![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
All time young and well ইমেইল করুন: [email protected] @লেখক কর্তৃক সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত
১
কিন্তু সেই তর্জনী। স্বপ্নলোক থেকে আসা কোন এক জিয়ন কাঠি যেন, ছুইয়ে দিল শিথানের পর। মাত্র একটি তর্জনী এবং রেসকোর্স। তর্জনী হতে সংগ্রাম, ১৯৭১। রেসের ময়দান, যুদ্ধের ময়দান, স্বাধীনতার ময়দান। প্রভাবক সেই কণ্ঠস্বরে বাংলার মানুষ ঘুম থেকে জেগে ওঠে, চোখে মুখে তার মুক্তির স্বপ্ন। স্বাধীনতা।
জয় বাংলা, বাংলার জয়।
বিজয়ের পর মুক্ত স্বদেশ। এখানে ব-দ্বীপ আর বাঙালীর মহাদেশ। জঙ্ঘার শিখর হতে আমাদের সমুদ্রে চাঁদ তার প্রতিবিম্ব ফেলেছে নতুন, এই আলোকপ্রাপ্তির ফলিত গণিত পেছনে ডানা মেলেছে এক লম্বা আঁচল।
কিন্তু তবুও ঘুড়ি ওড়ে, রঙিন; হেঁয়ালী আর রহস্যময়তায় কাই-ট হয়ে যায়। প্রজাপতি অথবা নির্বাহী। বিমুগ্ধ দৃশ্য, উড়িবার তরে। দৃশ্যের জন্ম প্রতিনিয়ত, প্রতিনিয়ত ক্ষয়। প্রজাপতির চোখের স্বপ্ন-সোনালী স্বপ্নে বহু বিচিত্র রঙের আহ্বান। ডানা মেলে ঘন বন থেকে গ্রাম-শহর-দেশবিদেশ। ইন্দিরা-কিসিঞ্জার-নিকসন। র এবং সিআইএ। এক যজ্ঞের ভ্রুণ, কোথায় শুরু আর শেষ; ঘুর্ণিবায়ু। ঢাকা-করাচি-লন্ডন-ঢাকা। ঢাকাই ফুলের গন্ধমাখা। তীর্থযাত্রীর প্রত্যাবর্তন যেন। বহুবর্ণ চিত্র আর সঙ্গমকালীন ঘোড়াদের হ্রেষা।
ফুলেল শুভেচ্ছা, প্রজা-পতি [ কথক নিঃপ্রয়োজন তবু-]। সিংহদ্বার খোলা রয়েছে বহুকাল; বহুকাল ধরে অর্জন করে না কেউ সে অধিকার। সেখানে রেখার প্রাধান্য, সেখানে মনের দাগ-টেরাকোটা, অদ্ভুত। আর এখানে মান্যবরের প্রতি সঙ্গীত, কোন নোটেশন নেই।
প্রজাপতি তবু প্রজা-পতি হয়। সিংহাসনের মায়ায়। মায়া, অর্ন্তজালের মায়া। জীবনযাপন-আপন পথের মায়া। সবাই আপন এমনই সব মায়ায়।
[দৃশ্যটি ফ্লিম কোটেড]
প্রজাপতির ডানা কাটা কোট। বন্ধু অনেক। প্রিয়জন। ভালবাসা না ভোগ? চোখে দেখে না প্রজাপতি, কান দিয়ে দেখে। কোথায় বাণিজ্যলক্ষী! শুধু পারাপার, এপার বাংলা ওপার বাংলা-একই সমাহার। তাই মুর্তিমান মঙ্গা আসে; তিরোহিত হয় লবণের গোলা। নদীতীর, বক্ররেখায় গোপন চিত্রকলা। দ্য ভিঞ্চি। একটুকু হাসিতে কি করে বোঝায় স-ব। লাগ্ ভেল্কি লাগ-চোক্ষে মুখে লাগ্। ভালবাসার সাম্যবাদ।
প্রজাপতির চোখে হাজার প্রতিবিম্ব। বিম্বত জোনাকি; অসংখ্য বেতার-অবতার। আবারো খাটো লেন্থের বল, চোখের গভীরে। স্বপ্ন-স্বপ্নের নাও-শিবের বাহন। তটরেখায় নতুন দৃশ্য। দৃশ্য এবং স্বপ্ন। দৃশ্যের পেছনে স্বপ্ন আবার স্বপ্নের পেছনে দৃশ্য; অপরূপ।
রূপের অভেদ রূপে সাধারণ। এমনই সাম্যবাদের পথ। সাম্যবাদের পথে জীবন লুটের অর্থেরও নাম ভোলাভালা শপথ। ভাবের সাথে পূঁজি মিলনের তীব্র মনস্তাপ। অভিনিবেশে ভালবাসার লোভ, অতঃপর লোভে পাপ। লুটায় ভালবাসা, লুটায় সাম্যবাদ।
