নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সময় পাইলে ব্লগ লেখাটা এখন নেশায় পরিণত হয়েছে। ব্যাস্ততার ফাকে যারা আমার ব্লগ দেখেন তাদের কাছে কৃতজ্ঞ। আপনাদের অনুপ্রেরণা থাকলে নিশ্চই সামনের দিন গুলোতে লেখা চালিয়ে যাবো।

শিশির খান ১৪

বেস্ত সময়ের ফাঁকে যারা আমার ব্লগ পরেন তাদের সবাইকে ধন্যবাদ

শিশির খান ১৪ › বিস্তারিত পোস্টঃ

নাটক এর সংলাপ এর সাথে বাংলা ভাষা বিকৃত হওয়ার কি সম্পর্ক

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:০২



“শক্তের ভক্ত নরমের যম “ প্রচলিত এ কথাটি আমাদের সমাজে এখন শত ভাগ খাটে। জায়গামতো আমরা প্রতিবাদ করা তো দূরের কথা মুখে স্কচ টেপ মাইরা বইসা থাকি আর রিক্সাওয়ালা পঞ্চাশ টাকার জায়গায় ষাট টাকা চাইল কেন, লাগাও চড় ,এটাই আমাদের মন মানসিকতা। অফিসে বস এর ঝাড়ি খায়া বাসায় আইসা বৌ পিটায় এই রকম কিছু লোক থাকে না আমাদের চরিত্র ঐ রকম হয় গেছে। মূল বিষয় গুলোকে পাশ কাটিয়ে ছোট খাটো বিষয় গুলো আমাদের জন্য হট টপিক। কয়েক বছর আগে বাংলা ভাষা বিকৃত করার দায়ে এফ এম রেডিও জকি বা আরজে দের গুষ্টি উদ্ধার করলাম। এখন টি আর পি হাই এই রকম একটা টিভি নাটক এর সংলাপ বাংলা ভাষা বিকৃত করছে এমন অভিযোগ অনেকেই আনছেন। নাটকের সংলাপ কি ভাবে বাংলা ভাষা বিকৃত করছে এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গেলে উল্লেখ যোগ্য যেই কারণ গুলো পাওয়া যায় তার মাঝে অন্যতম হচ্ছে নাটকে অরুচিপূর্ণ শব্দের ব্যবহার ,নাটকে বিপ বিপ শব্দের অত্যাধিক ব্যবহার,নাটকে চলিত ভাষা ,আঞ্চলিক ভাষা বা বাংলা ইংরেজির মিশ্রণ এর ব্যবহার।

দুঃখের বিষয় ভাষা আন্দোলন এর মূল শিক্ষা থেকে আমরা দিন দিন দূরে সরে যাচ্ছি। ভাষা আন্দোলনে এতো ত্যাগ এর বিনিময়ে যে মূলবান শিক্ষা আমরা অর্জন করেছিলাম তা হচ্ছে “জোর করে অন্যে কারো উপর নিজের ভাষা চাপিয়ে দেওয়া যাবে না “ বর্তমান সময়ে আমরা ঠিক তার উল্টোটাই করছি কেউ মঞ্চের অভিনেতাদের মতো শুদ্ধ ভাষায় কথা না বলে চরিত্রের প্রয়োজনে আঞ্চলিক ভাষায় কথা বললে তার উপর আমরা বাংলা ভাষা বিকৃতির গুরুতর অভিযোগ আনছি।এটা তো এক ধরনের চাপিয়ে দেওয়া মন মানসিকতা তাই না। নাটক এর সংলাপ থাকবে জীবন থেকে নেওয়া , সম সাময়িক চরিত্র গুলোকে ফুটিয়ে তুলাই এর মূল লক্ষ। ধরুন নাটকে এক জন অভিনেতা মাতাল সুইপারের চরিত্রে অভিনয় করছে সে তো তার ভাষাতেই কথা বলবে তাই না এখন সে যদি সাধু ভাষায় ডাক্তার বা শিক্ষক এর মতো কথা বলে তে হইলে কি নাটক এ তার চরিত্র ফুটে উঠবে ?চরিত্রের প্রয়োজনে হয়তো কোনো অভিনেতা বরিশালের আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলছেন সেটাই তার মাতৃ ভাষা। কেনো তাকে শুদ্ধ ভাষায় কথা বলতে বাধ্য করা হবে আবার ধরুন নাটকের কোনো নায়িকা হয়তো স্থানীয় নোয়াখালীর মেয়ে চরিত্রে অভিনয় করছেন চরিত্রের প্রয়োজনে নাটকের সংলাপে হয়তো নোয়াখালীর আঞ্চলিক ভাষায় কিছু গালি ব্যাবহার করলেন তে হইলে কি তার বিরুদ্ধে অরুচিপূর্ণ বা বাংলা ভাষা বিকৃত করার অভিযোগ আনবেন।এরকম হইলে তো ভবিষ্যতে বাংলা নাটকের সংলাপ লেখার জন্য বাংলায় অনার্স মাস্টার্স করা স্ক্রিপ্ট লেখক খুঁজতে হবে।নাটকে আর কোনো ঠাট্টা মশকরা করার দৃশ্য দেখানো যাবে না নাটক আর নাটক থাকবে না হওয়া যাবে এক ঘন্টার বাংলা সাহিত্য ক্লাস। এখন তো চারিদিকে ইউ টিউব কনটেন্ট ক্রিয়েটর এর ছড়াছড়ি ,যাদের মাঝে অনেকেরই ভাষাতে বাংলা ইংরেজির মিশ্রণ আছে তে হইলে কি এরপর তাদের বিরুদ্ধেও বাংলা ভাষা বিকৃত করার অভিযোগ উঠবে।এই ইউ টিউব জেনারেশন তাদের বন্ধু বান্ধব ,আত্মীয় স্বজন ,পড়া প্রতিবেশী , এমনকি বাসায় পরিবারের সদস্যদের সাথেও বাংলা ইংরেজি মিশ্রনেই কথা বলে। এটাই তাদের মাতৃভাষা এদেরকে পিটাইলেও শুদ্ধ সাধু ভাষায় ইউ টিউব এ কনটেন্ট বানাইতে পারবে না। এখন তার উপর শুদ্ধ সাধু ভাষা চাপায় দেওয়াটা নিশ্চই ভাষা আন্দোলনের চেতনা পরিপন্থী হবে।

