নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

life is a game . lets make a highscore

প্রফেসর সাহেব

প্রফেসর সাহেব › বিস্তারিত পোস্টঃ

কালু বৃত্তান্ত

০৩ রা এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৮:৪৩



কালু মিয়ারে গ্রেফতার করার মাধ্যমে প্রমাণ হইলো দেশ থাইকা দারিদ্রতা দূর করতে না পারলেও এবং "দারিদ্রতাসুলভ" আচরণ নির্মুল করতে সরকার মহোদয় বেজায় সতর্ক।

তুমি গরিব হইতে পারো কিন্তু গরিবী দেখাইতে পারবা না, অন্তত বিদেশিদের কাছে তো না-ই।

তোমারে আমি চাকরি দিবার পারুম না, বয়স্ক ভাতা দিবার পারুম না, প্রতিবন্ধী ভাতা বা কর্মসংস্থান তাও দিবার পারুম না, তবে মিয়া ভিক্ষা করবার পারবা না।


সাদারা এই গরীব দেশগুলোতে আসেই এইগুলা দেখতে আর দেখাইতে, স্লাম ট্যুরিজমের একটা অংশ এই ভিডিও, আপনার পকেটে টাকা থাকলে ইউরোপামেরিকা যাইবেন ভুলেও মালি কংগো যাইবেন না, কারন মালি কংগোর দারিদ্র্যতা আপনারে টানে না, এইগুলা আপনার রোজ দেখা হয়।

কিন্তু সাদারা (সবাই না কিন্তু) যায় গরিব দেশ দেখতে, কালা এক বাচ্চা খুলে নিয়া সেলফি দিয়া নিজে যে রেসিস্ট না সেটা প্রমাণ করতে, এই গরীব দেশগুলোতে গেলে যে এটেনশন সে পায় ইউরোপামেরিকাতে সে তা পায় না।


প্রাচ্য পশ্চিমরে বড়লোক হিশেবে দেখতেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে আর পশ্চিম পছন্দ করে প্রাচ্যকে গরীব/সুবিধা বঞ্চিত/ দরিদ্র হিশেবে দেখতে।

মন্তব্য ১৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৯:০৫

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আমি আপনার সাথে দ্বিমত পোষন করব। আপনার সমালোচনার জায়গাটি সঠিক বলে মনে হলো না।

প্রথমত, যে লোকটিকে গ্রেফতার করা হয়েছে, সে লোক একজন প্রতারক মানসিকতার লোক।
কারন - যে বিদেশী ভদ্রলোক যে কেকের দোকানদারকে ৫০০ টাকা বখশিখ দিয়েছে, সেই লোক ইংরেজী বুঝত না। এই কালু লোকটি সেই লোককে ভুল বুঝিয়ে তার কাছ থেকে ২০০ টাকা নিয়ে যায়।

দ্বিতীয়ত, এই লোকটি যদি দরিদ্র হতো, অভাবী হতো, তাহলে প্রথমেই সে টাকা চাইত।

উল্লেখ্য এই পথ দিয়ে আমি নিয়মিত অফিসে যাই এবং এখানে অনেক পেশাদার ভিক্ষুক থাকে যারা বিদেশী দেখলেও এতটা বিরক্ত করে না যতটা না এই লোক করেছে। অধিকাংশ বিদেশী পয়সা দেয় না, কেউ দিলে দুই চার টাকা দিয়ে দ্রুত চলে যায়। আপনি দেখবেন, এই লোক প্যান প্যাসেফিক সোনারগাও পার হয়ে প্রায় হাতিরঝিলের মাথা পর্যন্ত চলে গেছে। এবং টাকার জন্য ন্যাগিং করেছে।

বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সময়ে প্রচুর বিদেশী পর্যটক আসছে। কক্সবাজার তো রোহিঙ্গাদের কারনে একটি বিপদজনক স্থানে পরিনত হয়েছে, সেখানকার সিএনজি, অটো ড্রাইভাররা ৯০% বাটপার এবং স্ক্যাম করে। এই অবস্থায় এই ধরনের একটি ঘটনায় পুলিশের পদক্ষেপ ঠিক আছে।

