নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নেশা সাহিত্য, পেশা শিক্ষকতা।

সুব্রত দত্ত

পরিশ্রমকে সঙ্গী করে কত মানুষ উর্ধ্বে গেলো, আকাশের ঐ তারার দলে/ চিরদিনই অলস আমি, আছি পড়ে অনন্তকাল এই ধরনীর গাছের তলে।

সুব্রত দত্ত › বিস্তারিত পোস্টঃ

জীবন- দাবা খেলারই মতো

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:৪৭

দাবা খেলা সম্পর্কে আমাদের অনেকেরই কম বেশি ধারণা আছে। আন্তর্জাতিক কিংবা জাতীয় পর্যায়ের দাবাড়ু না হয়েও অনেকে দুর্দান্ত দাবা খেলতে পারে। এই দাবা খেলাটা আসলেই চমৎকার। এতে আনন্দ রয়েছে, প্রখর বুদ্ধিমত্তার প্রয়োগ রয়েছে এবং যেটা একেবারেই অনুপস্থিত তাহলো ‘দৈবসংযোগ’ অর্থাৎ ভাগ্যক্রমে কিছু ঘটে যাওয়ার সুযোগ- এখানে নেই।

দাবা খেলার উৎপত্তি কোথায়? সে নিয়ে বিস্তর গবেষণা হয়ে গিয়েছে। প্রতিনিয়ত গবেষণা চলছেও। অধিকাংশই মনে করেন দাবা খেলার উৎপত্তি ভারতবর্ষে। এমন কথা প্রচলিত আছে যে রাবণের স্ত্রী মন্দোদরী রাবণকে যুদ্ধ থেকে বিরত রাখার কৌশল হিসেবে এই খেলার আবিষ্কার করেছিলেন। সংস্কৃতভাষায় এই খেলার নাম ‘শতরঞ্জ’। তবে ইরান ও চীন দেশে বহু বছর আগে থেকেই এই ধরনের খেলার চল ছিল।

আজকে হঠাৎ দাবা খেলা নিয়ে আমরা লেখার কারণ অবশ্য দাবা খেলার ইতিহাস অনুসন্ধান কিংবা দাবা কীভাবে খেলতে হয় সেসব কিছু না। বরং দাবা খেলাকে আমি একটি দার্শনিক চিন্তার সঙ্গে যুক্ত করার চেষ্টা করব।

দাবা খেলায় ২ ধরনের গুটি থাকে। একটি সাদা এবং অন্যটি কালো। আর যে বোর্ডের উপর গুটিগুলো চালিয়ে খেলা হয় তাতে মোট ঘর থাকে ৬৪টি। ৬৪টি ঘর আবার সমান ২ভাগে ৩২টি করে সাদা ও কালো ঘর। গুটি থাকে মোট ৩২টি। সাদা ১৬টি ও কালো ১৬টি। গুটিগুলো হলো- রাজা, মন্ত্রী, হাতি, ঘোড়া ও নৌকা এবং সৈন্য। খেলার শুরুতে ৩২টি গুটি ৩২টি ঘরে থাকে এবং বাকি ৩২টি ঘর ফাঁকা থাকে। কারো মনে হতে পারে আমি দাবার প্রাথমিক জ্ঞান বিতরণ করছি এবং একটু পরই খেলা কীভাবে শুরু করতে হয়, কোন গুটি কীভাবে চালতে হয় সেসব আলোচনা শুরু করব। কিন্তু প্রিয় পাঠক বিশ্বাস করুন আমি দাবা খেলায় ভীষণ আনাড়ি এবং যেকেউ অনায়াসেই আমাকে দাবা খেলায় হারিয়ে দিতে পারে। প্রকৃতপক্ষে দাবা খেলাটা কেমন যেন জীবন খেলার নামান্তর মনে হচ্ছে আমার কাছে। চলুন সেই আলাপেই না হয় চলে যাই।


