নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সময় পাইলে ব্লগ লেখাটা এখন নেশায় পরিণত হয়েছে। ব্যাস্ততার ফাকে যারা আমার ব্লগ দেখেন তাদের কাছে কৃতজ্ঞ। আপনাদের অনুপ্রেরণা থাকলে নিশ্চই সামনের দিন গুলোতে লেখা চালিয়ে যাবো।

শিশির খান ১৪

বেস্ত সময়ের ফাঁকে যারা আমার ব্লগ পরেন তাদের সবাইকে ধন্যবাদ

শিশির খান ১৪ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আধুনিক যুদ্ধের সুপার অস্ত্র “ড্রোন ”

২৬ শে অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ২:৪১


ড্রোন একবিংশ শতাব্দীর যুদ্ধে সবচেয়ে আইকনিক অস্ত্র হয়ে উঠেছে। শুরুর দিকে যুদ্ধক্ষত্রে মিলিয়ন ডলারের অত্যাধুনিক ড্রোন এর ব্যবহার ক্ষমতাশালী দেশগুলোর মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল। পরবর্তী সময়ে সহজলভ্য ও সস্তা ড্রোন এর উপস্থিতি ছোট দেশগুলোর রণকৌশলে ব্যাপক পরিবর্তন আনে। প্রাথমিক স্তরে সামরিক ড্রোন শত্রুর উপর গোয়েন্দা নজরদারির কাজে সীমাবদ্ধ ছিল পরবর্তী সময় বিতর্কিত ভাবে ড্রোনগুলোকে অস্ত্রের প্লাটফর্ম হিসাবে ব্যাবহার শুরু হয় ।আধুনিক যুদ্ধে স্বল্প খরচে নির্দিষ্ট লক্ষে হামলা চালাতে ড্রোন এখন একটি অপরিহার্য হাতিয়ার হয়ে উঠেছে। সামরিক অভিযানে ড্রোন বিভিন্ন কৌশলগত, মনস্তাত্ত্বিক এবং সাশ্রয়ী সুবিধা প্রদান করে।প্রযুক্তির অগ্রগতি অব্যাহত থাকলে বলাই যায় আগামী বছর গুলিতে আরও পরিশীলিত এবং শক্তিশালী ড্রোন বাজারে প্রবেশ করবে ।

ড্রোন বা ( ইউএভি ) মূলত একটি চালকবিহীন বিমান ব্যবস্থা বা একটি উড়ন্ত রোবট। ফ্রেমের সাথে রোটর ও প্রোপেলার সংযুক্ত করে ড্রোন তৈরী হয় । ওজন হালকা ও চলাচল সহজ করতে যৌগিক উপাদান দিয়ে ড্রোন তৈরি করা হয়।শক্তির উৎস হিসাবে ব্যাটারি বা জ্বালানি ব্যবহার করা হয়। ড্রোনকে চালু করতে ও নেভিগেট করতে রিমোট কন্ট্রোল কন্ট্রোলার ব্যবহার করা হয়। Wi-Fi এর মতো রেডিও তরঙ্গ ব্যবহার করে কন্ট্রোলার ড্রোনের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করে।ড্রোন সফ্টওয়্যার-নিয়ন্ত্রিত এমবেডেড সিস্টেম দ্বারা পরিচালিত হয় ।অনবোর্ড সেন্সর ও গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম (GPS) এর সাহায্যে ড্রোন পরিচালিত হয় ।

ড্রোন ব্যাবহারে ফলে আধুনিক যুদ্ধে সামরিক বাহিনীর রণকৌশলে অনেক পরিবর্তন এসেছে। সাম্প্রতিক সময়ে ঘটে যাওয়া যুদ্ধগুলোতে উভয় পক্ষকেই ড্রোন ব্যাবহার করতে দেখা গেছে। যেমন বর্তমানে চলমান ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধকে ড্রোনের যুদ্ধ বলা হচ্ছে। দামী ক্ষেপণাস্ত্রের পরিবর্তে বোবা কামানের শেল এবং যুদ্ধবিমানের পরিবর্তে ড্রোন এই যুদ্ধের মূল ভরসা।উচ্চ প্রযুক্তির অস্ত্র এই যুদ্ধে অকার্যকর। ফলে উভয় পক্ষ বিকল্প অস্ত্রের উপর ক্রমবর্ধমানভাবে নির্ভর করছে।এই যুদ্ধে, স্থল এবং সমুদ্র উভয় ক্ষেত্রেই ড্রোন ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়েছে। ইউক্রেন এই যুদ্ধে প্রতি মাসে প্রায় ১০,০০০ ড্রোন হারাবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। বলাই যায় ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধের সুপার অস্ত্র হয়ে উঠেছে ড্রোন।

