নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সময় পাইলে ব্লগ লেখাটা এখন নেশায় পরিণত হয়েছে। ব্যাস্ততার ফাকে যারা আমার ব্লগ দেখেন তাদের কাছে কৃতজ্ঞ। আপনাদের অনুপ্রেরণা থাকলে নিশ্চই সামনের দিন গুলোতে লেখা চালিয়ে যাবো।

শিশির খান ১৪

বেস্ত সময়ের ফাঁকে যারা আমার ব্লগ পরেন তাদের সবাইকে ধন্যবাদ

শিশির খান ১৪ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভারত না ইন্ডিয়া ?

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৩:০৭



ভারত না ইন্ডিয়া ? সামাজিক মাধ্যমে এ নিয়ে চলছে তুমুল আলোচনা।অবশ্য একেবারে হুট করেই যে 'ইন্ডিয়া বনাম ভারত' ইস্যু নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে, বিষয়টা মোটেও এমন নয়। ভারতীয় জনতা পার্টি ও আরএসএসের নেতাদের অনেক আগে থেকেই ইচ্ছা ছিলো ইন্ডিয়া নাম বদলিয়ে ভারত নামটি ব্যবহার করার।এমনকি গত বছর 'ইন্ডিয়া’ নাম পরিবর্তন করে 'ভারত' করার দাবিতে সুপ্রিম কোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছিলো ।এইবার বিতর্কের সূত্রপাত রাষ্ট্রপতির আমন্ত্রণ ঘিরে । জি-২০ সম্মেলন উপলক্ষে নৈশভোজের আয়োজনে যোগদানের উদ্দেশ্যে অথিতিদের পাঠানো হয় রাষ্ট্রপতি সাক্ষরিত আমন্ত্রণ পত্র। যেখানে সব সময় লেখা থাকতো ‘প্রেসিডেন্ট অফ ইন্ডিয়া’ এইবার সেখানে লেখা ‘প্রেসিডেন্ট অফ ভারত’। কেবলমাত্র রাষ্ট্রপতি নয়, আগুনে ঘি ঢালেন নরেন্দ্র মোদী নিজেও। প্রধান মন্ত্রীর আসন্ন ইন্দোনেশিয়া সফরের একটি সরকারি নথি সামাজিক মাধ্যমে দেখা যায়। সেখানেও মোদীর পরিচয় লেখা হয়েছে ‘প্রাইম মিনিস্টার অফ ভারত’। ইংরেজিতে ‘ইন্ডিয়া’ শব্দটি ব্যবহার না করে কেন ‘ভারত’ ব্যবহার করা হল, তা নিয়ে কোনো ব্যাখ্যা রাষ্ট্রপতি ভবন বা কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া হয় নি।

বিজেপির পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই যেসব শহর ও জায়গার নামের পেছনে মুঘল কিংবা উপনিবেশবাদের সম্পর্ক ছিল, সেগুলোর নাম পরিবর্তন করা হচ্ছে। যেমন, গত বছর দিল্লিতে অবস্থিত প্রেসিডেন্টসিয়াল প্যালেসের মুঘল গার্ডেনের নাম পরিবর্তন করে অমৃত উদ্যান রাখা হয়েছে।মোদির দলের নেতাদের প্রতিবাদের পর ২০১৫ সালে নয়াদিল্লির বিখ্যাত আওরঙ্গজেব রোডের নাম বদলে ড. এপিজে আব্দুল কালাম রোড রাখা হয়। নয়াদিল্লির কেন্দ্রে অবস্থিত, ঔপনিবেশিক আমলের একটি এভিনিউ যা আনুষ্ঠানিক সামরিক কুচকাওয়াজের জন্য ব্যবহৃত হতো, গতবছর সেটিরও নতুন নামকরণ করে সরকার। মোদি সরকারের ভাষ্যমতে, ভারতের হিন্দু অতীতকে পুনরুদ্ধারের প্রচেষ্টা হিসেবে নাম পরিবর্তন করা হচ্ছে।সমালোচকদের মতে, এমন সব উদ্যোগ মূলত ভারত থেকে মুঘলদের ইতিহাস মুছে ফেলার চেষ্টারই অংশ। অথচ মুসলিম এ শাসকগোষ্ঠী প্রায় ৩০০ বছর ভারতবর্ষে শাসন করেছে। নাম নিয়ে বিতর্কের মূলে রয়েছে মোদি সরকারের অসহিষ্ণু আচরণ।