দাবা খেলা যে জীবনের নামান্তর সে ব্যাখ্যা দেয়ার পূর্বে আমার এতদিনকার একটি ভাবনা আপনাদের কাছে প্রকাশ করতে ভীষণ ইচ্ছে হচ্ছে। পরিচিত জনেরা অনেকেই আমার সে ভাবনা জানেন কিন্তু প্রিয় পাঠকরা তো জানেন না। আমি অনেক ছোট থেকেই জীবনকে একটি ৫০ ওভারের ক্রিকেট ম্যাচের সঙ্গে তুলনা করতাম। তখন মনে হতো হয়তো আমার মোট আয়ু হবে ৫০ বছর এবং আমার জীবনের প্রতিটি বছর হবে এক একটি ওভার। এই ম্যাচে আমি ব্যাটিং করছি এবং জীবনের প্রতিনিয়ত ঘটে যাওয়া পরিস্থিতি বোলিং করছে। আমার সফলতা, অর্জিত যাবতীয় সব কিছু আমার মোট রান হিসেবে স্কোর বোর্ডে যুক্ত হচ্ছে এবং যা কিছু ভুল সিদ্ধান্ত বা হারানো সেগুলো হলো আউট হওয়া। সুতরাং ওডিআই ক্রিকেটের সমীকরণ দিয়েই জীবনের সমীকরণকে মেলানো সম্ভব। সে ভাবনা যে এখন পুরোপুরি লুপ্ত হয়েছে তা নয় কিন্তু আজকাল প্রায়ই মনে হচ্ছে জীবন বোধ হয় দাবা খেলার সঙ্গে বেশি সম্পর্কিত। দাবা খেলার ভেতর চমৎকার জীবন দর্শনকে প্রবেশ করানো যায়।

এবার আসুন তাহলে দাবা খেলাকে কীভাবে জীবনের সঙ্গে তুলনা করা যেতে পারে আমরা তা দেখে নেই। প্রিয় পাঠক, এই যুক্তি আমার একেবারে মনগড়া এবং এর কোনো বৈজ্ঞানিক সত্যতা নেই সুতরাং নিছক আনন্দের জন্য আপনি লেখাটা পড়তেই পারেন ও চাইলে নিজের চিন্তার সঙ্গে এর যোগসূত্র ঘটাতে পারেন কিন্তু আমার কাছে এর সত্যতা দাবি করতে পারেন না।

মানুষের রয়েছে ৫টি ইন্দ্রিয়। যথা- ত্বক, চোখ, কান, জিহ্বা ও নাক। এগুলো দিয়ে মানুষ জগৎ ও জীবনকে উপলব্ধি করতে পারে। মানুষের যখন প্রতিটি ইন্দ্রিয় দক্ষতার সঙ্গে পরিচালিত হতে পারে তখন তার মধ্যে ষষ্ঠ ইন্দ্রিয়ের বিকাশ ঘটে এবং সেটি হলো অন্তর্দৃষ্টি। গভীরভাবে জীবন, জগৎ ও অস্তিত্বকে উপলব্ধির ক্ষমতা। মানুষের এই সকল ইন্দ্রিয় ছাড়া রয়েছে একটি শক্তিশালী ক্ষমতা। তাহলো কর্মশক্তি। এই কর্মশক্তি পরিচালিত হয় হাত, পা, মুখ ও পায়ু দ্বারা। মানুষ ধরতে পারে, হাঁটতে পারে, শরীরে কিছু গ্রহণ করতে পারে এবং ত্যাগ করতে পারে। মানুষের এই ইন্দ্রিয় ও কর্মশক্তি মূলত পরিচালিত হয় ৬টি রিপু দ্বারা। রিপু মানে প্রবৃত্তি অর্থাৎ সহজ করে বলা যায় কোনো কিছু করার প্রতি মনোভাব। ঐ ৬টি রিপু হলো- কাম, ক্রোধ, লোভ, মোহ, মদ ও মাৎসর্য। যদি সহজ করে বলি তবে ব্যাপারটা দাঁড়ায়- কাম হলো কামনা বা সুখের প্রতি বাসনা, ক্রোধ হলো রাগ, লোভ হলো কামনা পূরণের তীব্র আকাঙ্ক্ষা, মোহ হলো জগৎ ও জীবন সম্পর্কে বিভ্রান্তি, মদ হলো অহংকার বা অহংকারের নেশা, মাৎসর্য হলো হিংসা বা ঈর্ষা।