মার্কিন তৈরী একটি রিপার ড্রোনের মূল্য যেখানে ৩০৮ কোটি ৬৭ লক্ষ টাকা সেখানে তুরস্কের তৈরী একটি টিবি ২ ড্রোনের মূল্য ৫৫ কোটি ১২ লক্ষ টাকা ।অন্যদিকে বাণিজ্যিক উদ্দেশে তৈরী চীনা প্রযুক্তির ডিজেআই ম্যাভিক কোয়াডকপ্টার ড্রোন এর মূল্য মাত্র ১ লক্ষ ৬৫ হাজার টাকা থেকে ২ লক্ষ ২০ হাজার টাকা। ছোট দেশগুলো চীনা প্রযুক্তির এই বাণিজ্যিক ড্রোনকে রূপান্তর করে সামরিক ড্রোন হিসাবে যুদ্ধে ব্যবহার করছে। অর্থনৈতিক বিবেচনায় সামরিক অভিযানে চীনা প্রযুক্তির এই ড্রোনগুলো খুবই কার্যকর। যেমন ধরুন একটি একক F-35 যুদ্ধ বিমানের সমপরিমান মূল্যে প্রায় ৫৫,০০০ ডিজেআই ম্যাভিক ড্রোন ক্রয় করা সম্ভব। শুধু তাই নয় এগুলোর পিছনে যুদ্ধ বিমানের মতো কোনো সংরক্ষন ব্যায় নেই।পাইলট বিহীন হওয়াতে ড্রোন প্রতিপক্ষের আক্রমণে বিদ্ধস্থ হলেও তেমন একটা ক্ষতির সম্ভবনা নেই।

ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধে ,উভয় দেশ কামিকাজে ড্রোন মোতায়েন করেছে। এই ড্রোনগুলি ফার্স্ট-পারসন ভিউ ডিভাইস - অর্থাৎ ক্যামেরার সাহায্য নিয়ে নির্দিষ্ট একটি ট্যাবলেট বা VR হেডসেটের মাধ্যমে ড্রোনগুলোকে রিয়েল টাইমে পরিচালনা করা হয়।রিয়েল টাইমে চালিত হওয়ার কারণে জিপিএস জ্যামিং ড্রোন এর জন্য কোনো প্রতিবন্ধকতা তৈরী করতে পারে না। আবার অপেক্ষাকৃত ছোট আকার এবং দ্রুত গতির হওয়াতে বিমান-বিধ্বংসী প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ব্যবহার করে এগুলোকে ধ্বংস করা কঠিন। বাণিজ্যিক ড্রোন হওয়ার কারণে খুব কম মূল্যে এগুলো সংগ্রহ করা সম্ভব। কামিকাজে ড্রোন হ্যান্ড গ্রেনেড থেকে অ্যান্টিট্যাঙ্ক ওয়ারহেড বহন করতে সক্ষম। কামিকাজে ড্রোনের সাহায্যে আর্টিলারি বা মর্টার ফায়ারের তুলনায় আরো সঠিক আক্রমন সম্ভব। কামিকাজে ড্রোনের সাথে গ্রেনেড সংযুক্ত করে রাশিয়ার সাঁজোয়া যান ও সৈন্যদের উপর ইউক্রেন নিয়মিত হামলা পরিচালনা করছে এছাড়াও কিছু দিন আগে ইউক্রেন বিশটি কামিকাজে ড্রোন ব্যবহার করে রাশিয়ার ৩৭০ কিলোমিটার অভ্যন্তরে একটি বিমান ঘাঁটিতে হামলা চালায়। এতে রাশিয়ার প্রায় একশত ভারী IL-76 পরিবহন বিমানের মধ্যে দুটি বিমান সম্পূর্ণ ধ্বংস হয় এবং অন্য দুটি বিমান আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এছাড়াও ইউক্রেন কামিকাজে ড্রোনের সাহায্যে ক্রিমিয়ায় S-400 এবং S-300 বিমান-প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করছে।

