![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ভাবনা লিপিকার
ইয়াজিদ হল উমাইয়্যা বংশের আবু সুফিয়ানের নাতি। ইসলামের পঞ্চম খলিফা হযরত মুয়াবিয়া ও মাইসুনের সন্তান । ইয়াজিদের জম্মের পূর্বেই মুয়াবিয়া তার স্ত্রীকে তালাক দেয়। জম্মের পর সে এক খৃষ্টান মহিলার তত্ত্বাবধানে বড় হয়। ইসলাম সম্পর্কে প্রকৃত কোন জ্ঞানই ছিলনা তার। ইসলামে নিষিদ্ধ কর্মগুলো ছিল তার স্বভাবজাত। মদ, জুয়া, অসভ্যতা, চুরি, ডাকাতি ও খুন ছিল তার চারিত্রিক অভ্যাস। সে রেশমী কাপড় পরিধান করত। সে ‘আবু ক্বাইস’ নামে একটি বানরের সাথে খেলা করত। বানরটি মারা গেলে সে এটিকে কাপণ পরিয়ে দাপন করার নির্দেশ দেয়। একইসাথে শ্যাম নগরীর বাসিন্দাদের শোক পালন করতে বলে। হযরত ঈমাম হুসাইন (রা) হত্যা করার পর সে কুফার গভর্নর ইবনে জিয়াদকে (যে ৪০০০ সৈন্য পাঠায় ঈমাম হুসাইনকে হত্যা করতে) সাথে নিয়ে মদের আড্ডায় মাতে এবং মাতাল অবস্থায় স্লোক বলে-
“আমাকে মদ খাওয়াও, যাতে আমি পরিতৃপ্ত হই।
ইবনে জিয়াদকে খাওয়াও, সে আমার প্রান রক্ষাকারী।
সে আমার ইচ্ছাপুরণকারী ও শত্রুর সাথে যুদ্ধকারী।”
তার ৩ বছর ৮ মাসের রাজত্বকালে জনগনের মাঝে অত্যাচার বেড়ে গিয়েছিল। প্রকাশ্যে গান-বাজনা ও মদ খাওয়া হতো। লোকজন ভ্রষ্ট ও অসাধুতায়, লাম্পট্য ও অমিতাচারে নির্মগ্ন থাকত।
সে ১৭ই সফর ৬৪ হিজরি সনে মাত্র ৩৩ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করে। তাকে দামেস্কে দাফন করা হয়। মৃত্যুকালে সে মুয়াবিয়া, খালেদ, আবু সুফিয়ান ও আবদুল্লাহ নামক চার সন্তান রেখে যায়।
©somewhere in net ltd.
১|
০২ রা অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৪:১৪
মাহবুবুল আজাদ বলেছেন: ইতিহাস অনেক রক্তের বিনিময়ে লেখা।