নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সত্য ও ন্যায়ের পথে অবিচল আস্থায় পথ চলা

রুবেল ১৯৮৪

প্রমাণ্যচিত্র নির্মাতা

রুবেল ১৯৮৪ › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রশ্ন ফাঁসের কারণ ও প্রতিকার

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২৩

বর্তমানে প্রশ্ন ফাঁস একটি জাতীয় সমস্যা। যে কোন পাবলিক পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস হওয়া যেন নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার। ক্লাস টু থেকে বিসিএস সব প্রশ্নই পরীক্ষার পূর্বে অনলাইনে বা মিডিয়ায় পাওয়া যায়। আর এর জন্য সরকারের সুনাম নষ্ট হচ্ছে। তাই আজ এটা নিয়েই দুকলম লেখার চেষ্টা করছি।

প্রশ্ন ফাঁসের মূল কারণঃ
কারা এবং কেন প্রশ্ন ফাঁস করে!!!
১) সরকারকে বিপদে ফেলা
২) অগণিত জামাত-বিএনপি সমর্থকদের চাকরী প্রদান শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট শাখায় (যেমন: শিক্ষাবোর্ড, প্রশ্ন প্রণয়ন কমিটি, প্রশ্ন ছাপাখানা ও প্রশ্ন বণ্টন ইত্যাদি)।
২) অসৎ কর্মকর্তা ও কর্মচারী চিহ্নিত ও ছাটাই না করা।
৩) টাকার বিনিময়ে অযোগ্যদের চাকুরী প্রদান।
৪) টাকার বিনিময়ে বাহিরের ছাপাখানা থেকে প্রশ্ন ছাপানো।

জামাত-বিএনপি সর্বদাই সরকারকে দুর্নাম করার জন্য সক্রিয়। প্রথম ও প্রধান কারনটিতে বলেছি জামাত-বিএনপির সমর্থকদের সংশ্লিষ্টতার কথা। ১নং টিমে কমপক্ষে একজন সরকার বিরোধী লোক থাকলেই যথেষ্ট। যার বা যাদের মূল উদ্দেশ্য প্রশ্ন ফাঁস করে টাকা আয় করা নয়, সরকারের বদনাম ও ব্যর্থতা প্রমাণ করা। অসৎ লোকের মূল টার্গেট টাকার পাহাড় তৈরী করা তা হোক যে কোন মূল্যে। প্রশ্ন পত্রের এক কপি ছবি লক্ষাধিক টাকায় বিক্রি করে রাতারাতিই টাকার পাহাড় তৈরী করতে পারেন এসব অসৎ কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। যার সাথে জড়িত হয়ে থাকতে পারেন রাজনৈতিক দলগুলোর তরুণ নেতা নেত্রীরা। আর অযোগ্য লোককে টাকার বিনিময়ে চাকুরী দিলে, সেই বিনিময়কৃত অর্থের দশগুণ-হাজারগুন টাকা কর্মক্ষেত্র থেকেই আদায় করে নিবে এটাই বাস্তব।

প্রশ্ন ফাঁস প্রতিরোধঃ
বর্তমান প্রেক্ষাপটে একটা মাত্র উপায় রয়েছে যা করতে পারলে প্রশ্ন ফাঁস ঠেকানো সম্ভব।
ক। ১-৩ জন বিশ্বস্ত লোকের মাধ্যমে প্রশ্নপত্র প্রণয়ন ও বন্টন।
খ। পরীক্ষার সময় ৩০মিনিট বাড়িয়ে দেয়া।
গ। পরীক্ষা কেন্দ্রে কোন ডিভাইস ব্যবহার করা যাবেনা।
ঘ। অগণিত জামাত-বিএনপি সমর্থকদের চাকরী থেকে বরখাস্ত করতে হবে।

১-৩ জন বিশ্বস্ত লোকের মাধ্যমে প্রশ্নপত্র প্রণয়ন, ভুল সংশোধন করতে হবে। অতিরিক্ত ৩০মিনিট পূর্বেই পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্রে প্রবেশ করতে হবে। এই অতিরিক্ত ৩০মিনিটে পরীক্ষার্থীদের উত্তরপত্র ও রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করতে হবে। কেন্দ্র থেকে পিডিএফ কপির মাধ্যমে প্রশ্নপত্র পরীক্ষা কেন্দ্রে ই-মেইল এর মাধ্যমে পাঠাতে হবে, তা অবশ্যই অতিরিক্ত সময়ের ৫ মিনিট পূর্ব থেকে অতিরিক্ত সময়ের ৫ মিনিটের মধ্যে দায়িত্বরত ম্যাজিস্ট্রেট সমীপে। অতিরিক্ত ৩০ মিনিটের মধ্যেই কেন্দ্র থেকে প্রশ্ন ছাপিয়ে হলরুমে পাঠাতে হবে। যার জম্য দরকার পরীক্ষা কেন্দ্রে বিদ্যুৎ সুবিধা, প্রশ্নপত্রে কেন্দ্রীয় পেপারস ও উন্নত মানের প্রিন্টার/ফটোকপি মেশিন।(অবশ্যই একটি অতিরিক্ত প্রিন্টার থাকতে হবে)। এখানে পরীক্ষার্থী ও হলরুমে দায়িত্বরত শিক্ষক স্মার্ট ফোন বা অন্যকোন ডিভাইস ব্যবহার করতে পারবেনা।

আমি মনে করি শতভাগ সফল হওয়া সম্ভব।

আর তার পরেও যদি প্রশ্ন ফাঁস হয় তবে লোক চিহ্নিত করে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। এটাই হতে পারে প্রশ্ন ফাঁস প্রতিরোধের প্রধান উপায়।

এরপর ও যদি প্রশ্ন ফাঁস হয় শিক্ষাবোর্ড, প্রশ্ন প্রণয়ন কমিটি, প্রশ্ন ছাপাখানা ও প্রশ্ন বণ্টন ইত্যাদি সকল কর্মকর্তা কে চাকুরী থেকে বরখাস্ত করতে হবে।

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪৮

আবু তালেব শেখ বলেছেন: যে কেন্দ্রের কথা বার বার বলছেন সেখান থেকেই ফাস হচ্ছে। ,,,,,,
,,,,
অগণিত জামাত-বিএনপি সমর্থকদের চাকরী থেকে বরখাস্ত করতে হবে। =p~ =p~ =p~

২| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


প্রশ্ন-ফাঁস প্রতিরোধে যা বলেছেন, তাতে বুঝা যাচ্ছে য্ে, আপনার ভাবনাশক্তি সবল নয়

৩| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:৩০

আখেনাটেন বলেছেন: চাঁদগাজী বলেছেন: প্রশ্ন-ফাঁস প্রতিরোধে যা বলেছেন, তাতে বুঝা যাচ্ছে য্ে, আপনার ভাবনাশক্তি সবল নয় --- :P সহমত।


সরকার চাইলে একদিনেই এই সমস্যার সমাধান সম্ভব। ইচ্ছাটা তো থাকতে হবে। করণীয় কী তা আপনাতেই ঠিক হয়ে যাবে?

নিজ ঝোলার ভিতরে ভূত রেখে রাস্তার অন্ধকার দেখে চিৎকার করলে হবে।

৪| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:৪১

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: ভাবনা শক্তি অতীব দুর্বল এবং কল্পনিকতায় পরিপূর্ণ |

৫| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:২৭

রাজীব নুর বলেছেন: আপনার সাথে সহমত হতে পারলাম না।
এভাবে সম্ভব নয়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.