ইউক্রেনের নতুন সংযোজন অট্রেলিয়ার তৈরী SYPAQ এর কার্ডবোর্ড ড্রোন। ৩ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা মূল্যের ড্রোনগুলো ৫ কেজি বোমা বহনে সক্ষম। এই ড্রোনের পাখা ২ মিটার লম্বা এটি ঘন্টায় ৬০ কিলোমিটার গতিতে উড়তে সক্ষম এবং ১২০ কিলোমিটার দূরের লক্ষে আঘাত আনতে কার্যকর । এই ড্রোন তৈরিতে ব্যবহার করা হয়েছে আবহাওয়া প্রতিরোধী মোমযুক্ত কার্ডবোর্ড। কোনো ধাতু না থাকায় রাডার এর মাদ্ধমে এই ড্রোনকে সনাক্ত করা কঠিন। এই কৌশল কাজে লাগিয়ে ইউক্রেন ইতিমধ্যে রাশিয়ার কুরস্ক ওব্লাস্টে একটি মিগ -29 এবং চারটি Su-30 ফাইটারকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে সক্ষম হয়েছে।

এদিকে জার্মান অস্ত্র প্রস্তুতকারক রাইনমেটালের ঘোষণার দিয়েছে ইউক্রেনের সক্ষমতা বাড়তে কিয়েভকে তারা LUNA ড্রোন সরবরাহ করবে।এই ড্রোনের ৩০০ কিলোমিটার পর্যন্ত ডেটালিংক পরিসীমা রয়েছে এবং এটি একটানা ১২ ঘন্টা অভিযান পরিচালনাতে সক্ষম।

অন্য দিকে রাশিয়া জেরানিয়াম 2 নামধারী লোটারিং যুদ্ধাস্ত্র ব্যবহার করে ইউক্রেনের উপর হামলা করছে। জেরানিয়াম 2 ড্রোন IRIS-T মিসাইল এর বিকল্প হিসাবে যুদ্ধে ব্যবহার হচ্ছে। ইউক্রেন ও তার মিত্র পশ্চিমা দেশগুলোর ধারণা ইরানের তৈরি শাহেদ-136 ড্রোনকে নতুনভাবে ডিজাইন করে জেরানিয়াম 2 নাম দেওয়া হয়েছে। একটি IRIS-T মিসাইল এর মূল্য ৪৭ লক্ষ টাকা অন্য দিকে একটি শাহেদ ড্রোনের আনুমানিক মূল্য ২ লক্ষ ২০ হাজার টাকা।

অন্যদিকে হামাস ও ইসরাইল যুদ্ধে একই কৌশলে ড্রোনের সাথে বোমা সংযুক্ত করে হামাস ইসরাইলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর মেরকাভা ট্যাংক বিধস্ত করেছে। মেরকাভা ট্যাংক ইসরাইলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর সর্বাধুনিক প্রযুক্তিতে তৈরী ট্যাংক। ধারণা করা হয় প্রতিটি মেরকাভা ট্যাংক এর মূল্য ৩৮ কোটি ৫৮ লক্ষ টাকা।