প্রজা নয় প্রজা-পতির ইতিকথাই ফেলে এসেছে দাগ, চিরদিন। শান্তি আর কোন কল্যাণভূমি সাজিয়েছে কে! কবে? শৌর্য আর প্রতাপ, ধবংস আর পুঞ্জিভবনের প্রাসাদ থেকে গৌড়রাজমালার সুবিদিত প্রজাপতিগণ কেউ কি কখনো ভেবেছে, নিজের গড়ে তোলা পরাক্রম স্তিমিত হয়ে যাবে একদিন!? তবু বরেন্দ্রভূমি, তবু কর্ণসুবর্ণ, মগধ আর গৌড়রাজ ঠাঁই পেয়েছে ইতিহাসে। যখন ঐক্যবদ্ধতা ভেঙে যায়, সংস্কৃতি চুলোয় যায়, শাসক আর জনতা দুটি পক্ষ তৈরী হয়ে যায়, তখন চারপাশ থেকে আসে বিস্মরণের ধুসরতা; চৈতন্য আর স্বাধীনতা ছুঁয়ে পরিচয়ের পরোতে পরোতে ছড়িয়ে পড়ে মরিচা। ইতিবৃত্তের ভাঁজে ভাঁজে তাই ছু মন্তর ছু।
৬
সূত্রধর...
সন্ধ্যার ম্যারম্যারে আলো। কথক একা। জনশুণ্য মাঠ। দৃশ্যটি এখান থেকেই।
বক্তা বলছিল স্বগক্তিতে কিন্তু সেটা আহ্বানের মতোই চারপাশে ছড়িছে গুঞ্জন। 'তোমরা কোথায়। ঘুমিয়ে কেন? উঠে আসো, বাইরে এসো। দেখো ভোর হয়েছে।'
কিন্তু সকলে দেখছে, 'কোথায় ভোর? কোথায়? এতো সন্ধ্যা। হাহ্ আমরা বোকা নাকি! আরে বুদ্ধু ভোর কোথায়? সবে তো সন্ধ্যা। আর একটু পর রাত্রি।'
'না। না। তোমরা শোন।' বক্তা অজানা আশঙ্কায় ভীত। সে যেন কিছু বলতে চায়।
সকলে ঘুমিয়ে পড়ে। আঁধার নেমে আসে চারপাশ থেকে। ছোট একটু আলো জ্বলে ওঠে। মাটির প্রদিপ হাতে কথক। একা।
কাট। দৃশ্যের প্রথম অংশ এটুকুই।
আমাদের দৃশ্যগুলো এভাবেই খাপছাড়া। খাপে খাপ লেগেছিল হয়তো কোনদিন, কিন্তু সে দিনটি আমাদের ছিল না। ছিল অন্য কারো, সব সময় যেমনি থাকে এবং যেমনি ভাবে লাল-সবুজে উড়তে থাকে আমাদের ইচ্ছেপূরণের কল্পনা। গর্বিত ভাবে শেখানো হয় এই মহান জাতির সমস্ত ক্ষমতা তোমাদের। একমাত্র তোমাদের হাতেই। আর নির্বাহীরা তোমাদের কষ্ট লাঘবের জন্য প্রতিনিয়ত কঠোর থেকে কঠোরতর পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। তাঁরা দেবতাদের আর্শীবাদপুষ্ট। তাদের সততা ও কর্তব্যনিষ্ঠা প্রশ্নাতীত। তাঁদের দক্ষতা শত শত এমন কি হাজার-হাজার বছরের পুরাতন অভিজ্ঞতায় পূর্ণ। এ কালের অবতার তাঁরা। তাঁরা অমর হয়ে জন্মেছিলেন বলেই না আমাদের মতো কার্যতঃ বিশৃংখল একটি জাতিকে এতো সুন্দরভাবে শাসন করে যেতে পারছেন।
কিন্তু দেখ কি আশ্চর্য! তোমরা তাঁদের দেখেই আশ্চর্য হও। তোমরা মুখে বলো যে, তোমরা ধর্মকে সর্বাজ্ঞে মান্য করো কিন্তু সত্য এই যে, আসলে তা মিথ্যা। যদি তোমরা ধার্মিক হতে তাহলে তো অবশ্যই ধর্মীয় গল্পগুলো জানতে এবং বুঝতে যে মহান সৃষ্টিকর্তা অনেক পূর্বেও এভাবেই অবতার পাঠিয়ে ছিলেন। তাঁরা তোমার সহোদর হলেও আপন নয় এমন কি তোমার মা তাঁর মা নয়। স্বর্গ তো তাঁদের জন্যই নির্ধারিত থাকবে এবং তাঁদের সাথে সহবাস করবে বেহেস্তী হুর। তোমরা কি দেখো না চলচ্চিত্র? সেখানে নায়ক তার নায়কোচিত আভিজাত্য নিয়েই আবির্ভূত হয়।
