখ হাসিনা হেফাজত ও ভাস্কর্য ইস্যুতে অবস্থান পরিষ্কার করলেন তিনি যা বললনে তাতে আমরা তরুণ সমাজ হতাস।
তিনি বলেছেন, ‘আমি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। হেফাজত কিংবা অন্য যেকোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আদর্শে ভিন্নতা ও মতবিরোধ থাকলেও সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রেখে দেশের সামগ্রিক উন্নয়নের স্বার্থে প্রধানমন্ত্রী (দেশের অভিভাবক) হিসেবে যা ভালো মনে করেছি তাই করেছি।’
আমার কথা : যখন ব্লগার হত্যা করা হয় তখন আপনার এই কথা কোথায় ছিল? আপনি রাজিব এর বাসায় গিয়ে তার মা-বাবার সাথে দেখে করে বলেছেন আর হেফাজত-জামাত কে ছাড় দেওয়া হবে না। সংসদে বলেছেন রাজীব ২য় মুক্তিযুদ্ধের প্রথম সৈনিক। তাহলে এই সব কথা কি মিথ্যা ছিল?
তিনি বলেন, ‘কওমি মাদরাসায় লাখ লাখ শিক্ষার্থী পড়াশুনা করছে। এতদিন তাদের শিক্ষাকে স্বীকৃতি দেয়া হয়নি। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে এত বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থীর কথা চিন্তা না করে আমি থাকতে পারি না। তাই তাদের কাছে ডেকে কথা বলেছি, ছয়টি শিক্ষাবোর্ড গঠন করে দিয়েছি। দেশকে শতভাগ শিক্ষিত করতে হলে তাদের বাদ দেয়া সম্ভব না।’
আমার কথা : কওমি মাদরাসায় স্বীকৃতি দেয়ার বিষয় আমরা বলছি। কিন্তু তারা তো আগে আমাদের বাংলাদেশ টা কে স্বীকার করতে হবে। তার জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া বা জাতীয় পতাকা উত্তোলন কোন টাই করে না। আচ্ছা তারা তো গজল করে সুরে সুরে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া বা জাতীয় পতাকা উত্তোলনে সমস্যটা কই। যারা বাংলা পড়ায় না কারণ হিসেবে বলেন বাংলা হিন্দুদের দেব দেবির ভাষা। গত ২০১৩ সালে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটর এক শ্বেতপত্র এটি বিস্তারিত উল্লেখ করা আছে। এগুলে সমাধানের আগে ই প্রধানমন্ত্রী তাদের স্বীকৃতি প্রদান করেছনে। যে বোর্ডে সরকারের কোন কর্তৃত থাকবে না, সেই বোর্ডকে তিনি কি ভাবে স্বীকৃতি দেন আমার বোধগম্য নহে।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘যারা হেফাজতের সঙ্গে সরকার হাত মিলিয়েছে, চেতনা গেল গেল বলে গলা ফাটাচ্ছেন; ৫ মে রাতে যখন হেফাজত শাপলা চত্বর দখল করেছিল তখন তারা কোথায় ছিলেন? তারা কী চেতনাবোধ থেকে সেদিন রাস্তায় নেমে এসেছিলেন। ভাবতে পারেন আর কয়েক ঘণ্টা হেফাজতের দখলে থাকলে দেশের কী অবস্থা হতো। সেদিন আমি নিজস্ব চিন্তা-ভাবনা থেকে যা যা করণীয় তা করে হেফাজতমুক্ত করেছিলাম। সবার মধ্যে আতঙ্ক ছিল কী হবে কী হবে? পরদিন অনেক মন্ত্রিসভার সদস্য ভয়ে সচিবালয়মুখীও হননি।’
তিনি আরো বলেন, ‘হেফাজত ইসলামের মুসল্লিদের ভুল বুঝিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের অপচেষ্টা চালিয়েছিল বিএনপি। ৫ মে মাদরাসার শিক্ষার্থীদের এনে জড়ো করে সরকার পতনের অপচেষ্টা চালিয়েছিল। ওদের বলা হয়েছিল ২শ’ গরু জবাই করে তাদের বিরিয়ানি খাওয়ানো হবে। ছোট ছোট কোমলমতি মাদরাসা শিক্ষার্থীদের সারাদিন একটি রুটি আর কলা খাইয়ে বসিয়ে রাখা হয়েছিল।’
তিনি জানান, ওই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণ ও বর্তমানে দেশের মানুষের উন্নয়ন বিশেষ করে গ্রামের মানুষের ভাগ্যন্নোয়নের স্বার্থে তিনি হেফাজত ইসলামের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে ভুল ভাঙিয়ে ওদের শিক্ষার সুযোগ সুবিধা করে দিয়েছেন।
আমার কথা : গত ২০১৩ সালে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটর এক শ্বেতপত্র এটি বিস্তারিত উল্লেখ করা আছে যে হেফাজত ৫ মে ২০১৩ সরকার উৎখারের জন্য ঢাকায় আসে। বাবু নগরীর জবান বন্ধীতে ও আছে। আপনার কাছে গোয়েন্দা রিপোর্ট থাকা শর্ত ৫ মে ২০১৩ হেফাজত কে ঢাকায় আসার অনুমতি দিলে কেনো? কিভাবে তারা লংমার্চ থেকে মতিঝিলে সমাবেশ করা শুরু করে। এই সব প্রশ্নের উত্তর আপনাকে দিতে হবে? আমাদের তদন্ত রিপোর্ট ২০১৩ সালে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটর শ্বেতপত্র এটি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সরকারের প্রতি ভুল ধারণা নিয়ে ওরা জঙ্গিদের সঙ্গে হাত মিলালে দেশের কী অবস্থা হবে তা কি কেউ ভেবে দেখেছেন। তারা এখন জঙ্গি দমনে সরকারের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তারা জঙ্গিদের বিরুদ্ধে বক্তৃতা-বিবৃতি দিচ্ছেন। এ উদ্যোগকে যারা সহজভাবে নিতে পারেন না তারা কী চান।’
