![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ভাবনা লিপিকার
মানুষ মায়াময় পৃথিবী ছেড়ে চলে গেলেও সে তার স্মৃতিগুলো রেখে যায়। তার কর্মকান্ড বা আমলনামা যেমন বেহেস্ত ও দোজখে অবস্থানের জন্য পরকালের উপাদেয়। তেমনি তার স্মৃতিগুলো থেকে ইহজগতের মানুষগুলোও সুশিক্ষা ও কুশিক্ষা অর্জন করে থাকে। আর যারা বোধসম্পন্ন ব্যক্তি তারা তার খারাপ কাজ গুলো থেকে শিক্ষা গ্রহন করে, কিভাবে এই ভুলগুলো থেকে নিজেকে দুরে রেখে সভ্য ও সদগুন সমৃদ্ধ মানুষ হিসেবে গড়ে তুলে।
মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ বলেছেন প্রতিদিন মৃত্যুকে স্মরণ করতে। কারণ মৃত্যুকে স্মরণ করলে মানুষ খারাপ ও কুটিল কাজ থেকে বিরত থাকবে। অর্থাৎ মরেইতো যাব অন্যায় করে কি লাভ ক্ষনিকের দুনিয়ায়। কিন্তু আমরা সবাই ভুলে যাই কিছুক্ষনপরও আমরা মরে যেতে পারি। ভুলে যাই নিঃস্বাস বন্ধ হলে আমার কর্মকান্ড ও আচরণ স্মৃতি হয়ে মানুষের মনের দুয়ারে ভাসবে। যদি কর্মকান্ড ভাল থাকে, তবে সবাই আহা! বলে অন্ততঃ একটি দীর্ঘনিঃস্বাস ফেলবে। আর যদি খারাপ হয়ে থাকে তবে সবাই এই ভেবে আশ্বস্ত হবে যে, যাক! মানুষ এমন খারাপ লোকটির আক্রমন থেকে আজ থেকে নিস্তার পেল।
একটি মানুষের জীবনের মেয়াদকাল ছোট হতে পারে। কিন্তু তার জীবন অনেক বর্ণাঢ্য ও বৈচিত্রময় হয়ে থাকে। এই জীবনের সে পরিবারে, সমাজে ও রাস্ট্রের জন্য অনেক দায়ীত্ব পালন করে থাকে। কেউ সারা জীবন একটানা খারাপ কাজ করতে পারে না। বরং সারা জীবনের কাজের মধ্যে লোভে, হিংসা ও অহমিকায় পড়ে কিছু খারাপ কাজ করে থাকে। এতে আমরা তার ভাল কাজ গুলোকে এড়িয়ে খারাপ কাজগুলোকে নিয়ে দুর্নাম করে থাকি। যদিও ঘৃনাযোগ্য লোকটির অনেকটা ভালবাসাও প্রাপ্য।
সুতারাং খারাপ ব্যক্তির নজির থেকেও অনেক কিছু শিখা যায়। নিজেকে সাবধান ও সতর্ক রাখা যায়। তাই আমরা তার ভাল কাজগুলো বিবেচনায় এনে নিজেকে সুবিবেচক এবং ভাল ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন মানুষ হিসেবে গড়ে তুলি। যাতে মানষের মননে একজন ভাল মানষের ছবি হিসেবে আমার ছবি ভেসে উঠে।
©somewhere in net ltd.