এবং ঠিক তাই; আমরা তো আসলেই মূর্খের দল। বলা প্রয়োজন মহামূর্খ। কেননা আমরা যে যুদ্ধে বিজয় এনেছি, সে বিজয় আমাদের নয়; অন্য এক নতুন শাসকবর্গের। আমাদের সেনাবাহিনী আমাদের নয়, এমন কি তাঁরা মুক্তিবাহিনীর বিকল্পও নয়। পুলিশ নয় আমাদের, তাঁরা আমাদের নিরাপত্তা নিয়ে ভাবে না; এমনকি আমাদের নিয়ে রাজনীতিও আমাদের জন্য নয়।
তাহলে কাদের? এজন্য আরও একটি চিত্রনাট্যের প্রয়োজন।
বায়েস্কোপ। এক নতুন দৃশ্যকাব্য।
চার ঘোড়ার ক্যভেলরী এন্ড কর্ণেল। স্মার্ট সোলজার। কর্ণেল। রাইট সোলজার। কর্ণেল। দৃশ্যান্তর। সাহেব-বিবি-গোলাম। স্টপ।
রেডি।
মার্চ অন। প্যারেড। মার্চ।
সাঁজোয়া যান। কালো মেঘের আওয়াজে-যুদ্ধাভিযান।
মার্চ অন। প্যারেড-ফায়ার।
র্
ফায়ারর্-ফায়ারর্-ফায়ার।
দৃশ্যান্তর। স্থিরচিত্র। খেলারাম খেলে যা। গোলাম-সাহেব। ট্রাম্প কার্ড। ওভার ট্রাম্প। ইস্কাপনের টেক্কা। ঢাকা-চিটাগাঙ-ব্যাংকক-ত্রিপলী। রাজা উজির। রাজা উজির। সিপাহী অর ঘোড়া। কুছ নেহী থোরা থোরা। স্টপ।
এক নতুন দৃশ্যের চিত্রায়ণ। প্রজাপতি। স্মৃতিতে দামামা। দামামার পেছনে আহ্বান। প্রজাপতি-উড়ছে রঙিন ডানায়। আজ সংহতি। মুক্ত কণ্ঠ। প্রজা সংহতি-পতি সংহতি। লটবহর-সুটকেস-ক্যাপ। রোদেল চশমা। এবং ড্রাম বিট-
টাটিটা-টাটিটা-টাটিটা-টাম্।
টাটিটা-টাটিটা-ভুর-র-রাম।
সোলজারস্। সাইলেন্স।
মার্চ অন। প্যারেড। মার্চ।
চিটাগাঙ টু ঢাকা।
ডুম-ডুম-ডুম, ডুম-ডুম-ডুম।
ডুম-ডুম...। ডুম-ডুম...।
ডুম-ডুম-ডুম-ডুম।
প্রজা পতি। চোখে থাক রোদেল চশমা-কালো। সাদা জামায় মনিয়েছে ভাল। আবার নতুন স্বপ্ন-ধানক্ষেত-স্বপ্নের সোনালী শীষ। আবার ড্রাম বিট্।
সোলর্জাস। মার্চ অন।
প্যারেড। মার্চ।
ঢাকা টু চিটাগাঙ।
ডুম-ডুম-ডুম, ডুম-ডুম-ডুম...।
আবারও ফায়ার। তবুও ফায়ার। বিরূপক্ষে। ফায়ার-উড়ন্ত প্রজাপতির বক্ষে। জীবন বাংলাদেশ আবার মরণ বাংলাদেশ।
ফায়ার। ফায়ার। ফায়ার। ফায়ার-রাইর্ডাস।
অরন্য-পাহাড়-বিদ্রোহী সোলর্জাস।
[দৃশ্যান্তর। টেক অন।]
সেনাপতি আর কবি। নতুন প্রজাপতি। নতুন স্বপ্নের অভিষেক।
সোলজারস। গো এহেড।
ঘ্যঙ-ঘ্যঙ-ঘ্যঙ, ঘ্যঙ-ঘ্যঙ-ঘ্যঙ।
এবার থামবে; এবার থাম্।
ঘ্যঙ-ঘ্যঙ...; ঘ্যঙ-ঘ্যঙ...; ঘ্যঙ। ঘ্যঙ। ঘ্যঙ।
হাওয়ায় লেগেছে ডানা। কবিতা। কবিতা আর প্রেম। রসকদম্ব। অখুশি নয় কেউ। প্রজাসাধারণ। পতি-প্রতি যোগী ধ্যানমগ্ন, যথাচারী। লাঠি হাতে সাইকেলে পথচারী। সেনাপতি। প্রজাপতি। কবি আর কবিতা। সভাপতি। কবি পতি। সব-ই পতি-পতি আর...। জানি তা।
হ্যাঁ এবং না। ভোট দেই-যোগ দেই। ফলাফল-জানি না।
লেফট-রাইট, লেফট-রাইট;
লেফট্। রাইট। লেফট্।
গো এহেড-গো এহেড;
উই আর আপ-ডেট।
[চলবে..........]