আরো অনেক ভিডিও পাবেন, যেখানে বিদেশীরা প্রকৃত অভাবীকে খুঁজে বের করে টাকা সাহায্য করছে। কিন্তু এই লোক যা করেছে, সেটা অগ্রহনযোগ্য। এতে একটি ভালো ম্যাসেজ গিয়েছে। টুরিস্টরা নিরাপদ অনুভব করবে।

এই চাচার তুলনায় হয়ত আরো অনেক বেশি অপরাধ আছে, কিন্তু একটা অপরাধ দিয়ে আরেকটা অপরাধকে যাচাই করার সুযোগ নেই। উন্নত বিশ্ব হতে চাইলে - আমাদের সবার মন মানসিকতার পরিবর্তন প্রয়োজন সবার আগে। স্বস্তা আবেগের চাইতে বাস্তবতা বুঝতে হবে।

০৩ রা এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১০:১২

প্রফেসর সাহেব বলেছেন: লঘু পাপে গুরু দন্ড হইছে, আপনিও "হয়তো"র উপর ভরসা রাইখা কালু মিয়ার দোষরে গাঢ় করার চেষ্টা করলেন। এখানে কালুমিয়া গরিব ছোটলোক দেইখা তার উপর সব দায়ভার চাপানো যায়, কিন্তু বড়লোক ব্লগার যে কালুমিয়ার অনুমতি না নিয়া ভিডিও করলো এবং তা পাবলিশ কইরা লাখ টাকা কামাই করলো, এখন ভিডিও ভাইরাল হওয়ায় যে কালুমিয়া এবং তার পরিবারের মানহানি হইছে সেই লজ্জায় যদি সে নিজে বা তার পরিবারের কেউ আত্মহত্যা করে সেই দায়ভার কি ব্লগারমিয়া নিবো? না গরীব ছোটলোক বলে তার মানহানি হওয়াও নিষেধ?


তর্কের খাতিরে যদি ধরেও নিই যে সে রার নিরাপত্তার জন্য ভিডিও করছে তাহলে সে ভিডিও নিয়া পুলিশরে দেখাইলোনা ক্যান? তাহলে পুলিশ তো ব্যবস্থা নিতো? সে পুলিশের কাছে যায় নাই এবং ইচ্ছাকৃতভাবে ঘটনারে টানছে, চাইলে সে প্রথমেই ঘটনাটির ইতি টানতে পারতো, কিন্তু সে তা না করে একটা ভালো কন্টেন্ট হইতেছে বইলা ঘটনারে লম্বা করছে। সে জানে যে এইধরনের ভিডিও মানুষ খায় বেশি। কিন্তু সে সাদা বলে তার ভুল ধরা যাবে না, দলবাইন্দা সবে মিইলা তার ভিডিওর কমেন্টে গিয়া মাফ চাইতে হইবে।

২| ০৩ রা এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৯:৪০

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: আমি আজ বিকেলেই ভিডিওটি দেখেছি, খুব খারাপ লেগেছে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হতে দেখে। বিষয়টি নিয়ে আমি একটা পোস্ট করতে চেয়েছিলাম। আমার সন্দেহ হচ্ছে ওই লোকটি কি আসলেই ভিক্ষুক না কি উনাকে রাজনৈতিক উদ্দ্যেশ্যে ভিক্ষুক সাজানো হয়েছে??

৩| ০৩ রা এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৯:৪৫

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: সরকার থেকে আইন করা উচিৎ বিদেশীদের কাছে ভিক্ষা চাওয়া যাবে না, এতে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়। বাংলাদেশের মানুষ এমনিতেই প্রচুর দান খয়রাত করে বিদেশীদের কাছে হাত পাতার দরকার নেই।

৪| ০৩ রা এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৯:৫৩

নিমো বলেছেন: জ্যাক স্মিথ বলেছেন: বাংলাদেশের মানুষ এমনিতেই প্রচুর দান খয়রাত করে বিদেশীদের কাছে হাত পাতার দরকার নেই।
দেশে দরকার কর্মসংস্থান, দান খয়রাত দারিদ্র্যর দুষ্ট চক্র বজায় রাখা ছাড়া কোন কাজে আসে না।

৫| ০৩ রা এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১০:১১

নাহল তরকারি বলেছেন: আমি কাল্পনিক কাল্পনিক_ভালোবাসা এর সাথে অনেকক্ষানি একমত।

৬| ০৩ রা এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১০:২৯

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: এ রকম বাটপারকে আপনারা কেমনে সমর্থন করেন? ভিডিওটা দেখছেন কেমনে উত্ত্যক্ত করছে? বিদেশির জায়গায় বাঙালি হলে থাপড়াত।

