![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ভাবনা লিপিকার
গত পরশু উত্তর কোরিয়া মাটির তলদেশে একটি এটম বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। যার ফলে ৬.৩ মাত্রায় ভুমিকম্প অনুভুত হয় কয়েক কিলোমিটারের জুড়ে। ধারনা করা হয় এমন একটি বোমায় বড় একটি শহর নিমিশেই ধ্বংশ করে দেয়া সম্ভব। এমন মরনাত্মক বোমা আছে পৃথিবীর অনেক দেশের হাতে। আবার অনেক দেশ গোপনে এরকম বোমা বানাতে গবেষনা চালিয়ে যাচ্ছে। এসব অস্রের প্রতি মনোযোগী হওয়ার মূখ্য উদ্দেশ্য হল- নিজেকে ক্ষমতাধর প্রকাশ করা অথবা অন্য পারমানবিক শক্তিধর দেশগুলো যেন প্রতিরক্ষার দিক থেকে তাকে সমীহ করে চলে
পৃথিবীতে নাকি যতগুলো এটম বোমা আছে তা দিয়ে আমাদের আবাসযোগ্য পৃথিবীকে মূহুত্বেই নরকে পরিনত করা সম্ভব কয়েকবার। যদিও আমাদের বসবাসযোগ্য এই পৃথিবী বিনা আরেকটি পৃথিবী নেই এই মহাকাশে। তবুও এই মানুষগুলো এমন মরণ খেলা চালিয়ে যাচ্ছে। আপন জাতীকে হুমকিহীন করতে গিয়ে তারা পুরো মানব জীবন ও সভ্যতাকে ঝুঁকিপূর্ন করে তুলছে। একটি জাতী তার আত্ম অহমিকা ও শক্তি প্রদর্শনের জন্য অন্য জাতীকে ধ্বংশে ব্যস্ত প্রতিনিয়ত। যা আমরা দেখেছি হিরোশিমা ও নাগাসাকির হামলায়। সুতারাং নিউক্লিয়ার বোমায় আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেয়া যায় না। কারণ মানবজাতী হল বর্ণবাদী, সাম্প্রদায়ীক ও সন্দেহ প্রবন। তারা কেউ কারো প্রতি আস্থাশীল ও পূর্ন বিশ্বাসী নয়। আর সাম্প্রতিককালের নিউক্লিয়ার বোমাগুলোর শক্তি ও ভয়াবহতা হিরোশিমা ও নাগাসাকিতে হামলার বোমাগুলোর চেয়ে অনেকগুন শক্তিশালী।
পৃথিবীব্যাপি সব মরণাত্মক বোমা ধ্বংশ এবং নিষিদ্ধ করা উচিৎ। যা হতে হবে সকল দেশ ও জাতীর জন্য বাধ্যতামুলক। যদিও সম্ভব নয়, কারণ মানুষ প্রকৃতিগতভাবে শক্তি প্রদর্শনকারী। যার সভাব শক্তি প্রদর্শন করে অন্যকে ভয় দেখানো এবং লুন্ঠন করা। মানুষের আচরন বিষধর সাঁপের সাথেও তুলনা চলে না, বরং তারও বেশী। যদিও সাঁপ আত্মরক্ষার জন্যে বিষ ঢেলে দেয়। কিন্তু মানুষ শুধু তাই করেনা, বরং বেশীরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায়- সে আক্রমন ও লুন্ঠনের জন্য তার ক্ষমতার অপব্যবহার করে।
তাই এটম নামক বিষ মানুষের কাছে কখনো নিরাপদ নয়। ভবিষ্যত প্রজম্মের জন্য একটি আবাসযোগ্য পৃথিবী রেখে যেতে চাইলে অবশ্যই এই বিষ ক্ষয় করতে হবে।
©somewhere in net ltd.