সম্প্রতি, সংসদের অধিবেশনে বিজেপির এক সংসদ সদস্য মন্তব্য করেন 'ইন্ডিয়া’ নামটি 'ঔপনিবেশিক দাসত্বের' প্রতীক এবং এটি সংবিধান থেকে মুছে ফেলা উচিত। "বৃটিশরা 'ভারত' নাম পরিবর্তন করে 'ইন্ডিয়া' রেখেছিল। অথচ আমাদের দেশ হাজার বছর আগে থেকেই 'ভারত' নামে পরিচিত ছিল।"ঘটনাচক্রে মাস দুয়েক আগে দক্ষিণ ভারতের ব্যাঙ্গালোরে কংগ্রেস-সহ দেশের ২৬টি বিরোধী দলের নেতারা মিলে 'ইন্ডিয়া' নামে একটি নতুন জোট ঘোষণা করেছেন। এই 'ইন্ডিয়া'র পূর্ণ রূপ হলো ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ইনক্লুসিভ অ্যালায়েন্স।বিরোধী দলগুলি বলছে, ‘ইন্ডিয়া’ নামে যে বিজেপি বিরোধী জোট তৈরি হয়েছে, বিরোধী জোটের নাম ইন্ডিয়া রাখার পর থেকেই ভয় পেয়েছে মোদী সরকার। আর তাই রাতারাতি দেশের নামবদল করে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন কংগ্রেস, তৃণমূল, আম আদমি পার্টি। এদিকে আগামী ১৮-২২ সেপ্টেম্বর সংসদে বিশেষ অধিবেশনে আহ্বান করেছে ভারত সরকার। তবে এখন পর্যন্ত সরকারের পক্ষ থেকে এই অধিবেশনের এজেন্ডা প্রকাশ করা হয়নি। রাজনৈতিক মহলে আলোচনা হচ্ছে যে, ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকার হয়তো এই অধিবেশনে দেশটির নাম শুধু 'ভারত' করার প্রস্তাব দিতে পারে। তবে এই প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, 'এটি স্রেফ গুজব। আমি শুধু এটুকু বলব যে বা যারা ভারত শব্দটি নিয়ে আপত্তি জানাচ্ছেন, তাঁদের মানসিকতা কী তা স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে। কিছু মানুষ বিদেশে গিয়ে ভারতের নিন্দা করেন। আবার দেশে থাকলেও ভারতের নিন্দা করেন।

১৯৫০ সালের ২৬ জানুয়ারি ভারতীয় সংবিধান প্রণয়ন করা হয়। এই দিনই আনুষ্ঠানিকভাবে দেশের দ্বৈত পরিচয় স্বীকৃতি পায়। সংবিধানের প্রথম লাইনেই রয়েছে, 'ইন্ডিয়া, দ্যাট ইজ ভারত, শ্যাল বি এ ইউনিয়ন অফ স্টেটস।' এই ইস্যু নিয়ে মুখ খুলেছেন কেন্দ্রীয় বিদেশমন্ত্রী বলেন, আমি সকলকে অনুরোধ করব সংবিধানের লাইনগুলি পড়ে দেখুন। ভারত শব্দটি উচ্চারণ করার সঙ্গে সঙ্গেই একটি যথার্থ সংজ্ঞা আমাদের সামনে ফুটে ওঠে। সেটাই আমাদের সংবিধানে প্রতিফলিত হয়েছে। ভারতের সংবিধান রচনার সময়েও বিতর্ক হয়েছিল যে ইন্ডিয়া নামটা আদৌ রাখা হবে কী না তা নিয়ে। এ নিয়েও মতবিরোধ হয়েছিল যে সংবিধানে দেশের নামকরনের ক্ষেত্রে আগে ভারত, যেটিকে বিদেশি ভাষায় ইন্ডিয়া বলা হয়- এইভাবে রাখা হবে না কি এখন সংবিধানে যেভাবে আছে, অর্থাৎ ‘ইন্ডিয়া, দ্যাট ইজ ভারত’ সেভাবে রাখা হবে।

