মিয়ানমারের ১জন মানুষেরও কি মানবতাবোধ নেই!!

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:১৫

মিয়ানমারে রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে যে বর্বরতা চলছে তার প্রতিবাদে সেদেশে কোন একজন নাগরিককেও দেখলাম না আজো। এমনকি পৃথিবীর অন্য কোন রাস্ট্রে বসবাসকৃত মিয়ানমারের নাগরিকের মুখেও রোহিঙ্গাদের মানবাধিকারের কথা শুনতে পাইনি। আমরা দেখেছি দখলদার রাস্ট্র ইসরাইল রাস্ট্র কর্তৃক ফিলিস্তিনির উপর জুলুম ও অত্যাচার করলেও সেখানকার অনেক সাধারণ মানুষ তা সমর্থন করেনা। বরং তারা নিজ রাস্ট্রের সমালোচনা করে। এমনকি পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বসবাসকৃত ইহুদিরা বিক্ষোব মিছিল পর্যন্ত করে নিন্দা জানায়

এই ক্ষুদ্র জাতীগোষ্ঠি রোহিঙ্গাদের উপর পশুর মত অমানষিক নির্যাতন ও হত্যা কালের সব বর্বরতাকে হার মানায়। তারা নিরস্র শিশু ও নারীদের উপর নির্যাতন করে মানবতাবিরোধী অপরাধ করছে। পৃথিবীর ক্ষমতাধর রাস্ট্রগুলো মানবতার জয়গান না গেয়ে নির্লিপ্ত থেকে দেখে যাচ্ছে আপন স্বার্থের জন্যে। প্রাকৃতিক ও খনিজ সম্পদে ভরা মিয়ানমারকে শোষনের জন্যে অপলক লোলুপ দৃষ্টিতে চেয়ে আছে সবাই। তাই এখন তাদের মানবতাবিরোধী অপরাধও যেন ক্ষমাযোগ্য।

কিন্তু মিয়ানমারের মত এমন কট্টর, আবেগহীন, মমতাহীন ও মানবতাহীন এমন জাতীকে পৃথিবীর মানুষ আরেকটি দেখেছে কিনা সন্দেহ। আধুনিক যুগে মানুষ কিভাবে এত বর্বর হতে পারে আমার বোধগম্য নয়। কিভাবে অকারণে একটি দরিদ্র ক্ষুদ্র জাতীকে সমুলে উৎপাটনের জন্য প্রকাশ্যে নির্যাতন চালায় জগন্যভাবে। ধর্মের পুরোধারা মানবতার মশাল হাতে নিসংশতায় পেট্রোল ঢালে। শাষকগোষ্ঠি শান্তির দন্ড হাতে নিয়ে এই অবলা জাতীর উপর মিথ্যা দায় চাপিয়ে পুরো নৃগোষ্ঠিকে অস্বীকার করার আস্ফালন দেখায় বিশ্ববাসীর কাছে। এভাবে মানবতা নির্মমতায় কাঁদে নাফ নদীর তীরে।

০ টি +০/-০