নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নেশা সাহিত্য, পেশা শিক্ষকতা।

সুব্রত দত্ত

পরিশ্রমকে সঙ্গী করে কত মানুষ উর্ধ্বে গেলো, আকাশের ঐ তারার দলে/ চিরদিনই অলস আমি, আছি পড়ে অনন্তকাল এই ধরনীর গাছের তলে।

সুব্রত দত্ত › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমি চিত্রকর হলে..

২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:০৬

আমি চিত্রকর হলে, সম্ভবত তেল রং-ই প্রিয় হতো আমার।
সাদা ক্যানভাসটাকে রাঙিয়ে তুলতাম এলোমেলো বিক্ষিপ্ত রঙে।
তারপর, তোমার কোল থেকে পরীটাকে কেঁড়ে নিয়ে সেঁটে দিতাম ছবিটার ঠিক মাঝখানে।
নিঃসন্দেহে ছবিটা নিলামে উঠত না।
বরং ড্রইংরুমের একপাশে ঝুলতে থাকত অন্ততকাল।
ও! শুধু তোমার পরী না, তুমিও জায়গা পেতে ছবিটায়।
হয়তো সম্পূর্ণ তুমি না, তোমার খাটো খাটো আঙুলে ভরা হাতটা বাড়িয়ে রইতো পরীর পায়ের কাছে।
অবগুণ্ঠনে হয়তো তোমার মুখখানি অস্পষ্ট হয়ে যেতো,
কিন্তু, তোমার চোখ, টলটলে দীঘির জলে পদ্মের মতো ভেসে ভেসে উৎকণ্ঠায় চেয়ে রইতো পরীর দিকে।
জানি, পৃথিবীতে পরীর আবির্ভাবের পর তোমার স্মৃতি থেকে মুছে গেছি আমি।
তাই নিজেকেও এক ঝলক এঁকে দিতাম ছবিটায়।
ঠিক নিজেকে না, পুরুষের অবয়বে কাউকে।
সারা জাহানে যেহেতু পরীর সঙ্গে আমার নেই বিন্দুমাত্র সংশ্লিষ্টতা, সেহেতু অবয়বের মানুষটা বরং তার পিতা হোক।
আলখাল্লা আর পাগড়িতে আফগান যুবক যেন,
পিছন থেকে বোঝা যায় পুরুষালি শরীর তার।
নিঃসন্দেহে সে, আমি না।
তবুও, তেল রঙে মিশে গিয়ে অপরাপর সকলে আমরা পরস্পর এক হয়ে যাই, এক হয়ে যাব।
প্রেম, ঐসব বায়বীয় গল্পেরা, বড়জোর বিক্ষিপ্ত রঙে ছড়িয়ে যাবে।
পরীর হাসিমাখা মুখে, কৌতূহলে, যেটুকু প্রাপ্তির স্বাদ আছে, ওটুকু আমার, একান্ত আমার হয়ে ড্রইংরুমে মিষ্টি সৌরভে ম ম করবে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.