ভারতই সম্ভবত বিশ্বের একমাত্র দেশ যার বেশ কয়েকটি নাম রয়েছে: ইন্ডিয়া , ভারত, হিন্দুস্তান বা হিন্দ এবং সবচেয়ে প্রাচীন জম্বু দ্বীপ। যাই হোক, বর্তমানে, শুধুমাত্র ইন্ডিয়া এবং ভারত সাধারণত ব্যবহার হয় এবং মাঝে মাঝে হিন্দুস্তান ব্যবহার করা হয়। মজার ব্যাপার হল, যে প্রেক্ষাপট বা কথার ভাবের উপর নির্ভর করে দেশের নাম ব্যবহার করা হয়। যেমন ইংরেজি ভাষার বক্তৃতায়, 'ইন্ডিয়া' শব্দটি ব্যবহৃত হয় এবং হিন্দি অভিব্যক্তিতে, 'ভারত' শব্দটি ব্যবহৃত হয়। ইংরেজরা একে 'ইন্ডিয়া' বলে, আর আদিবাসীরা একে 'ভারত' বলে। আমাদের শাসক শ্রেণী একে বলে ‘ইন্ডিয়া’, অন্যরা, সাধারণ জনতা, ডাকে ‘ভারত’। 'ভারত'-এর চেয়ে 'ইন্ডিয়া' শব্দটিকে প্রাধান্য দেওয়া একটি প্রবণতা এবং ফ্যাশনে পরিণত হয়েছে। দেশের মানুষের সাথে হিন্দি এবং অন্যান্য আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলি যখন আমরা এটিকে ইংরেজিতে পরিচালনা করি।

ভারত বা ইন্ডিয়া দুটি নামই দুই সহস্রাব্দেরও বেশি সময় ধরে বিদ্যমান।যদিও ভারত নামের কিছু সমর্থক বলে যে "ইন্ডিয়া " ব্রিটিশ ঔপনিবেশিকদের দ্বারা দেওয়া হয়েছিল, এই বিষয়ে ইতিহাসবিদরা ভিন্ন মত পোষণ করেন তারা বলেন ইন্ডিয়া নামটি ঔপনিবেশিক শাসনের বহু শতাব্দী পর্ব থেকে ব্যবহার হোয়েছে। ইন্ডিয়া শব্দটি এসেছে ইন্দু নদী থেকে, যাকে সংস্কৃতে সিন্ধু বলা হত। খ্রিস্টপূর্ব তৃতীয় শতাব্দীতে আলেকজান্ডার দ্য গ্রেটের ভারতীয় অভিযানেরও পূর্বে গ্রীসের মতো দূর থেকে ভ্রমণকারীরা যখন এদিকে আসতো তখন তারা ইন্দু নদীর দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চলটিকে ইন্ডিয়া হিসাবে চিন্নিত করতো। তবে ঐতিহাসিকরা লিখছেন যে অষ্টাদশ শতাব্দী থেকে ব্রিটিশ মানচিত্রগুলিতে ইন্ডিয়া নামটির প্রচলন হতে থাকে। তার আগে, মুঘল আমলে তাদের শাসনাধীন এই এলাকাটিকে হিন্দুস্তান বলে চিহ্নিত করা হত।

অন্য দিকে ভারত নামটি আরও প্রাচীন ভারতীয় ধর্মগ্রন্থগুলিতে পাওয়া যায়। এই ধারণার পিছনে রয়েছে মহাভারতের আদিপর্বের একটি কাহিনী।মহর্ষি বিশ্বামিত্র এবং অপ্সরা মেনকার কন্যা শকুন্তলা এবং পুরুবংশীয় রাজা দুষ্মন্তের মধ্যে গান্ধর্বমতে বিবাহ হয়। তাদের ছেলের নাম ছিল ভরত।মহাভারতের বর্ণনা অনুযায়ী, ঋষি কণ্ব আশীর্বাদ করেছিলেন যে ভরত পরবর্তীকালে ‘চক্রবর্তী সম্রাট’ হবেন এবং সেই ভূমিখণ্ডের নাম ভারত হিসাবে বিখ্যাত হবে।ভারত নামের উৎপত্তির এই কাহিনীটি অত্যন্ত জনপ্রিয়।মহাভারতে বর্ণিত এই ঘটনা নিয়েই পরবর্তীকালে কবি কালিদাস অভিজ্ঞান শকুন্তলম নামের মহাকাব্য। কিন্তু কিছু বিশেষজ্ঞের মতে এটি ভূগোলের পরিবর্তে সামাজিক-সাংস্কৃতিক পরিচয়ের একটি শব্দ হিসাবে ব্যবহৃত হয়েছিল।

