| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সুব্রত দত্ত
পরিশ্রমকে সঙ্গী করে কত মানুষ উর্ধ্বে গেলো, আকাশের ঐ তারার দলে/ চিরদিনই অলস আমি, আছি পড়ে অনন্তকাল এই ধরনীর গাছের তলে।
আজ যদি রংতুলির কাজ জানতাম,
সত্যি বলছি, ঘুচিয়ে দিতাম আমাদের যোজন যোজন দূরত্ব।
শত দেয়াল, পর্দা, পোশাক, এমনকি দেহের মাংস সরিয়ে ঢুকে পড়তাম হৃদয়ে তোমার।
কীভাবে? হা হা....
ছবি এঁকে প্রিয়।
তা সম্ভব না?
তবে, শোনা।
একটা বড়সড় ক্যানভাস নিতাম।
তারপর, প্রথমে রঙের ছড়াছড়ি করে এঁকে নিতাম বসন্তের বিকেল।
বিকেলের মাঠ।
না, আমাদের শহরে তেমন মাঠ নেই কোনো।
ধার নিতাম ইউরোপ বা আমেরিকার থেকে,
অথবা নেহাৎ ধরো আমাদের চেনাশোনা কাশ্মিরের শ্রীনগরের পথের কোনো উদ্যান।
যাই হোক, সবুজ থাকতো ভীষণ।
তারপর প্রথমে আঁকতাম নিজেকে।
জানি, এই হাড্ডিসার শরীরকে এঁকে নায়ক করা চলে না।
তা করতামও না।
বরং পিঠ ফিরিয়ে দাঁড়িয়ে রইতাম।
এবং, তারও পর আঁকতে নিতাম তোমাকে।
আমার সমস্ত ধ্যান-জ্ঞান ডুবিয়ে ধীরেধীরে এঁকে তুলতাম।
কোনো বারণ শুনতাম না।
লুকিয়ে রাখা তোমার ঘন চুলগুলো উন্মুক্ত করে দিতাম।
দেখুক না বিশ্ব।
চুল দেখলে এমন কী হয়?
তোমার চোখ, মুখ এমনকি শরীরটাকে যতটা সম্ভব এঁকে ফেলতাম।
তুমি আমার পাশে দাঁড়িয়ে,
আমার বাহুতে তোমার হাত,
কিছুটা কাছাকাছি।
অথচ আমাদের চোখদুটো পরস্পর বিপরীতে।
তুমি বেহেশতের দিকে তাকিয়ে,
আমি নির্ঘাত জাহান্নামী।
তাই তো, তোমার হাতগুলোতে থাকত সংশয়ের ছাপ,
ছেড়ে দেই দেই করে ধরে আছো তুমি।
আমি মুচকি হাসি।
ছবিতে অবশ্য হাসি বাদ পড়ত, যেহেতু আমি পিঠ ফিরিয়ে আছি।
প্রিয়, যে সংশয় দিয়ে তোমাকে বেঁধেছি, তার তুলনা হয় না কোনো।
বস্তুজগতে তোমাকে না-পেয়েও যেভাবে পাওয়া গেল,
ছবিটা তো তারই বার্তাবাহক।
©somewhere in net ltd.
১|
২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৫৯
সাইফুলসাইফসাই বলেছেন: দারুণ কবিতা