নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ভালবাসি জন্মভুমি বাংলাদেশ ।অসহ্য মনে হয় যে কোন অন্যায়-কে।অসততার সাথে আপোষ নয় কখনই।
১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর বর্বর পাক বাহিনী ও তাদের দোসরদের কবল থেকে ফেনীকে মুক্ত করে, বিজয়ের পতাকা ওড়ায় বীর মুক্তিযোদ্ধারা।
১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে ফেনী জেলার (তৎকালীন ফেনী মহকুমার) স্বাধীনতাকামী জনগণের রয়েছে অভাবনীয় বীরত্বগাথা। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের সঙ্গে তিন দিক থেকে ফেনীর সীমান্ত রয়েছে।
ফেনী সীমান্তে বেশ কয়েকটি যুদ্ধ হয়। এরমধ্যে শুভপুর ও বিলোনিয়া যুদ্ধ অন্যতম। তৎকালীন আওয়ামী লীগ নেতা ফেনী মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক মরহুম খাজা আহমদের নেতৃত্বে ফেনীর মুক্তিযোদ্ধারা দেরাদুন ও চোত্তাখোলায় প্রশিক্ষণ নিয়ে যুদ্ধে অংশ নেয়। মুক্তিযুদ্ধকালীন সাব-সেক্টর কমান্ডার জাফর ইমামের নেতৃত্বে বিলোনিয়া যুদ্ধ একটি রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ হিসেবে ইতিহাসে স্থান করে নেয়।
বিএলএফের ফেনী মহকুমা কমান্ডার হিসাবে ভিপি জয়নাল ও জহির উদ্দিন বাবর ফেনীর পশ্চিমাঞ্চলে মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা রাখেন। ৬ ডিসেম্বর ফেনী জেলার বীর মুক্তিযোদ্ধারা পাকিস্তানি বাহিনী ও তাদের দোসরদের পরাজিত করে ফেনীকে মুক্ত করেন।
যেদিন বাংলার বীরমুক্তি সেনানীদের দীপ্ত পদভারে প্রকম্পিত হয়েছিলো ফেনীর আকাশ বাতাস। ৭১’র এই দিনে মুক্তিযোদ্ধারা সম্মুখ সমরে পাক বাহিনী পরাজিত করে ফেনীর পর্বাঞ্চল দিয়ে প্রবেশ করে ফেনীর মাটিতে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উড়িয়েছিল। নভেম্বরের শেষ দিকে ফেনী জেলার বিভিন্ন অঞ্চলে মুক্তিযোদ্ধা আর মিত্রবাহিনীর প্রবল আক্রমণে দিশেহারা পাক বাহিনী আর তাদের দোসর রাজাকার, আলবদর, আল শাম্স বাহিনী সহ মিলিশিয়া বাহিনী ফেনী জেলার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে পালিয়ে এসে ফেনী শহরে জড়ো হয়ে চট্টগ্রামের দিকে পালিয়ে যায়। দীর্ঘ নয় মাসের রক্তক্ষয়ী স্বাধীনতা সংগ্রামে হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসর রাজাকার-আলবদর বাহিনীর নৃশংশ বর্বরতায় ক্ষত-বিক্ষত ফেনী শহরে স্বাধীনতাকামী বাঙ্গালীরা বিজয়ের নিশান উড়িয়ে উল্ল¬াস করে স্বজন -হারাদের কান্না ভুলে গিয়েছিলো। জেলার বিভিন্ন স্থানে আটটি বধ্যভূমিতে শহীদদের লাশ সনাক্ত করতে বা তাদের কবর চিহ্নিত করতে ছুটে বেড়িয়েছিল স্বজন হারারা।
ফেনী অঞ্চলের মুক্তিবাহিনীর অধিনায়ক হিসাবে কর্মরত তৎকালীন ক্যাপ্টেন জাফর ইমামের নেতৃত্বে (পরবর্তীতে লেঃ কর্ণেল হিসেবে অবঃ) ভারতের বিলোনীয়া ও তৎসংলগ্ন অঞ্চল থেকে ১০ ইষ্টবেঙ্গল রেজিমেন্টের অভিযানে পর্যুদস্ত হয়ে সম্মিলিত পাক বাহিনী চট্টগ্রামের দিকে পালিয়ে যায়। ফেনী হানাদারমুক্ত হওয়ার কারণে ঢাকা-চট্টগ্রামের সাথে সড়ক ও রেল পথে হানাদার বাহিনীর যোগাযোগ ব্যবস্থা সম্পূর্ণ রূপে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এতে করে বাংলাদেশ স্বাধীনতার সূর্য উদিত হওয়ার বিষয়টি সময়ের ব্যাপার হয়ে দাড়িয়েছিল।
মুক্তিযুদ্ধে ফেনীর অনেকগুলো রণাঙ্গনের মধ্যে চিথলীয়া, মুন্সীর হাটের মুক্তারবাড়ী ও বন্ধুয়ার প্রতিরোধের যুদ্ধ ইতিহাস খ্যাত হয়ে আছে। এ রণাঙ্গনে সম্মুখ সমরের যুদ্ধ কৌশল বাংলাদেশ, ভারত, ও পাকিস্তানী মিলিটারী একাডেমী গুলোতে পাঠসূচীর অংশ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। যা এ রণাঙ্গনের মুক্তিযোদ্ধাদের অংহকার আর গর্বের বিষয়।
আজকের এই দিনে সকল শহীদ বীর যুদ্ধা ও বীরমুক্তি সেনানীদের গভীর শ্রদ্ধা ও সংগ্রামী অভিনন্দন..জয় বাংলা।
২| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:২১
রাজীব নুর বলেছেন: ফেনীর লোক খুব ধর্মপ্রান।
৩| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:৫৬
কবি আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বলেছেন: ভালো লিখেছেন।
৪| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৫৬
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: ভেবে গর্ববোধ করছি, আমি ফেনীর মানুষ ।
আপনি কি ফেনীর?
২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:২১
সহীদুল হক মানিক বলেছেন: হা
©somewhere in net ltd.
১| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৫৩
চাঁদগাজী বলেছেন:
মুক্তিযুদ্ধে, শুভপুর থেকে বিলোনিয়া ছিল সবচেয়ে বেশী সক্রিয় সেক্টর। এই এলাকার লোকজন অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছেন।