![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমাদের সন্তানদের যা শিক্ষা দেই, যে পরিবেশে বেড়ে ওঠতে দেই তা আমাদের বিশ্বাসের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ নয় কখনোই। বিশ্বাসের সাথে সঙ্গতিহীন শিক্ষার মাধ্যমে গজিয়ে ওঠা সন্তানেরা যখন চিন্তা করতে শেখে, তখন তারা আর আমাদের সন্তান থাকে না। তারা রক্তেমাংসেই কেবল আমাদের উত্তরাধিকার, কিন্তু তাদের চিন্তাজগত থাকে সম্পূর্ণ অন্য-নিয়ন্ত্রণে। কি পড়াবো, কিভাবে পড়াবো, কি পদ্ধতিতে পড়াবো সবই আমাদের ওপর চাপিয়ে দেয়া। ফলশ্রুতিতে আমাদের স্বাধীন স্বত্বা আজ বিলুপ্ত, চিন্তাজগত বিকলাঙ্গ। স্কুলপড়ুয়া তরুণ প্রজন্মের ছেলে-মেয়েরা যেনো একেকটি ব্রিটিশ একেকটি আমেরিকান। ব্রিটেন-আমেরিকায় বৃষ্টি হলে ওরা ঢাকায় ছাতা ধরে, কিন্তু পাশের ঘরের অনাহারী মুখে খাবার দিতে যায় না, আপনজনের রক্তাক্ত মুখ ওদের রূহ নাড়ায় না। ওদের মধ্যে না আছে বাঙালিয়ানা, না আছে মুসলমানিত্ব। বিস্ময়কর এক প্রজন্মের প্রোডাকশন দিয়ে যাচ্ছি আমি-আপনি-আমরা।
স্কুল-পাঠ্যে নেই 'মানুষ কেবলি দু পায়ী জন্তু নয়, তার একটি ভিন্ন স্বত্বা বর্তমান এবং তাকে পরিণামফল ভোগ করতে হবে উপহার কিংবা শাস্তির আকারে। মানুষ নিজে থেকেই নিজে সৃষ্ট নয়, তাঁকে কেউ সৃষ্টি করেছে এবং তাঁর সামনে তাকে দাঁড়াতেই হবে আপন কর্ম নিয়ে।'
ভিন্ন বিমার মাদ্রাসায়। ওখানে মুখস্থ বিদ্যার প্রবল ধকল, এতে এক অকর্মণ্য প্রজন্মের ভার সইতে হচ্ছে জাতীকে। ইজতিহাদ তথা গবেষণার পথ ওখানে আইন করে বন্ধ করে দেয়া! পাকিস্তানের ভাষায়, ইরানের ভাষায় উনারা যতো পারদর্শী ততই অপারদর্শী আপন ভাষায়, মায়ের জবানে!
মাদ্রাসায় শিক্ষা দেয়া হয় না: 'মানুষ কেবলি আধ্যাত্মবাদী ফেরেশতা নয়। মানুষই একমাত্র পয়দা করা প্রাণী- যারা সৃষ্টি করতে পারে, ধ্বংস করতে পারে এবং আল্লাহর সিফাৎ ধারণ করেই মানুষের অবস্থান এ রঙিন গোলার্ধে। মানুষের দায়িত্ব হচ্ছে সর্বাঙ্গ নাড়াচাড়া এবং তা সৃষ্টিশীলতায় সক্রিয় রাখা।'- এ বোধের অভাবে আমাদের মাদ্রাসায় আজ একপাল নির্জীব ইনসানের মিছিল!
এভাবে রূহের প্রভাবহীন দেহ দেখে, আর দেহের ভারে নেতিয়ে পড়া রূহের কান্না শুনে আমাদের যাপিত জীবন ! এ থেকে উত্তরণের কোনই সম্ভাবনা আর নেই; হাজার বছর ডুবিয়ে রাখলেও পাথর একবিন্দু পানি পান করে না!
©somewhere in net ltd.