২| ১১ ই আগস্ট, ২০১১ বিকাল ৫:৪৬
রিশাদ রিজওয়ান বলেছেন: অসাধারণ লিখনী.।.।.।.।.।.। এভাবে তো বড় বড় লেখকরাই কেবল লিখতে পারেন ।
অপেক্ষায় থাকলাম পরের পর্ব পড়বার জন্য ।
১১ ই আগস্ট, ২০১১ রাত ১০:৪১
সেতু আশরাফুল হক বলেছেন: ধন্যবাদ.......
৩| ১১ ই আগস্ট, ২০১১ বিকাল ৫:৪৭
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: কেননা আমরা যে যুদ্ধে বিজয় এনেছি, সে বিজয় আমাদের নয়; অন্য এক নতুন শাসকবর্গের। আমাদের সেনাবাহিনী আমাদের নয়, এমন কি তাঁরা মুক্তিবাহিনীর বিকল্পও নয়। পুলিশ নয় আমাদের, তাঁরা আমাদের নিরাপত্তা নিয়ে ভাবে না; এমনকি আমাদের নিয়ে রাজনীতিও আমাদের জন্য নয়।
তাহলে কাদের?
ধারা কল্পগুলো অসাধারন.......
কল্পলাফে দুই যুগ পেরিয়ে...
কবি রাজার পরের দৃশ্যকল্পের অপেক্ষায়.........
১২ ই আগস্ট, ২০১১ সকাল ১০:৫৭
সেতু আশরাফুল হক বলেছেন: স্বাগতম............
৪| ১১ ই আগস্ট, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:১৮
নীল বরফ বলেছেন: স্তভের মত শক্তিশালী। পড়ে হৃদয় জুড়ে যায়।
১২ ই আগস্ট, ২০১১ সকাল ১০:৫৮
সেতু আশরাফুল হক বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ।
৫| ১২ ই আগস্ট, ২০১১ রাত ১২:১৫
জয়কৃষ্ণ বলেছেন:
''এমনকি আমাদের নিয়ে রাজনীতিও আমাদের জন্য নয়।''
তুলনাহীন এক উপলব্দি। লেখককে অভিনন্দন। পরের পর্বের জন্য অপেক্ষায় রইলম।
১২ ই আগস্ট, ২০১১ সকাল ১১:০০
সেতু আশরাফুল হক বলেছেন: তুলনাহীন আপনার উপলব্দি। আপনাকে অভিনন্দন। পরের পর্বের জন্য একটু অপেক্ষা করুন.............
৬| ১৮ ই আগস্ট, ২০১১ দুপুর ১:৪৭
আরিফ রুবেল বলেছেন: অনেক ভালো লাগছে পড়তে
২২ শে আগস্ট, ২০১১ দুপুর ২:০৯
সেতু আশরাফুল হক বলেছেন: আপনার মতো বোদ্ধা পাঠক পেয়ে আমিও ধন্য।
©somewhere in net ltd.
১|
১১ ই আগস্ট, ২০১১ বিকাল ৫:৪০
সেতু আশরাফুল হক বলেছেন:
নরক ও নৈরাজ্যবাদীতার কথা-২
নরক ও নৈরাজ্যবাদীতার কথা-১