নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সময় পাইলে ব্লগ লেখাটা এখন নেশায় পরিণত হয়েছে। ব্যাস্ততার ফাকে যারা আমার ব্লগ দেখেন তাদের কাছে কৃতজ্ঞ। আপনাদের অনুপ্রেরণা থাকলে নিশ্চই সামনের দিন গুলোতে লেখা চালিয়ে যাবো।

শিশির খান ১৪

বেস্ত সময়ের ফাঁকে যারা আমার ব্লগ পরেন তাদের সবাইকে ধন্যবাদ

শিশির খান ১৪ › বিস্তারিত পোস্টঃ

চিকিৎসকদের কর্মবিরতি পালন করা কতটা যুক্তি সংগত ?

১৩ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ২:৩৩


প্রায় সময় শুনি চিকিৎসকরা কর্মবিরতিতে গিয়েছে দেখে ভেঙ্গে পড়েছে হাসপাতালের চিকিৎসা-সেবা কার্যক্রম। চরম দুর্ভোগে পড়েছে রোগী ও রোগীর অভিভাবকরা।এই তো কয়েক দিন আগেই শুনছিলাম রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ৩ দিন ধরে ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদের কর্মবিরতি চলছে। চিকিৎসক দের কর্মবিরতি পালন করা এখন আর নতুন কোনো ঘটনা নয়।২০১৪ সালের এপ্রিল মাসে শুনলাম ঢাকার বারডেম এর চিকিৎসকরা কর্মবিরতি পালন করছেন ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বর মাসে সাতক্ষিরার চিকিৎসকরা কর্মবিরতি পালন করেন জানুয়ারী ২০১৬ তে ঢাকা মেডিকেল কলেজ ,চট্টগ্রাম ,পাবনা ও গোপালগঞ্জের চিকিৎসকরা কর্মবিরতি পালন করছেন ২০১৬ সালের মার্চ মাসে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ ও খুলনার চিকিৎসকরা কর্মবিরতি পালন করছেন,এপ্রিল ২০১৬ তে কিশোরগঞ্জ এর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালের চিকিৎসকরা কর্মবিরতি পালন করছেন।প্রশ্ন হচ্ছে পেশাগত ভাবে চিকিৎসকদের কর্মবিরতি পালন করা কতটা যুক্তি সংগত ? চিকিৎসকদের সাথে যদি কোনো অন্যায় হয়ে থাকে অবশ্যই তারা তার প্রতিবাদ করবেন কিন্তু কর্মবিরতিতে যাওয়া হচ্ছে একজন চিকিৎসকের জন্য সব থেকে খারাপ প্রতিবাদের মাধ্যম। চিকিৎসকরা খুব ভালো মতোই জানেন এক জন মুমুর্ষ রোগীর জন্য প্রতিটা মুহূর্ত কতটা জরুরি উনারা তা জেনেও হাসপাতালের সব অসুস্থ রোগীদের পুজি করে আন্দোলন করেন ও কর্মবিরতি পালন করেন। কখনো বেতন বৃদ্ধির জন্য এই কর্মবিরতি আবার কখনো রোগীর আত্মীয় স্বজনের সাথে হাতাহাতি বা মারামারি করে কর্মবিরতি।চিকিৎসকদের এই কর্মবিরতির ফলে সব চে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয় হাসপাতালের সাধারণ রোগীরা যাদের সাথে হয়তো আন্দোলনের কোনো সম্পর্কই নেই।এক জন মুমুর্ষ রোগীর কাছে হয়তো সৃষ্টিকর্তার পরই এই চিকিৎসকের স্থান অথচ সেই চিকিৎসকরা যখন একজন রোগীর আত্তীয় স্বজন এর সাথে মারামারি বা বিবাদের এর শাস্থি হাসপাতালের অনান্য অসুস্থ রোগীকে দেন তখন আসলেই বলার আর কিছু থাকে না। আসলে কর্মবিরতি পালন করা এখন একটা স্টাইল হয়ে দাড়িয়েছে প্রায় প্রতি মাসেই কোথাও না কোথাও চিকিৎসকরা কর্মবিরতি পালন করছেন বিভিন্ন কারণে।প্রয়োজনে আইন করে চিকিৎসকদের কর্মবিরতি পালন করা নিষিদ্ধ করতে হবে যারা জরুরী সেবার সাথে সংশ্লিষ্ঠ তাদের প্রতিবাদের আরো অনেক মাধ্যম আছে কর্মবিরতি এক মাত্র মাধ্যম নয় আর তা না হলে এদের দেখা দেখি অনান্য সেবা সংস্থার লোক জনও উদ্বুদ্ধ হবে ভেবে দেখুন এই চিকিৎসকদের দেখা দেখি যদি জরুরী খাতের সাথে সংশ্লিষ্ট ফায়ার ব্রিগেট কর্মীরা ,থানার পুলিশ ,তিতাস গ্যাস এর লোক জন এরাও যদি কাজ বাদ দিয়ে কর্মবিরতি পালন করা শুরু করে তা হলে আমাদের অবস্থা কি হবে। সাধারণ মানুষ এরও বুঝতে হবে জন্ম মৃত্যু চিকিৎসকের হাতে নয় আমরা যদি তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে না পারি বা তাদের ভালো কাজের পরিবেশ না দিতে পারি তা হলে আমরা সাধারণ মানুষই সব চে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হব।প্রশাসনের দায়িত্ব চিকিৎসকদের নিরাপত্তা দেয়া যারা চিকিৎসকের কাজে বাধা সৃষ্টি করবেন তাদের কঠিন শাস্থি নিশ্চিত করা

