নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বেস্ত সময়ের ফাঁকে যারা আমার ব্লগ পরেন তাদের সবাইকে ধন্যবাদ
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্তার তথ্য অনুযায়ী আত্মহত্মা প্রবণ দেশ গুলোর মাঝে বাংলাদেশের অবস্তান এখন শীর্ষ দশটি দেশের মাঝে। আগে বিক্ষিপ্ত ভাবে দুই একটি ঘটনা ঘটলেও এখন তা বৃদ্ধি পেয়েছে আশংকা জনক হারে ইদানিং পত্রিকা খুললেই এই ধরনের দুর্ঘটনার খবর প্রায় সময় দেখা যায় ,যা আমাকে যা ভীষণ ভাবে ভাবিয়ে তুলেছে তা হলো গতো কয়েক বছর যেই আত্মহত্মার খবর গুলো শুনছি তা কিন্তু বেশ অন্য ধাচের যেমন ধরুন এখন কিন্তু প্রায় সময় জোড়া আত্মহত্মার খবর শুনি যা আগে খুব একটা শুনা যেত না।প্রেমিক প্রেমিকা ,স্বামী স্ত্রী , দুই বোন এক সাথে আত্মহত্মা করছে।না হলেও গতো বছর এরকম জোড়া আত্মহত্মার ঘটনা শুনছি ২০ টি। তার মানে এক জন আরেক জন কে আটকানো তো দুরের কথা উল্টা দুই জন এক সাথে আত্মহত্মা করছে।পারিবারিক ও সামাজিক ভাবে বিভিন্ন চাপের সম্মুখীন হয়ে অনেকেই মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পরে এর ফলে ধীরে ধীরে মানুষের মাঝে তৈরী হয় বিষন্নতা সহ নানা ধরনের মানসিক অসুস্ততা। মূলত মানসিক অসুস্ততার কারণেই মানুষের মাঝে এ ধরনের আত্মহত্মার প্রবণতা তৈরী হয়।মানসিক রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিগণ পরিবার ও সামাজিকভাবে অসম্মানের শিকার হয় দেখে তারাও মানসিক চিকিৎসাকের শরণাপন্ন হতে চান না। পুরো বিষয়টা আমাদের সমাজে খুব লজ্জাজনক ভাবে উপস্থাপন করার কারনেই এই দুর্ঘটনা গুলো বৃদ্ধি পাচ্ছে।বিশ্বের ৭০ ভাগ মানসিক রোগী কোন চিকিৎসা পায় না।মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এর পরিমাণ ৬৭ শতাংশ, ইউরোপে ৭৪, চায়না ও নাইজেরিয়ায় ৯৪ শতাংশ।বাংলাদেশ ও ঠিক একই অবস্তানে রয়েছে বাংলাদেশে আমার জানা তথ্য অনুসারে মাত্র ২২৭ জন মনোরোগ বিশেষজ্ঞ রয়েছে যা প্রয়োজনের তুলনায় নাই বোললেই চলে। যারা মানসিক অসুস্ততা ও বিষন্নতায় ভুগছেন এবং এর থেকে মুক্তি চান তাদের জন্য এই দশটি পয়েন্ট তুলে ধরলাম কেউ যদি এই দশটি পয়েন্ট মেনে চলে তে হলে বিষন্নতা বা অনান্য মানসিক অসুস্ততা থেকে খুব সহজেই মুক্তি পাবে
১ ) জীবন যুদ্ধ : জীবন মানেই যুদ্ধ প্রতিটি ধাপে আপনাকে সংগ্রাম করে বাচতে হবে। সহজে হাল ছাড়বেন না যখন ক্লান্ত হয়ে উঠবেন তখন নিজেকে বুঝ দিবেন আর অল্প একটু পথ বাকি একদম না পারলে আবার নতুন উদ্দম নিয়ে শুরু করুন কিন্তু কোনো ভাবেই হার মানা যাবে না সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হবে।