উপরের অনুচ্ছেদের আলোচনার সারৎসার এমন হতে পারে যে- মানুষের ২ ধরনের শক্তি রয়েছে একটি অনুভূতি এবং অপরটি কর্মসম্পাদনা। অনুভূতির ৫টি ধরন রয়েছে- শুনতে পারা, দেখতে পারা, শুকতে পারা, স্পর্শ করতে ও স্পর্শ বুঝতে পারা, স্বাদ গ্রহণ করতে পারা। অপরদিকে কর্মসম্পাদনারও রয়েছে ৫টি ধরন। যথা- হাঁটতে পারা, ধরতে পারা, খেতে পারা, ত্যাগ করতে পারা এবং সঙ্গম করতে পারা। এই অনুভূতি ও কর্মসম্পাদনা হয় মূলত ৬টি প্রবৃত্তির প্রভাবে। সেগুলো হলো- কাম, ক্রোধ, লোভ, মোহ, অহংকার ও ঈর্ষা। এখানের হিসেবটা ৫+৫+৬ = ১৬। দাবা খেলায় গুটিও ১৬টা। অবাকই লাগে।

আবার ভারতবর্ষের দর্শনে বারংবার ষোলোকলা কথাটি শোনা যায়। কৃষ্ণের ষোলোকলা পূর্ণ ছিল। ষোলোকলা মানে ১৬টি গুণ অর্থাৎ ১৬টি যোগ্যতা। মানুষের ১৬টি যোগ্যতা থাকলে সে পরিপূর্ণ মানুষ হয়ে ওঠে। সেগুলো হলো- ধন-সম্পদ, সম্পত্তি, কীর্তি-যশ (খ্যাতি), বাণী ( সমৃদ্ধ কথা), লীলা (আনন্দ), কান্তি (সৌন্দর্য), বিদ্যা, বিমলা (ছল-চাতুরতাহীন), প্রেরণা (উৎসাহ দান), ক্রিয়া (কাজ করার ইচ্ছা), যোগ (সংযম, আত্মনিয়ন্ত্রণ), বিনয়, সত্য (সত্যের প্রতি কঠোরতা), এষণা-আধিপত্য (অন্যের উপর প্রভাব বিস্তারের ক্ষমতা) এবং উপকার (নিঃস্বার্থ উপকার)। সুতরাং এখানেও সংখ্যাটা ১৬।

অদ্ভুতভাবেই ভারতবর্ষের দর্শনে বারংবার ১৬ সংখ্যাটি আসে এবং দাবা খেলায় গুটির সংখ্যাও ১৬। মানুষের জীবনের সঙ্গে, মানুষের ক্রিয়া-কলাপ ও প্রতিটি ঘটনার সঙ্গেও এই ১৬-এর রয়েছে গভীর যোগসূত্র। তাই আমার মনে হয় জীবন যেন দাবা খেলাই।

উপরের আলোচনার সার্থকতা দেখি না যদি আমি একটি দাবা ম্যাচের সঙ্গে আমার, আপনার জীবনের সাদৃশ্য স্থাপন করতে না পারি। তাহলে চলুন একটি দাবা ম্যাচ ও আপনার জীবনের সাদৃশ্যগুলো খুঁজে দেখি।

