নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

তোমার চিন্তার সাথে আমার ভাবনার বিক্রিয়ায় উদ্ভাবিত হবে অসাধারণ কিছু....

মঞ্জুর আলম রুবেল

ভাবনা লিপিকার

মঞ্জুর আলম রুবেল › বিস্তারিত পোস্টঃ

নিজের ভাল নিজেই বুঝিনা

২৩ শে আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৫:১০

আমরা আমাদের অকাল মৃত্যুর জন্য দায়ী যদিও কথাট শুনতে হাস্যকর। তবু কিন্তু এটা সত্য। প্রথমেই শুরু করা যাক সিগারেট দিয়ে। সিগারেট পান করা ক্ষতিকর এটা আমরা সবাই জানি। তবুও অধিকাংশ মানুষ সিগারেট খায়। পানের সাথে তামাকতো হরহামেশাই খাচ্ছে। অন্যান্য নেশাদ্রব্য ও মাদকতো আছেই, যা খেলে পরিনাম কঠিন রোগ ও অবধারিত মৃত্যু তা একটা বাচ্ছা ছেলেও জানে। কিন্তু মানুষ এগুলোতে আবিষ্ট।

বিজ্ঞানের কল্যাণে আমরা যানবাহনে চড়ি নিয়মিত। খুব তাড়াতাড়ি এদিক সেদিক বেড়াই। কিন্তু ড্রাইভার মদ খেয়ে বা অতি দ্রুত চালাতে গিয়ে দুর্ঘটনা পতিত করে। একমাত্র তার ভুলের কারণে কতগুলো মানুষ অকালে ইহলোক ত্যাগ করে, অথবা পঙ্গু হয়ে থাকে সারাজীবন।

খাদ্যে বিষ মিশানো কোন প্রানীর পক্ষে সম্ভব নয়। কিন্তু মানুষের দ্বারা সম্ভব। কাঁচা খাদ্যে দির্ঘদিন সংরক্ষনের জন্য ফরমালিন মিশায় সুস্থ মস্তিস্কের মানুষ একমাত্র অতিরিক্ত লাভের আশায়। কিন্তু সে তিলে তিলে পুরো মানব সম্প্রদায়কে শেষ করে দিচ্ছে। এতে রাস্ট্রও নির্বিকার। অর্থাৎ দেশে মানুষ বেশী। তাড়াতাড়ি মরছি। পরবর্তী প্রজম্মের জায়গা তাড়াতাড়ি খালি করছি। তাতে নিজের ও দেশের সবারই যেন লাভ।

রাস্তায় চলতে গেলে প্রচন্ড ধুলোয় নিঃশাস নিতে কষ্টসাধ্য। এমন পরিস্থিতিতে কর্তৃপক্ষ নির্বিকার। এমন সিরিয়াস মেটারগুলো নিয়ে কাউকে উদ্ধিগ্ন হতে দেখা যায় না। যেন সব সয়ে গেছে। এর ফলে হাজারো মানুষ অ্যজমায় আক্রান্ত ও শ্বাসকষ্টে ভুগে মরছে প্রতিদিন।

শব্দদুষন আরেকটি মারাত্মক সমস্যা। রাস্তায় রকমারি গাড়ী কর্কশ হর্ন কর্নপর্দা ফেটে যাওয়ার উপক্রম হয়। যার ফলে মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়। শিশুদেরতো মারাত্মক ক্ষতি বয়ে আনে। পাশাপাশি রাস্তা ঘাটে মিছিল মিটিং এ পোঁ পোঁ বাড়তি শব্দতো আছেই। শক্তিমানদের সাথে কারো কিছু করার নাই। যাক মাথা, যাক মস্তিস্ক। তবু তারা বাজিয়ে যাক। কারা বন্ধ করবে। যারা করবে তারাই তো সবার আগে বাজায়। হায়রে পাগলা ঘন্টি তুই শুধু বেজে যা.....

বাংলা গানের মতো পিছঢালা এই পথটারে ভালবাসার কোন উপায় নেই আজ। প্রতি কদমে গর্তে ভরা। না দেখে চললে কেল্লাপতে। এই গর্ত মাড়িয়ে এগিয়ে চলে গাড়ী। আছাড়ে আছাড়ে মানুষে কোমর ও হাড়ের বারোটা বাজে। অল্প বয়সে অস্টিওআর্থাইটিসে আক্রান্ত হয় মানুষ। অসীম ধৈয্যশীল বাঙালী সহ্য করেই যায়। দেখে দেখে পা ফেলবে তারও উপায় নেই। কারণ কাঁদাতে মাখামাখি পুরো রাস্তাজুড়ে। একটু বেশী বৃষ্টি হলেতো কথাই নেই, রাস্তা যেন আস্ত একটা নদী। তবু মানুষ পেন্ট তুলে কাজে চলে। জুতা খুলে পথ চলে। ভাগ্য যদি সহায় না হয় ম্যানহোল বা বড় কোন গর্তে আছাঁড় খেয়ে পড়ে। তবু ধৈয্যের বাঁধ ভাঙ্গেনা কারো। কারন জীবনও একটা নদীর মতো।

এমন অনেক মানবসৃষ্ট সমস্যার জন্য আমরাই দায়ী। এমনিভাবে ধীরে ধীরে আমরা অকাল মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যাচ্ছি প্রতিনিয়ত। এতসব অকাল মৃত্যুর জন্য মানুষ নিজেই দায়ী। অস্র দিয়ে কাউকে হত্যা করলে হত্যাকারীর ফাঁসি হয়। কিন্তু অত্যান্ত বিস্ময়কর ব্যাপার হল যে, এরূপ ধীরে ধীরে হত্যাকারীদের কখনো কোন বিচার হয়নি। অথচ তারাই বিভিন্ন রোগ সৃষ্টির কারণ। সৃষ্ট রোগের কারণে দির্ঘ জীবনের ইতি টেনে জীবনটা আরো ছোট হয়ে যবনিকাপাত ঘটে একেকটি জীবনের। হে প্রভু এই মানুষদের তুমি সুমতি দাও।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.