ড্রোন এর ব্যাবহারে প্রতিবেশী রাষ্ট্র মিয়ানমারও আমাদের তুলনায় অনেক এগিয়ে গেছে। মায়ানমারের প্রথম ড্রোন-আক্রমণ দেখা যায় ২০১২ সালে। মেকং নদীতে ১৩ জন চীনা নাগরিক ও মাদক ব্যাবসায়ী নাও খাম কে হত্যার জন্য ড্রোন ব্যবহার করা হয়েছিল। যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে চীনা সরকার মিয়ানমারে ড্রোন হামলার কথা স্বীকার করেনি। পরিকল্পনাটি মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় ও অ-রাষ্ট্রীয় উভয় পক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। পরবর্তী সময়ে মিয়ানমার সরকার চীন থেকে সামরিক-গ্রেডের মানববিহীন আকাশযান (UAVs) অধিগ্রহণ করে, বিশেষ করে CH-3A UAVs যা পুনরুদ্ধার এবং স্থল আক্রমণ করতে সক্ষম।পরবর্তী সময়ে ২০২০ সালে মিয়ানমারের বিমান বাহিনী রাখাইন রাজ্যে আরাকান আর্মির (AA) বিরুদ্ধে প্রথম ড্রোন হামলা চালায় বলে জানা গেছে।প্রথম দিকে শুধু মিয়ানমারে বিমান বাহিনী ড্রোন ব্যবহার করতো কিন্তু ২০২২ সালে পরিবর্তিত প্যাটার্ন এবং চলমান সংঘাতে অ-রাষ্ট্রীয় অভিনেতাদের ড্রোন ব্যবহার করতে দেখা যায়। ২৮ অক্টোবর ২০২২-এ, Natogyi People's Defence Force (PDF) Facebook-এ ড্রোন হামলা পরিচালনার ঘোষণা দেয়। ২৭ অক্টোবর চালানো ড্রোন হামলায় পাঁচজন তাতমাডও সৈন্য নিহত হয় । সংবাদের সাথে প্রকাশিত ফুটেজে চারটি প্রাইমড এম 9 রাইফেল গ্রেনেড জান্তা সৈন্যদের উপর পড়ে থাকতে দেখা গেছে। কায়িন রাজ্যে একটি পিডিএফ ফোর্সের আরেকটি আক্রমণে, ড্রোন ফুটেজে জান্তা সৈন্যদের উপর একটি বড় হেক্সাকপ্টার ড্রোন থেকে মর্টার শেল ফেলা হয়েছে। এই আক্রমণগুলি ২০২২ সাল জুড়ে সংঘটিত বেশ কয়েকটি ড্রোন হামলার কিছু অংশ৷মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন চীনের তৈরী ডিজেআই ব্র্যান্ডের বাণিজ্যিক ড্রোন সংগ্রহ করে এই হামলা গুলো পরিচালনা করছে । বাণিজ্যিক ড্রোনের আকার এবং পেলোড ক্ষমতার উপর নির্ভর করে ড্রোনের মূল্য। ধারণা করা হয় মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন ১০০০ ডলার থেকে ৩০০০ ডলারে ড্রোন গুলো ক্রয় করছে। পরবর্তী পর্যায়ে অনলাইনে বিভিন্ন ফোরামের ভিডিও দেখে বাণিজ্যিক ড্রোন গুলোকে তার সামরিক ড্রোনে রূপান্তর করছে ।এক্ষেত্রে 3D প্রিন্টার ব্যবহার করে তারা ড্রোনের বিভিন্ন নতুন অংশ তৈরী করছে। মিয়ানমারের সামরিক শাসনের মুখপাত্র ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে একটি প্রেস কনফারেন্সে পিডিএফ ড্রোনের কার্যকারিতা স্বীকার করেছেন, নিশ্চিত করেছেন যে ইতিমধ্যে সরকার প্রধান এর বাসভবন ,বিভিন্ন সরকারি গুরুত্বপূর্ণ ভবন,সামরিক স্থাপনা এবং ফাঁড়িগুলিতে অ্যান্টি-ড্রোন বন্দুক এবং সিগন্যাল জ্যামার স্থাপন করা হয়েছে । বিমানঘাঁটিতে অ্যান্টি-ড্রোন ডিভাইস উপস্থিত থাকার প্রেক্ষিতে, বিমান ঘাঁটিতে ড্রোন হামলার কোনো রিপোর্ট পাওয়া যায় নি।