ধরুন আপনি জীবনে অনেক সমস্যা নিয়ে, অনেক সুযোগ ও সুবিধা নিয়ে এবং প্রতিনিয়ত নানা ধরনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে করে জীবন-যাপন করছেন। সেক্ষেত্রে দাবা খেলায় প্রথমত দুটি পক্ষ থাকে। আপনার জীবনের দুটি পক্ষ হলো এক আপনি এবং দুই পৃথিবী বা জগৎ। সুতরাং আপনি এক একটা দিন কাটাচ্ছেন আর পৃথিবীও আপনার সঙ্গে সঙ্গে এক একটা দিন এগোচ্ছে। গুটি চালাগুলো হচ্ছে আপনার এক একটা কর্ম-সম্পাদন। আপনার একটা কাজ সম্পাদনের সঙ্গে সঙ্গেই পৃথিবী তার ফিডব্যাক আপনাকে দিচ্ছে। দাবা বোর্ডের সৈন্যগুলো সেক্ষেত্রে আপনার প্রতিদিনকার কাজকর্ম অর্থাৎ ছোট ছোট সিদ্ধান্তসমূহ। যেগুলোর প্রত্যুত্তর হিসেবে ছোট ছোট ফলাফলগুলো। আপনার রয়েছে ২টি করে হাতি, ঘোড়া ও নৌকা। এগুলো হতে পারে আপনার জ্ঞান, দৃষ্টিভঙ্গি ও বড় বড় সিদ্ধান্তসমূহ। হাতি, ঘোড়া ও নৌকা অবশ্যই সৈন্যদলের থেকে বেশি শক্তিশালী। আপনি প্রতিদিনকার ছোট ছোট সিদ্ধান্ত ও কাজের পাশাপাশি বড় বড় সিদ্ধান্ত ও কাজও করে থাকেন। যার ফলাফলটাও আসে সমমানের। আপনি নিজে রাজার আসনে রয়েছেন এবং মন্ত্রী সর্বদা আপনাকে সহযোগিতা করছে। মন্ত্রী সকল ধরনের ক্ষমতার অধিকারী এবং কিছু ক্ষেত্রে রাজার থেকে অগ্রগামী। আপনার বুদ্ধিমত্তা আপনার থেকে অবশ্যই বেশি শক্তিশালী। আপনি আপনার আবেগ বা কর্ম দিয়ে যতটুকু করতে পারেন, আপনার বুদ্ধিমত্তা দিয়ে তারও বেশি আপনি করতে পারেন। সুতরাং মন্ত্রী ও রাজার চালগুলো আরো বেশি তীক্ষ্ম ও গুরুত্বপূর্ণ। অপরদিকে পৃথিবীর সাপেক্ষে পৃথিবী আপনাকে প্রতিনিয়ত ছোট ছোট কাজ দিচ্ছে, বড় বড় চ্যালেঞ্জ দিচ্ছে আবার জীবন-মরণ প্রশ্নের সম্মুখীনও করছে মাঝে মাঝে। পৃথিবীরও রয়েছে এমন কিছু চ্যালেঞ্জ যা ভীষণ শক্তিশালী ও আপনাকে লণ্ডভণ্ড করে দেয়ার ক্ষমতাসম্পন্ন। তাহলে অপরপক্ষের রাজা কে? এই প্রশ্নের উত্তর আমি দিতে চাচ্ছি না। আপনারা বুঝে নিবেন।

এবার দেখেন, ধরেন আপনি নানা সমস্যায় জড়িয়ে আছেন। বড় বড় কিছু সিদ্ধান্ত নিতে সমস্যায় পড়ছেন কিংবা বড় কোনো সঙ্কটে আটকে আছেন। একবার ভাবেন তো এই সমস্যার সামনে আপনি কীভাবে এসেছিলেন? অবশ্যই আপনার ছোট ছোট ভুল সিদ্ধান্তের কারণে। দাবা খেলায়ও বড় সঙ্কটে পড়ার পেছনে থাকে ছোট ছোট চালগুলোর ভুল। সৈন্য গুটিগুলো তাই কম ক্ষমতা সম্পন্ন হলেও তাদের প্রতিটি পদক্ষেপ গুরুত্বপূর্ণ। আপনার জীবনেরও ছোট ছোট কাজগুলো ভীষণ তাৎপর্যপূর্ণ। যেমন ধরুন আপনি কোনো কিছু একটা কিনবেন বা কিনবেন না। ঐ জিনিসটা কেনা বা না-কেনার সিদ্ধান্তের উপর আসলে অনেক বড় কোনো পরিস্থিতি নির্ভর করছে। অথচ ঐ কেনা বা না-কেনাটা হয়তো সামান্য ব্যাপারই ছিল।