দেশের আরেকটি জনপ্রিয় নাম হিন্দুস্তান, মুঘল আমলে তাদের শাসনাধীন এই অঞ্চলকে হিন্দুস্তান বলা হত। যার অর্থ ফার্সি ভাষায় "ইন্দু ভূমি"। এটি মুঘল যুগে দেশটিকে উল্লেখ করার একটি জনপ্রিয় উপায় হয়ে ওঠে এবং প্রায়শই হিন্দু জাতীয়তাবাদীদের দ্বারা আমন্ত্রিত হয়। যাইহোক, এটি সংবিধানে ভারতের জন্য আইনি নাম হিসাবে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃত নয়।

তবে 'ইন্ডিয়া' নামটি ঘিরে বিতর্কে বেশ শক্ত অবস্থান নিয়েছেন দেশটির প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস। দলটির মনে করে ,ভারতীয়দের উচিত "ইতিহাসের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে রয়েছে এবং বিশ্বজুড়ে স্বীকৃত, এমন একটি নাম পরিবর্তনের বদলে দুটি নামই (ইন্ডিয়া ও ভারত) ব্যবহার করা।"যদিও সাংবিধানিকভাবে ইন্ডিয়াকে 'ভারত' বলতে কোনো আপত্তি নেই, কারণ দেশের দুটি সরকারিভাবে প্রচলিত নামের মধ্যে 'ভারত' একটি।সরকার নিশ্চই এতটাও বোকা নয় যে বহু শতাব্দী ধরে যেই 'ইন্ডিয়া' নামটির গুরুত্বপূর্ণ ব্র্যান্ড ভ্যালু তৈরি হয়েছে, সেটিকে পুরোপুরি বাতিল করে দেবে।"

অন্যদিকে বিরোধীদলীয় তৃণমূল কংগ্রেস বলে, "আমরা তো সকলেই 'ভারত' বলি। এখানে নতুন কিছু নেই। তবে বিশ্বজুড়ে আমাদের দেশের নাম 'ইন্ডিয়া হিসেবেই পরিচিত। আচমকা এমন কী হয়ে গেল যে সরকারকে দেশের নামের ক্ষেত্রে 'ভারত' ব্যবহার করতে হচ্ছে।

দিল্লিতে জি-২০ সম্মেলনের আগে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখানে তিনি বলেন “ভারত নাকি ইন্ডিয়া, এই নামের বিতর্ক অত্যন্ত সংবেদনশীল। এই নিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের যথাসম্ভব রাজনৈতিক বিতর্ক এড়িয়ে চলার নির্দেশ দেন। যাদের এই বিষয়ে কথা বলার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে, একমাত্র তাঁরাই যেন ইন্ডিয়া-ভারত নাম নিয়ে কথা বলেন।” তিনি বলেন, “ইতিহাস ঘাটতে যাবেন না, সংবিধান মেনে শুধুমাত্র সমসাময়িক পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলুন।”

বুঝাই যাচ্ছে ইন্ডিয়া বনাম ভারত' ইস্যুর পেছনে মূলত রয়েছে রাজনৈতিক ও নির্বাচনী উদ্বেগ।এক দিকে মোদী সরকার তৃতীয় বার ক্ষমতায় থাকার জন্য দৌড় ঝাঁপ করছে অন্য দিকে বিরোধী দলগুলো মোদীকে ঠেকানোর জন্য একাট্টা হচ্ছে। খুব স্বাভাবিক ইলেকশনের আগ পর্যন্ত নতুন নতুন ইস্যু নিয়ে রাজনীতির মাঠে থাকবে উত্তেজনা। এর আগেও ইন্ডিয়া নাম পরিবর্তনের চেষ্টা হয়েছিলো তখনকার তুলনায় এখনকার নাম পরিবর্তনের দাবী অনেক জোরালো। হুট করে যে দেশের নাম পরিবর্তন সম্ভব হবে না এটা বিজেপি সরকারও জানে। তারপরেও নাম পরিবর্তন কে ইস্যু বানানোর মূল কারণ মানসিক ভাবে দেশের সাধারণ মানুষকে ধীরে ধীরে প্রস্তুত করা। বিজেপির সাফল্যের পিছনে অন্যতম মূল কারণ বিজেপি দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনা করে অগ্রসর হয়। দিল্লিতে মুঘল মুসলিম শাসকদের নামে যে সব স্থাপনা আছে সবগুলির কিন্তু নাম পরিবর্তন করা হচ্ছে। বুঝাই যাচ্ছে ক্ষমতায় থাকলে ঠিকই ইন্ডিয়া নাম পরিবর্তন কইরা ভারত রাখবে।তবে বর্তমান প্রেক্ষাপটে দেশের নাম পরিবর্তন বা দেশের রি ব্র্যান্ডিং এতোটা সহজ নয় প্রয়োজন প্রচুর সময় ও অর্থ ।যদিও টার্কি নাম পরিবর্তন করে তুর্কিয়ে হয়েছে।রুপি থেকে শুরু করে প্রত্যেকটা নাম পরিবর্তন কিন্তু এতো সহজ হবে না। ইন্ডিয়া গেট হয়ে যাবে ভারত দ্বার , ISRO হবে BSRO , রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া হয়ে যাবে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ভারত , ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি হয়ে যাবে ভারত ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি কিংবা IPS-IAS এরই বা কি পরিবর্তন হবে ?

