![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একটা বয়স আছে যখন মানুষের ভবিষ্যৎ চিন্তা অনেক বেড়ে যায়। তখন একজন তার আগামীকে তার অবস্থান অনুসারে নিশ্চিত করতে চাই। কিন্তু যখন বুঝতে পারে তার কর্মকাণ্ড তাকে তার কাঙ্ক্ষিত ভবিষ্যৎ এর দিকে ধাবিত করছে না, তখন সে এটাকে তার বার্থতা হিসাবে ধরে নেয়। জীবনের ছোট ছোট বার্থতাগুলীও তখন অনেক বড় হয়ে যায়, ধীরে ধীরে সে সকল মনবল হারাতে থাকে। তখন সামনে অগ্রসর হওয়ার জন্য তার কোন অবলম্বন এর প্রয়োজন হয়। এই অবলম্বন এক এক জনের জন্য এক এক ধরনের। এক্ষেত্রে সবচেয়ে প্রধান যে সাপোর্ট এর প্রয়োজন তা হল মানুষিক সাপোর্ট। কেউ হয়ত তার পরিবার থেকেই এই সাপোর্ট পেয়ে যায়। কিন্তু মধ্যবিত্ত পরিবারের ক্ষেত্রে এটা সম্ভবপর নয়, কারন পরিবারই ব্যক্তিটির উপর নির্ভরশীল । গ্রামের মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তানেরা অর্থনৈতিক সমস্যার পাশাপাশি কিছু মানুষিক সমস্যা নিয়ে বড় হয়। এসব মানুষিক সমস্যা এর মধ্যে অন্যতম হল বাক্তিগত কিছু সমস্যা যা প্রত্যেকের জীবনে কম-বেশি ঘটে থাকে। এগুলো মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তানেরা তাদের পরিবারের সাথে শেয়ার করতে পারে না। যেমন ধরা যাক প্রেমে পড়ার বিষয়টা । টিনেজার বয়সে বিষয়টা হারহামেশাই ঘটে, এই সময় কেউ হয়ত তার আশেপাশের হতে পারে তার সহপাঠী অথবা তার বয়সের অন্য কোন বিপরীত লিঙ্গের মানুষটির প্রতি এক ধরনের আকর্ষণ বোধ করে, সেটা হতে পারে এটা তার প্রতি ভালবাসা। কিন্তু এগুলা অনেকে তার পরিবার তো দূরে থাক তার বন্ধুদের সাথেও শেয়ার করে না। আবার আমাদের সমাজিক প্রেক্ষাপটের কারনে বা অনেক ধরনের ভয়, দ্বিধা-দ্বন্দ্বের কারনে সে তার ভালবাসার মানুষটিকেও তার মনের কথাটি বলতে পারে না। কিন্তু সে মনে মনে তাকে ভালবাসতে থাকে। আর মানুষ যেহেতু কল্পনাবিলাসী সে মনে মনে তাকে নিয়ে অনেক রঙিন স্বপ্ন দেখতে থাকে । এই কল্পনা বা তার না বলা ভালবাসা ধীরে-ধীরে তার জীবন থেকে তার মূল্যবান সময়কে নষ্ট করতে থাকে। যখন সে বুঝতে পারে এই কল্পনার কোন মূল্য নাই বরং তার মূল্যবান সময় এর মাধ্যমে নষ্ট হচ্ছে, তখন এটা থেকে মুক্তি চাই। কিন্তু একটা দীর্ঘ সময় যদি সে এগুলা নিয়ে পার করে আসে, সে চাইলেই এটা থেকে আর সহজে মুক্তি পেতে পারে না। তখন এটা তার মানুষিক সমস্যা হয়ে দাড়ায়। সে হন্য হয়ে মুক্তির পথ খোঁজে। মুক্তির উপায় হিসাবে তখন তার আশেপাশের বন্ধুদেরকে হয়তো বিষয়টা বলে। কিন্তু সে বুঝতে পারে যাকে নিয়ে সমস্যা তাকে না বললে এর কোন সমাধান নেই। তার প্রত্যাশিত মানুষটিকে তার মনের কথা খুলে বলার পরে যদি সে মেনে নেয়, তাহলে এটা তার জীবনের আমূল পরিবর্তন আনতে পারে। কারন এক্ষেত্রে সে তার সবচেয়ে বড় মানুষিক সমস্যা থেকে মুক্তি পাই, কল্পনা তখন বাস্তব হয়ে ধরা দেয়। কিন্তু যখন সে ব্যর্থ হয়, তখন জীবন আরও কঠিন হয়ে ওঠে। এক্ষেত্রে একটাই কাজ করার থাকে জীবন সামনে এগিয়ে নেবার জন্য, তা হল তার ভালবাসার স্মৃতিকে প্রতিস্থাপন করা অন্য কারো মাধ্যমে। তাছাড়া জীবন হয়ে উঠতে পারে নরকময়। সুতরাং যদি মনে হয় তবে সাপোর্ট হিসাবে এখানে গার্লফ্রেন্ড বা বয়ফ্রেন্ডের দরকার আছে।
©somewhere in net ltd.