২ ) ইতিবাচক মনোভাব :ইতিবাচক মনোভাব রাখুন কোনো ভাবেই নীতিবাচক চিন্তা করবেন না। যারা নীতিবাচক চিন্তা করে বা নীতিবাচক কথা বলে তাদের সংগ পরিহার করুন। নিজের উপর বিশ্বাস স্তাপন করুন। মনে রাখবেন যে নিজেকে বিশ্বাস করে না সে কখনই সফল হয় না।
৩ ) লক্ষ্য স্তির করুন : দিকভ্রান্ত হয়ে এদিক ওদিক ছোটাছোটি না করে একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্য স্তির করে জীবন যাপন করুন।ভাবুন আজ থেকে দশ বছর পর নিজেকে কি অবস্তানে দেখতে চান সেই লক্ষ্য মাথায় রেখে আপনার প্রতি দিনের নিত্য নৈমিত্তিক কাজ করে যান।
৪ ) শরীর ও স্বাস্থ : মনে রাখবেন স্বাস্থ্য হচ্ছে সকল সুখের মূল নিজেকে নিজে ভালোবাসুন নিজের স্বাস্থের দিকে নজর দিন প্রতি দিন ৬ থেকে ৭ ঘন্টা ঘুমান এবং সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠুন পরিমিত পুষ্টিকর খাবার খান ও পর্যাপ্ত পানি পান করুন সম্ভব হলে সকাল সকাল হাটতে বের হোন এবং হালকা বেয়াম করুন।
৫ ) অবসরে :অবসর সময়ে যখন কোনো কাজ থাকে না তখন নিজেকে বেস্ত রাখার চেষ্টা করুন অলস মস্তিস্ক নানা রকম বাজে চিন্তায় আমাদের মগ্ন রাখে যদি কোনো কাজ না থাকে তে হোলে খুঁজে বের করুন কি করতে আপনার ভালো লাগে তার পিছনে সময় দিন হতে পারে তা গান বাজনা হতে পারে মঞ্চ নাটক হতে পারে গল্পের বই পরা হতে পারে সিনামা দেখা যা ভালো লাগে তা দিয়ে নিজেকে বেস্ত রাখুন।
৬ ) তুলনা করা থেকে বিরত থাকুন :আপনার আশে পাশের মানুষের দিকে লক্ষ্য করুন কোনো সময় নিজের সফলতার সথে অন্যের সফলতার তুলনা করবেন না। সমাজে কিছু লোক আপনার চে সফল তা যেমন সত্য আবার অনেক মানুষের চে আপনি অনেক ভাগ্যবান এটাও তো সত্য এটা অনুধাবন করুন এবং সৃষ্টিকর্তা কাছে শুকরিয়া আদায় করুন।
৭ ) মানুষের সাহায্যে হাত বাড়িয়ে দিন : সমাজে আপনার আসে পাশে যারা আপনার চে অসহায় তারা হতে পারে প্রতিবন্ধী হতে পারে বৃদ্ধ হতে পারে এতিম তাদের সাহায্যে নিজেকে নিবেদিত করুন।
৮ ) আনন্দ :প্রতিটি কাজে মাঝেই আনন্দ রয়েছে মন খরাপ করে বা নিজের মনের বিরুদ্ধে কোনো কাজ না করে আনন্দের সাথে প্রতিটি কাজ করুন নিত্য নৈমিত্তিক কাজের মাঝেও আনন্দ খুঁজে ফিরুন চেষ্টা করুন প্রতিটি কাজ উপভোগ করার।
৯) চাওয়া পাওয়ার হিসাব :চাহিদা থাকবে কিন্তু সব চাহিদা পূরণ হবে এমন কোনো কথা নেই।চাওয়া পাওয়ার হিসাব কসবেন না এতে করে আপনি আরো বিপদে পরবেন।পৃথিবীতে এমন কোনো মানুষ নেই যার সকল চাহিদা পূর্ণ হয়েছে। চাহিদা পূরণ করার জন্য নিজের সর্ব শক্তি দিয়ে চেষ্টা করুন বাকিটা সৃষ্টি কর্তার ইচ্ছা।
১০ ) খুব ক্লান্ত হয়ে উঠলে নতুন নতুন জায়গায় ভ্রমনে যান ২ বা ৩ দিনের ভ্রমন আপনাকে নিমেষেই চাঙ্গা করে তুলবে বিভিন্ন হলে যেয়ে সিনামা দেখুন বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনষ্ঠানে যান এতে করে কাজে আপনার উদ্দম আরো বৃদ্ধি পাবে।