নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সময় পাইলে ব্লগ লেখাটা এখন নেশায় পরিণত হয়েছে। ব্যাস্ততার ফাকে যারা আমার ব্লগ দেখেন তাদের কাছে কৃতজ্ঞ। আপনাদের অনুপ্রেরণা থাকলে নিশ্চই সামনের দিন গুলোতে লেখা চালিয়ে যাবো।

শিশির খান ১৪

বেস্ত সময়ের ফাঁকে যারা আমার ব্লগ পরেন তাদের সবাইকে ধন্যবাদ

শিশির খান ১৪ › বিস্তারিত পোস্টঃ

‘জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালা-২০১৪’

৩১ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৩:৪৬

০৫ আগষ্ট ২০১৪ ইংরেজী সনে গেজেট আকারে ‘জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালা-২০১৪’ শিরোনামে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক অনুমোদিত হয়েছে। রাজনীতিবিদরা বরাবরের মতো আবারও সাংবাদিক, আইনজীবী ও দেশের মানুষকে সম্প্রচার নীতিমালা নিয়ে দিধাবিভক্ত করার পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন। সুবিধাবাদী রাজনীতিবিদরা বাংলাদেশ এর সহজ সরল মানুষকে নানা ভাগে বিভোক্ত করে ফায়দা লুটেন যেমন ধরেন বাঙ্গালী আর বাংলাদেশীতে, এরপর পাহারী - বাঙ্গালি ,হিন্দু-মুসলিম-বৌদ্ধ-খ্রীস্টান, তারপর ডান-বাঁম, মুক্তিযোদ্ধা-রাজাকার, জোট-মহাজোট, আবাহনী-মোহামেডান, ভারতের দালাল-পাকিস্থানের দালাল এভাবেই আমরা নানা ভাগে বিভক্ত হয়ে পরেছি। সম্প্রচার নীতিমালার পক্ষে বিপক্ষে নানা রকম যুক্তি আছে। আমি বাক্তিগত ভাবে মনে করি অবশ্যই সম্প্রচার নীতিমালা প্রয়োজন কিন্তু নীতিমালা অবশ্যই তৈরী হতে হবে সম্প্রচার গণমাধ্যম এর সাথে সংশ্লিষ্ট সবার অংশগ্রহনের মাধ্যমে।জোর করে বা চাপিয়ে দিয়ে সুবিধাবাদী রাজনীতিবিদরা সম্প্রচার নীতিমালার বাস্তবায়ন কখনো করতে পারবেন বলে আমার মনে হয় না।স্বৈরাচার এরশাদের শাষন আমলে বিটিভি ,রাষ্ট্রীয় বেতার ,হাতে গোনা কয়েকটা পত্রিকা ছারা আর কোনো গণমাধ্যম ছিলো না তাতেও কিন্তু এরশাদের শেষ রক্ষা হয় নি।বর্তমান পরিস্তিতিতে রাষ্ট্রীয় মালিকানায় রয়েছে ৩ টি এবং প্রাইভেট মালিকানায় রয়েছে আরো ২৩ টি টিভি চেনেল এছারাও ১ টি রাষ্ট্রীয় রেডিও স্টেশন ছারাও রয়েছে প্রায় ১৪ টি প্রাইভেট রেডিও স্টেশন বাংলা পত্রিকা আছে ৪০ টির উপরে আর ইংরেজি পত্রিকা আছে ১৫ টির উপরে দুঃখের বিষয় হচ্ছে এরই মধ্যে রাজনীতির রোষানলে পরে বন্ধ হয়ে গেছে প্রায় ৪ টি টিভি চেনেল।সম্প্রচার নীতিমালা গণমাধ্যম গুলোকে রাজনীতিবিদদের বা আমলাদের হতের মুঠোর নিয়া আসবে তাতে কোনো সন্দেহ নেই কিন্তু সার্বিক ভাবে সম্প্রচার মাধ্যম গুলোর কোনো উন্নতি হবে কিনা তা নিয়ে আমার যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে যেমন ধরেন মোহনা টিভি ,বিজয় টিভি আর মাই টিভি এই চেনেল গুলো সারা দিন বিভিন্ন ভন্ড পীর ,তাবীজ ,হাত দেখার গনক এবং আজেবাজে যৌন উত্তেজক ঔষধের বিজ্ঞাপন দেখিয়ে পয়সা কামায় মানসম্মত কোনো বিনোদন অনুষ্টান এই সব চেনেলে খুব কম দেখায়।