একদিন চলে যাবো, দেখে নিও, সব ছেড়ে , তোমাকে ও ছেড়ে।

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৩:৩৬

বহুদিন মেলেনি দেখা তোমায়…
নিভৃত সাধনে অসংখ্যবার ডেকেছি তোমায় হৃদয় রক্তরাগে
মুহুর্তের স্পর্শে বিষন্ন হৃদয়ে
কেবল আকাশনীলায় একটি তারা খসে পরে !
নিশিকাব্যে তুমি জীবন্ত হয়ে উঠো একটি অনুকাব্য হয়ে,
বিষন্ন দৃষ্টিপ্রদীপ নিবু নিবু তবু জলে উঠে জলজ জ্বলন্ত স্ফুলিঙ্গ হয়ে!
আমার,
দেখ সবুজের উপর বিছিয়ে দিয়েছি আমার নীল আঁচল
জমিন নয়তো বুকের ছাতি মাড়িয়ে যাও,
ঘুনো পোকা খুটে খুটে খাক পুরানো জরাজীর্ন চেয়ার,
ধুর্ত শিয়ালের চোখ জ্বলুক সারারাত
অসনীয় বিভ্রম সূর্যের নৃত্যে ধরাশায়ী বিভ্রান্ত দুপুর
সমুদ্রসঙ্গমে উড়ে যাক জলজ স্মৃতি
তুমি থাকো আমার গায়ে গায়ে বক্ষবন্ধনীর সুঘ্রান হয়ে !
অতঃপর ভোর শেষে না হয় যেতে যতে
আস্তিনের ভাঁজে লুকিয়ে রাখা হেমলক দিও নাসিকারন্ধ্রে ছুড়ে,
অনিদ্র মগজে নিশ্চিত মরন জেনেও
প্রহৃত সন্ধ্যা হয়ে ঢলে পরি তোমার লোমশ বুকে!
শুয়ে যাই লাশ হয়ে নিবিড় কুণ্ডলে
ভয়ানক রাত থাকে প্রবল তৃষ্ণায় জেগে
মেঘের সাথে সংগম-ব্যার্থতার আলাশনীলায় দ্রোহ
আজ একটি আদিম সন্তান ফিরে যাবে তার গন্তব্যে!
অবশেষে, শিশিরের গায়ে সাক্ষর রেখে
পুরানো বইয়ের মাঝ পৃষ্ঠা হতে
শুকিয়ে যাওয়া বিবর্ন পাপড়ি গুলো গুজে দেবো ঠিক তোমার নাভিমূলে !
মৃন্ময় আমার,
আমার চোখে আজ গ্রীষ্মের দাহ
তোমার চোখ জুড়ে বৈশ্বিক উষ্ণতার উদগীরণ।
নৈশব্দের যাতনায় দেখোনা আমায়,
একদিন চলে যাবো, দেখে নিও,
সব ছেড়ে , তোমাকে ছেড়ে !

০ টি +০/-০