আধুনিক যুদ্ধে চতুর্থ শিল্প বিপ্লব এর প্রভাব স্পষ্ট। 3D প্রিন্টিং, সহজ ওয়্যারলেস সংযোগ ও AI ব্যবহার করে ছোট দেশ গুলো খুব সহজে ড্রোন তৈরী করছে। এই ড্রোন যুদ্ধে ব্যায়বহুল পারমাণবিক এবং স্টিলথ প্রযুক্তির অস্ত্রের প্রতিযোগী হয়ে উঠেছে। বাস্তবতা হচ্ছে কোটি টাকার সর্বাধুনিক প্রযুক্তির ট্যাংক ও যুদ্ধ বিমান কার্ডবোর্ডের তৈরী সস্তা ড্রোনের হামলায় বিপর্যস্থ। এমনকি রাডার কিংবা বিমান বিধ্বংসী প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ব্যবহার করেও এই ড্রোনের হামলা ঠেকানো যাচ্ছে না।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ২:৫৩

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: আমার মনে হয় অদূর ভবিষ্যতে যাদের ড্রোন প্রযুক্তি ভালো থাকবে তারাই যুদ্ধে এগিয়ে থাকবে। বাংলাদেশের সেনাবাহীনিতে কতগুলো ড্রোন আছে? এসব ড্রোন চালানোর জন্য দক্ষ লোকবল আছে তো?

ধন্যবাদ।

২৭ শে অক্টোবর, ২০২৩ বিকাল ৩:২৬

শিশির খান ১৪ বলেছেন: ঠিক বলছেন ভবিষ্যতে ড্রোন প্রযুক্তির উপর নির্ভর করবে কোন দেশের সেনাবাহিনী কতটা শক্তিশালী। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শুনলাম ড্রোন নিয়া কাজ শুরু করছে তবে তাদের সর্বশেষ অগ্রগতি কতটুকু তা জানা নেই। এখন পর্যন্ত প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলো ড্রোন প্রযুক্তিতে আমাদের তুলনায় এগিয়ে আছে।

২| ২৬ শে অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১০:২০

কামাল১৮ বলেছেন: ড্রোন থামিয়ে দেয়ার প্রযুক্তি আছে কি নাই?না থকলে হয়ে যাবে।

২৭ শে অক্টোবর, ২০২৩ বিকাল ৩:৩১

শিশির খান ১৪ বলেছেন: সেটাই তো সমস্যা ড্রোন থামানোর প্রযুক্তি আছে কিন্তু খুব একটা কার্যকর না। প্রথমত ড্রোন এখন কাগজ দিয়ে তৈরী হচ্ছে অন্য দিকে এগুলো এতো ছোট যে ড্রোন সনাক্তকারী রাডারে এগুলাকে পাখি মনে হয়।

৩| ২৬ শে অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১১:৩৯

রাজীব নুর বলেছেন: আপনাকে সত্য কথা বলি- আন্তর্জাতিক বিষয় গুলো সম্পর্কে আমি কিছুই জানি না।
তাই চুপ করে পড়ে গেলাম। কিছুই মন্তব্য করতে পারলাম না।

২৭ শে অক্টোবর, ২০২৩ বিকাল ৩:৪১

শিশির খান ১৪ বলেছেন: বেপার না রাজীব ভাই সবার সব বিষয়ে আগ্রহ থাকে না এটাই স্বাভাবিক। তারপরও আপনি যে আগ্রহ নিয়ে দেখছেন সেটাই মেলা অনেক ধন্যবাদ।

৪| ২৭ শে অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১:০৪

মুহাম্মদ মামুনূর রশীদ বলেছেন: আমি আমার পরিচিত একজনকে বলেছিলাম যে এভিয়েশনের বিষয় তো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অ্যাভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ান হয়, তো ড্রোন এভিয়েশন নিয়ে কোন চিন্তা ভাবনা তাদের আছে কি?

উনি বল্লেন ইতোমধ্যে তা কারিকুলামে যুক্ত করা হয়েছে।

২৭ শে অক্টোবর, ২০২৩ বিকাল ৩:৫৫

শিশির খান ১৪ বলেছেন: যাক দেরীতে হলেও শুভ বুদ্ধির উদয় হয়েছে। ড্রোন প্রযুক্তিতে প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারত ও মিয়ানমার উভয় দেশ আমাদের তুলনায় অনেক এগিয়ে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.