নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গত জুলাই মাসে মিয়ানমার সেনাবাহিনী সেনাবাহিনীরা মিলে পর্ব ১ মিয়ানমার পলিটিকস অ্যান্ড দ্য টাটমাডো: পার্ট ১) শিরোনামে ১১৭ পৃষ্ঠার বইটি প্রকাশ করেছে। যে বইটি দেখে পাকিস্তানি লেখক জুনায়েদ আহমেদ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করে যে বই লিখেছেন তার কথা বনে পরে গেলো।
পাকিস্তানি লেখক জুনায়েদ আহমেদের বই
পাকিস্তানি জুনায়েদ আহমেদের বই থেকে কিছু উদ্ধৃতি দিয়ে একটি ছবিও দেখিয়েছিলাম। ১৯৭১-এ পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর নৃশংসতার নিদর্শন হিসেবে দেশে ও বিদেশে যে ছবি বহুবার ছাপা হয়েছে রিকশার ওপর কয়েকটি লাশের দৃশ্য, জুনায়েদের বইয়ে একই ছবির নিচে ক্যাপশন দেয়া হয়েছে ‘মুক্তিবাহিনীর বর্বরতার নিদর্শন’ হিসেবে।
পাকিস্তানি লেখক জুনায়েদ আহমেদের বই এই ছবির ক্যাপশন দেওয়া আছে মুক্তিযুদ্ধারা বিহারীদের হত্যা করছে।
পাকিস্তানি ধৃষ্টতা ও মিথ্যাচারের এই জঘন্য নমুনা সে দেশের সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা ‘আইএসআই’ ইসলামাবাদে আমাদের রাষ্ট্রদূতকে পাঠিয়েছে ‘সৌজন্যের নিদর্শন’ হিসেবে।
একাত্তরের গণহত্যার ছবিকে ব্যবহার করে রোহিঙ্গাবিরোধী প্রচারণায় মিয়ানমার
এবার একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে বাঙালিদের ওপর সংঘটিত পাকিস্তান সেনাবাহিনীর গণহত্যার ছবিকে রাখাইনে রোহিঙ্গা কর্তৃক বৌদ্ধ নিধনের ছবি হিসেবে প্রচার করছে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। নতুন করে রচিত একটি বইতে ছবিটিকে এভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। বইটিতে ব্যবহৃত আটটি ঐতিহাসিক ছবি বিশ্লেষণ করে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, এগুলোর মধ্যে তিনটি ছবি ভুয়া। ছবি বিকৃত করে ও ভুয়া ক্যাপশন দিয়ে এগুলো প্রকাশ করা হয়েছে। রোহিঙ্গা নিধনকে ন্যায়সঙ্গত প্রমাণের চেষ্টায় ভুয়া ছবি আর বানোয়াট তথ্য দিয়ে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী বইটি রচনা করেছে বলে মনে করছে আরেক ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান।
‘মিয়ানমার পলিটিক্স অ্যান্ড টাটমাডো: পার্ট ওয়ান’ নামের ১১৭ পৃষ্ঠার বইটি প্রকাশিত হয়েছে গত জুলাইয়ে। মিয়ানমারের বাণিজ্যিক রাজধানী ইয়াঙ্গুনের বুক স্টোরগুলোতে বইটি বিক্রি হচ্ছে। বইয়ে প্রকাশিত একটি ছবিতে দেখা গেছে, এক ব্যক্তি কৃষিকাজে ব্যবহৃত একটি সরঞ্জাম নিয়ে দুইটি মৃতদেহের দিকে তাকিয়ে আছে। ক্যাপশনে এটিকে রাখাইনের ছবি বলে উল্লেখ করা হয়েছে। দাবি করা হয়, ১৯৪০ এর দশকে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার সময় রোহিঙ্গা কর্তৃক বৌদ্ধদের হত্যার ছবি এটি। বরাবরের মতোই রোহিঙ্গাদেরকে এখানে বাঙালি হিসেবে উল্লেখ করেছে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। ১৯৪০ এর দশকে মিয়ানমারে সংঘটিত সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা নিয়ে লেখা অংশে ছবিটি যুক্ত করা হয়েছে। তবে ছবিটি বিশ্লেষণ করে রয়টার্স জানায়, সাদা-কালো এ ছবিটি বাংলাদেশের। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি বাহিনীর চালানো গণহত্যার ছবি এটি।
