নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সময় পাইলে ব্লগ লেখাটা এখন নেশায় পরিণত হয়েছে। ব্যাস্ততার ফাকে যারা আমার ব্লগ দেখেন তাদের কাছে কৃতজ্ঞ। আপনাদের অনুপ্রেরণা থাকলে নিশ্চই সামনের দিন গুলোতে লেখা চালিয়ে যাবো।

শিশির খান ১৪

বেস্ত সময়ের ফাঁকে যারা আমার ব্লগ পরেন তাদের সবাইকে ধন্যবাদ

শিশির খান ১৪ › বিস্তারিত পোস্টঃ

মৃত্যু অবধারিত !

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৫:০২


মৃত্যু অবধারিত ! এটাই মনে হয়েছে যখন শুনলাম পাকিস্তান এর সাবেক সামরিক শাসক জেনারেল পারভেজ মোশাররফ আর নেই। রোববার (৫ ফেব্রুয়ারি ) দুবাইয়ের একটি আমেরিকান হাসপাতালে ৭৯ বছর বয়সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন জেনারেল মোশাররফ। তিনি বিরল রোগ অ্যামাইলয়েডোসিসে ভুগছিলেন অ্যামাইলয়েডোসিস হলো বিরল রোগ, যা সারা শরীরজুড়ে অঙ্গ এবং টিস্যুতে অ্যামাইলয়েড নামক একটি অস্বাভাবিক প্রোটিন তৈরি করে। এর ফলে অঙ্গ এবং টিস্যুগুলোর জন্য সঠিকভাবে কাজ করা কঠিন হয়ে উঠে। আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে যাদের আগ্রহ একটু হলেও ছিলো তাদের কাছে পাকিস্তান এর সাবেক সামরিক শাসক জেনারেল পারভেজ মোশাররফ এর নাম ভুলার নয়। পাকিস্তান এর স্থানীয় রাজনৌতিক প্রেক্ষাপটে বা আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক কৌশল নির্ধারণে জেনারেল মোশারফ এর অধ্যায় বার বার উঠে এসেছে কখনো ভালো উদাহরণ হয়ে আবার কখনো খারাপ উদাহরণ হয়ে। তিনি ১৯৯৮ সালে জেনারেল পদে উন্নীত হন এবং সেনাবাহিনী প্রধান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন , এর এক বছর পর ১৯৯৯ সালের ১২ই অক্টোবর সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে নওয়াজ শরীফকে ক্ষমতাচ্যুত করে মোশাররফ রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে নেন। ২০০১ সালে চেয়ারম্যান অব দ্য জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ কমিটির পদ ছেড়ে দেন। যদিও তিনি আর্মি চিফের দায়িত্বে থেকে যান। ২০০১ সালের ২০শে জুন নিজেকে দেশের প্রেসিডেন্ট হিসেবে ঘোষণা করেন তিনি। ২০০২ সালের ১ই মে একটি রেফারেন্ডামের মাধ্যমে তিনি পাঁচ বছরের জন্য প্রেসিডেন্ট থাকবেন বলে ঘোষণা দেন। অবশ্য মাঝে ২০০৪ সালে ১৭তম সংবিধান সংশোধনীর মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট হন মোশাররফ। মোশাররফ ২০০৭ সালের নভেম্বরে সুপ্রিম কোর্টের বিচারকদের পদচ্যুত করার কারণে সংবিধান-বিরোধী পদক্ষেপের জন্যও পরিচিত। যা আইনজীবীদের আন্দোলনের সূচনা করেছিল। যা বিচারব্যবস্থা পুনরুদ্ধারের আন্দোলন নামেও পরিচিত।সেই ধারাবাহিকতকায় রাজনৈতিক দলগুলোর নেতৃত্বে তুমুল গণআন্দোলনের মুখে ২০০৮ সালের ১৮ আগস্ট পদত্যাগ করতে বাধ্য হন পারভেজ মোশাররফ। তিনি পাকিস্তানের সবচেয়ে দীর্ঘমেয়াদী প্রেসিডেন্ট ছিলেন। ২০১৩ সালে মোশাররফের বিরুদ্ধে মামলা হয়। মামলায় ২০০৭ সালে তার সংবিধান স্থগিত করে জরুরি অবস্থা জারিকে অবৈধ ঘোষণা করে তাকে রাষ্ট্রদ্রোহের অপরাধে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয় অবশ্য মামলার বিচারকাজ চলাকালেই অসুস্থতাকে কারণ দেখিয়ে মোশাররফ সংযুক্ত আরব আমিরাত চলে যান। পরে তার মৃত্যুদণ্ডের রায় বাতিল করে দেয়া হয়। গত আট বছর ধরে তিনি আরব আমিরাতে বসবাস করে আসছিলেন।বর্তমানে পাকিস্তান খুব খারাপ সময় অতিক্রম করছে। পাকিস্তানের রাজনৈতিক অস্তিতিশীলতাই পাকিস্তানের অর্থনৈতিক উন্নতির প্রধান বাধা হিসাবে কাজ করেছে। এক হাতে পারমাণবিক বোমা অন্য হাতে ভিক্ষার থালা এটাই বর্তমান পাকিস্তান। আই এম এফ অসংখ্য বার পাকিস্তান কে সাহায্য করেছে খুব সম্ভবত ২২ বার যা ভারতে মাত্র ৭ বার। কিন্তু এই বার আর এতো সহজে সাহায্য দিবে বলে মনে হচ্ছে না নান রকম শর্ত দিয়া পাকিস্তান কে টাইট দিবে। কেন জানি মনে হয় পাকিস্তান এর এই অর্থনৈতিক দুর্যোগ বা দুর্বলতার সুযোগ কে কাজে লাগিয়ে আফগানিস্তান এর তালেবান রা আবার পাকিস্তান কে ভাগ কইরা দিবে।পাকিস্তান এ কেন কোনো রাজনৈতিক দল কেনো দীর্ঘমেয়াদি সময় থাকতে পারে না আবার সামরিক শাসক রাই বা বার বার ক্ষমতা দখল করে কেনো সেটা নিয়ে বিশ্লেষণ বা গবেষণা হওয়া প্রয়োজন।