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ভোর ৪:৩৮

কামাল১৮ বলেছেন: জাতীয় সংগীতে ভারত নামটিই আছে।বিদেশে ইন্ডিয়া নামেই বেশি পরিচিত।

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:১২

শিশির খান ১৪ বলেছেন: হুম ,কামাল ভাই দুই নৌকাতে পা দিলে হবে না আপনি কোন পক্ষে সেটা তো বুঝলাম না ভারত না ইন্ডিয়া কোন নাম আপনি সাপোর্ট করেন ?

২| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ভোর ৪:৫৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: হিন্দুস্তান রাখতে পারতো। এই নামের চলও আছে। উইকিপিডিয়া থেকে জানলাম যে;

হিন্দুস্তান ভারতের জনপ্রিয় নামগুলির একটি। এই নামের আক্ষরিক অর্থ "সিন্ধু নদের দেশ"। অপর অর্থে, "হিন্দুদের দেশ"। হিন্দুস্তান নামটি বেশ প্রাচীন। আগে হিন্দুস্তান বলতে অখণ্ড ভারতকে বোঝাত। ভারত বিভাগের পর হিন্দুস্তান বলতে ভারতীয় প্রজাতন্ত্রকেই বোঝায়।

নাম-ব্যুৎপত্তি
হিন্দুস্তান নামটি এসেছে ফার্সি শব্দ "হিন্দু" থেকে। ফার্সি ভাষায় সিন্ধু নদকে বলা হত হিন্দু নদ। তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে জনপ্রিয় স্তান অনুসর্গটি (ফার্সি ভাষায় যার অর্থ স্থান)। আধুনিক ফার্সিতে "হিন্দ" বা "হিন্দুস্তান" বলতে ভারতকেই বোঝায়।

"হিন্দুস্তান" নামটির ব্যবহার
ভৌগোলিক ক্ষেত্র
সুদূর অতীতে, হিন্দুস্তান বলতে বোঝাত উত্তর ভারতের গাঙ্গেয় সমভূমি অঞ্চলটি; অর্থাৎ উত্তরে হিমালয় ও দক্ষিণে বিন্ধ্য পর্বতমালার মাঝের অংশটুকু। ১১শ-১৩শ শতকে ভারত আক্রমণকারী তুর্কি-আফগান মুসলমানরা ভারতের উত্তরাঞ্চলকে হিন্দুস্তান নামে অভিহিত করে।

বার্হস্পত্য সংহিতা বলে:

হিমালয়ম সমারভ্য
যবদিন্দুসারোভরং
তাং দেবনির্মিতং দেশং
হিন্দুস্থানং প্রচক্ষতে
অর্থাৎ: দেবতা-নির্মিত যে দেশ হিমালয় থেকে ভারত মহাসাগর (ইন্দু সরোবর) পর্যন্ত প্রসারিত, তারই নাম হিন্দুস্থান।

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:১৫

শিশির খান ১৪ বলেছেন: হুম যথার্থ বলেছেন হিদুস্থান মুঘল আমলে অনেক জনপ্রিয় নাম ছিলো কিন্তু বর্তমান ভারতের সংবিধান এ এই নাম ব্যবহারের অনুমতি নেই।

৩| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ৯:০৯

কবীর হুমায়ূন বলেছেন: পড়লাম। জানা কথাগুলো আবার জানলাম। ভালো লিখেছেন। শুভ কামনা।

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:১৮

শিশির খান ১৪ বলেছেন: কবির ভাই, যারা নিয়মিতো আন্তর্জাতিক খবর অনুসরণ করে তারা সবাই আগেই জানে। আপনি কোনটা সাপোর্ট করেন ভারত না ইন্ডিয়া ?

৪| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:৩২

রাজীব নুর বলেছেন: ভারত নামটাই সুন্দর।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.