নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পরিশ্রমকে সঙ্গী করে কত মানুষ উর্ধ্বে গেলো, আকাশের ঐ তারার দলে/ চিরদিনই অলস আমি, আছি পড়ে অনন্তকাল এই ধরনীর গাছের তলে।
অপরাহ্নে, সাধারণত থিয়েটার পাড়াতে ভিড়-বাট্টা বেড়ে যায়-
শিল্পীদের ছুটোছুটি, এটা লাগবে, ওটা লাগবে, কত্ত সব,
অন্যদিকে দর্শকরাও ব্যস্ত-
প্রেয়সীকে নিয়ে একটি কোণায় দুটো সিটতো চাই-ই চাই।
সেই বিকেলটাও ভিন্ন ছিল না।
বিষন্ন মন নিয়ে ধীরে ধীরে থিয়েটার পাড়ায় ঢোকা,
সব ব্যস্ততাকে উপেক্ষা করে আমি দেখছিলাম আকাশের হলুদাভ নিঃসঙ্গতা,
মৃদু বাতাস আর সোনালি রোদে, কোথায় যেন একটা প্রশান্তির ছাপ-
অথচ মনটা বড্ড খারাপ।
কত দিন নীলাকে দেখি না।
মিষ্টি হাসি দিয়ে ও বলে না, ‘চলো আইসক্রিম খাই।’
দর্শক সারির একটা কোণে জায়গা মেলে,
মঞ্চে একে একে শিল্পীরা আসেন, ডায়লগ আর ভাবাবেগ প্রকাশের ভেতর দিয়ে কাহিনি এগোয়,
আমি কিছ্ছু দেখিনি, শুনিনি, শুধু খুঁজেছি আর খুঁজেছি।
সাজসজ্জার আঁড়ালে সেই চিরচেনা মুখটা কোথায়?
পাইনি, পুরো শো শেষে প্রতিটি শিল্পী, দর্শকের প্রস্থানেরও পর
মঞ্চের প্রতিটি লাইটে, মাইক্রোফোনে আমি তাকে পাইনি।
নীলা সেদিন মঞ্চে ছিল না।
এরপর, ওর খোঁজখবর নিয়েছি অনেক।
কেউ যেন নীলাকে চেনে না।
নীলার মতো কত শিল্পীই নাকি এলো গেলো-
শিল্পী আর শখের শিল্পীর ফারাকটাও বোঝালো আমাকে।
নীলা নাকি হারিয়ে গেছে অজানায়।
নাট্যশিল্পের থেকে রন্ধনশিল্পই নাকি বড্ড মানায় ওর সাথে!
শুনেছি অনেক, প্রতিবাদ করিনি।
কী প্রতিবাদ করব, নীলা তো সেদিন মঞ্চে ছিল না।
সুব্রত দত্ত
২২/০৭/২০১৬ খ্রি:
©somewhere in net ltd.
১| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:১১
বিলিয়ার রহমান বলেছেন: সুন্দর লিখেছেন।