![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সত্যের জন্য সত্যকে অনুভব করার চেষ্টা করি।
গত শুক্রবারের একটি আত্মহত্যার ঘটনায় গোটা গ্রামবাসীর মত আমিও মর্মাহত। কেন এমনটা হলো? কী হতে পারতো? এমন পরিস্থিতে কী করা উচিত ছিল রুমা’র বাবা-মা’র ও তার নিজের পক্ষে? এমন অনেক প্রশ্ন অন্যদের মত আমার মনেও ঘুরপাক খাচ্ছে।
.
সময়ের সাথে সাথে দ্রুত পাল্টে যাচ্ছে তথ্য-প্রযুক্তি, পরিবেশ ও মানুষের চিন্তা চেতনা। মানুষের চিন্তা-চেতনায় পরিবর্তনের মধ্যে ছোট ছোট শিশুরাও বাদ নেই। তাই তাদের চিন্তা-চেতনায় ক্ষতিকর কোনকিছু ঢুকছে কিনা সেই দিকে অভিভাবকদের সজাগ দৃষ্টি রাখা উচিত।
.
অভিভাবকদের পক্ষে সম্ভাব্য যা করনীয়:
১. আপনার সন্তানকে শাসনের পাশাপাশি বেশি বেশি ভালোবাসুন। আপনার ভালবাসা পেয়ে যেন সে এটা বুঝতে পারে যে, আপনি-ই পৃথিবীতে তার সবচেয়ে বড় শুভাকাঙ্ক্ষী।
.
২. অভিভাবক হয়েও তার সাথে একজন বিশ্বস্ত বন্ধুর মত আচরণ করুন। সে যেন সব ধরণের কথা (শারিরীক ও মানসিক) আপনার সাথে শেয়ার করতে পারে। নিজের বন্ধুদের সাথে দোকানে, বাজারে বা অন্যকোথাও সময় না দিয়ে নিজের সন্তানকে সময় দিন। তার মনের কথাগুলো জানার চেষ্টা করুন। যদিও মা-বাবার পক্ষে সন্তানের বন্ধু হওয়া এখনও অতটা প্রচলিত নয়; তবুও এর বিকল্প আপাতত নেই।
.
৩. আপনার সন্তান কার সাথে মেলামেশা করছে সে দিকে খেয়াল রাখুন। বাজে কারও সাথে মেলামেশা করলে তাকে বুঝান এবং তাদের সাথে সময় কাটাতে নিষেধ করুন। কোন্ কাজে আপনার সম্মান বাড়বে আর কোন্ কাজে আপনার লজ্জা হবে; তা তাকে বুঝিয়ে বলুন।
.
৪. শুধু শাসন করে সন্তানকে নিয়ন্ত্রণ করার সময় মনে হয় ফুরিয়ে এসেছে। শাসনের পাশাপাশি তাকে বুঝানো ও ভালোবাসার উপর বেশি গুরুত্ব দিন। শাসনের ক্ষেত্রে শারিরীক শাস্তি এড়িয়ে যাবার চেষ্টা করুন। বিনা অপরাধে শাস্তি দিবেন না। এতে সে বিদ্রোহি হয়ে উঠতে পারে।
.
৫. আপনার সন্তানের চাহিদাগুলোর প্রতি সজাগ দৃষ্টি রাখুন। তার সকল চাহিদা পূরণ করতে হবে এমন কোন কথা নেই। অভিভাবক হিসেবে আপনি ভেবে দেখুন আসলেই এগুলোর প্রয়োজন আছে কিনা। প্রয়োজন থাকলে পূরণ করুন। না থাকলে তাকে বুঝিয়ে বলুন এবং এড়িয়ে যান।
.
৬. তথ্য-প্রযুক্তির ব্যবহারের ক্ষেত্রে বিশেষ করে মোবাইল ফোন ব্যবহারের ক্ষেত্রে সচেতন হতে হবে। আপনার সন্তান মোবাইল ফোনে কতটুকু সময় কথা বলে, কার সাথে কথা বলে, কী শোনে, কী দেখে সে-দিকে খেয়াল রাখুন। একান্ত প্রয়োজন ছাড়া মোবাইল ফোন কিনে দিবেন না। ২০ বছর পূর্ণ না হলে কোন স্মার্ট/টাচ ফোন কিনে দিবেন না।
.
৭. আমাদের দেশের ছেলে-মেয়েরা ১৩ থেকে ১৪ বছরের মধ্যেই যৌবনের লক্ষণ দেখা দেয়া শুরু করে। তখন তার প্রতি আরও বেশি মোনযোগ দিন। বিশেষ করে বিপরীত লিঙ্গের প্রতি তার কোন আকর্ষণ আছে কিনা সেদিকে খেয়াল রাখুন।
.
৮. কারো সাথে কোনরকম প্রেমের সম্পর্কে জড়ালে ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও সামাজিক জীবনে তার সু-ফল, কু-ফল সম্পর্কে তাকে অবহিত করুন। এমন সম্পর্ক আপনি কিভাবে দেখেন? তা ব্যাখ্যা করুন। মুসলিম হলে এই ব্যাপারে ইসলামের দৃষ্টিগুলো তার সামনে তুলে ধরুন।
.
পরিশেষে যার মৃত্যুকে কেন্দ্র করে এই লেখার অবতারণা তার আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি। সেই সাথে তার পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করছি। সকল অভিভাবকদের জন্য দোয়া করি সবাই যেন নিজ নিজ দায়িত্ব আরও দক্ষতা ও বুদ্ধিমত্তার সাথে পালন করতে পারি। সবার সন্তানদেরকে আল্লাহ সঠিক বুঝ দান করুন।
আমীন।।
.
বি.দ্র: উপর্যুক্ত আলোচনাগুলো একান্তই আমার ব্যক্তিগত মতামত। কারো কাছে যুক্তিসংগত মনে হলে অনুসরণ করতে পারেন; পছন্দ না হলে এড়িয়ে যান।
খবরের লিঙ্ক কমেন্ট বক্সে।
২| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:০৯
ওমেরা বলেছেন: সন্তান আল্লাহর দেয়া সব চেয়ে বড় আমানত। তাকে সঠিক ভাবে গড়ে তোলার দায়িত্ব বাবা মায়ের। ধন্যবাদ।
১৩ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:১৪
বিষণ্ন মন বলেছেন: যথার্থ বলেছেন।
৩| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৪৩
দীপঙ্কর বেরা বলেছেন: সঠিক বলেছেন। ভাবার সময় এসেছে।
©somewhere in net ltd.
১|
১৩ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:০১
বিষণ্ন মন বলেছেন: Click This Link