দাবা খেলার বিভিন্ন পরিস্থিতির কথা ভাবুন একবার। হতে পারে আপনি খেলার শুরু থেকেই ভুলের পর ভুল করে যাচ্ছেন। প্রতিপক্ষ আনন্দে আপনাকে আক্রমণ করে যাচ্ছে। আপনি একে একে হাতি, ঘোড়া, নৌকা সব হারিয়েছেন এমনকি আপনার রক্ষাকবচ মন্ত্রীও মারা পড়েছে। তার মানেই কি আপনি হেরে গেছেন? দাবা খেলা অদ্ভুত এক খেলা। পরিস্থিতি ঘুরে যেতে সময় বেশি লাগে না। জীবনও তেমনি। হতে পারে জীবনের মাঝবয়সে এসেও আপনি সফলতার দেখা পাননি। পুরো জীবন জুড়ে ব্যর্থতা আর ব্যর্থতা। তারমানে এই নয় যে আপনি হেরে গেছেন। মৃত্যুর আগ্ পর্যন্ত অর্থাৎ খেলা শেষ হওয়ার আগ্ পর্যন্ত সেই ঘোষণা চলে না। সুতরাং দাবায় প্রতিটি চালের মতো আপনার জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপে আপনাকে ভেবেচিন্তে এগোতে হবে। তবে এই কথাটা মাথায় রাখা জরুরি কোনো ঘটনাই আপনার সঙ্গে কাকতালীয়ভাবে ঘটবে না। বড়জোর প্রতিপক্ষ ভুল চাল দিয়ে ফেলবে যেটা ধরতে পারলে আপনি উপকৃত হবেন। এই পৃথিবী যখন আপনার জীবন দাবায় প্রতিপক্ষ তখন সে আসলে ভুল চাল দিবে না সেটা আসলে আপনাকে সুযোগ দিবে- আপনি ধরতে পারলেই এগোতে পারবেন এবং পরাজয় থেকে জয়ের দিকে যাত্রা করতে পারবেন।

জানি আমার ব্যাখ্যা ভীষণ বিক্ষিপ্ত হলো। আরেকটু সাজিয়ে গুছিয়ে উদাহরণসহ বোঝাতে পারলে ভালো হতো কিন্তু এটাও জানি যারা পড়বেন তারা আমার উদ্দেশ্যগত জায়গাটা ধরতে পারবেন। আমার ভাষার সেটুকু যোগাযোগ পারঙ্গমতা রয়েছে যে আমার মূলচিন্তা পাঠককে স্পর্শ করতে পারবে। যারা পড়বেন, তারা আপনাদের মতামত আমাকে অনুগ্রহ করে জানাবেন।

জীবন সত্যিই কি দাবা খেলার মতো?
আমার তো তা-ই মনে হচ্ছে।


সুব্রত দত্ত
লেখক ও শিক্ষক
১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩,
দুপুর ১২টা।
পশ্চিম নাখালপাড়া, ঢাকা।


মন্তব্য ১০ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:০৪

নতুন বলেছেন: জীবন সত্যিই কি দাবা খেলার মতো?
আমার তো তা-ই মনে হচ্ছে।
++

দাবা দেখার মতনই যদি জীবনের নিয়ন্ত্রন নিজের হাতে নিয়ে, সামনে এগিয়ে যাবার চেস্টা করা যায় তবে অবশ্যই অনেক কিছুই নিজের মনের মতন অর্জন করা যায়।

সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন বিষয় পজেটিভ ভাবনা।

২| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:২৫

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: না, আপনার ব্যাখ্যা মোটেও বিক্ষিপ্ত হয় নি, দারুণ সব যুক্তি এবং তথ্য দিয়ে সবকিছু অসাধারণভাবে ফুঁটিয়ে তুলেছেন। সত্যি বলতে আপনার পোস্ট পড়ে আমি ভীষণ ভাবে অনুপ্রাণিত হয়েছি, এক কথায় অসাধারণ একটি পোস্ট। ++

আমিও মাঝে মাঝে জীবনকে ক্রিকেটের সাথে তুলনা করি, মাঝে মাঝে আক্রমণাত্নক, মাঝে মাঝে রক্ষনাত্নক ভাবে ব্যাট চালাই :`>
অনেক সময় জীবনকে আমার কাছে খুব জটিল এক পাজল মনে হয়। তবে আপনি দাবা খেলার সাথে যেভাবে জীবনের একটা যোগসূত্র দেখিয়ে দিয়েছেন তা সত্যিই প্রশংসার যোগ্য।

৩| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:২৭

কে এম বাপ্পি বলেছেন: অনুমুতি দিলে আপনার লেখাটা নিয়ে আমি একটি ইউটিউব ভিডিও বানাতে চাই। দয়া করে +৮৮০১৭১৩১৩৭৮১১ এটা আমার হোয়াটস এ্যাপ নাম্বার। এখানে জানানোর অনুরোধ রইলো।

৪| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:২৯

রাজীব নুর বলেছেন: সুন্দর লেখা।
দাবা আমার খুব পছন্দের খেলা।
আমাদের দেশের লোকজন দাবা কম খেলে। লুডু বেশি খেলে।

৫| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:৫২

কামাল১৮ বলেছেন: হাতী,ঘোড়া ও নৌকা দেখে মনে হয় এই উপমহাদেশের খেলা হবে এটি।
বিস্তারিত বক্তব্যটি হিন্দু সাধুদের মতো অনেকটা।যেমন অনেকটা সদগুরুর বক্তব্যের মতো।তবে ভালো বলেছেন।

৬| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:০৪

সুব্রত দত্ত বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। ভালোবাসা নিবেন। ❤️❤️

৭| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:০৫

সুব্রত দত্ত বলেছেন: ধন্যবাদ। আপনার মন্তব্যে অনুপ্রেরণা পেলাম। ভালো থাকবেন।

৮| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:০৯

সুব্রত দত্ত বলেছেন: কোনো একটা কারণে আলাদা আলাদা মন্তব্যের উত্তর দিতে পারছি না। যারা মন্তব্য করলেন সবাই ধন্যবাদ। যারা পড়েছেন তাদের প্রতিও কৃতজ্ঞ। যিনি এই লেখা নিয়ে ভিডিও বানাতে চান তাকে নির্দ্বিধায় সেটা করতে বলছি। অনুমতি চাইলেন বলে ধন্যবাদ। আপনি সুন্দর ভিডিও করবেন আশা করি। আর সত্যি বলতে সদগুরুর বই পড়া কিংবা লেকচার শোনা হয়নি এখনো, লেখার ধরনটা ঐরূপ এমনি হয়ে গেছে

৯| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১:১০

কে এম বাপ্পি বলেছেন: দাদা আপনার লেখাটা নিয়ে ভিডিও বানাতে চাই। অনুমুতি কি পাওয়া যাবে?+৮৮০১৭১৩১৩৭৮১১ এটা আমার হোয়াটস এ্যাপ নাম্বার। খুব খুশি হব নক দিলে।

১০| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:২১

কে এম বাপ্পি বলেছেন: দাদা আপনার সাথে ক্থার আনেটা কাজ আছে। আপনার সাথে থ্রলি আলাপ করার উপায়টা যদি বলতেন। বা নম্‌বারটা যদি দিতেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.