![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সত্যের জন্য সত্যকে অনুভব করার চেষ্টা করি।
২৮ শে ডিসেম্বর বাড়ি থেকে চলে আসার পর ৭ মাস যাবৎ বাড়ির পথে পা পড়েনি। অনেক দিন পর আজ বাড়ি যাচ্ছি। এতটা সময় টানা আর কখনও ঢাকা থাকেনি। বিভিন্ন কারণে এবারের ঈদটা একটু ভিন্ন মাত্রা পাবে।
এই সাত মাসে জানা অজানা অনেক ঘটনা ঘটে গেছে। কতক চেনা দৃশ্যই না কত পাল্টে গেছে! দূর থেকে কত না সুসংবাদ আর দু:সংবাদ শুনেছি। কারো সুখ কিংবা দু:খ কোনটাই ভাগাভাগি করতে পারিনি। কারো শুভ সংবাদ শুনে আন্দোলিত হয়েছি। আবার কারো খারাপ কোন খবর পেয়ে আহতও হয়েছি। যা বার বার নিজের ভিতরটাকে দুমরে মুছড়ে দিয়েছে। সময় হলে সুযোগ হয় না। আর সুযোগ হলে সময় হয় না। তাই বাড়িও যাওয়া হয় না।
শুনেছি চেনা মানুষের সাথে যোগ হয়েছে আরও কয়েকটি নতুন মুখ। যা সত্যি এক সুখের শিহরণ জাগিয়েছিল। আবার কয়েকটি মুখ চিরতরে হারিয়ে যেতেও শুনেছি না ফেরার দেশে। ফলে আমাকে বার বার তাড়িত করছে এক অজানা প্রশ্নের উত্তর।
পাহাড়ের ঝর্ণার জলের প্রবাহ নদী হয়ে নেমে আসে। বহু পথ পাড়ি দিয়ে অবশেষে সমূদ্রে মিশে। কিন্তু সবটুকু জল কি পারে মোহনার সাথে মিলিত হতে? কিছু নদীর জল চলতে চলতে কোন বেলা ভূমিতে বিলীন হয়ে যায়। আবার কতক জল নদীর চলার পথেই বাষ্প বা অন্য কোন পথে বিলীন হয়ে যায়।
জীবন নামক নদীতে জল হয়ে বয়ে চলেছি অবিরাম। শৈশব, কৈশোর পেরিয়ে যৌবনের উত্তাল তরঙ্গবেগ সামনের দিকে সদাই ধাবমান। জীবন নদীতে সবাই তো সমুদ্রে মিলিত হতে পারে না। কেউ শৈশব, কেউ কৈশোর, কেউবা যৌবনেই হারিয়ে যায় জীবন নদী থেকে। সবাই বার্ধ্যকে স্পর্ষ করতে পারে না| তবে আমার কি সাগরের সাথে মিলন? নাকি আগেই হারিয়ে যাব অজানা কোন দেশে?
নদীর পানি হারিয়ে গেলেও পানিচক্রের কল্যাণে আবারও সে মেঘ, মেঘ থেকে বৃষ্টি হয়ে নদীতে মিশে যাবার সুযোগ পায়। কিন্তু জীবন নদীতে তা সেই সুযোগ অনুপস্থিত। তাই হারিয়ে যাবার আগেই শুধরে নিতে চাই নিজের ভুলগুলো। তার আগে যেন আর কোন প্রাণের ডাক না পড়ে পরপারে। সবার নিকট সেই দোয়া চাই। আল্লাহ আমাদের কবুল করুন। আ মী ন!!!!!!!!!!
২| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ২:৩৫
আরিফুর রহমান বাবুল বলেছেন: এই সাতমাস ঢাকায় ঘুরে ঘুরে কি বাদাম বিক্রি করেছিলেন্নাকি??
©somewhere in net ltd.
১|
০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ২:২৩
আমি ব্লগার হইছি! বলেছেন: কোন ব্যাপার না। এইটাই জীবন।