আমার কথা : আপা তারা কোথায় আপনার প্রশংসা করছে না। আপনাকে আর আপনার আওয়ামী লীগকে তুনুধুনু করছে তাদের ওয়াজে। ইউটিউবে আছে দেখুন। আপনার তথ্য মন্ত্রনালয় আমারদের ইউটিউব চ্যানেল বন্ধ করে দেয় কিন্তু যেগুলোতে আওয়ামী লীগকে তুনুধুনু করছে সেগুলো বন্ধ করে না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ’৭৫ পরবর্তী সময়ে দেশটা ৯০ ডিগ্রি অ্যাঙ্গেলে চলে গিয়েছিল। বর্তমান সরকারের প্রচেষ্টায় সেই অবস্থা থেকে দেশকে উন্নত করে অন্তত ৭০ ডিগ্রি অ্যাঙ্গেল ঠিক করা গেছে।’
আমার কথা : ’৭৫ পরবর্তী সময়ে দেশটা ৯০ ডিগ্রি অ্যাঙ্গেলে চলে গিয়েছিল কথাটা ভুল ১৮০ ডিগ্রি অ্যাঙ্গেলে চলে গিয়েছিল, আপনার সরকার ১২০ ডিগ্রি অ্যাঙ্গেল ঠিক করাছেন। এটা আমরা স্বীকার করী। বাকিটা ও দ্রুত ঠিক হয়ে যাবে, যদি আপনি ক্ষমতায় থাকেন।
সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে ভাস্কর্য অপসারণ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জাতীয় ঈদগাহ সংলগ্ন সুপ্রিম কোর্টের যে স্থানটিতে গ্রিক গড অব থেমিসের আদলের ভাস্কর্যটি স্থাপন করা হয়েছিল সেই ভাস্কর্যের গায়ে শাড়ি পরানো হলো কেন? ভাস্কর্য স্থাপনের আগে বাইরে থেকে সুপ্রিম কোর্টের প্রবেশপথে দেশের মানচিত্র দেখা যেতো। ওইটি স্থাপনের পর সেটি ঢেকে যায়। তাছাড়া জাতীয় ঈদগাহের সামনে নামাজের সময় এটি দেখা গেলে দৃষ্টিকটু লাগতো। তাই ওটি সরানো হয়েছে।’
আমার কথা : এটি কেনো হেফাজতের দাবির পরে সরানো হলো, আগ সরালে কোন সমস্য হতো না। হেফাজত দাবি করল এরপর সারালো, বিষয় টা এমন ঠাকুর ঘরে কে রে আমি কলা খায় না।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আফগানিস্তানে নজীবুল্লা সরকার তালেবান দের হাতে হত্যা হওয়ার আগে ধর্ম ও ধর্ময় গোষ্ঠির সাথে আপস করেছিলো। এর পরিনাম কি হয় দেখেছেন। আমাদের আপনাকে নিয়ে ও ভয় হচ্ছে। এই পর্যন্ত আপনাকে হত্যার ১৯টা চেষ্ঠা চালানো হয়েছে।
দয়া করে ধর্মবিষয় নিয়ে কোন আপস করবেন না। এই আপটাই আমার সর্বনাশ করেছে।
২| ০৫ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:১৪
আশাবাদী অধম বলেছেন: জি শাহবাগীদের কথাই প্রধানমন্ত্রীর শোনা উচিত।
০৬ ই জুন, ২০১৭ সকাল ১১:৪৪
রুবেল ১৯৮৪ বলেছেন: শাহবাগীদে কথা কোউ শুনতে বলে নাই এখানে।
৩| ০৫ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৪:৪৩
মোঃ নুরুজ্জামান (জামান) বলেছেন: আচ্ছা যারা কোন ধর্মই মানে না তাদের আপনজনদের বা তাদের শেষ কৃত্য কেমন করে করা উচিত? মানে যদি করা হয়ে থাকে।
৪| ০৫ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৫:৪২
নতুন নকিব বলেছেন:
//আশাবাদী অধম বলেছেন: জি শাহবাগীদের কথাই প্রধানমন্ত্রীর শোনা উচিত।//
-খারাপ কন নাই।
৫| ০৫ ই জুন, ২০১৭ রাত ১১:১৯
প্রশ্নবোধক (?) বলেছেন: গ্রীক দেবীকে (শ্রেফ ভাষ্কর্য নয়) প্রতিস্থাপনের আগে কতবার ভেবেছিলেন?
০৬ ই জুন, ২০১৭ সকাল ১১:৪৭
রুবেল ১৯৮৪ বলেছেন: এটা প্রধানবিচারপতির বিষয়। আমরা বিভিন্ন ভাবে খবর পাই যে এটি স্থাপনের আগে ঢাকা দক্ষিণের মেয়র এর সাথে অনেক বার মিটিং করেছিল। কিন্তু হঠাৎ একদিন মৃনাল হক এর কাজ শুরু করে দেয়। এই বিষয় আর ঢাকা দক্ষিণের মেয়র এর সাথে কথা ও বলে নায়।
©somewhere in net ltd.
১| ০৫ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:০০
স্বতু সাঁই বলেছেন: ধর্ম ও ধর্মীয় ব্যবসায়ীর সাথে আপোষ দুটি ভিন্ন বিষয়। তবে গত কয়েকদিনে প্রধানমন্ত্রী যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এর মাসুল গণতে হবে..