![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ভাবনা লিপিকার
বর্তমান বিশ্বে অর্ধশতাব্দি ধরে কিছু জাতীর বিরুদ্ধে রাস্ট্র অমানবিক নির্যাতন করে আসছে। তারা বৈষম্যের স্বীকার হয়ে আসছে দির্ঘকাল। তারা হল রোহিঙ্গা, ফিলিস্তিনি ও কাশ্মিরী। এদের এই অঞ্চলগুলোতে জম্মই যেন আজম্ম পাপ করে এসেছে। অথচ তাদের যৌক্তিক দাবী দশকের পর দশক ধরে উপেক্ষিত। আধুনিক সভ্যতার এই যুগে তাদের উপর অমানবিকতার বিবরণ বর্ণনার শেষ নেই। নিপীড়ন ও অবর্ণনীয় নির্যাতন সহ্য করে আসছে এরা প্রজম্মের পর প্রজম্ম ধরে। ফিলিস্তিনি ও কাশ্মিরীরা তো স্বাধীনতা চায় তাদের মুক্তির জন্য। কিন্তু রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠি স্বাধীনতাও চায়না। তাদের শুধু চাওয়া দেশের নাগরিকত্বের অধিকার। এটিও তাদের জন্য উপেক্ষিত। রাস্ট্রে প্রধান মৌলিক অধিকার থেকেও তাদের বঞ্চিত করছে মিয়ারমার সরকার।
আধুনিক রাস্ট্রে আমরা দেখি যখন কোন মানুষ কোন রাস্ট্রে জম্মগ্রহন করে তাহলে তার বাবা-মা যে দেশেরই নাগরিক হোক না কেন সে জম্মসুত্রে সে দেশের নাগরিক হয়। শতশত বছর ধরে এদেশে বাস করার পরও তাদের দাবী করতে হচ্ছে আমরা এদেশের নাগরিক, আমরা নাগরিকত্ব চাই। শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে বসবাসকৃত এই রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে মিয়ানমার সরকার তাদের দেশের মুল ধারায় মিশতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে আসছে। প্রাকৃতিকভাবে তারা অপরাধী। কারণ তাদের মুখমন্ডল বার্মীসদের মতো চ্যাপ্টা নয়। সময়ে সময়ে নির্বিচারে তাদের কে গুলি করে মারছে, মেয়েদের ধর্ষন করছে। প্রান বাঁচাতে তারা পার্শ্ববর্তী দেশে পালাচ্ছে। এটি মানবতার সুস্পষ্ট লঙ্গন। মিয়ানমার সরকার আন্তর্জাতিক মহলের পরামর্শ উপেক্ষা করে আসছে।
পৃথিবীর সবচাইতে নির্যাতিত এই সম্প্রদায়টির প্রতি মিয়ারমারের নির্যাতন ও হত্যার বিরুদ্ধে কার্যকর কোন পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হচ্ছে বিশ্ব সম্প্রদায়। অথচ তাদের নিশংষতার মাত্রা পশুকেও হার মানায়। নির্বিকার বিশ্ব এভাবে চুপ থেকে দেখে যাবে কতকাল? নাগরিকের ন্যার্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হবে এরা কতকাল? নিজ দেশ ছেড়ে উদ্বাস্তু হয়ে বসবাস করবে এরা কতকাল?
নির্যাতন ও ভয় দেখিয়ে সমাজে কখনো শান্তি বয়ে আনা যায়না। বরং এতে দির্ঘমেয়াদী অশান্তির বীজ বোপিত হয়। নির্যাতিত ও সংক্ষুব্ধরা একত্রিত হয়ে সাংঘর্ষিক প্রতিক্রিয়া ব্যাক্ত করে। ফলে একটি সুষ্ঠু সমাজে অশান্তি ছড়িয়ে পড়ে। এই রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে মুলধারার বাইরে না রেখে বরং দেশের জনগনের সাথে মুলস্রোতে মিশতে দিলে প্রকারান্তরে সেদেশেরই লাভ। এদের মানব সম্পদে রূপান্তরিত করে দেশের স্থবির অর্থনীতি আরো গতিশীল ও শক্তিশালী করতে সক্ষম হবে মিয়ানমার।
©somewhere in net ltd.