আরেকটি ছবিতে দেখা গেছে, অসংখ্য মানুষ লং মার্চ করে করে যাচ্ছে। ওই ছবির বর্ণনায় বলা হয়েছে: মিয়ানমারের নিম্নাঞ্চলীয় এলাকা ব্রিটিশ উপনিবেশের দখলে যাওয়ার পর বাঙালিরা মিয়ানমারে অনুপ্রবেশ করে। মূলত রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশ থেকে মিয়ানমারে অনুপ্রবেশকারী হিসেবে প্রমাণের চেষ্টায় ছবিটি যুক্ত করা হয়েছে। তবে ছবি বিশ্লেষণ করে রয়টার্স বলছে, ১৯৯৬ সালে রুয়ান্ডা গণহত্যা থেকে বাঁচতে তানজানিয়ায় পালাতে থাকা শরণার্থীদের ছবি এটি। রঙিন ছবিটিকে সাদা-কালো রূপ দেওয়া হয়েছে সেখানে। মূল ছবিটি তুলেছিলেন মারথা রিয়াল। পিটসবার্গ পোস্ট গেজেট পত্রিকার জন্য ছবিটি তুলেছিলেন তিনি।
রুয়ান্ডার ছবির রঙ পরিবর্তন করে মিয়ানমারে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের ছবি হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে
ওই বইয়ে সাদা-কালো আরও একটি ভুয়া ছবি শনাক্ত করেছে রয়টার্স। ওই ছবিতে দেখা গেছে, একটি নৌকাভর্তি মানুষ। এর ক্যাপশনে দাবি করা হয়েছে, পানি পথ দিয়ে বাঙালিরা মিয়ানমারে প্রবেশ করছে। তবে রয়টার্স বলছে, মূল ছবিটি প্রবেশের নয়, বের হওয়ার। ২০১৫ সালে বাংলাদেশি অভিবাসী ও রোহিঙ্গারা নৌপথে মালয়েশিয়া ও থাইল্যান্ডে যাওয়ার চেষ্টা করার সময় ইয়াঙ্গুনের কাছে দক্ষিণাঞ্চলীয় উপকূল থেকে নৌকাটি আটক করেছিল মিয়ানমারের নৌবাহিনী। মূল রঙিন ছবিটিকে উল্টে দিয়ে এবং রঙ পরিবর্তন করে এমন করা হয়েছে।
২০১৫ সালে মিয়ানমার থেকে নৌকায় করে থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়াগামী রোহিঙ্গাদের ছবিটিকে মিয়ানমারে অনুপ্রবেশের ছবি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে
বইটিতে সব মিলিয়ে ৮০টি ছবি প্রকাশ করা হয়েছে, যার মধ্যে আটটি ঐতিহাসিক ছবি।
রোহিঙ্গাদের ফেরত না নেওয়ার সর্বচ্চ চেষ্টা মিয়ানমার সেনাবাহিনীর।
২| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:২৫
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: মিয়ানমার হলো অসভ্য বর্বর মিথ্যুক ও প্রতারকদের দেশ। এদের জন্য একটাই ওষুধ-- মাইর।
৩| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৩৫
রাজীব নুর বলেছেন: মিয়ানমারা বিরাট বদ।
©somewhere in net ltd.
১| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:২১
কানিজ রিনা বলেছেন: বর্বর মিয়ানমার সরকার রহিঙ্গাদের উপর
যে বর্বরতা করেছে তা কোনও মিথ্যাচার
দিয়ে ঢাকতে পারবে না। বিশ্ব ইসিহাসে
চিরকাল সাক্ষী হয়ে থাকবে। বার্মার বৌদ্ধ
জাতী জলদস্যু মুর্খ বর্বর ছিল এখনও
আছে রহিঙ্গা নির্যাতনে ইতিহাস তাই বলে
বার্মার সরকার অতীতেও জলদস্যু নামে
বিখ্যাত ছিল। রহীঙ্গাদের হাজার বছরের
ভিটা মাটি উচ্ছেদ হাজার হাজার রহিঙ্গা
নিধন সারা বিশ্ব অবলকন করেছে। বর্বর
মুর্খ সামরিক বাহিনী বার্মা একলঙ্ক যুগযুগ
ধরে বয়ে বেড়াতে হবে। ধন্যবাদ।