সম্প্রচার নীতিমালা তে এদের বিরুদ্ধে মাননীয় মন্ত্রী কোনো অবস্তান স্পষ্ট করে নিয়েছেন বলে মনে হয় না। আগে ১ ঘন্টার পেকেজ নাটক গুলো বিপুল দর্শক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিলো তখন বাংলাদেশ আর নাটক এর মান ভারতীয় নাটক এর তুলনায় কোনো ভাবেই কম ছিল না বর্তমান পরিস্তিতিতে নাটক গুলো ভারতীয় নাটকের অনুকরন যা দিন দিন নিম্ন মানের হচ্ছে কোনো কোনো নাটক ৫০০ পর্বেরও অধিক এবং ১৫ মিনিট এর নাটকে বিজ্ঞাপন বিরতি ৩৫ মিনিট তা হলে বুঝুন অবস্তা। নাট্টো নির্মাতারা এর দায় নিতে রাজি নন তাদের মতে টিভি চেনেল গুলোর ইচ্ছায় সব পরিচালিত হয় এটা স্পষ্ট যে বাংলা সিনামা থেকা যে ভাবে মানুষ চোখ ফিরিয়ে নিয়েছে হয়তো সে ভাবেই বাংলা নাটক আমদের সংস্কৃতি থেকে হারিয়ে যাচ্ছে । সম্প্রচার নীতিমালা থেকে এসব সমস্যার কনো দিক নির্দেশনা পাওয়া গেল না ,বাংলাদেশ এর বিজ্ঞাপন নির্মান খুব ভালো একটা অবস্তান তৈরী করলেও ভারতীয় নিম্ন মানের সস্তা বিজ্ঞাপন বাংলায় ডাবিং করে ঠিকই উনিলিভার এর মত কোম্পানি আমাদের খাওয়াচ্ছে দিনের পর দিন। যা আমদের সমাজে ভয়াবহ দুর্যোগ বয়ে আনছে যেমন ধরুন ফেয়ার এন্ড লাভলী মোটামোটি প্রতিষ্টিত করে ফেলেছে যে ফরসা মানেই সুন্দর কালোর কোনো সুন্দর্য নেই পৃথিবীর যে কোনো উন্নত দেশে এই বিজ্ঞাপন নিষিদ্ধ হবে।সম্প্রচার নীতিমালা এই সস্তা ভিন দেশী বিজ্ঞাপন রোধে কোনো ভূমিকা রাখতে পারে নি মজার বিষয় লক্ষ করুন ভারতে বাংলাদেশ কোনো চেনেল প্রদর্শন করা নিষিদ্ধ অথচ আমরা ওদের হিন্দি বাংলা প্রতিটি চেনেল এর জন্য আমাদের আকাশ মুক্ত করে রেখেছি ফলশ্রুতিতে এই তো ঈদ এর আগে ভারতের নাটক এর পাখি ড্রেস আমাদের বাজার দখল করলো শুধু তাই নয় সেই পাখি ড্রেস না পাওয়ার কারনে অনেক স্কুল এর মেয়ে আত্মহত্যা করে।এই নিম্ন মানের সস্তা ভারতীয় নাটক গুলোর কারনে অনেক পরিবারেই আজ অশান্তি মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের মতে এই নাটক গুলো আমদের সমজে খুব খারাপ প্রভাব ফেলছে। সু -শীল সমাজ এর প্রতিবাদ জানায় দাবী উঠে ওই সব আজে বাজে ভারিতীয় চেনেল বন্ধ করার কিন্তু মাননীয় মন্ত্রী জানালেন এই রকম হটাত করে কোনো টিভি চেনেল আর সম্প্রচার বন্ধ করা যায় না যদিও দিগন্ত টিভি ,ইসলামিক টিভি এক রাতেই বন্ধ হয়ে ছিলো এবার আশা যাক পত্রিকার দিকে ১০ টাকার পত্রিকার প্রথম পৃষ্টার শতকরা ৮০ভাগ যদি বিজ্ঞাপন থাকে তা হইলে কি করার আবার কালের কন্ঠ আর যোগান্তর এর মারামারি কে না লক্ষ করেন এগুলো কি সম্প্রচার নীতিমালাতে প্রতিহত করার মতো ক্ষমতা কি রয়েছে ?পত্রিকা অফিশে পুলিশ ধর পাকর করতে যাবার কোনো প্রয়োজন আছে বলে মনে হয় না যদি পত্রিকা মিথ্যা প্রচার করে তা হইলে পুলিশ আইনগত বেবস্তা গ্রহণ করতে পারে মিথ্যা রিপোর্ট প্রচার করার জন্য অবশ্যই শাস্তির বিধান আছে আর তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব আদালতের পুলিশ পত্রিকা অফিসে জায়া ধর পাকর করলে সাংবাদিকরা তাদের দুর্নীতি নিয়া কিছু বলতে ভয় পাবে তা তো সমাজের জন্য ভালো উদাহরন হবে না নিশ্চই। আমাদের নিজেদের সমাজ বাচাতে আমাদের নিজের এগিয়ে আসতে হবে ভুমিকা রাখতে হবে সম্প্রচার নীতিমালার সংশোধনে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.