নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শাতিলের পাতা

নাফিস সাদিক শাতিল

নিজের সম্পর্কে লিখতে কষ্ট হয়। আমার সম্পর্কে যে যা ভাববে আমি তেমনই ।কারো প্রতি কোন অভিযোগ অনুযোগ নাই।

নাফিস সাদিক শাতিল › বিস্তারিত পোস্টঃ

কিছু শিক্ষকের সস্তা থার্ড ক্লাস পলিটিক্সের শিকার হচ্ছে পরীক্ষার্থীরা

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৪৮

আমার ১ এস এস সি পরীক্ষার্থী ছোট ভাইয়ের ফেসবুক স্ট্যাটাস শেয়ার করলাম নিচে। আমার প্রশ্ন হল এই সব শিক্ষকদের শিক্ষা হবে কবে? কয়দিন পর ১ পা যাবে কবরে এখনো ছাত্র দের সাথে এমন কেন করেন? আপনাদের প্লিজ লাগে কোমলমতি ছাত্রদের সাথে এইসব পলিটিক্স বন্ধ করেন।আপনারা জাতির কাঙ্গাল হয়ে আমাদের উপর এভাবে লাঙ্গল চালাইয়েন না।

স্ট্যাটাস বাই HM Asif Amir

নাহ আর পারলাম না!!এই কথাগুলি শেয়ার না করলে আর হল না!!করতে চাইছিলাম না কিন্তু বাধ্য হয়ে করতেছি!! >.<

১৭/০২/২০১৩।আমাদের পদার্থ বিজ্ঞান পরীক্ষা ছিল।কেন্দ্রের নাম কেশবপুর পাইলট বালিকা বিদ্যালয়।আমাদের রুম নাম্বার ১০১ এবং আমাদের অন্য বন্ধুবান্ধবেরা ১০২ এবং ১০৩ এ।যথাসময়ে হলে ডিউটি দেওয়ার জন্য একজন স্যার এবং একজন ম্যাডাম আসলেন আমাদের রুমে।

স্যারের পরিচয় আমি নিজের মুখে দিচ্ছি না ওই স্যার নিজেই নিজের পরিচয় দিয়েছিলেন ঠিক এভাবে,"আমার নাম সালাম।আমি এই স্কুলেরই শিক্ষক।তোমরা এই কদিন হ য ব র ল পরীক্ষা দিয়েছো কিন্তু আজ সেটা হতে আমি দিব না।"(ওকে দিয়েন না।আমরা নিজেরাই চায় না হ য ব র ল ভাবে পরীক্ষা দিতে।আমরা শান্তিপূর্নভাবেই পরীক্ষা দিতে ইচ্ছুক)

আমাদের পাশের রুম ১০২ এ পড়েছিল ওই স্কুলের মতিয়ার স্যার।একটা জিনিস বলে রাখা ভাল সেটা হল এইবার এসএসসি পরীক্ষা শুরু হওয়ার পূর্বেই অনেক অভিভাবক মতিয়ার স্যারকে ডিউটি না দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানান।কারন সকলেই জানেন তিনি পরীক্ষা কেন্দ্রে ছাত্রদেরকে আগবাড়িয়ে সাহায্য করতে পছন্দ করেন।এই আগ বাড়ানো ভালবাসা অনেকে সহজে গ্রহন করতে পারেন না বলেই হয়ত অনেক অভিভাবক এবং

পরীক্ষার্থীদের এই রকম আকুতি ছিল।তাই ওইদিন মতিয়ার স্যার আর সালাম স্যার কিভাবে ডিউটি পেলেন এটা কারোরই বোধগম্য ছিল না।সে যাই হোক,মতিয়ার স্যারও রুমে ঢুকে একটি কথা পরীক্ষার্থীদের বলেছিলেন।সেটি হচ্ছে,"প্রতি বছর তোদের স্কুল থেকে ২৫/২৬ টা এ+ পায়।এইবার কিভাবে পাই একটু দেখব।"তিনি আরো একটি কথা বলেন সেটি হল তিনি নাকি পরীক্ষার্থীদের মেধা যাচাই করবেন।(পরীক্ষা চলাকালীন যে স্যাররা ছাত্রছাত্রীদের মেধা যাচাইও করে আমার কেন কারোরই জানা ছিল না।)