৭| ০৩ রা এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১০:৩৬

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: দুঃখিত আপনার সাথে আবারও একমত হতে পারলাম না। সব কিছুতে 'দরিদ্র' বা 'গরীব' কার্ড প্লে ব্যাপারটা খুবই অবান্তর এবং হাস্যকর। আপনি যে যুক্তিটি দিলেন, সেটা অনেকটা এমন যে, "এই সিড়িটি উপরে গেছে তা না হয় মানলাম, কিন্তু এই সিড়িই যে নিচের দিকে নেমে আসছে সেটার প্রমান কি?

লুকের ভিডিওতে স্পষ্ট যে আপনার কালু ব্যক্তিটি একজন প্রতারক মানসিকতার লোক। বিশেষ করে যখন যে কেকের দোকানদারকে ৫০০ টাকা দিয়ে বাকিটা রেখে দিতে বলল, তখন এই কালু মিয়া ঐ অশিক্ষিত দোকানদারকে বলল, বাকিটা আমারে দিয়া দিতে বলছে।

আপনার যুক্তিতে তো আপনার এই কালু মিয়া ঐ দরিদ্র দোকানদারকেও ঠকাইলো। কারন টিপস হিসাবে পুরোটা তারই প্রাপ্য ছিলো! আর এই যে আপনার ভাষায় তথাকথিত সাদা চামড়ার লোক মহানুভবতা দেখাইলো, সেটার কোন মুল্য নাই?

ঢাকা শহরের বঙ্গ বাজারে প্রচুর এমন ট্রান্সলেটর ঘুরে। বঙ্গবাজারে যে গুলো কাজ করে, তাদের মধ্যে চিটিং মানসিকতা তুলনামুলক কম। দরিদ্র হলেই মানুষকে প্রতারনা করতে হয় না। দরিদ্র হলেই ভিকটিম সাজতে হয় না। আপনার কালু মিয়া যদি একজন প্রতারক মানসিকতার লোক না হয়ে কোন সাধারন দরিদ্র ব্যক্তি হতো আর তার এই নিয়ে আমার কোন অভিযোগ থাকত না। কিন্তু এই লোকটি প্রতারক মানসিকতার। সেটা ঐ বিদেশীর ভিডিও দেখলেই স্পষ্ট।

অন্যায়কে অন্যায় বললে দেশে একটি সঠিক পরিবর্তন আসবে, নইলে দেশ হিরো আলমের মত সত্যিকার 'হিরোদের' দখলে চলে যাবে। হিরো আলম হচ্ছে বাংলাদেশের মানুষের একটি স্যাটায়ার প্রতিচ্ছবি যা আমরা নিজেরাই তৈরী করেছি। আমরা সভ্য হতে চাই, আমরা সেরা হতে চাই কিন্তু আমাদের মুরোদ নাই।

৮| ০৩ রা এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১১:২৩

অপু তানভীর বলেছেন: আমাদের বাঙালিদের একটা মাইন্ড সেট হচ্ছে তাদের নিজেদের অর্থনৈতিক অবস্থান থেকে যারা নিচে তাদের দোষ দেখেও না দেখার ভান করা আর যারা উপরে তাদের সামান্য দোষেই তেলে বেগুনে জ্বলে ওঠা । চাচামিয়ার বাটপারিটা এই কারণে অনেকের কাছেই মনে হচ্ছে কোন কিছুই না ।

আর এতো চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই । বাটপারকে সামান্য জরিমানা করে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে ।

৯| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১:১৬

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: প্রায় বিশ-পচিঁশ বছর আগের কথা, আমার জার্মান চাচী প্রথম কিংবা দ্বিতীয়বার বাংলাদেশে এসেছেন চাচার সাথে। ঢাকায় এসে চাচা একটা টিভি চ্যানেলের আমন্ত্রনে যাচ্ছেন চাচী-কে সাথে নিয়ে। গাড়িটা ফার্মগেইটে সিগন্যালে থামতেই দেখলেন অনেক মানুষের জটলা। চাচাী জিজ্ঞেস করলেন কি হয়েছে ঐখানে? চাচা বললেন বানরের খেলা দেখছে। চাচী বললেন এতগুলো মানুষের চাকুরী নেই? সকাল বেলা অফিস বাদ দিয়ে খেলা দেখছে? এর সদুত্তর চাচার জানা ছিলো কিনা জানি না।