মন্তব্য ১১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৩৮

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: একসময় উনার নাম অনেক শুনেছি, বেচারা শেষ পর্যন্ত মরাই গেলো! পারমানবিক শক্তিধর দেশগুলোর মধ্যে পাকিস্তানেরই সবচেয়ে খারাপ অবস্থা, দেশটাকে কোন সময়ই আমার কাছে স্ট্যাবল মনে হয়নি।

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৩২

শিশির খান ১৪ বলেছেন: হুম, পারমানবিক শক্তি সমৃদ্ধ দেশ গুলোর মাঝে পাকিস্তান খুব ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে কখন যে পাকিস্তান ভেঙে যায় সেটাই দেখার পালা

২| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৪৪

সোনাগাজী বলেছেন:




পাকিস্তানে মিলিটারী শাসন কায়েম করেছিলো জেনারেল আইয়ুব কান ( ক্ষমতায় ১৯৫৮ - ১৯৬৯ ); সেটাই এখনো চলছে; আইয়ুব ১০ বছর ৪ মাস ক্ষমতায় ছিলো; আমাদের জেনারেল জিয়া ও জেনারেল এরশাদও আইয়ুবের সামরিক পুত্র।

৩| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪৯

শাহ আজিজ বলেছেন: হুম, তালেবানরা এখন পাকিস্তানে তাদের বিষ সার্থকভাবেই প্রয়োগ করে এর স্থায়ী ওষুধ হিসাবে কাজ করবে । পাকিস্তানকে আজকের পথে নিয়ে আসার জন্য পাক জেনারেলরা দায়ী ।

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ৮:২৯

শিশির খান ১৪ বলেছেন: হুম ,পাকিস্তান এর জেনারেল দের জন্যই আজকে পাকিস্তান এর এই অবস্থা সামনের দিনগুলো পাকিস্তান এর জন্য আরো ভয়াবহ হবে। আমেরিকা যখন আফগানিস্তান থেকে ফেরত আসছিলো এয়ারপোর্ট এ যেই নাটক সৃষ্টি হয়েছিলো তার সাথে কিছুটা হইলেও পাকিস্তানী গোয়েন্দাদের কার্যক্রম জড়িত ছিলো তখনি মনে হয়েছিলো পাকিস্তান এর সামনে বিপদ আছে। পাকিস্তান অস্থিতিশীল হলে ভারতের জন্য আরো ঝামেলা বারবে।অন্যের জন্য গর্ত খুঁড়লে নিজেই সেই গর্তে পরতে হয় ঠিক তাই হইলো এখন আফগানিস্থান এর তালেবানরা পাকিস্তান এর পিছে লাগছে উলটা।

৪| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ৮:৩৩

কামাল১৮ বলেছেন: সামরিক শাসকরা পাকিস্তানকে ভিক্ষুকে পরিণত করেছে।দেশটাকে জংলিদের দেশ বানিয়েছে।

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ৮:৪৪

শিশির খান ১৪ বলেছেন: হুম ,কামাল ভাই পাকিস্তান এখন আফগানিস্তান এর মতো জংলী দেশে পরিণত হবে কোন দিন শুনবেন মেয়েদের বাসা থেকে বাইর হাওয়া নিষিদ্ধ। কি পাকিস্তান কি হইলো এই জন্যই সামরিক শাসন কাজে দেয় না গণতন্ত্র প্রয়োজন।

৫| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১০:২১

বিটপি বলেছেন: এক হাতে পারমাণবিক বোমা, আর এক হাতে ভিক্ষার থালা - এই হল পাকিস্তান।

আমাদের অবস্থা কি? পাকিস্তানের আগেই তো আমরা রিজার্ভ সংকটের আশঙ্কায় আইএমএফের কাছে হাত পেতে বসে রয়েছি। আমাদের হাতে তো পারমাণবিক বোমাও নেই। অনেকদিন যাবত শিল্পের কাঁচামাল আমদানি বন্ধ। বাজারে এখনও ২০টাকা দামের কোকের বোতল পাওয়া যায়। এর মানে হল এখনকার বাজারও তিন মাস আগে উৎপাদিত কমোডিটি দিয়ে কাভার করছে। কাঁচামালের অভাবে উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেলে তখন করা যাবে কি?

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৩:০১

শিশির খান ১৪ বলেছেন: হুম আসলেই ভাই সামনের দিনগুলো আরো কঠিন হবে অনেক সেক্টরে কাঁচামাল এর দাম তো তিন গুন্ হয়েছে আমি নিজেই ভিকটিম এখন বেবসা বন্ধ রাইখা ব্লগ লিখি ব্যবসা চালানোর চে বন্ধ রাখলে লাভ বেশি।

৬| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:০১

রাজীব নুর বলেছেন: মৃত্যু অবধারিত তবু মানুষ অন্যায় করে। করেই যাচ্ছে।

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৩:০৭

শিশির খান ১৪ বলেছেন:
তে হইলে পরকাল এ কি এরা বিশ্বাস করে না ?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.