বিপ বিপ আর অরুচি পূর্ণ শব্দের অত্যাধিক ব্যবহারের ফলে পরিবার নিয়ে নাটক দেখা যায় না। কোথায় যুক্তি আছে কিন্তু একটা বিষয় মাথায় ঢুকে না আপনি তো জানেন কিছু নাটক এডাল্ট রেটেড কেন সেগুলো পরিবার নিয়ে দেখতে হবে অন্য কিছু দেখেন এখন তো অনেক চেনেল রিমোট টিপলেই হয়। আর নিজের যদি দেখার শখ হয় পরে হেড ফোন লাগায়া ইউ টিউবে দেখে নিবেন। এডাল্ট রেটেড ঠাট্টা মশকরায় পরিপূর্ণ নাটক এর সংলাপে নিশ্চই শুদ্ধ সাধু ভাষা আশা করা উচিত না।নাটক তো বিনোদন এর একটি মাধ্যম নাটক এর সংলাপ থেকে শুদ্ধ বাংলা শিখার তো কোনো প্রয়োজন দেখি না। শুদ্ধ বাংলা ভাষা শিখার জন্য বাংলা বেকারণ বই আছে গল্পের বই আছে সেগুলো দেখুন মঞ্চ নাটক দেখুন কবিতা শুনেন গান শুনেন আরো হাজারো মাধ্যম রয়েছে। তবে হে এই ধরণের এডাল্ট রেটেড নাটক ওটিপি প্লাটফর্মে থাকাটাই উত্তম টিভি চেনেল গুলো এই ধরণের নাটক দেখানো থেকে বিরত থাকা উচিত।

আন্তর্জাতিক মাতৃ ভাষা দিবসের প্রতি পূর্ণ সম্মান আমার রয়েছে। নিজের মাতৃ ভাষা প্রতিষ্ঠার জন্য এই রকম ত্যাগ এর নজির আর কোনো জাতি দেখায় নাই। স্বাধীনতা দিবস বলুন আর বিজয় দিবস বলুন এই গুলা সব দেশেই আছে কিন্তু আন্তর্জাতিক মাতৃ ভাষা দিবস একে বারেই অনন্য বিষয়। এর কৃতিত্ব কিন্তু সম্পূর্ণ আমাদের সারা পৃথিবী আমাদের এই জন্য স্বীকৃতি দিয়েছে। জাতি হিসাবে এটা আমাদের জন্য খুবই গর্বের বিষয়। তবে মনে রাখতে হবে “জোর করে অন্যে কারো উপর নিজের ভাষা চাপিয়ে দেওয়া যাবে না “

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:২৭

রাজীব নুর বলেছেন: আপনার শিরোনাম ও পোষ্টের সাথে আমি একমত নই।
বাংলা ভাষায় কি গালি নেই? বাজে বাজে শব্দ নেই? আপনি কি হুমায়ূন আজাদের 'নারী' বইটি পড়েছেন? বাজে শব্দ নাটক সিনেমা বা উপন্যাসে ব্যবহার করলেই ভাষা বিকৃত হয় না। জানেন তো একদেশের গালি, এক দেশের বুলি।

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:৪৭

শিশির খান ১৪ বলেছেন: আরে রাজীব ভাই আপনি আমার লেখা না পইরা কমেন্ট করেছেন আপনি যেই কথা বলছেন আমিও তো সেই কোথাই বলছি তে হইলে আবার এক মত না কেনো বলতাছেন।

২| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:৩৩

ইমতিয়াজ ১৩ বলেছেন: সবই তো বুজলাম, কিন্তু কি করা যাবে? এভাবেই চলতে থাকবে।

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:৫৫

শিশির খান ১৪ বলেছেন: না শিল্প সাহিত্য উন্মুক্ত খোলা আকাশের মতো যার ভালো লাগবে দেখবে আর যার ভালো লাগবে না সে বর্জন করবে বাস্তবতা হচ্ছে হিরো এলোমেরও অনেক ফেন ফলোয়ার আছে আমার আপনার ভালো লাগা না লাগা দিয়া কি কিছু আশা যায়। তবে সময়ের সাথে সাথে নাগরিক রুচি তে পরিবর্তন নিশ্চই আসবে।

৩| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:৫৩

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: আরে রাজীব ভাই আপনি আমার লেখা না পইরা কমেন্ট করেছেন আপনি যেই কথা বলছেন আমিও তো সেই কোথাই বলছি তে হইলে আবার এক মত না কেনো বলতাছেন।

তাহলে শিরোনামটা বদলে দিন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.