![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শব্দে বাঁচি, শব্দ বেচি, শব্দ করে খাই।
(১ম কিস্তি)
বাংলাদেশি সিনেমা, মানে বাংলাদেশের মূলধারার সিনেমা, অবশেষে ঘুরে দাড়াতে শুরু করেছে। অশ্লীলতা ও অতি-সহিংসতার যে লজ্জাজনক অভিযোগ এতদিন মাথায় নিয়ে ছিল বাংলা সিনেমা তা এখন অনেকটাই ঘুচে গেছে। অশ্লীলতার সেই রমরমা প্রকাশ আর নেই; বলা যায় একেবারেই নেই। সহিংসতাও কমে গেছে উল্লেখযোগ্য হারে। এসবের ফলে হোক, হোক না জানা অন্য কারণে, ছবিগুলো আবার ভাল ব্যবসাও করছে। এই ঈদে হলে আসা চারটি ছবিই এসব কথার নতুন প্রমাণ।
পুরাতন অভিযোগ আর নতুন আসা পরিবর্তন বা সাফল্য-- দুক্ষেত্রেই নায়ক-খলনায়ক যাই বলুন, তালিকার প্রথমদিকে যিনি থাকবেন তিনি ডিপজল। কাজী হায়াতের আম্মাজান (১৯৯৯) ছবিতে নায়ক মান্নার সাথে খলনায়ক হিসেবে জুটি বেঁধে ডিপজল বাংলা সিনেমায় সহিংসতার মাত্রা বাড়িয়ে তোলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এমনকি, ‘অভিনেতা ডিপজলের মাধ্যমেই সহিংসতানির্ভর ছবিগুলোতে অশ্লীল খিস্তি-খেউরের আমদানি ঘটে’ বলেও অভিযোগ করেছেন বাংলাদেশের চলচ্চিত্র শিল্প: সংকটে জনসংস্কৃতি (ঢাকা: শ্রাবণ, ২০০৮) বইয়ের লেখক গীতি আরা নাসরীন ও ফাহমিদুল হক।
সেই ডিপজলই বাংলাদেশি সিনেমার মহা দুর্দিনে নিজেকে ত্রাণকর্তা প্রমাণ করে ছেড়েছেন। গত বছর খানেক সময়ে তাঁর প্রযোজিত সবগুলি ছবিই ভাল রকম ব্যবসায়িক সাফল্য পেয়েছে। রুপালি পর্দায় নিজেও আবির্ভূত হচ্ছেন নতুন নতুন রূপে। অসহিংস সৎ চরিত্র থেকে শুরু করে এখন তিনি পূর্ণাঙ্গ নায়ক।
ডিপজল প্রযোজিত কোটি টাকার কাবিন, দাদীমা, পিতার আসন, মায়ের হাতে বেহেস্তের চাবি ছবিগুলো ধারাবাহিকভাবে সুপারহিট হয়েছে। প্রতিটি ছবিই অশ্লীলতামুক্ত পারিবারিক গল্পের ছবি। এর মধ্যে এফ আই মানিক পরিচালিত মায়ের হাতে বেহেস্তের চাবি (২০০৯) রোজার ঈদে মুক্তি পাওয়া ছবিগুলোর মধ্যে সর্বাধিক ব্যবসা করে। এই ছবিতে নায়ক চরিত্রে ছিলেন বর্তমান সময়ে সবচেয়ে সফল শাকিব খান। তাকে ছাপিয়ে ডিপজলের চরিত্রই এখানে প্রধান ছিল।
সেই ছবির সাফল্যের পর এবার, মনতাজুর রহমান আকবর পরিচালিত কাজের মানুষ ছবি দিয়ে পূর্ণাঙ্গ নায়ক চরিত্রেই আবির্ভূত হলেন ডিপজল। শুধু আবির্ভাবই নয়, অভিনয় করলেন, দর্শকদের ছবি দেখালেন, মন জয় করলেন পর্যন্ত। এই ঈদে মুক্তি পাওয়া বাকি তিন ছবির নায়ক শাকিব খান। তাও আবার এর মধ্যে দুটি ছবিতে তিনি অপু বিশ্বাসের সাথে জুটিবদ্ধ! তারপরও শাকিবের ক্রেজ, অপু-শাকিব জুটির দর্শকপ্রিয়তাকে পিছনে ফেলে কাজের মানুষ ছবিই এই ঈদের সফলতম ছবির খেতাব পেতে যাচ্ছে।
তো, কী এমন ছিল সেই সিনেমায়?