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ২:৩৮

ৈতয়ব খান বলেছেন: ভাই, চিকিৎসকরা এখন আর মানব সেবার মন নিয়ে কাজ করে না, ওরা এখন পুরোটাই ব্যবসায়ী।

১৩ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৩:১২

শিশির খান ১৪ বলেছেন: হে আসলেই ঠিক বলছেন মানব সেবার ধারের কাছেও এরা নাই না হইলে কি ভাবে হাসপাতালে অসুস্থ রোগী ফালায়া বেতন বৃদ্ধির দাবীতে কেউ কর্মবিরতি পালন করে নিজের বিবেকের কাছেই তো খারাপ লাগার কথা এদের চেম্বারের আসে পাশে দেখবেন ফার্মাসিটিকাল কোম্পানির লোক জন ঘুরাঘুরি নানা প্রকার উপহার নিয়া বিভিন্ন আজে বাজে পরীক্ষা করার কথা বলে পান কমিশন তবে সবাই এক রকম নয় এখনো অনেক আছেন যারা প্রতন্ত অঞ্চলে দিনের পর দিন খায়া না খায়া মানুষের সেবা করছেন তাদের কে সম্মান দিতেই হবে

২| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ২:৩৯

বিজন রয় বলেছেন: এদেশে সবই যুক্তিসঙ্গত।

১৩ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৩:১৬

শিশির খান ১৪ বলেছেন: এক দম ঠিক বলছেন আসলেই এদেশে মনে হয় সব কিছুই যুক্তিসংগত

৩| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ২:৪৪

ফ্লাইং সসার বলেছেন: প্রশাসনের দায়িত্ব চিকিৎসকদের নিরাপত্তা দেয়া যারা চিকিৎসকের কাজে বাধা সৃষ্টি করবেন তাদের কঠিন শাস্থি নিশ্চিত করা ---সেটা কি হচ্ছে?
১। কর্মবিরতির সময় জরূরী চিকিৎসা ঠিক থাকে,ইনডোরে কর্মবিরতি হয়।
২। আপনি থানার পুলিশ, ফায়ায় বিগ্রেডের লোক কিংবা তিতাসের লোকের গায়ে হাত তুলেছেন কখনও? ডাক্তারের গায়ে তো ঠিকই তুলেছেন।

১৩ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৮

শিশির খান ১৪ বলেছেন: ভাই ইনডোরে যারা থাকে তারা অসুস্থ হলে কি বেথা বা যন্ত্রণা হয় না ?তাদের কি চিকিৎসকের প্রয়োজন হয় না ?আর ভাই আমি তো বলতেই আছি যারা সেবা খাতে কাজ করে তাদের গায়ে হাত দিলে প্রশাসনের উচিত কঠিন শাস্থি দেয়া খালি চিকিৎসকরা না সেবা খাতের অনেকেই আক্রমনের মুখমুখী হন যখন রাস্তায় জামের কারণে ফায়ার ব্রিগেডের গাড়ি আসতে সময় বেশি লাগে তখন অশিক্ষিত মন্দ খরাপ লোক জন ফায়ার ব্রিগেডের গাড়িতে হামলা করে কিন্তু তারপর ও তো তারা কর্মবিরতি পালন করে না আসলে বিষয় টা এরকম যে কুকুর আপনার পায়ে কামড় দিলে তো আর আপনি কুকুর কে কামড়াবেন না তাই না ?দুই জন খারাপ লোক চিকিৎসকের গায়ে হাত দিলে আপনি অন্য দশ জন মুমুর্ষ রোগীকে সেই শাস্থি দিবেন এটা তো হয় না

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.