ঠিক সময় সৃজনশীল প্রশ্ন দেওয়া হল এবং ঠিক ২ ঘন্টা পর খাতা নিয়ে নেওয়া হল।(এই ২ ঘন্টার মধ্যে স্যারদের কিছু বাংলা ইস্টাইলের ডায়লগ আমি আর বললাম না।)

এইবার শুরু হচ্ছে মূলকাহিনী।আমাদের বহুনির্বাচনীর জন্য সময় দেওয়ার কথা ৩৫ মিনিট।প্রশ্ন দিবে ১২ টা ১০ মিনিটে এবং খাতা নিবে ১২ টা ৪৫ মিনিটে।কিন্তু আমাদের হাতে প্রশ্ন আসতে আসতে বেজে গিছে ১২ টা ২০ মিনিট।এর অর্থ ১০ মিনিট দেরি।ঠিক ১২ টা ৪৫ মিনিটে ঘন্টা পড়বার সাথে সাথে স্যার খাতা কাড়া শুরু করে।কিন্তু এইটুকু সময়ের মধ্যে কোন ছাত্রছাত্রীই ৩৫ টা টিক ঠিক ভাবে দিতে পারেনি।স্যারকে এই কথা বলা হলে আমাদের সাথে খারাপ ব্যবহার করেন।সব ছাত্রছাত্রী উঠে দাঁড়িয়ে সালাম স্যারের এই কাজের প্রতিবাদ করে।কিন্তু তিনি জোরপূর্বক খাতা কাড়তে আরম্ভ করেন।কোন পরীক্ষার্থী যদি মাত্র ১০ সেকেন্ড চায় ২ টা টিক দেওয়ার জন্য তিনি তার খাতা এমনভাবে কেড়ে নিতে যান যে খাতা না ছাড়লে তিনি খাতা ছিড়ে ফেলবেন।তাই কারোর কোন কথা না শুনে তিনি খাতা কেড়ে নেয়।অনেকে এর প্রতিবাদ করে এবং অনেকে কাঁদতে শুরু করে।কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনি সব খাতা নিয়ে হল ত্যাগ করেন।বাইরে গিয়ে দেখি ১০২ এবং ১০৩ এর কিছু পরীক্ষার্থীও কান্নাকাটি করছে।তাদের সাথেও মতিয়ার স্যার একই আচরন করেন।শুধু কেশবপুর পাইলট স্কুলের পরীক্ষার্থীরা না সেখানে মূলগ্রাম স্কুল এবং সাতবাড়িয়া স্কুলের পরীক্ষার্থীরা ওই দুই রুমে ছিল।তাদের কাছে শুনলেও ঠিক এই কথাগুলি শোনা যাবে।হয়তবা এর চেয়ে বেশিই শোনা যাবে।



এই হচ্ছে মূল কাহিনী।এরপর পরীক্ষার্থীরা বাইরে এসে আন্দোলন করে।ইউএনও সাহেবের এর কাছে দরখাস্ত জমা দেয়।

তারপর??শুনেছি ওই দুই স্যার সাময়িক বরখাস্ত হয়েছেন।কিন্তু এর সত্যতা আমার জানা নাই।



১৯/০২/২০১৩ সালে অভিভাবকেরা গার্লস স্কুলের সামনে মানববন্ধন করেন এবং এর বিচার চান।কিন্তু বিচার দিয়ে কি হবে?আমাদের যা ক্ষতি হওয়ার তা হয়েই গিছে।কিন্তু তবুও আমরা জানতে চায় কেন আমাদের সাথে এমন করা হল??X((X((



হাসির আর একটা অধ্যায় বাকি আছে! :P:P!আমার এত খানি লেখার কিছু কারনের মধ্যে সেটাও অন্যতম একটা কারন ।

আজ দুপুর ২ টার দিকে গার্লস স্কুলের প্রায় দুইশত মেয়ে মিছিল করে ইউএনও সাহেবের এর কাছে স্মারকলিপি দিয়ে গেছে।কাদের উদ্দ্যগে এই মিছিলটা হয়েছে তা আর আমার বলা লাগছে না।শুনেছি স্যারদের

উপর অত্যাচার বন্ধ্যের দাবিতে নাকি এই মিছিল!:D:D:D!!!!!হুমমমম!!!কারা অত্যাচারিত হচ্ছে আর কারা মিছিল করতেছে!!

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.