(তা জানতে পড়ুন আগামীকাল প্রকাশিত ২য় কিস্তি)
...........
লেখাটি পাঠের সুবিধার্থে সামুতে তিন কিস্তিতে দেওয়া হবে।
পুরো লেখার একটি সংক্ষিপ্তরূপ 'ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বাংলা সিনেমা' শিরোনামে মিডিয়াওয়াচ পত্রিকায় (নতুন রূপে ও নবতর মেজাজে, বর্ষ ১, সংখ্যা ৪) প্রকাশিত হয়। (Click This Link)
ঐ সংস্করণে শিরোনামসহ অন্যত্র 'ডিপজল-স্তুতি'র বেশির ভাগ অংশ সযতনে ছেঁটে দিয়ে বাধিত করা হয়। এখানে ঐ অংশ উদ্ধার করলাম। সাথে সামান্য পরিমার্জনাও করা হল।
২| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ২:৩২
বর্ণচোরা বলেছেন: বুদবধিজীবী দালাল কবিতাটি পড়ুন.........
৩০ শে ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ২:৪৮
এ.কে.এম. আতিকুজ্জামান বলেছেন: পড়ান...
৩| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ২:৩৯
এরশাদ বাদশা বলেছেন: ভালো। সবাই খালি হলিউড আর বলিউড নিয়া পইড়া থাহে। আপনি খাঁটি ঢাকাইয়া ছবি লইয়া লিখতেছেন। চলুক..কিন্তু শাকিব খানরে সবাই হাফলেডিস কয় ক্যান ভাই?
৩০ শে ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ৩:০১
এ.কে.এম. আতিকুজ্জামান বলেছেন: আপনাদের ভরসা পেলে চালাবার আশা রাখি...
শাকিবকে আবার বলিউডি ডাক নকল করে 'ঢালিউডের কিং খান' বলার চলও আছে, জানেন তো! 'বাংলা সিনেমা' না দেখা 'সুশীল' লোক ছাড়া, এই পদের ছবি দেখনেওয়ালা কয়জন তাকে হাফলেডিস বলে তা নিয়ে আমার সন্দেহ আছে।
৪| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ৩:২০
এরশাদ বাদশা বলেছেন: কিন্তু ভাই, তারে তো আমারো হাফলেডিসের মতো লাগে!!!
৩০ শে ডিসেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১২:২৪
এ.কে.এম. আতিকুজ্জামান বলেছেন: তার মানে বাংলা সিনেমা হাফলেডিস নায়ক চায়??? হতেও পারে...
৫| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০০৯ ভোর ৫:৩৮
আইলা বলেছেন: জয়নাল হাজারী আর ডিপজলকে এক ছবিতে দেখতে মন্চায়
৩০ শে ডিসেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১২:২৬
এ.কে.এম. আতিকুজ্জামান বলেছেন: হাজারি ভাই এখন কই, জানেন নাকি? উদ্যোগ নেওয়া যাবে...
৬| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০০৯ ভোর ৬:৩৪
স্বপ্নকথক বলেছেন: এরশাদ বাদশা বলেছেন: কিন্তু ভাই, তারে তো আমারো হাফলেডিসের মতো লাগে!!
৩০ শে ডিসেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১২:২৭
এ.কে.এম. আতিকুজ্জামান বলেছেন: বাংলা সিনেমার হাফলেডিস-সকল জিন্দাবাদ! জিন্দাবাদ!!!
৭| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০০৯ সকাল ১১:৩৮
দারাশিকো বলেছেন: এইটা সহ অন্যান্য পোস্টগুলা সিনেমাখোর গ্রুপে চাই
৮| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ৯:৪৩
সুহাগ সিলেট বলেছেন: আমরা চাই ডিপজল ভাল চবিতে অভিনয় করোক , যাতে আমাদের বিদেশী চবি দেখতে না হয়।
৩০ শে ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ১০:০৩
এ.কে.এম. আতিকুজ্জামান বলেছেন: ভাই, আমিও আপনার দলে... মানে বাধ্য হয়ে বিদেশি সিনেমা দেখতে চাই না... বাংলা ছবি, বিদেশি ছবি সব একসাথে দেখতে চাই।
৯| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ১২:০৫
সারওয়ার রেজা বলেছেন: লেখার পুরোটা না পড়ে লেখাটি নিয়ে মন্তব্য করছিনা। একটা তথ্য জানাতে চাই- কাজের মানুষ দেখিনি, আপনার সিনপসিস পড়ে যা বুঝলাম ছবির কাহিনী তপন সিনহার বিখ্যাত ছবি 'গল্প হলেও সত্যি(১৯৬৬-http://www.imdb.com/title/tt0366505... See Morehttp://www.imdb.com/title/tt0366505/)'র একটা এদেশী সংস্করণ(এর সঙ্গে কিছু খুন-জখম না মেলালে ডিপজলের সাথে মিলবেই বা কেন?)তপন সিনহার ছবিটিতে রবি ঘোষের অনবদ্য অভিনয় অনেকেরই মনে থাকার কথা। একই গল্পে বোম্বে তেও রাজেশ খান্না কে নিয়ে 'বাওয়ারচি' নামে একটি ছবি হয়েছিল। দুটোই ভীষন ব্যাবসা সফলও হয়েছিল সেসময়। অশ্লীলতা-সহিংসতার সঙ্গে নকল কাহিনী নিয়ে ছবি তৈরি'র বিষয়টিও পরবর্তী বিবেচনা হওয়া উচিৎ । যদি কেউ এই তর্কে যেতে চান যে বলিউড হলিউড থেকে এবং এমনকি হলিউডও বিভিন্ন দেশের চলচ্চিত্র থেকে নকল করে ছবি বানায়: তাহলে আগেভাগেই বলে রাখি- ঢাকাই ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে গড়পড়তায় প্রায় সবগুলো ছবিই হিন্দি ছবির গল্প-সংলাপের হুবহু নকল অথবা কয়েকটির খিচুড়ি। এমনকি আমাদের মূলধারার সমস্ত তারকা নায়ক-নায়িকাদের নাম,পোশাক থেকে শুরু করে অভিনয়রীতিতে পর্যন্ত যে বলিউডের নগ্ন অনুকরণ-দর্শকমাত্রই জানেন। এতটা সত্যি উদ্বেগের কারণ।
১০| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ১২:০৬
সারওয়ার রেজা বলেছেন: লেখার পুরোটা না পড়ে লেখাটি নিয়ে মন্তব্য করছিনা। একটা তথ্য জানাতে চাই- কাজের মানুষ দেখিনি, আপনার সিনপসিস পড়ে যা বুঝলাম ছবির কাহিনী তপন সিনহার বিখ্যাত ছবি 'গল্প হলেও সত্যি(১৯৬৬-http://www.imdb.com/title/tt0366505... See Morehttp://www.imdb.com/title/tt0366505/)'র একটা এদেশী সংস্করণ(এর সঙ্গে কিছু খুন-জখম না মেলালে ডিপজলের সাথে মিলবেই বা কেন?)তপন সিনহার ছবিটিতে রবি ঘোষের অনবদ্য অভিনয় অনেকেরই মনে থাকার কথা। একই গল্পে বোম্বে তেও রাজেশ খান্না কে নিয়ে 'বাওয়ারচি' নামে একটি ছবি হয়েছিল। দুটোই ভীষন ব্যাবসা সফলও হয়েছিল সেসময়। অশ্লীলতা-সহিংসতার সঙ্গে নকল কাহিনী নিয়ে ছবি তৈরি'র বিষয়টিও পরবর্তী বিবেচনা হওয়া উচিৎ । যদি কেউ এই তর্কে যেতে চান যে বলিউড হলিউড থেকে এবং এমনকি হলিউডও বিভিন্ন দেশের চলচ্চিত্র থেকে নকল করে ছবি বানায়: তাহলে আগেভাগেই বলে রাখি- ঢাকাই ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে গড়পড়তায় প্রায় সবগুলো ছবিই হিন্দি ছবির গল্প-সংলাপের হুবহু নকল অথবা কয়েকটির খিচুড়ি। এমনকি আমাদের মূলধারার সমস্ত তারকা নায়ক-নায়িকাদের নাম,পোশাক থেকে শুরু করে অভিনয়রীতিতে পর্যন্ত যে বলিউডের নগ্ন অনুকরণ-দর্শকমাত্রই জানেন। এতটা সত্যি উদ্বেগের কারণ।
©somewhere in net ltd.
১|
৩০ শে ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ২:৩১
বর্ণচোরা বলেছেন: হুম.........................................................