গ্রামের বাড়িতে চাচী যাওয়ার পর, পুরো দু'তিন গ্রামের মানুষ এসে জড়ো হলো চাচীকে দেখতে। বাড়ির উঠোনে পা ফেলার জায়গা নেই, সবার চোখ চাচীর দিকে, চাচী কিছুটা বিরক্ত হলেও হাসিমুখে সবার সাথেই কথা বলছিলেন ভাঙা ভাঙা বাংলায়। তবে চাচীর চেয়ে বিরক্তি আমার বা চাচার বেশী ছিলো মনে হয়।

বলছিলাম ২০০১/২০০২ সালের কথা। এখন ২০২৩ সাল, ফেইসবুক এসেছে, অনেক সাদা চামড়ার লোক-ও বাংলাদেশে এসেছে। কিন্তু বাঙালীর এইসব ছোটলোকিপনা-টা কি কমেছে? না, কমেনি বরং বেড়েছে। ট্যুরিস্টদের অহেতুক এইভাবে বিরক্ত করলে, থানায় নিয়ে কিছুটা আদর-আপ্যায়ন করা যেতে পারে, যাতে আগামীতে এই ধরনের (অ)সুন্দর আচরণ আর না করেন। ভিডিওর লোকটি যা করেছে, তা আর কোন বাঙালীর সাথে করলে জুতা পেটা করত বলেই আমার ধারনা।

১০| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২৩ রাত ২:২২

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
এই লোক যা করেছে, সেটা অগ্রহনযোগ্য।
লোকটি সোনারগাও পার হয়ে প্রায় হাতিরঝিলের মাথা পর্যন্ত চলে গেছে। বার বার না বলার পরও এবং টাকার জন্য বা অকারনে সারক্ষন বিরক্ত করছিল।
এই ঘটনায় পুলিশের পদক্ষেপ ১০০% সঠিক।
এতে বিদেশি পর্যটকদের কাছে একটি ভালো ম্যাসেজ গিয়েছে। টুরিস্টরা এখন নিরাপদ অনুভব করবে।

১১| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২৩ ভোর ৫:১০

সোহানী বলেছেন: উপরে কাভা যা বলেছে ১০০% সমর্থন করি।

আমাদের আয়ের অংশ যদি পর্যটন খাতে বাড়াতে চাই তাহলে এধরনের বাটপারদেরকে হাজতে পুরতেই হবে। একটাকে পুরলে বাকিগুলা ঠান্ডা হবে।

যেই উদ্দেশ্যেই আসুক না কেন তাদের এক ডলার আমাদের দেশের জন্য সম্পদ। তাই আমাদের দেশকে পর্যটন বান্ধব করতে শক্ত হাতে এদের দমন করতেই হবে।

১২| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১২:৪৮

নতুন বলেছেন: ভাই পর্যটন খাতে কিছু করতে চাইলে দেশের মানুষের মনমানুষিকতা ঠিক করতে হবে।

বাটপারী বন্ধে আরো কাজ করা দরকার।

এই ঘটনায় পুলিশের পদক্ষেপ ১০০% সঠিক।
এতে বিদেশি পর্যটকদের কাছে একটি ভালো ম্যাসেজ গিয়েছে। টুরিস্টরা এখন নিরাপদ অনুভব করবে।

@কাভা/হাসান ভাই এর সাথে ১০০% সহমত।

১৩| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১২:৫৪

বিটপি বলেছেন: পুলিশ কি পদক্ষেপ নিয়েছে? ভুল জায়গায় পার্কিং করলে যেখানে আড়াই হাজার টাকা জরিমানা অথবা এক হাজার টাকা ঘুষ নেয়, সেখানে দেশের মান সম্মান ডুবানোর অপরাধে মাত্র দুইশ টাকা জরিমানা করে ছেড়ে দিয়েছে।

১৪| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ২:৫২

রাজীব নুর বলেছেন: বর্হিবিশ্বে এই বুড়ো বাংলাদেশের মান সম্মান ক্ষুন্ন করেছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.