নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভালবাসি জন্মভুমি বাংলাদেশ ।অসহ্য মনে হয় যে কোন অন্যায়-কে।অসততার সাথে আপোষ নয় কখনই।

সহীদুল হক মানিক

ভালবাসি জন্মভুমি বাংলাদেশ ।অসহ্য মনে হয় যে কোন অন্যায়-কে।অসততার সাথে আপোষ নয় কখনই।

সহীদুল হক মানিক › বিস্তারিত পোস্টঃ

কারফিউ কী

৩০ শে জুলাই, ২০২৪ সকাল ১১:৫৩

কারফিউ বা সান্ধ্য আইন এমন এক ধরনের আইন যেখানে কোনাে একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য বিশেষ ধরনের কর্মকাণ্ডকে নিষিদ্ধ করা হয়। সান্ধ্য আইন এর আক্ষরিক অর্থ সন্ধ্যার সময় বা সন্ধ্যার পরে চলাচলের নিয়ম-কানুন।

ইংরেজি এই শব্দটি (curfew) এসেছে ফরাসি ভাষার শব্দ couvre-feu (ক্যুভর-ফ্যু) হতে, যার অর্থ অগ্নিনির্বাপণ। মধ্যযুগে ইংরেজি শব্দ ভাণ্ডারে curfeu হিসেবে আত্তীকরণ হয় এবং আধুনিক যুগে সেটির বানান হয় curfew।

উইলিয়াম দি কনকরারের মতে, এই শব্দটির প্রকৃত অর্থ হলো, ‘কাঠের বাড়ি-ঘরে জ্বালানো আগ্নিশিখা এবং আগুনের প্রদীপ থেকে অগ্নিকাণ্ড প্রতিরোধের জন্য রাত ৮টার ঘণ্টা বাজার মধ্যেই সব আগ্নিশিখা ও আগুনের প্রদীপ নিভিয়ে ফেলার নিয়ম’।

আধুনিককালে এই আইনে কোনো একটা নির্দিষ্ট সময়ে চার জনের বেশি মানুষকে একত্রে কোনো পাবলিক প্লেসে জমায়েত হওয়া থেকে বিরত রাখার জন্য কারফিউ জারি করা হয়। কোনো জায়গায় দাঙ্গা বা জনরোষ যখন ভয়ঙ্কর রূপে দেখা দেয়, আর পুলিশ জনতাকে নিয়ন্ত্রণ করতে অসমর্থ হয় তখন এই আইন জারি করে। সমস্যার মাত্রার ওপর কাউফিউয়ের সময়কাল নির্ধারণ করা হয়। কখনও অনির্দিষ্টকালের জন্য কারফিউ জারি করা হয়। কোনো কোনো জায়গায় রাতে কারফিউ লাগে, কোনো জায়গায় দিনে কয়েক ঘণ্টার জন্য জারি করা হয়। কোনো কোনো সময় অল্প সময়ের জন্য কারফিউ তুলে বা শিথিল করে দেওয়া হয়, যাতে মানুষ নিজের বাজার-হাটের ব্যবস্থা করে ফেলতে পারে।

এই আইন জারি হলে সবাইকে বাড়ির ভেতরে থাকার আদেশ দেওয়া হয়ে থাকে। এই কারফিউ দেওয়ার কারণ হলো, কেউ যেনো ঘরের বাইরে জমায়েত হয়ে দল বেঁধে আবার কোনো অশান্তির সৃষ্টি করতে না পারে।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই কারফিউ বা সান্ধ্য আইন রয়েছে। বাংলাদেশে বিশেষ ক্ষমতা আইন; ১৯৭৪ সালে ২৪ ধারা অনুযায়ী জেলা প্রশাসনের ক্ষেত্রে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এবং মেট্রোপলিটন এলাকার ক্ষেত্রে পুলিশ কমিশনার সরকারের নিয়ন্ত্রণ সাপেক্ষে আদেশ জারির মাধ্যমে নির্দেশ করতে পারেন যেকোনো বিশেষ লিখিত অনুমতি ছাড়া কেউ ঘরের বাইরে যেতে পারবে না। এই আইন লঙ্ঘন করলে ১ বছরের কারাদণ্ড বা জরিমানার বিধান রয়েছে।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে জুলাই, ২০২৪ দুপুর ১২:৩২

ধুলো মেঘ বলেছেন: এখন কোন নিয়ম কানুনের বালাই নেই। অধিকতর নিরাপত্তার জন্য হাসপাতাল থেকে তুলে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া যায়। তথ্য সন্ত্রাস প্রতিরোধে ইন্টারনেট বন্ধ রাখা যায়। কোন কারণ ছাড়াই অনির্দিষ্টকালের জন্য কারফিউ জারি করা যায়। নিরস্ত্র মানুষকে আইনের পোষাক পড়ে গুলি করে মারা যায়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.